প্রবাদ বাক্যঃ
১) অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ ভক্তির আতিশয্যে গোপন উদ্দেশ্য সাধনের প্রয়াস।
২) অতি চালাকের গলায় দড়ি বেশি চালাকি করে অপরকে ঠকালে নিজেকেও বিপদগ্রস্ত হতে হয়।
৩) অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট অকারণে অনেক লোকের অংশগ্রহণে কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
৪) অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী অল্প লেখাপড়া জানা ব্যক্তির অতিদর্প।
৫) অতি লোভে তাঁতি নষ্ট বেশি লোভে আসলই হারাতে হয়।
৬) অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর বেশি দুঃখে স্তব্ধ হওয়া।
৭) অর্থই অনর্থের মূল অর্থ দ্বারাই যত রকমের হাঙ্গামার সৃষ্টি।
৮) অভাবে স্বভাব নষ্ট অভাব হলে ভালো মানুষও অসৎ হয়।
৯) অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায় ভাগ্য যার খারাপ, কোনোদিকেই সে আশা দেখতে পায় না।
১০)অনুরোধে ঢেঁকি গেলা অনুরুদ্ধ হয়ে অসম্ভব কাজ সম্পাদন করা।
১১) আপনি ভালো তো জগৎ ভালো নিজে ভালো হলে অন্যরাও ভালো হয়।
১২) নিজের চরকায় তেল দেওয়া নিজের কাজে মন দেওয়া।
১৩) আঠারো মাসে বছর অতিশয় দীর্ঘসূত্রতা।
১৪) আমও গেল ছালাও গেল লাভ করতে গিয়ে সর্বস্ব হারানো।
১৫) ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় ইচ্ছা থাকলে কাজের উপায় বের হবেই।
১৬) আলালের ঘরের দুলাল ধনী ঘরের অতি আদরের ও আবদারে ছেলে।
১৭) গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না নিজের দেশে গুণীর কদর নেই।
১৮) ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় অন্যের ক্ষতি করলে নিজেরও ক্ষতি হয়।
১৯) গোরু মেরে জুতা দান জঘন্য অন্যায় কাজের প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে সামান্য প্রতিদান দেওয়া।
২০) আঙুল ফুলে কলাগাছ অবৈধ পথে দ্রুত উন্নতি লাভ।
২১) গাছে না উঠতেই এক কাঁদি কাজ আরম্ভ করার সাথে সাথে ফলের প্রত্যাশা করা।
২২)গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল মূর্খ ও অযোগ্য ব্যক্তির নিজে নিজেই নেতা সাজা।
২৩) আপনি বাঁচলে বাপের নাম নিজের স্বার্থ দেখা।
২৪) গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন অধ্যবসায়ের ফলে দক্ষতা আসে।
২৫) গাছে তুলে মই কাড়া কাজে নামিয়ে সরে পড়া।
২৬) ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো অবহেলার পাত্র কিন্তু কাজের সময় ডাক পড়ে।
২৭) গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল প্রাপ্তির পূর্বেই ভোগের আয়োজন।
২৮) ডুবে ডুবে জল খাওয়া লোকচক্ষুর অগোচরে কার্যসিদ্ধি করা।
২৯) গাছেরও খায় তলারও কুড়ায় সম্পদের সবটুকুই ভোগ করা।
৩০) ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা সামর্থ্য নেই অথচ প্রাচুর্যের প্রত্যাশা।
৩১) ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার শূন্য হাতেই বাহাদুরি করা।
৩২) ঠেলার নাম বাবাজি চাপে পড়ে কাবু হওয়া।
৩৩) ঝোপ বুঝে কোপ মারা অবস্থা বুঝে সুযোগ গ্রহণ করা।
৩৪) চকচক করলেই সোনা হয় না নকল না খাঁটি, তা চেহারা দেখে বোঝা যায় না।
