pratilipi-logo প্রতিলিপি
বাংলা

প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ১১

21 সেপ্টেম্বর 2023

নমস্কার,

প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব!


 

"...   এরপর 'প্রতিলিপি' নিয়ে এলো নতুন কিছু সুবিধাজনক ব্যবস্থা৷ 'কয়েন' ও 'স্টিকার'৷ যার মাধ্যমে লেখক লেখিকারা কিছু উপার্জন করতে পারবেন৷ আমার পাঠক পাঠিকারা ভালোবেসে আমাকেও 'স্টিকার - কয়েন' প্রদান করল৷ আর আমিও পেলাম কিছু অর্থ৷ মনে আছে 'প্রতিলিপি' থেকে আমার প্রথম উপার্জিত অর্থ ছিল ৭৭৮ টাকা৷ আমি যেহেতু একজন চাকরিজীবী হয়তো সবার মনে হবে এই অর্থটা আমার কাছে খুবই নগণ্য৷ কিন্তু না অর্থের পরিমানটা না এই অর্জিত অর্থটাই আমার কাছে অমূল্য ছিল৷ কারণ আমি নিজের সৃষ্টি দিয়ে এই অর্থ উপার্জন করেছিলাম৷ এরপর ধীরে ধীরে প্রতিলিপি আরও অনেক পরিবর্তন আনতে থাকলো৷ চালু হলো প্রিমিয়ামে গল্প নেওয়ার পক্রিয়া৷ আমার 'হৃদয়ের অন্তরালে' গল্পটা প্রিমিয়ামে নেওয়া হল৷ তার থেকেও উপার্জন আসা শুরু হলো৷ এরপর এলো আরো একটা পদ্ধতি, চলতি গল্প যেগুলো লিখছি সেগুলো সাবস্ক্রিপশনে রাখা৷ অর্থাৎ গল্পগুলো তাড়াতাড়ি পড়তে চাইলে সুপারফ্যানের সুবিধা নিতে হবে৷ প্রথমে নিজের গল্প সাবস্ক্রিপশনে রাখতে ভয়ই পেয়েছিলাম, মনে হয়েছিল আমার গল্প সাবস্ক্রিপশনে রাখার পর কি কেউ পড়বে!! কিন্তু না দেখলাম সাবস্ক্রিপশনে রাখার পরেও তোমাদের ভালোবাসা এক চুলও কমেনি তোমাদের প্রিয় জুটি সূর্য ও কিরণের প্রতি৷ প্রথমত কোনদিন ভাবিনি এভাবে লেখালেখি করবো, দ্বিতীয়ত লেখালেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সেটা তো একেবারে দুরস্ত ব্যাপার ছিল৷ কিন্তু হ্যাঁ এটা সফল হয়েছে প্রতিলিপির মাধ্যমে৷ অনেকেই এখন প্রতিলিপির মাধ্যমে কিছু টাকা উপার্জন করতে সক্ষম৷ তার মধ্যে আমিও একজন৷ আর অর্থ জীবনে এলে সেটা অবশ্যই লাভ জনক তো বটেই৷ সত্যি কথা বলতে এটা অস্বীকার করতে পারবো না প্রতিলিপি আমার জীবনে নতুন একটা দিশা খুলে দিয়েছে। প্রতিলিপিতে এসে বুঝেছি নিজ সৃষ্টির আনন্দ কতটা হতে পারে৷ এখন প্রতিলিপি আমার জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে, সাথে আমার পাঠক পাঠিকারও৷ কারণ তারা পাশে না থাকলে, আমার গল্প না পড়লে আমি এই 'লেখিকা' আখ্যাটা কখনো পেতাম না৷ এখন তো গল্প লেখাটা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে৷ এখনো প্রতিটি পর্বের প্রতিটি রিভিউ আমাকে সমানভাবে উৎসাহিত করে৷ হয়তো সেদিন প্রতিলিপিকে খুঁজে না পেলে জীবনের এই নতুন পথের দিশাটা আমি পেতাম না৷ প্রতিলিপিতে এসেছি বলেই বুঝেছি না লেখালেখির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন সম্ভব৷..."

