pratilipi-logo প্রতিলিপি
বাংলা

প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৮

23 अगस्त 2023

নমস্কার,

প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব!


 

"... প্রথম দেড় বছর মতো আমি খালি মনের সুখে প্রতিলিপিতে গল্প পড়েছি।অনেক অনেক রকমের গল্প পড়েছি। আর এগুলো পড়তে পড়তে আমি যেটা বুঝতে পারছিলাম যে এখানে সব রকমের লেখকরাই গল্প লেখে। কারন প্রতিলিপিতে পাকা হাতের লেখা যেমন আছে তেমনই কিছু কাঁচা হাতের লেখাও আছে। অনেকে আছে যারা নতুন লেখা শুরু করেছে।

আর এই সবরকমের লেখা পড়তে পড়তেই একদিন হঠাৎ করেই আমার নিজের মাথাতেও গল্প লেখার ভুত চেপে গেলো। ছোটবেলায় টুকটাক ছোট গল্প আর কবিতা লিখেছিলাম। সেটা নেহাতই বাচ্চা বাচ্চা লেখা। এখন পড়লে নিজেরই হাসি পায়। ওইটুকু বাদে আর গল্প লেখা, বিশেষ করে উপন্যাস লেখার ক্ষমতা আমার ছিলোনা। আর প্রতিলিপি নামক প্লাটফর্মটা না থাকলে এই গল্প লেখার দুঃসাহস টাও আমি হয়তো দেখাতাম না।

যখন দেখলাম অনেক কাঁচা হাতে লেখা গল্পও এখানে প্রকাশিত হচ্ছে। আর এত পাঠকরা সেটা পড়ছে ও সাপোর্ট করছে,তখনই মনে হলো আমি নিজেও একবার চেষ্টা করে দেখি,,পারি কিনা।

সত্যি কথা বলতে শুধুমাত্র আমি লিখতে পারবো কিনা সেটা জানার জন্যই আমি লেখাটা শুরু করেছিলাম।কোনো রকম জনপ্রিয়তার কথা আমি একদমই আশা করিনি।

30 জানুয়ারি,2020 আমি আমার এই জার্নিটা আমার প্রথম গল্প "একটি ভালোবাসার গল্প" দিয়ে শুরু করে ছিলাম। গল্পের প্লটটা হঠাৎ করেই আমার মাথায় এসেছিল। তাই আর কিছু না ভেবেই দুম করে লিখে ফেলেছিলাম প্রথম পর্বটা। ভেবেছিলাম কি আর হবে?খুব বেশি হলে সবাই খারাপ বলবে। মারধর তো আর করবে না।খারাপ রেসপন্স পেলে নাহয় গল্পটা সরিয়ে ফেলবো। 

আমার আজও ওই দিনটার কথা ভাবলেই হাসি পাই। প্রথম পর্বটা প্রকাশিত করার পর আমার সে কি টেনশন আর এক্সাইটমেন্ট। আমি প্রায় প্রতিটি মিনিটে মিনিটে প্রতিলিপি খুলে চেক করছিলাম যে কতগুলো ভিউ হলো, কমেন্ট হলো কিনা একটাও।..."

আরও পড়ুন - প্রতিলিপি (সায়নী মহাপাত্র)


"... অবশ্য এই 5মিলিয়ন সংখ্যা টা এত সহজে হয়নি,, এর জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি,, রেগুলার দুটো তিনটে করে এপিসোড লিখেছি,,, প্রথম ছয় মাস কিন্তু আমার পাঠক মোটে 50000 ছিলো,, কিন্তু আমি কোনোদিকে না তাকিয়ে লিখে গেছি,,,তার পরের তিন মাসে এক লাফে দশ লাখ পাঠক হয়ে যায়,,, এবং বাকি দেড় বছরে আরো চল্লিশ লাখ পাঠক আমার লেখা পড়েছেন,, প্রতিলিপি তে আমাদের একটাই কথা বলা হয় যে ধৈর্য রাখুন এবং পরিশ্রম করুন,,আমি সেটা অক্ষরে অক্ষরে মেনেছি,,আর রিভিউ এর কথা বলতে গেলে বলবো যে রিভিউ পেতে তো ভালোই লাগে তবে খুব কম জন ই দেয়,,,যারা দেয় আমি জানি,,,না দিলে সত্যি খুব খারাপ লাগে সে যাই হোক,,,কিছু মানুষের রিভিউ আমি প্রতিটি গল্পের প্রতিটি এপিসোডে পাই,, এবং তাদের রিভিউ দেখা আমার ও নেশা হয়ে গেছে,,, একদিন দেখতে না পেলে মনে হয় এই রে আমাকে ভুলে গেলো নাকি!!!!তাই যখন কেউ রিকোয়েস্ট করে দিদি আজ বেশি করে পর্ব দাও,,আমি কিন্তু দিই,,, আমি মেঘ বৃষ্টি প্রেম এর একদিনে পাঁচটা পর্ব লিখেছি এবং এক পরী ও তিন যুবক এর চারটে নতুন পর্ব একই দিনে লিখেছি, শুধু তোমাদের কথায়,,,,আমার মাইগ্রেন আছে,চোখে মাইনাস পাওয়ার তবুও আমি লিখি কারন একটাই লিখতে ভালো লাগে,,,এরপরেও যখন দেখি রিভিউ দাও না আমার সত্যি খারাপ লাগে।