৩৫) ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে অভ্যাস কখনও বদলায় না।
৩৬) শক্তের ভক্ত নরমের যম শক্তিমান লোকের কাছে বিনীত ও বাধ্য থাকে এবং দুর্বলের ওপর অত্যাচার করে এমন।
৩৭) রথ দেখা কলা বেচা একসাথে দুইটি কাজ করা।
৩৮) শাক দিয়ে মাছ ঢাকা জঘন্য অপরাধ গোপনের হাস্যকর প্রচেষ্টা।
৩৯) ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো পরোক্ষভাবে তিরস্কার করা।
৪০) ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় যেখানে মন্দের ভাগ বেশি।
৪১) চাচা আপন প্রাণ বাঁচা নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে তারপর অন্য কথা।
৪২) চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে সুযোগ হাতছাড়া হলে মাথায় নানা ফন্দি-ফিকির আসে।
৪৩) খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি মূলকাজের চেয়ে অনাবশ্যক আড়ম্বর বেশি করা।
৪৪) চোরের ধন বাটপাড়ে খায় অসৎ উপায়ে অর্জিত ধন নিজে ভোগ করতে না-পারা।
৪৫) খালি কলসি বাজে বেশি অন্তঃসারশূন্য ব্যক্তি বা বস্তুর বাহ্যিকভাবে তর্জন-গর্জন করা।
৪৬) শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল দুষ্টের সহায়ক দুষ্ট লোক।
৪৭) চোখে সরষে ফুল দেখা বিপদে পড়ে দিশেহারা হওয়া।
৪৮) খাল কেটে কুমির আনা নিজের দোষে বিপদ ডেকে আনা।
৪৯) রাখে আল্লাহ মারে কে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে কেউ ধ্বংস করতে পারে না।
৫০) চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী অসৎ ব্যক্তিকে উপদেশ দিলেও সে সৎ হয় না।
৫১)ভীমরুলের চাকে খোঁচা দেওয়া প্রতিশোধপরায়ণ জনমণ্ডলীকে উত্তেজিত করা।
৫২) খুঁটোর জোরে ভেড়া নাচে শক্তিশালী ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় অযোগ্য ব্যক্তিরও উন্নতি সম্ভব।
৫৩) ধরাকে সরা জ্ঞান করা কাউকে গ্রাহ্য না করা।
৫৪) ধরি মাছ না ছুঁই পানি কিছুমাত্র বেগ না পেতে হয় এমন কৌশলে কার্যসিদ্ধি করা।
৫৫) ধর্মের কল বাতাসে নড়ে শেষ অবধি সত্য উদঘাটিত হয়।
৫৬)নানা মুনির নানা মত বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মতামত।
৫৭)নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা নিজের অনিষ্ট সাধন করেও অপরকে জব্দ করার চেষ্টা করা।
৫৮)ভাঙবে তবু মচকাবে না মনের জোর থাকলে সংকল্প টলে না।
৫৯)নেড়া দুবার বেলতলায় যায় না মানুষ একবারই ঠকে, বারবার ঠকে না।
৬০) নগর পুড়িলে কি দেবালয় এড়ায়? বিপদে সবার ক্ষতি।
৬১) নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো একেবারে না পাওয়ার চেয়ে সামান্য কিছু পাওয়াও ভালো।
৬২)নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা অকর্মণ্যতার ফলে ব্যর্থতার জন্য অপরকে দোষারোপ করা।
৬৩) ভূতের মুখে রামনাম স্বভাব বিরুদ্ধ কথা বা বাক্য, অসম্ভব ব্যাপার।
৬৪) সবুরে মেওয়া ফলে ধৈর্য ধরলে কাজে সাফল্য আসে।
৬৫) সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড় সময় থাকতে সাবধান হওয়া।
৬৬) মরা হাতি লাখ টাকা শক্তিমানদের পতন ঘটলেও তাদের ব্যক্তিত্ব মর্যাদা বহন করে।
