দেবী দ্রাক্ষানীর নিত্য পুজো হয় পাঠার ভোগ দিয়ে আর বাৎসরিক পুজো হয় শক্তি পুজোর শ্রেষ্ঠ বলি নরবলি দিয়ে । আজ কৌশিকি অমাবস্যায় তিনশো পঁয়ষট্টি পাঠা ও একটি নারীর রক্তে রঞ্জিত হবে এই মন্দির চত্বর । আর সেই নারী কোন যে সে নারী নয় , সে এই দ্রাক্ষ সাম্রাজ্যের রাজমহিষী । পুজো উপলক্ষে গোটা রাজ্য জুড়ে উৎসব। সাতদিন পরে দেবীর অষ্টমঙ্গলার দিন আবার নতুন রাজমহিষী আসবেন এই সাম্রাজ্যে । রাজচক্রবর্তি ইন্দ্রাশিস সেদিন বিবাহ করবেন কোন অক্ষত যোনি সুলগ্না নারীকে । একটি বছর সে ভোগ করবে এই বিপুল ধনসম্পদ, সুপুরুষ রাজার স্ত্রী হওয়ার সন্মান । তারপর তাকে সমর্পণ করা হবে দেবীর কাছে। সোনার তৈরি হারিকাঠে সান দেওয়া ধারালো বগিতে তার মস্তক শরীর থেকে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাবে । সেই খণ্ডিত মস্তক অর্পণ করা হবে যজ্ঞকুণ্ডে । আর বাকি শরীর ভাসিয়ে দেওয়া হবে লুরনি ঝর্ণা দিয়ে । এবছর যাকে বাছা হয়েছে বিবাহের জন্য সে এই রাজ্যের এক চাষীর মেয়ে অষ্টাদশী ঊর্মি । ঊর্মির মা মুগ্ধা সারাটা দিন কেঁদে চলেছে কারণ একটি বছর পর তার মেয়ের জীবনেও ঘনিয়ে আসবে অমাবস্যার অন্ধকার। মুগ্ধার কলজে কেঁপে ওঠে বারেবারে মেয়ের মৃত্যু কল্পনা করে। ঈশ্বরের নাম নিয়ে যখন অত্যাচার হয় তখন ঈশ্বর নিজেই অবতীর্ণ হন পাপের সংহার করতে। ঊর্মি কি পারবে এই প্রথার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে?