আজকের এই মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্পগুলি সেই সমস্ত লেখককে কুর্ণিশ জানায় যাদের জার্নি আরও অনেক মানুষকে সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়েছে:
## 1. পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের স্বপ্নকেও সফল করা যায়
সংসারের অসংখ্য দায়িত্ব পালনের ভার থাকে একজন গৃহিণীর ওপর। কিন্তু এই দায়িত্ব পালনের মাঝেও রিমা খুঁজে পেয়েছেন লেখার প্রতি নিজের ভালোবাসাকে। প্রতিলিপিতে একজন পাঠক হিসাবে জার্নি শুরু করলেও এখন হয়ে উঠেছেন অন্যতম সফল একজন লেখিকা। রিমা আমাদের দেখিয়েছেন, হাজারো দায়িত্ব ও কাজের মাঝেও নিজের ক্রিয়েটিভিটির জন্য সময় বার করা যায়। রিমার এই সাফল্য বহু মানুষকে নিজেদের স্বপ্নপূরণ করতে উৎসাহিত করছে।
## 2. পাঠকের উৎসাহ লেখকের সাফল্যকে প্রভাবিত করে
ছোটগল্প লেখার মধ্যমে জ্বালামুখীর রাইটিং জার্নি শুরু হয়েছিল। পাঠকের সমর্থনের জন্যই তিনি আরও লেখার উৎসাহ পান। তার গল্প অডিও ফরম্যাটে রূপান্তরিত হয়। বই হিসাবেও প্রকাশিত হয়। পাঠকদের জন্যই লেখক তার প্যাশনকে বর্তমানে প্রফেশনে পরিণত করতে পেরেছেন। লেখকের জার্নি আমাদের আরও একবার মনে করিয়েছে, একটি শক্তিশালী পাঠক কমিউনিটি কীভাবে লেখকের সাফল্যকে তরান্বিত করতে পারে।
## 3. লেখনীর মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনা সম্ভব
গল্পের মাধ্যমে ময়ূরী সমাজের বিভিন্ন সমস্যা পাঠকের সামনে তুলে ধরতেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস করতেন। লেখা থেকে তিনি যা উপার্জন করতেন তা দুঃস্থদের দিয়ে দিতেন। লেখকের এই প্রয়াস দেখিয়েছে, লেখার মাধ্যমে কীভাবে একটি পরিবর্তনের সূচনা করা যায়। ময়ূরীর এই জার্নি অন্যদেরও অনুপ্রেরিত করে, তারাও এভাবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং পজিটিভিটি ছড়াতে পারবেন।
## 4. নিজেকে নতুন করে চেনা
ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল নিজের একটা সাইকেল থাকবে। কিন্তু হাকিমবাবু শৈশবে এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। নিজের এই ছোট ছোট অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা শেয়ার করে নেওয়ার জন্যই লেখা শুরু করেছিলেন। লেখকের জার্নি বারবার আমাদের মনে করায়, অসংখ্য প্রতিবন্ধকতার মাঝেও শিল্পীসত্বার মাধ্যমে নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায় ও ছোট ছোট স্বপ্নগুলো পূরণ করা যায়।
## 5. ভালো থাকার চাবিকাঠি
কর্পোরেট সেক্টরে কর্মরতা সুষমা একসময় মারাত্মক ডিপ্রেশনের শিকার হন। শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন। লেখালেখি ছিল ওনার প্রাণ। অফলাইনে লেখায় সরাসরি পাঠক প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ ছিলনা। কিন্তু প্রতিলিপিতে সুষমা পাঠকের মতামত জানতে পেরেছেন এবং এই পাঠক কমিউনিটি হয়ে উঠেছে লেখকের বৃহত্তর পরিবারের অংশ। মানুষের ভালোবাসা, স্নেহ ও শুভ কামনা পেয়ে কোনো খারাপ ঘটনা এখন আর লেখককে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারেনা। প্রতি মুহূর্তে তিনি নতুন পথ চলার স্বপ্ন দেখার উৎসাহ পান।
## 6. স্ট্রাগল থেকে সাকসেস
শ্রী তার জীবনের একটি পর্যায়ে তীব্র অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। প্রতিলিপি থেকে তার প্রথম উপার্জন এসেছিল ঠিক এই সময়েই যা লেখককে অনেকটা স্বস্তি এবং ভরসা জুগিয়েছিল। লেখকের এই জার্নি আমাদের দেখিয়েছে, কীভাবে নিজের ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে অন্ধকার সময়েও আশার আলো দেখা যায়।
## 7. একটু অন্যরকম ভাবার চেষ্টা
2020 সালে লকডাউনের মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে টানা 16 দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল পিউয়ের গ্রাম। এই সময় তিনি নিজের মনের কথা গল্পের আকারে লেখা শুরু করেন। আজ লেখক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরিরতা। কিন্তু ব্যস্ততা ও স্ট্রেসের মাঝেও নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে রেখেছেন লেখার জন্য। তিনি মূল উপার্জনের কিছু অংশ যেমন সেভ করেন, লেখা থেকে পাওয়া উপার্জনও ইনভেস্ট করেন। লেখকের জার্নি আমাদের দেখিয়েছে, ক্রিয়েটিভিটি স্ট্রেস থেকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি হয়ে উঠতে পারে ভবিষ্যতের সঞ্চয়।
এই গল্পগুলি আমাদের সমস্ত লেখকের জার্নি এবং প্রতিলিপিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে সেলিব্রেট করছে। প্রতিটি গল্প আমাদের দেখিয়েছে, কীভাবে লেখার মাধ্যমে সৃষ্টির আনন্দ উপভোগ করা যায় ও একে অপরের সাথে যুক্ত থাকা যায়। প্রতিলিপি কমিউনিটিতে থাকা সমস্ত লেখককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ তাদের কাজের মাধ্যমে এভাবে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য।