৬৭) মশা মারতে কামান দাগা সামান্য কাজে বড় আয়োজন।
৬৮) মাছের তেলে মাছ ভাজা নিজে খরচপত্র না করে অন্যের উপর দিয়ে স্বার্থরক্ষা করা।
৬৯) সাপের পাঁচ পা দেখা অহঙ্কারে স্ফিত হয়ে ওঠা।
৭০) সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে প্রকৃত চরিত্র অভিজ্ঞ ব্যক্তিই বুঝতে পারে।
৭১) সুখে থাকতে ভূতে কিলায় সুখের মর্যাদা না বুঝে স্বেচ্ছায় দুঃখ বরণ করা।
৭২) সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দেবো কোথা? সর্বত্র গলদ থাকলে দূর করা যায় না।
৭৩) সস্তার তিন অবস্থা অল্পমূল্যের জিনিস খারাপ হয়।
৭৪) মাছের মায়ের পুত্রশোক মাছ তার বাচ্চা খেয়ে ফেলে, সেক্ষেত্রে তার পুত্রশোক অস্বাভাবিক।
৭৫) মোল্লার দৌড় মসজিদ অবধি সীমিত পরিধির মধ্যে বিচরণশীল মানুষ।
৭৬) হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী অকর্মণ্য ব্যক্তির ততোধিক অযোগ্য দোসর।
৭৭) হাটে হাঁড়ি ভাঙা গোপন কথা ফাঁস করে দেওয়া।
৭৮) হাত দিয়ে হাতি ঠেলা অসম্ভব ব্যাপারকে সম্ভব করার চেষ্টা করা।
৭৯) লাগে টাকা দেবে গৌরীসেন চাহিবামাত্র যার কাছে টাকা পাওয়া যায় তার সম্পর্কে বলা।
৮০) লেবু বেশি কচলালে তেতো হয় কোনো কার্যোদ্ধারের জন্য বারংবার অনুরোধ করলে বিরক্তি সৃষ্টি করা হয়।
৮১) লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু বেশি লোভ করলে পাপ হয় এবং পাপ করলে ধ্বংস অনিবার্য।
৮২) বুদ্ধি যার বল তার যার বুদ্ধি আছে তার শক্তিও আছে।
৮৩) বুদ্ধি যার যশ তার গায়ের জোরের চেয়্ব মেধার জোর বেশি।
৮৪) হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল বিজ্ঞরা যেখানে ব্যর্থ সেখানে নির্বোধের নাক গলানো।
৮৫) হাতির পাঁচ পা দেখা অহঙ্কারী ব্যক্তির দাম্ভিক আচরণ।
৮৬) বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো ছোটখাট ব্যাপারে নিয়মের বাড়াবাড়ি কিন্তু বড় বিষয়ে উদাসীন।
৮৭) বাঁদরের গলায় মুক্তার মালা যে ভালো জিনিসের কদর বা দাম বোঝে না তাকে ভালো বা দামি জিনিস দেওয়া।
৮৮) বামন হয়ে চাঁদে হাত অতি ছোট ব্যক্তির বড় আকাড়া।
৮৯) হাতে নয় ভাতে মারা প্রহার না করে কেবল উপবাসী রেখে দুর্বল করা।
৯০) বামুন গেল ঘর তো লাঙল তুলে ধর উপযুক্ত তদারকির অভাবে নিযুক্ত কর্মীদের কাজে অবহেলা করা।
৯১) বিনা মেঘে বজ্রপাত হঠাৎ বিপদ উপস্থিত।
৯২) হাতে পাঁজি মঙ্গলবার সাথে সাথে প্রমাণ।
৯৩) হাতেরও যাবে পাতেরও যাবে একূল ওকূল উভয় কূল হারানো।
৯৪) বিষ নাই কুলোপনা চক্কর ক্ষমতাহীন ব্যক্তির মৌখিক আস্ফালন।
৯৫) বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ বৃদ্ধ ব্যক্তির উন্মাদনা।
৯৬) বেল পাকলে কাকের কী উপভোগ করতে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে উৎকৃষ্ট বস্তুর প্রতি লোভ করা নিষ্ফল।
৯৭) বোঝার ওপর শাকের আঁটি অনেক বোঝার উপর আরও কিছু চাপানো।
৯৮) ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যাওয়া অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হওয়া।
৯৯) পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা।
