একটি আকস্মিক মৃত্যু মধুছন্দা ভট্টাচার্য

নিজেকে সামলাতে পারলাম না জানেন! আমার জন্মদিনে র দিন যখন আমার বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলাম তখন নিজেকে আয়ত্তে এনে হসপিটালে ছুটে গিয়েছিলাম । কেঁদেছিলাম কিন্তু আমার মাকে দেখেছিলাম তিনি আমার প্রিয় বাবা আমার বাবাই এর মৃত্যুতে মতো না কষ্ট পেয়েছিলেন তার থেকে উনি বলছিলেন সবাই কে ওগো তোমারা ওকে দেখো ওর যে আজ জন্মদিন। সেদিন আমার পাশে আমার মা ছিলেন ।তাই আজ ও মা আমার সবচেয়ে প্রিয় শক্তিশালী মানুষ। সামান্য সাধারণ মানুষ সেদিন কত বল সন্চয় করতে পারেন সেদিন দেখলাম। আজকে আমি বিবাহিত। কিন্তু আজ ও আমার জন্মদিনে শুভেচ্ছা মা প্রথমে জানান ওই দিনই, বার বার বলেন ভুলে মা কষ্ট। তিনি কতটা বলশালী তিনি স্বামীর মৃত্যুদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন মেয়েকে কারণ সেদিন তিনি এই মেয়েকে পৃথিবীতে। কিন্তু সেদিন তিনি অন্য কারও সাথে কথা বলেন না ফোন ও ধরেন না আর আমি ও এক‌ই। কিন্তু পরের দিন আমি শুভেচ্ছা বার্তা পাই।

দম বন্ধ করে পড়লাম।আমি নির্বাক।এমন সন্তান জন্ম নিক ঘরে ঘরে।মায়েরা হোক জয়ের পথ দেখানোর পথ,বাবা হোক হৃদয়ের অমূল্য সম্পদ।আমি আমার দাদুভায়ের চলে যাওয়াকে আজও যে কেন মেনে নিতে পারি না কে জানে? তবু উনি আমাকে প্রতিষ্ঠিত দেখে গেছেন।আসলে উনি আমার friend, philosopher and guide ছিলেন আর বোধহয় ভগবান ছিলেন আমার।ভালো থেকো বোন।তোমার গল্প দারুণ। আমার লেখা কবিতাগুলো ও গল্পগুলো পড়ে কমেন্ট করার অনুরোধ রইল বোন।

Apner lekha ta parte giye amar nijer babar katha khub mane pare gelo. take ami ajo sabsamay miss kari. 26th August ami amar babake hariyechi.