pratilipi-logo প্রতিলিপি
বাংলা

প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৯

26 অগাস্ট 2023

নমস্কার,

প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব!


 

"...  ধীরে ধীরে প্রতিলিপিতে কয়েন সিস্টেম চালু হলো। শুরু হলো লেখকদের লিখনির সম্মানিক দেওয়া। যদিও আমার পঞ্চাশ টাকা হতে মাস তিনেক সময় লেগেছিলো, তারপর প্রায় তিন হাজার টাকার মতো একসাথে পেয়েছিলাম। সেদিন যে কি আনন্দ হয়েছিল বলে বোঝাতে পারবো না। যারা আমাকে বলতো এইসব লিখে কি হবে!অকারণ সময় নষ্ট। তাঁদের সেদিন আমি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পেরেছিলাম যে সবুরের ফল সত্যিই মিঠে হয়। ধৈয্য ও প্রচেষ্টা কোনোদিনই বিফলে যায়না।তার পর পর কোনো মাসে হাজার, কখনো দেড় হাজার, কখনো দুহাজার টাকা ঢুকেছে। তবে দুঃখের বিষয় এই অর্থের পরিমান আমি এর বেশি বাড়াতে পারিনি, কারণ গত দুই বছর ধরে আমি অনেকগুলো ভালো ধারাবাহিক শুরু করলেও ব্যাক্তিগত পারিবারিক জীবন ও অত্যন্ত ব্যাস্ততার কারণে লেখায় খেই হারিয়ে সেই গল্প সম্পূর্ণ লিখে ওঠা হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে ধীরে ধীরে আমি সব লেখা আবার শেষ করবো। একটা কথা না বললেই নয় যে, প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপ্টশন, ও আইপি কন্ট্রাক্ট থেকে বেশ ভালো এমাউন্ট এর টাকা আমি পেয়েছি। যা আমার লিখন উদ্দীপনাকে এর বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে।

এবার আসি ধারাবাহিক এর কথায়। আমার লেখা "লাভ সেক্স ধোঁকা" ধারাবাহিকটি আমাকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা দিয়েছে এবং আগামী দিনেও দেবে তা জানি, এর জন্য আমার সকল পাঠক বর্গকে আরও একবার ধন্যবাদ জানাবো।
নতুন যারা গল্প লিখতে শুরু করেছে তাঁদের জন্য বলবো.... প্রথম প্রথম ছোট ছোট লেখা দিয়ে, ছোট গল্প অনুগল্প দিয়ে পথ চলা শুরু করা ভালো। তাতে নিজেদের ভুল গুলো শুধরে নেওয়ার অনেক বেশি সুযোগ থাকে। তারপর পাঠকবর্গের আগ্রহের উপর নির্ভর করেই ধারাবাহিক লেখা শুরু করা উচিত। নিজের সময় ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে শব্দ সংখ্যা ও পর্ব সংখ্যা স্থির করতে হবে। খুব সহজ সাবলীল ভঙ্গিতে লেখা প্রয়োজন। যেকোনো গল্পে নিজেকে একজন সদস্য ভেবেই গল্প লেখা দরকার। তাতে প্লট অনেক বেশি সুদৃঢ় হয়। মনের সমস্ত ভাবনা, কল্পনাশক্তিকে উপুড় করে দিয়ে লিখতে থাকলেই ঠিক একদিন সাফল্য আসবে। কোনো কিছুই এক দিনে হয়না,সময় দিয়ে হয়। তবে কোনো নেগেটিভ কমেন্টস পেলে তারসাথে মতো বিরোধে না গিয়ে বিষয়টা এভোয়েড করাই ভালো বলে মনে করি। নাহলে অযাচিত ভাবেই লেখার মান খারাপ হয়ে যাওয়া ও একাউন্ট হারানোর সম্ভবনা থাকে।..."