১০০) পরের মুখে ঝাল খাওয়া নিজে না বুঝে অন্যের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করা।
১০১) কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন কুৎসিতকে বেমানানভাবে সজ্জিত করা হাস্যকর ব্যাপার।
১০২) কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ কারো বিরাট লাভের পাশাপাশি অন্য কারো বিরাট ক্ষতি হওয়া।
১০৩) পাকা ধানে মই দেওয়া সুসম্পাদিত কাজ পণ্ড করা।
১০৪) দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ সকলে মিলেমিশে কাজ করে ব্যর্থ হলেও তাতে লজ্জা নেই।
১০৫) কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরালে পাজি কাজ করবার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করা কিন্তু কাজ শেষ হলে খোঁজখবর না নেওয়া।
১০৬) কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা ব্যথার উপরে আরও ব্যথা দেওয়া।
১০৭) দশের লাঠি একের বোঝা কোনো কাজ একার পক্ষে করা কঠিন, কিন্তু দশজনের পক্ষে খুব সহজ।
১০৮) কইয়ের তেলে কই ভাজা যার কাজ তাকে দিয়েই কাজ হাসিল করা।
১০৯) কত ধানে কত চাল কোনো বিষয়ের প্রকৃত অবস্থা বা খবর।
১১০) জলে কুমির ডাঙায় বাঘ দুদিকেই বিপদ, রক্ষার কোনো পথ নেই। (উভয়সংকট)
১১১) পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে ধ্বংসের আগে অনেকের বাড় বাড়ে।
১১২) কয়লা যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না মলে খারাপ লোক সহজে তার স্বভাব পরিবর্তন করতে পারে না।
১২৩) পেটে খেলা পিঠে সয় লাভের আশায় দুঃখকষ্ট সহ্য করা।
১২৪) দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না সুযোগের সদ্ব্যবহার না করা।
১২৫) দুধ-কলা দিয়ে সাপ পোষা সযত্নে দুশমনকে প্রতিপালন করা।
১২৬) দুষ্টু গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল ভালো খারাপ জিনিস থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।
১২৭) জাতে মাতাল তালে ঠিক দেখতে বেহিসাবি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে নিজের কাজে হিসাবি।
১২৮) জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ ছোট-বড় যাবতীয় কাজ।
১২৯) জোর যার মুল্লুক তার শক্তি থাকলে সবকিছু জয় করা যায়।
১৩০) কপালগুণে গোপাল জোটে ভাগ্য ভালো থাকলে অযোগ্য ব্যক্তিও বড়ো হয়।
১৩১) কপালের লিখন যায় না খণ্ডন ভাগ্যে যা আছে তা ঘটবেই।
১৩২) কড়িতে বাঘের দুধ মিলে অর্থে দুষ্প্রাপ্য বস্তুও সুলভ হয়।
১৩৩) কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলে না পরিশ্রম না-করলে সফলতা পাওয়া যায় না।
১৩৪) কয়লা ধুলে ময়লা যায় না স্বভাবের পরিবর্তন হওয়া কঠিন।
১৩৫) কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা এক দুষ্টের বিরুদ্ধে অন্য দুষ্টকে লেলিয়ে দিয়ে উভয়ের বিনাশ সাধন করা।
১৩৬) কাকের মাংস কাকে খায় না স্বজন বা স্বগোত্রের প্রতি অনুরাগ।
১৩৭) কাঙালের কথা বাসি হলে ফলে ছোটো মানুষের সঠিক কথা প্রথমে উপেক্ষিত হলেও পরবর্তীতে ঠিকই সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়।
১৩৮) কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস যার যেখানে প্রভুত্ব সেখানে তার সাথে বিবাদ করে বাস করা যায় না।