এখন একদিন অসুস্থ থাকলে অনেক মেসেজ পাই দিদি তুমি কেন লেখা দিলেনা,, এবং তারা আমার সুস্হ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে,, খোঁজ নেয়,,আমিও নিই,, সমস্ত পাঠকদের আমি বলেছি আপনি নয়,ম্যাডাম নয়, তুমি করে বলবে,,,আমি তোমাদের দিদি বা বোন,,আমি সবার মতো সাধারন মানুষ,,আমি তোমাদের সাথে মিশতে চাই,,আর মিশেছি ও,,আমি লেখিকা হয়ে ফুরিয়ে যেতে চাই না..."

আরও পড়ুন - ❤️ স্বপ্ন পূরনে প্রতিলিপি-- উপালী র কলমে ❤️ 


 

"... ঠিক 2022 এর এপ্রিল মে মাসে আমি আবার প্রতিলিপি অ্যাপটা ইনস্টল করি। একটু একটু লেখা দিতে শুরু করি। তখন শুধু ছোট গল্প আর কবিতা লিখতাম। ঠিক সেই সময়ই প্রতিলিপিতে একটা ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়। বলতে পারেন সেই ওয়েবিনারটাই আমার জীবনটা একদম বদলে দিল। যে মেয়েটা ছোট গল্প আর কবিতার বাইরে কিছুই বুঝত না, সেই লিখে ফেলল তার প্রথম ধারাবাহিক উপন্যাস গড়পুরের বৌরাণী। হ্যাঁ! এই শিরোনাম নিয়ে অনেক পাঠক অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু তারাই যখন শেষ অবধি উপন্যাসটা পড়েছেন। তারাই বলেছেন ভীষণ ভালো একটি উপন্যাস।

ওই উপন্যাসটা লিখতে লিখতেই আমার অনেক সুপারফ্যান হয়। আমি তখনই বুঝতে পারি শুধুমাত্র লিখেও টাকা পাওয়া যায়। না এই ধারণা যে একদম ছিল না তা নয়। তখন অলরেডি আমার তিন তিনটি বই প্রকাশিত। দুটি কবিতার বই আর একটি ছোটগল্পের বই। প্রকাশকদের কাছ থেকে রয়্যালটির টাকাও পেয়েছি। কিন্তু এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যে প্রতিমাসে শুধু লিখে উপার্জন করা যায়, সেটা প্রথম বুঝেছিলাম প্রতিলিপিতে এসে।

একটা সময় যখন আমি ফেসবুকে লিখতাম তখন অনেক বন্ধুরা আমার লেখা নিয়ে নানান মন্তব্য করেছিল। আমার লেখাগুলো নাকি ঠিক ঠাক হচ্ছে না। তাদের কথা শুনে একসময় ঠিক করেছিলাম আর লিখব না। কিন্তু পরমুহূর্তেই আবার তাদের কথার জবাব দিতেই তুলে নিয়েছিলাম কলম। তাই আজকে আমার সফলতার গল্প বলতে এসে, সেই সব বন্ধুদের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা যদি সেই আঘাতটা না দিত তাহলে হয়ত এই দিনটা আসত না আমার জীবনে। আমি নিজের লেখার প্রতি এতটাও যত্নবান হতাম না।

এরপর আসি প্রতিলিপিতে আমার ধীরে ধীরে উত্তরণ হবার কথায়। প্রথম ধারাবাহিক গড়পুরের বৌরাণী জনপ্ৰিয় হবার পরই আমি শুরু করি আরও একটি ভৌতিক উপন্যাস কালভৈরবীর চড়। সেটিও এখন পাঁচ লক্ষ পাঠকের কাছে পৌঁছে গেছে।..."

আরও পড়ুন - হাঁটছি আলোর পথে (মৌসুমী বৈদ্য দাস)


 

"... দীপশিখা আজ ৩৪২ তম পর্বে পৌঁছে গেছে । এই মুহূর্তে আমার ফলোয়ার ৩১০০ ছাড়িয়েছে । শুরুটা হয়েছিল প্রথম সেরা কলমকার প্রতিযোগিতা থেকে । সম্প্রতি সেরা কলমকার-৬ শুরু হয়েছে । মাঝখানে সমাপ্ত হয়েছে পাঁচটি প্রতিযোগিতা । কেটে গেছে প্রায় দুটি বছর । আজও দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দীপশিখা । তার পাঠক সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২৫ লক্ষ । আমার সর্বমোট পাঠক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ লক্ষ । সবই সম্ভব হয়েছে পাঠকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় ।                 