আরও পড়ুন - যখন সময় থমকে দাঁড়ায় (দেবারতি সাঁতরা)


 

"... প্রতিলিপি থেকে আমার প্রথম আয় পঞ্চাশ টাকা। পাঠকদের প্রদত্ত স্টিকারের মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক একাউন্ট যোগ করার অপশন টা দেখাচ্ছিল তখন।আমি ভাবলাম আরো কিছু যোগ হোক তারপর একাউন্ট যোগ করবো।
তারপর একদিন প্রতিলিপি থেকে যোগাযোগ করা হলো গল্প অডিওর জন্য। তখন আমার প্রথম গল্পটা শেষ হয়ে দ্বিতীয় গল্পটিও প্রায় সমাপ্তির পথে। তৃতীয় গল্পটি ভালোবাসি তোমায় চলছে। তিনটে গল্পই একসাথে প্রতিলিপি থেকে অডিওর জন্য চুক্তিবদ্ধ হলাম। প্রথম একাউন্টে মোটা টাকা ঢুকলো আমার প্রতিলিপি থেকে। খুব খুশি হয়েছিলাম। পরিবারের সকলকে উপহার দিয়েছিলাম আমি আমার সেই উপার্জন থেকে। এরপর কয়েন চালু হলো। তারপর সুপারফ্যান, প্রিমিয়াম সাবক্রিপশন হওয়াতে উপার্জন বৃদ্ধি পেলো। সত্যি বলতে এখন আর আমি শুধুই গৃহবধূ নেই যে সবকিছু তে সম্পূর্ণ স্বামীর ওপর নির্ভরশীল। কিছুটা সাবলম্বী হয়েছি আমি প্রতিলিপির হাত ধরে। এখন প্রতি মাসে কিছু উপার্জন আমিও করি। এটা যে আমাকে কতোটা স্বস্তি দিয়েছে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার মনের অন্তরালে যে বিষয়টি এতোকাল ছিল সেটা যে সাহস করে কোনদিন বের করে আনতে পারবো ভাবিনি আমি। একমাত্র প্রতিলিপির জন্যই সম্ভব হয়েছে সেটা। প্রতিলিপি মানুষের সাথে আছে, আমাদের মতো গৃহবধূ, কলেজ পড়ুয়াদের পাশে আছে। আশাকরি আগামীতেও থাকবে। আমার যেটুকু সাফল্য সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রতিলিপির জন্য‌‌‌।

বর্তমানে আমার তিনটি গল্প চলছে।দস্যি মেয়ের সংসার,মরা গাঙে উষ্ণ ভালোবাসার জোয়ার আর অভিমানী দাম্পত্য।তার মধ্যে দস্যি মেয়ের সংসার একদম শেষের দিকে আছে। আমার প্রথম যে তিনটি গল্প অডিও হয়েছে সেগুলো হলো... ভালোবাসার অঙ্গন ,আমি যে তোমার পরীনিতি,আর ভালোবাসি তোমায়। এরমধ্যে ভালোবাসি তোমায় গল্পটা সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।বেশ কয়েকবার বেস্ট সেলারের তালিকায় এসেছে গল্পটা। সিজন টু লেখার অনুরোধ আসছে প্রতিলিপি এবং পাঠকদের তরফ থেকে বারবার।একটু সময় পেলেই ভালোবাসি তোমায় সিজন টু লেখা শুরু করবো আমি। ভালোবাসি তোমায় গল্পটা থেকেই আমার পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এখন যেটা ৬০০০ অতিক্রম করে গেছে।এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রতিলিপি এবং পাঠক বন্ধুদের ভালোবাসায়।..."