১৩৯) কুল রাখি না শ্যাম রাখি উভয় সঙ্কটে পড়া
১৪০) কেউ মরে বিল ছেঁচে, কেউ খায় কৈ একের পরিশ্রমে অন্যের বিলাসিতা
১৪১) ঘটি ডোবে না, নামে তালপুকুর ক্ষুদ্র ব্যক্তির বড় নাম গ্রহণ।
১৪২) ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায় পূর্বে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সব সময় আতঙ্কগ্রস্ত থাকে।
১৪৩) ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া উপরওয়ালাকে ডিঙিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করা।
১৪৪) এক ক্ষুরে মাথা কামানো একরকম অপরাধে অপরাধী হওয়া।
১৪৫) এক ঢিলে দুই পাখি মারা একবারের চেষ্টাতেই উভয় স্বার্থসিদ্ধি করা।
১৪৬) উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে নির্দোষ ব্যক্তির ওপর দোষী ব্যক্তির অপরাধ পতিত হওয়া।
১৪৭) উলুবনে মুক্তা ছড়ানো অযোগ্য পাত্রে দান করা।
১৪৮) একতাই বল সমষ্টির শক্তিই আসল শক্তি।
১৪৯) একে নাচনি বুড়ি তাতে পড়েছে ঢোলের বাড়ি ইন্ধন যোগানো।
১৫০) তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি যার নিত্ত-নৈমিত্তিক প্রয়োজন মেটানোর সামর্থ্য নেই তার বিলাসিতার প্রশ্নই ওঠে না।
১৫১) তেলা মাথায় তেল দেওয়া যার আছে তাকে আরো দেওয়া।
১৫২) ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো নিজের খরচায় অপরের স্বার্থ দেখা।
১৫৩) ঘরের শত্রু বিভীষণ আপনজন যখন শত্রু।
১৫৪) ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি চতুর ব্যক্তির প্রতি প্রাপ্ত শাস্তির ইঙ্গিত।
১৫৫) এক মাঘে শীত যায় না বিপদাপদ একবারই আসে না।
১৫৬) এক হাতে তালি বাজে না এক পক্ষের দোষে বিবাদ হয় না।
১৫৭) উলটা বুঝলি রাম ভালো কথার মন্দ ব্যাখ্যা করা।
১৫৮) উড়ে এসে জুড়ে বসা অযাচিতভাবে (বিনা অধিকারে) হঠাৎ এসে সর্বেসর্বা হয়ে বসা।
১৫৯) যত গর্জে তত বর্ষে না আড়ম্বর অনুসারে কার্য হয় না।
১৬০) যস্মিন দেশে যদাচার যে দেশে যে নিয়ম।
১৬১) যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা যাকে অপছন্দ তার প্রত্যেক কাজই ত্রুটিপূর্ণ মনে হয়।
১৬২) যার কর্ম তারে সাজে, অন্য লোকের লাঠি বাজে যার যে-কাজ সে কাজ তাকেই মানায়, অন্যে করতে গেলে নানা বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়।
১৬৩) যার বিয়ে তার খোঁজ নেই পাড়াপড়শির ঘুম নেই অকারণে অতিউৎসাহ প্রদর্শন।
১৬৪) যার নুন খাই তার গুণ গাই উপকারীর উপকার করা।
১৬৫) যার লাঠি তার মাটি যার শক্তি আছে সে-ই দখল পায়।
১৬৬) যে করে চক্ষুদান, তারেই কর অপমান উপকারীর উপকার স্বীকার করার পরিবর্তে তাকে অপদস্থ করা।
১৬৭) যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ ক্ষমতা লাভ করলে সবাই এক রকম হয়।
১৬৮) যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল যেমন কঠিন রোগ, তেমনি তীব্র ঔষধ।
১৬৯) যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয় সমস্যা থাকলে ঘুরেফিরে সে সমস্যার মধ্যেই জড়িয়ে পড়া।
১৭০) যেমন কর্ম তেমন ফল যে যেমন কাজ করে, সে তেমন ফল ভোগ করে।