আরও পড়ুন - নতুন পথের দিশা (সোমা ঘোষ)


"... তারপর একদিন নেট ঘেঁটে প্রতিলিপি অ্যাপের কথা জানতে পারলাম। ইন্সটল করে প্রথমে সেখানে থাকা আগের লেখক লেখিকাদের কিছু লেখা পড়লাম। তারপর কিভাবে লেখা প্রকাশ করতে হয় সেটা শিখলাম। তারপর প্রথম একটা গল্প প্রকাশ করলাম। নামটা সম্ভবত ‘ভালোবাসার খোঁজ’।
তখন প্রতিলিপিতে একটা আলোচনা সেকশন ছিল। প্রতিদিন কোন না কোন টপিক এর উপর আলোচনা হত। সেই আলোচনায় অংশ নেওয়া আমার খুব প্রিয় একটা বিষয় ছিল। তারপর এই প্রতিদিনের এক একটা বিষয়ের উপর গল্প অথবা কবিতা লেখা এগুলোও বেশ ভালো লাগতো।

বেশ কিছুদিন এভাবে কেটে গেল। আমার লেখার ভিউ খুব একটা হল না। প্রথমদিকে একটু ভেঙে পড়লাম, ভাবলাম আমি যেভাবে একদিন আমার কলমকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ সে হয়ত অভিমান করে আর আমার কাছে ফিরতে চায় না।

কিন্তু না, তারপর আমার মাথায় এল এমন এক টপিক। এমন এক গল্পের প্লট। যে আমাকে কেবল প্রতিলিপিতেই নয়, গোটা লেখালেখির জগতের কাছে পরিচিতি দিয়েছিল। আর সেই গল্পের নাম “ফুলশয্যা”…

প্রতিলিপিতে সেই সময় ধারাবাহিক গল্পগুলি লাইভ হত। সেখানে লেখা শুরু করলাম “ফুলশয্যা”। ধীরে ধীরে আমার ধারাবাহিক সবাই পছন্দ করতে শুরু করল। আমিও লেখার উৎসাহ পেলাম। আরও লিখতে থাকলাম। একদিন নতুন পর্ব না দিলে তার পরের দিন আমার প্রতিলিপির ইনবক্স ভর্তি হয়ে যেত। “দাদা আজকে পর্ব দিলে না”… “দাদা আমরা অপেক্ষা করে আছি”… ইত্যাদি ইত্যাদি। ..."

আরও পড়ুন - আমার লেখালেখির গল্প (রাজকুমার মাহাতো)


"... লেখা লেখি একটি ব্যক্তিগত শখ আমার।  সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে যে সত্যি অর্থ উপার্জনও করা যায় তার পথ প্রথম বলে দিলো এই প্রতিলিপিই।  হ্যাঁ আমি এমন অনেক কেই চিনি যারা লেখা লেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন কিন্তু আমার কাছে এটাই প্রথম। শুধু এই নয় প্রতিলিপির মাধ্যমে আমার বিভিন্ন ছোট
গল্প, উপন্যাসগুলির  আই পি কন্ট্রাক করে নেওয়া হলো।  ভীষণ স্বচ্ছ পদ্ধতিতে।  যেগুলি অডিও, কমিক্স, বই পাবলিশ করবার পূর্ণ সমর্থন সহযোগের একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দেওয়া হলো এই কন্ট্রাক এর বিনিময়ে।

এই শর্ত অনুযায়ী প্রতিলিপি এফ এম থেকে আমার লেখা উপন্যাস "তুমি এলে তাই"  এর অডিও রূপ টিও প্রকাশ পেলো। বিশ্বাস করুন আগে এতো কিছু ভেবে লেখা লেখি শুরু করিনি তবে এই প্রতিলিপি এখন আমাদের এই পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য ধার্য করে বলে ভালো লাগছে। আমি সত্যি প্রতিলিপির গোটা টিম কে ধন্যবাদ জানাতেই চাই।

