নামঃ মো. জিয়াউল হক
জন্মতারিখঃ ৪/০১/১৯৮৩
জন্মস্থানঃ সিলেট, বাংলাদেশ।
ডিগ্রীঃ অনার্স এবং মাস্টার্স [ইংরেজি]।
1) স্বভাব/মেজাজঃ
বেশ শান্ত স্বভাবের মানুষ আমি। তবে কেউ আমার আত্মসম্মানে আঘাত হানলে আমি হাল্কের মতই রেগে যাই!
2) শখ/হবি যার থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন নাঃ
বই পড়া, দাবা খেলা, গান শোনা এবং বড়শি দিয়ে মাছ ধরা।
3) অতিপ্রিয় ব্যক্তিত্বঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
4) প্রিয় আসক্তিঃ
লেখালেখি।
5) প্রিয় লেখক যার প্রেরণা আপনাকে উদ্বুদ্ধ করেঃ
শুধুমাত্র একজনের নাম উল্লেখ করা বেশ কঠিন! তবে যে কয়েকজন বরেণ্য লেখকের নাম উল্লেখ না করলেই নয় তাঁরা হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমান, জালাল উদ্দিন রুমি, উইলিয়াম শেইক্সপিয়ার প্রমুখ।
6) প্রিয় ভোজনঃ
খাসীর মাংস ভুনা, খিচুড়ি দিয়ে ভুনা ইলিশ।
7) অবসাদগ্রস্ত হন কিসে?
আমি বেশ আশাবাদী প্রকৃতির মানুষ। খুব একটা অবসাদগ্রস্ত হই না বললেই চলে!
8) আপনার মতে প্রেমের সংজ্ঞাঃ
আমার মতে প্রেম হচ্ছে সত্যের আরেক রূপ। যদি প্রেমে বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা থাকে, স্বার্থ, লালসা, মিথ্যা বা কপটতার কোনও স্থান না থাকে, তবে সেটাই প্রকৃত প্রেম। কিন্তু প্রেমের নামে তথাকথিত সম্পর্ক স্থাপনকে যে যাই বলুক, আমি অন্তত ‘প্রেম’ বলে সংজ্ঞায়িত করতে পারবো না।
9) আপনি কখন সবচেয়ে বেশি খুশি হনঃ
আমার মতে সুখ জিনিসটা বেশ আপেক্ষিক। কখনও কখনও খুব অল্পতেই আনন্দিত বোধ করি। তবে আমার লেখা কোনও পুস্তকে, ম্যাগাজিনে কিংবা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি আমাকে সর্বদাই আনন্দের চাঁদরে জড়িয়ে রাখে।
10) ছেলেবেলার সবচেয়ে সুখের মুহুর্ত কোন্টিঃ
ঘুড়ি উড়ানো, জলজ্যান্ত ফড়িং ধরে তার লেজে সুতো লাগিয়ে উড়ানো, এবং সুতো ছিঁড়ে কেটে যাওয়া ঘুড়ির পেছনে পাগলের মতন দৌড়ানো!
11) কোন্ জিনিস যা আপনি খুব ঘৃণা করেনঃ
ভণ্ডামি।
12) আপনার ব্যক্তিগত সংরক্ষণে ক’টি বই আছেঃ
আমার ব্যক্তিগত সংরক্ষণে প্রায় তিন হাজারের মতন বই আছে।
13) ঈশ্বরে বিশ্বাসী কি আপনিঃ
হ্যাঁ, আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি। এর পক্ষে হাজারো যুক্তি বিদ্যমান। তবে আমি সেইসব যুক্তির সাথে একাত্মতা পোষণ করার পাশাপাশি আমার নিজস্ব একটি ধারণার কথা বলতে চাই- পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলোর এমন সুন্দর এবং গোলাকার আকৃতিই প্রমাণ করে যে সৃষ্টিকর্তাই এতো নিখুঁতভাবে এসব সৃষ্টি করেছেন। যদি তা না হতো, তবে একেকটি গ্রহের আকার হত অসম্পূর্ণ, ভঙ্গুর, ত্রিভুজাকৃতির, চতুর্ভুজাকৃতির ইত্যাদি!
14) সবচেয়ে ভয় কিসের থেকেঃ
সবচেয়ে বেশী ভয় পাই যখন ভাবি যদি কোনোদিন পাঠকদের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ হারিয়ে ফেলি!
15) জীবন থেকে সবচেয়ে কি বেশি আশা করেনঃ
জীবনে যেন ইতিবাচক ঘটনাই বেশী ঘটে এবং শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত যেন লিখে যেতে পারি।
16) আপনার প্রিয় পাঁচটি বইঃ
অনেক প্রিয় বইয়ের নাম ঘেঁটে নির্দিষ্ট করে পাঁচটি নাম উল্লেখ করা বেশ কষ্টসাধ্য। তবে অসাধারণভাবে মুগ্ধ করেছে যে বইগুলো সেগুলো হচ্ছে- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “গল্পগুচ্ছ”, মারিও পুজোর “গডফাদার”, মিশেল ফুকোর “মেডনেস এন্ড সিভিলাইজেশন”, ই এম ফরস্টারের “আ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া” এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পথের পাঁচালী”।
17) লেখক হিসাবে আপনার স্বপ্নঃ
লেখক হিসাবে আমার স্বপ্ন হচ্ছে পাঠকদের হৃদয়ে স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। রবি ঠাকুরের ভাষায় যদি বলি- “যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে”, তখনও যেন পাঠকগণ আমার লেখা পড়েন এবং আমাকে তাদের স্মৃতিতে অমর করে রাখেন!
18) জীবনে মাফযোগ্য যদি কোনও চুরি করতে বলা হয় তাহলে আপনি কি এমন জিনিস চুরি করতে চাইবেনঃ
এমন স্বাধীনতা পেলে আমি প্রচুর বই চুরি করতে চাইবো!
19) পুনর্জন্ম হলে কি হয়ে জন্মাতে চানঃ
যদিও আমি পুনর্জন্মে বিশ্বাসী নই, তবে এই প্রশ্নের উত্তরে বলবো- আমি আবারও মো. জিয়াউল হক হয়ে জন্মাতে চাই!
20) পাঠকের প্রতি আপনার কোনও বিশেষ উপদেশঃ
সম্মানিত পাঠকদের প্রতি আমি উপদেশ নয়, বরং বিনীতভাবে একটি অনুরোধ করতে চাই আর তা হচ্ছে এই যে আপনারা অনুগ্রহ করে লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করুন কারণ এটি হচ্ছে চারাগাছে পানি দেবার মতন যা একজন লেখককে সত্যিকারের লেখক হয়ে ওঠার পথে অনন্য ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া যদি কোনও পুস্তকে কোনও একটি লাইন আপনার কাছে বিতর্কিত মনে হয়, তবে তার জন্য সরাসরি লেখককে দায়ী না করে বইয়ের ঐ নির্দিষ্ট চরিত্রটিকে দোষারোপ করুন কারণ আমার মতে, “A writer does not [and should not] always agree with what his characters say or do in the book!”
21) প্রতিলিপির সম্বন্ধেঃ
‘প্রতিলিপি’ সাহিত্যানুরাগীদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এখানে দেশ বিদেশের লেখক এবং পাঠকদের মধ্যে এতো অসাধারণ সেতুবন্ধন তৈরি হয় যা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে। সাহিত্যের জয়যাত্রায় প্রতিলিপি এক বিস্ময়কর পথপ্রদর্শক এবং আশীর্বাদস্বরূপ আবির্ভূত হয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে এর সীমাহীন অগ্রযাত্রা কামনা করি।