আরও পড়ুন - প্রতিলিপিতে পথচলার স্মৃতিচারণ (মুনমুন অধিকারী রায়)


 

"... কখনো মোবাইলে লম্বা গল্প লিখবো ভাবিনি, যতটুকু লিখেছি, ঐ ফেসবুকের পাতায় অবরে সবরে, খেয়ালে বে খেয়ালে। তাই অসুবিধে তো হচ্ছিলোই, তবে সেই অসুবিধে কাটিয়ে উঠতে বিশেষ সময় লাগলো না। আঙুল চলতে লাগলো। ছোট ছোট গল্প প্রকাশিত হতে লাগলো। বেশ কিছু অপরিচিত মানুষ আমার গল্প পড়লেন। ভালো মন্দ মতামত দিলেন। লিখে ফেললাম সতেরো পর্বের একটা ধারাবাহিক, দিন যায়। মানুষের ভালো লাগলো, তবে অনেকেই লিখলেন, এটা বোধ হয় আমার জীবন কাহিনী। আসলে দিন যায় ছিলো নিছকই একটা গল্প। কিন্তু তখন মাথায় এসে গেছে নিজের অটোবায়োগ্রাফি লিখলে মন্দ হয় না।
দিন যায় কে কন্টিনিউ করে একটা ট্রিলজি লিখে ফেললাম। দিন যায়, নানা রঙের দিনগুলি, আর দিনান্তে। অবশ্যই ছোট ছোট পর্ব। সে সময় ধারাবাহিক গল্পের পর্বে প্রতিলিপির ধার্য করা শব্দ সংখ্যা ছিলো দুশো+, সেই মতো এগিয়ে চলেছি, ইতিমধ্যে পুজো এসে গেলো।
প্রতিলিপি আয়োজন করলো শারদ অর্ঘ ২০২০ প্রতিযোগিতা। অনেক গুলো সেগমেন্ট। অনুগল্প, ছোটগল্প, রম্য রচনা, উপন্যাস, নাটক আরো কতো কি…! বেশ কিছু সেগমেন্টে লিখলাম। রম্যরচনা বিভাগে প্রথম হলো আমার গল্প আয়ান। এক হাজার টাকা পুরস্কার। ভাবতে পারিনি লিখেও টাকা পাওয়া যায়।

এর পর পর পর ২০২১- ২০২২ সালে ষোলো সতেরোটা পুরস্কার ঢুকলো আমার ঝুলিতে। বাড়িতে বাঁধানো সার্টিফিকেট আসতে শুরু করেছে, এমন সময় প্রতিলিপি নিয়ে এলো মনিটাইজেশন। মানুষ স্টিকার দিচ্ছেন, কয়েন দিচ্ছেন, কাউকেই আমি চিনি না।

উৎসাহে লিখতে শুরু করলাম পরবাসে আর আমার আত্ম কাহিনী পরিত্যাক্ত ডায়েরি। পরিত্যাক্ত ডায়েরি লেখাটা বানালাম প্রফেসর শঙ্কুর স্টাইলে। আর পরবাসে তৈরি করলাম কাট টু কাট মেথডে। পরবাসে সুপার হিট হয়ে গেল। ঢুকে গেল প্রথম প্রিমিয়াম গল্পে। তৈরী হলো প্রতিলিপি এফ এমের জন্য অডিও  গল্প। মনে আছে এক মাসে স্টিকার আর প্রিমিয়াম মিলিয়ে রোজগার করলাম বারো হাজার টাকা। এখন অবশ্য সেই টাকার অঙ্ক কমে কমে হাজার খানেক হাজার দুয়েকের আসেপাশে ঘোরাঘুরি করে।

ওদিকে শুরু হলো সেরা কলমকার এওয়ার্ড। প্রথম দুটো প্রতিযোগিতায় সাফল্য না এলেও, তৃতীয় প্রতিযোগিতায় তৃতীয়, আর চতুর্থ প্রতিযেগিতায় একটা বিশেষ স্থান পেলাম। প্রথম প্রতিযোগিতায় লিখেছিলাম সায়েন্স ফিকশন,প্রেম, রহস্য মিশিয়ে প্রতিচ্ছবি (চৌধুরী বাড়ির রহস্য) একটা অন্য রকম লেখা। গল্পটা বড়োদের, কিন্তু স্টাইলটা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ছোটদের গল্পের মত। দ্বিতীয় সেরা কলমকারে লিখলাম অসূর্যম্পশ্যা। বনফুলের স্টাইলে শরৎ চন্দ্রের মেয়ে মানুষের দুঃখের কাহিনী আর পুরুষের আজীবন আত্মত্যাগ। আমার মতে এই লেখাটাই আমার সেরা লেখা।