শুধু মাত্র লেখার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই কলম চলতো আমার। আজও চলে। তবে সংসার জীবনের পথ এখন আরও কঠিন ও দুর্গম । একটি ছোট ফুটফুটে কন্যা সন্তান এসেছে আমার কোল জুড়ে। ছোট্ট "পেখম"  এসেছে আমাদের মধ্যে। এখন অনেক দায়িত্ব আমার। তার সাথেই লেখালেখির শখ যাকে ধরে রাখাও ভীষণ গুরত্বপূর্ণ,  কারণ আমার মানসিক স্বাস্থ্যের রক্ষা করাও আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে । এই কঠিন সময়  আমার মন আর মস্তিষ্ক জুড়ে প্রায় যুদ্ধ হয় কোন কাজটি আগে করবো সেই নিয়ে। মাঝে মাঝে পরিশ্রম এর ক্লান্তিতে নেমে আসে চোখে ঘুম। তাও হার মানতে নারাজ আমি, রোজ নিজেকে উন্নত করবার চেষ্টায় লেগে থাকি। রাত ২ অব্দি জেগে থাকি লেখালেখির জন্য এটাও যে আমারই অন্য একটি জগৎ। সেটাকে ছেড়ে দি কি করে?  কারণ অর্থ নয় আপনারাই যে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ।আর  হয়তো সেই কারণেই এই বারের সেরা কলমকার ৫ এর নবম স্থান অধিকার করলো আমার লেখা "অন্ত - ঋণ"। শুধু মাত্র আপনাদের ভালোবাসায়।

পরিশেষে একটাই কথা বলতে চাই । দেখতে গেলে প্রতিলিপি শুধুই আমাকে অর্থ প্রদান করেছে তা নয়। এই প্রতিলিপি আমার কাছে নতুন একটা দিশা উন্মোচন করতে সাহায্য করেছে। আমাকে সাহায্য করেছে নিজের অন্তরের অন্য আর একটি "ব্যক্তিত্ব" বা " আমি "কে জাগিয়ে তোলার।..."

আরও পড়ুন - এ এক অন্য আমি (রিমা ব্যানার্জি)


"... সাল ২০২১ এর শুরু, হঠাৎই প্রতিলিপি নতুন জিনিস নিয়ে আসে, স্টিকার দেওয়া। গল্প পড়লেই স্টিকার পাওয়া যায়, আর সেই স্টিকার লেখক লেখিকাদের দেওয়া যায়। কিন্তু তার থেকেও বড়ো ব্যাপার সেই স্টিকারের পরিবর্তে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও আমি ২০২০ শুরু থেকে বেশ কিছুদিন ব্যক্তিগত কারণে লেখালেখি থেকে দূরে ছিলাম, তাই এই স্টিকার থেকে টাকা হয়ে সেটা ৫০ টাকা হতে ২ মাস লেগে যায়। তবে ৫০ টাকা হলেও তার জন্য প্রতিলিপি আমার কাছ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার নেয়, এবং সেটা আমার অ্যাকাউন্টে আসে। লেখা থেকে কিছু পাবো কোনোদিনো ভাবিনি। শুধুমাত্র সময় কাটাতে, এবং খানিকটা শখেই লেখা শুরু করেছিলাম। হঠাৎই দেখি আমার "অনবহিত ভালোবাসা" গল্পটা প্রিমিয়াম হয়ে গেলো। আর তারপর থেকে এই ইনকামও বাড়তে লাগলো। এরপর আর দুটো গল্প প্রিমিয়াম হয়। আর মাস শেষ হলেই দেখি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে চলে আসছে। তবে আসল সারপ্রাইজ পায় ২০২১ এর পুজোর সময় আমার কিছু গল্পের জন্য প্রতিলিপি আমার সাথে কনট্র্যাক্ট করতে চায়। প্রথমে তো আমি ব্যাপারটা বিশ্বাসই করতে পারিনি, আর তাই এই ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। এরপর ২০২২ সালেই আমার সবথেকে বড়ো উপন্যাস লেখা শুরু করি, যেটা শেষ ২০২৩ সালে এসে, "তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো" ৩৬০ পর্বের। এই উপন্যাস শুরু করার কিছুদিন পরই প্রতিলিপি আবার আমার সাথে যোগাযোগ করে, আর এবার সরাসরি ফোন কল করে। সেই সময় আমাকে বেশ ভালো করে সমস্ত বিষয়ে বোঝানো হয়, আর তারপরই আমি কনট্র্যাক্ট করার ব্যাপারে রাজি হই। আর সেইসময় আমার প্রোফাইলের ছোটো বড়ো মিলিয়ে ১৪টা গল্প নিয়ে আইপি কনট্র্যাক্ট হয়, আর তার বদলে আমকে এককালীন একটা বড়ো অ্যামাউন্টের টাকা দেওয়া হয়।