প্রায় দু'বছর ধরে দীপশিখা লিখতে লিখতে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি । নিজের লেখার মান বৃদ্ধি পেয়েছে । পাঠকের মন বোঝা লেখক হিসেবে খুব জরুরি । যে লেখাটি লিখছি তা পাঠকের মনে কতটা দাগ কাটতে পারে এ ব্যাপারে একটি ধারণা থাকা খুবই আবশ্যিক লেখকের কাছে । বিশেষ করে একটি চলমান ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে । গল্পের প্লট , টুইস্ট এবং পর্বের শেষে এমন একটি ঘটনার অবতারণা করতে হয় যা পাঠকে পরবর্তী পর্বে যাবার জন্যে উৎসাহিত করবে । সর্বোপরি শেষ পর্ব পর্যন্ত পাঠককে ধরে রাখা একটি বিশেষ গুণ লেখকের । কিছু দিন আগে ' প্রতিলিপি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ' নামক একটি অনলাইন ট্রেনিং-এর ব্যাবস্থা করেছিল প্রতিলিপি । তাতে লেখালিখি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল । খুব মনোযোগ দিয়ে সেটি শুনেছিলাম । সেখানে অনেক নতুন কিছু ধারণা দেওয়া হয়েছিল লেখকদের । শিখেছি অনেক কিছু । আবার এটাও বুঝেছি , দীপশিখা ঠিক ভাবেই এগিয়ে চলেছে । এই মুহূর্তে প্রায় ৬৯০০০ রেটিং পড়েছে দীপশিখায় । যার গড় ৪.৮১ । রিভিউ পেয়েছি ১৭০০০ এর উপর । এর জন্য আমার প্রতিলিপির পাঠকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ । এই মুহূর্তে প্রতিলিপি বা দীপশিখা আমার রোজগারের একটি রাস্তা খুলে দিয়েছে । পাঠকরা আমাকে সাবস্ক্রাইব করেন , যাঁরা আমার সুপারফ্যান । একটা সময়ে ৭০ এর কাছাকাছি সুপারফ্যান ছিল আমার । বর্তমানে প্রতিলিপি ফিচারে কিছু রদবদল আনায় সেটা নেমে গেছে অনেকটা । কিন্তু আমার রোজগার কমেনি । কয়েন , স্টিকার , সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশন ও প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন থেকে প্রতি মাসে ২৫০০ - ৩০০০ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে আসে । যত দিন যাচ্ছে এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।                    

যারা প্রতিলিপিতে নতুন লিখছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি । ধৈর্য একটি বড় বিষয় । রাতারাতি জনপ্রিয়তা আসে না । নিজের প্রতি আস্থা রেখে লিখতে থাকুন।..." 

আরও পড়ুন - উত্তরণ (অরূপ প্রামাণিক)


"... প্রতিলিপি আমার সাথে আমার লেখা মোট চৌত্রিশটি গল্প নিয়ে আই.পি কন্ট্রাক্ট করেছে। আমার লেখা বেশ কিছু গল্প স্থান পেয়েছে প্রতিলিপি এফ.এম-এ। খুব শীঘ্রই আমার “লাল-গোলাপ” উপন্যাসটি পুস্তক আকারে মুদ্রিত হতে চলেছে। প্রতিলিপিতে সাবস্ত্রিপশন, সুপার-ফ্যান প্রভৃতি নিয়ম চালু হওয়ার ফলে প্রতি মাসেই ঘটে চলেছে অর্থ প্রাপ্তি। আর সেই অর্থের পরিমাণ ক্রম-বর্ধমান। প্রতিলিপিতে আমার লেখার সাফল্য দেখে বেশ কিছু অন-লাইন প্ল্যাটফর্ম আমার সাথে যোগাযোগ করে। আমি সেই প্ল্যাটফর্ম কয়েকটি গল্প লিখলেও, নানা কারণে সেসব জায়গায় বেশিদিন গল্প লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। নির্দিষ্ট লক্ষ না থাকলে কোনও কাজে এগোনো সম্ভব হয় না। প্রতিলিপি নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে লেখকদের কাছে একটি লক্ষ্য স্থির করে দেয়। অনলাইন গল্পের পাশাপাশি প্রতিলিপি নিয়ে এসেছে অডিও, কমিকস প্রভৃতি। তার ফলে লেখক ও পাঠক উভয়ের উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে যথেষ্ট। প্রতিলিপি লেখকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। কোনও সমস্যা হলে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে সেই সমস্যা সমাধান করার। লেখক বা পাঠকের তারা যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সম্পূর্ণ ভাবে রক্ষা করে। লেখকদের নানা প্রকার টিপস ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে আরও ভালো গল্প লিখতে সাহায্য করে। লেখকদের উপার্জন ও পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য তারা নিরলস প্রচেষ্টা করে চলেছে। এই সকল কারণে প্রতিলিপির প্রতি আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। ..."

আরও পড়ুন - আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ (জয়দীপ চক্রবর্তী)


আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতে আরও কাহিনী যুক্ত হবে। সঙ্গে থাকবেন

টিম প্রতিলিপি