দুটোর একটাও লাগলো না। তখন ঠিক করলাম, নিজের পুরনো স্টাইলে ফিরে যাবো। ফল পেলাম হাতে নাতে। দৈনিক খবরের কাগজের রাজনৈতিক খুন গুলোকে এক সুতোয় বেঁধে তৈরী হলো সিরিয়াল কিলিং এর গল্প পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক।
তৃতীয় পুরস্কার।..."

আরও পড়ুন - প্রতিলিপিতে আমার পথচলা (সব্যসাচী সেন)


"...    প্রতিলিপির বেশ কয়েকটা গ্রুপে নিজেকে দেখে সত্যি ভালো লাগে! প্রতিলিপির গল্প ছাড়া আমি যেন সত্যি নিজেকে শূন্য অনুভব করি! অসুস্থতার জন্য যদি গল্প লিখতে না পারি তবে মন ছটফট করে ওঠে ..... খুব আনন্দ হয় আমার যখন অনুভব হয় , যে বিষয়টা আমি এক সময় করেছি....  আমার লেখক লেখিকাদের মেসেজ করে জিজ্ঞাসা করতাম পরবর্তী পর্ব কখন দেবে,  এখন আমার পাঠক পাঠিকারা একই কথা জিজ্ঞাসা করে! সত্যি বলতে কি প্রতিলিপি ছাড়া এখন আমি পুরোপুরি অন্ধ .... সেটা গল্প লেখার ক্ষেত্রেই হোক বা পড়ার ক্ষেত্রে! ব্যস্ততার নিরিখে গল্প লিখতে না পারলে আমি রাত তিনটা চারটে পর্যন্ত গল্প দিয়েছি ! সেটা শুধু গল্প দেওয়ার জন্য নয় , প্রতিলিপির প্রতি আমার অগাধ অনুভূতির জন্য এ বিষয়টা হয়েছে!
     আমার প্রিয় লেখিকাদের সাথে সম্পর্কটা যেন আরো নিবিড় হয়ে উঠেছে এখন। এক সময় যারা আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল, যাদের গল্প পড়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম আজ ওরা আমার লেখিকা বন্ধু , ছোট বোনের মতো!
   প্রতিলিপি নিত্য নতুন আয়োজন করছে অনেক প্রতিযোগিতা,  নতুন ফিচারস, ফেলোসিপ  প্রোগ্রাম... এখন যেন এই জগৎটা আমার পারিবারিক জগৎ হয়ে গড়ে উঠেছে। আমার অনুসরণকারী , আমার রিভিউ সংখ্যা খুব বেশি নয়... তবু আমি সন্তুষ্ট ! যে কয়েকজনের ভালোবাসা পেয়েছি  ওরা সবসময় লেখালেখির কাজে উৎসাহ প্রদান করে আমাকে। সাইলেন্ট রিডারদের ধন্যবাদ জানাই ওরাও সমভাবে অংশীদার আমার পাঠক সংখ্যার তালিকায় ! তোমাদের ভালোবাসায় আমার পাঠক সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ ছুঁতে চলেছে! ভবিষ্যতে আমার গল্প গুলোতে তোমাদের রিভিউ এর মাধ্যমে তোমাদের নাম জানতে পারবো, আমি আশাবাদী!
     অনেক নবাগত লেখিকারা প্রতিলিপিতে লেখালেখি করছে,  এদের অনেকেই আমার গল্পে রিভিউতে পেয়েছি!  খুব ভালো লাগে যখন ' দিদি' বলে সম্বোধন করে .... তোমরা এভাবে এগিয়ে যাও, লেখালেখির জগৎটা তোমার! তুমি তোমার জগতের কান্ডারী , তাই কখনো হাল ছেড়ো না।
     প্রতিলিপি আমাকে বেঁচে থাকার রসদ সরবরাহ করেছে! এখন এই জগৎ ফেলে জীবন যাপন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়! যতদিন বেঁচে আছি প্রতিলিপির সাথে জুড়ে থাকবো ! আমার নতুন গল্পে "সহধর্মিণী ~ভালোবাসার এক নতুন অধ্যায়" এবং "ভালোবাসার 💞 রংমহল" দুটো গল্পে আমার সকল পাঠক পাঠিকাদের এবং সাইলেন্ট রিডারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে জুড়ে থাকার আবেদন রইল 🙏
   'স্মৃতির পাতায় প্রতিলিপি'  এই ছোট্ট প্রতিবেদনে আমার প্রিয় প্রতিলিপির সকল টিম মেম্বারদের জানাই ধন্যবাদ! আমার প্রিয় লেখক লেখিকাদের প্রতি প্রাণ ভরা ভালোবাসা,  নবাগত লেখক লেখিকাদের অভিনন্দন রইল ! সবশেষে আমার সকল পাঠক পাঠিকাদের জন্য রইল মনের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা,  তোমরা সবাই সবসময় আমার পাশে থেকো! তোমাদের ভালোবাসা আমার গল্পের উৎস🙏🙏❤️"