তবে সারপ্রাইজের এখনও শেষ হয়নি, এর কিছুদিন পর আমার বাড়িতে এসে পৌঁছায় একটা সুদৃশ্য স্মারক, প্রতিলিপিতে ১০,০০০ ফলোয়ার হওয়ার জন্য। আর তার কিছুদিন পর থেকে একটা একটা করে আমার ৬ টা গল্প অডিও আকারে প্রতিলিপি এফএম এ আসে। এটা সত্যিই আমার কাছে আজও একটা স্বপ্নই মনে হয়।..."

আরও পড়ুন - ভালোবাসার প্রতিলিপি (সৌমিত্র দে)


"... প্রতিলিপিতে প্রথম গল্প দিয়েছিলাম ১১ই ডিসেম্বর। অ্যাপটা খুঁজে পেয়েছিলাম ঐ ফেসবুক স্ক্রোল করতে করতেই। এরপর আমাকে অবাক করে হঠাৎ করেই আমার গল্পগুলো সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠলো। আমিও লেখার উৎসাহ পেয়ে একদিনে একেকটা গল্প দিতে শুরু করলাম। এমনও হয়েছে একদিনে দুটো গল্পের পর্ব দিয়েছি। এত আনন্দের মধ্যে হঠাৎই একটা ভুল বোঝাবুঝি যা আমার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিলো। আর পাইনি সেটা ফিরে তবে এতোদিন এটা বলে থেমে যেতাম, আজ থামবো না; ওই অ্যাকাউন্টটা ফিরে না পেলেও তার থেকে দ্বিগুণ ফিরে পেয়েছি। এখন আর খুব একটা কষ্ট হয় না।

২০২০ তে শেষের দিকে হঠাৎ আমার কাছে একটা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসে যে আমার গল্প কমিক বুকস, অডিওবুক ইত্যাদির জন্য সিলেক্ট হয়েছে। কথা ফাইনাল হওয়ার পরও বিশ্বাস করতে পারিনি আমার গল্পর দ্বারা আমি উপার্জন করতে চলেছি। সেই উপার্জন ধীরে ধীরে মাসিক উপার্জন হয়ে দাঁড়ায়। বলা ভালো আজ অবধি প্রতিলিপি যা যা করেছে লেখকদের উপার্জনের জন্য তার সবই আমার কল্পনার বাইরে। আমি আগেও বলেছি এই উপার্জনের দ্বারায় আমার পড়াশোনা চলছে, গ্র্যাজুয়েশন করছি। শুধু তাই নয়, পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারছি। কিছুক্ষেত্রে টুকটাক সখ পূরণ করতে পারছি তাঁদের। অনেকেই ভাববেন নিজের কথা কেন বলছি না, কারণ এটাই যে আমি নিজের স্বপ্ন পূরণ করছি। আমার সখ তেমন কিছুই নেই যা আছে সেসবই স্বপ্ন যা নিজস্ব আমার নয়, পরিবারের জন্য। নিজের জন্য আজ অবধি আমি তেমন কিছু ভাবিনি, শুধু একটু খেতে ভালোবাসি ওটুকুই।..."

আরও পড়ুন - উপার্জনে হাতেখড়ি, সাহায্যে প্রতিলিপি (কোয়েল ব্যানার্জি)


"... এবার আসি উপার্জন।স্টিকার কয়েন থেকে টুকটাক ভাবে আমি দুশো টাকা প্রথমে পেয়েছিলাম।কিন্তু প্রতিলিপি থেকে আমার জীবনের প্রথম উপার্জন ছিলো ১০০০ টাকা।জীবনে সবথেকে বেশি খুশি আমি সেদিন হয়েছিলাম।আমার প্রথম উপার্জন!আমার মা বরাবরই আমাকে লেখালেখিতে উৎসাহ দিয়ে এসেছে।কারণ আমি সাহিত্য কতটা ভালোবাসি মা জানতো।আর আমি সাহিত্যেরই ছাত্রী।গল্প উপন্যাসেই আমার জীবন কাটে।যেদিন মাকে এই উপার্জনের কথাটা বলি সেদিন মাকে খুশি হতে দেখে আরো বেশি খুশি হয়েছিলাম।নিজের আনন্দ হচ্ছিল যে আর মা বাবার কাছে টাকা চাইতে হবে না।নিজের হাতখরচ এবার নিজেই চালাবো।ছোটো থেকে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি আর এখন যা চেয়েছি নিজের টাকায় পাচ্ছি।পার্থক্য বুঝলেন তো!ভাই,বাবা,মাকে নিজের টাকায় উপহার দেওয়ার আনন্দটা যে কি সেটা ভাষা খুঁজে পেলে প্রকাশ করবো নাহয়।আর প্রতিলিপি থেকে আমার সবথেকে বেশি উপার্জন ছিলো এগারোহাজার,গল্প এবং আইপি কন্ট্রাক্ট এর অ্যাডভান্স।বুঝতেই পারছেন কলেজ পড়ুয়া ১৯ বছরের একটা মেয়ের কাছে সেটা কতো বড় পাওয়া ছিলো।প্রতিলিপি না থাকলে হয়তো আমার এই গল্প লেখার প্রতিভা ওই গোপন খাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত।এত মানুষের কাছে পৌঁছত না,এই উপার্জন হতো না।প্রতিলিপির কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
আর শুধু উপার্জনই নয় এখান থেকে আমি অনেক পাঠক বন্ধুদেরও পেয়েছি।যাদের সাথে wp তে মাঝে মধ্যেই কথা হয়।

আর সবশেষে এটাই বলবো যে যদি তোমার মনে হয় নিজের মধ্যে লেখার প্রতিভা আছে।তাহলে দেরী করো না।প্রতিলিপি তোমার প্রতিভা বহু মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য এই প্লার্টফর্ম দিয়েছে।উপার্জনের জন্য এখন সাবস্ক্রিপশন,প্রিমিয়াম আছে।সেরা কলোমকার প্রতিযোগিতা,ফেলোশিপ পোগ্রম আরো কত সুযোগ আছে উপার্জনের আর নিজের গল্পের জনপ্রিয়তার জন্য।শুধু লিখতে থাকো।এবং লেখা নিয়মিত দিতে থাকলে পাঠক বাড়বে।
একসাথে তো সব পাওয়া যায় না।তাই হয়তো প্রথমদিকে একটু হতাশ হতে হয় কিন্তু চেষ্টা থাকলে সাফল্য অবশ্যই আসবে।প্রতিলিপির নতুন লেখকদের জন্য শুভকামনা।..."

আরও পড়ুন - এ এক স্মৃতিমধুর পথচলা (Rose Queen - Lija)


 

আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতে আরও কাহিনী যুক্ত হবে। সঙ্গে থাকবেন

টিম প্রতিলিপি