আরও পড়ুন - স্মৃতির পাতায় 🌿 💖প্রতিলিপি💖 (স্নিগ্ধা পারিয়াল) 


"...  প্রতিলিপির যে বিষয়গুলি আমার ভাল লাগে -

(১) ধারাবাহিক লেখকদের জন্য বারবার একাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। আমার বিশেষ পছন্দ, সেরা কলমকার প্রতিযোগিতাটি কারণ এতে নিজের পছন্দের প্লট বাছার স্বাধীনতা থাকে। আপনারা জানেন, আমার লেখা "পূর্ব পশ্চিম বন্ধু সঙ্গম" উপন্যাসটি সেরা কলমকার ৪ প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়েছে। এটা আমাকে খুব অল্পসময়ের মধ্যে আরেকটি ঐতিহাসিক উপন্যাস "নিকষেতে তড়িৎপ্রভা" লিখতে মোটিভেশন দিয়েছে। মাত্র তিন মাসে আমি ১০৬ পর্বের একটি উপন্যাস নামিয়েছি, প্রচুর পরিশ্রম গিয়েছে। মোটিভেশন না থাকলে এতগুলো বই পড়া এবং সেই সাথে এত বড় উপন্যাস এত কম সময়ে লেখা সম্ভব হত না।

(২) লেখকদের ওপর ট্রোলদের ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রতি জিরো টলারেন্স রাখা প্রতিলিপির আরেকটি ভাল বৈশিষ্ট্য।

(৩) ইদানীং লেখকদের উপার্জনের প্রচুর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নতুন ফিচারে যে সব ধারাবাহিক সাবস্ক্রিপশনের আওতায় রাখা হচ্ছে এটাও খুব ভাল। লেখকরা পারিশ্রমিক ডিজার্ভ করেন, তাঁরা সেটা পেলে আরো দায়বদ্ধ হয়ে লিখবেন, লেখার মানের দিকে আরো মনোযোগ দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।

(৪) পোস্ট করার ফিচারটা খুব ভাল। এটার মাধ্যমে আমি AI ব্যবহার করে গল্পের চরিত্রদের ছবি বানিয়ে পাঠকবন্ধুদের দেখাতে পারি।..."

আরও পড়ুন - প্রতিলিপিতে, ফিরে দেখা কয়েকবছর (তিয়াসা চ্যাটার্জী)


 

আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতে আরও কাহিনী যুক্ত হবে। সঙ্গে থাকবেন

টিম প্রতিলিপি