আপনার পছন্দের ভাষা বেছে নিন
ক্রমে আমরা মূল বাড়ি, বাহির বাড়ি দেখার পর পুকুর ঘাটে গেলাম। লাল রঙের শান বাঁধানো ঘাটে বসলাম আমরা সবাই। বৃদ্ধ বিপিন বাবু বললেন - "এ পুকুরেই সাঁতার শিখেছি আমি। পুকুরকে আমরা বলতাম পুস্করিণী"! আমি বললাম - ...
জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যক্তিপরিচয়, শিক্ষা ও বিবিধ জাহাঙ্গীর হোসেন রাজনৈতিক বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও মূলত কখনো নিজেকে দুবাংলার আলাদা মানুষ মনে করেননি। তাই তার গল্পের উপজীব্য অধিকাংশ হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের দলিত সাধারণ মানুষ। বরিশালের একটা প্রত্যন্ত দ্বীপগাঁয়ে ১৯৬১ সনে জন্ম জাহাঙ্গীর হোসেনের। মা তাকে বলতেন - "সম্রাট জাহাঙ্গীর"! মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন আর পিতা আব্দুল মন্নান। মা তার গ্রামীণ ভাঙা বেড়ার স্কুলে পড়া এ দূরন্ত ছেলেকে বলতেন "বাবা, তুই রবীন্দ্রনাথ হ, না হলে নজরুল"! উত্তাল মেঘনার ঝড়জলে সাঁতার কেটে বড় হওয়া দ্রাবিড়রঙা চেহারার লিকলিকে জাহাঙ্গীর ভাঙাবেড়ার স্কুল পেরিয়ে প্রথমে ভর্তি হোন ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাঝে বছরখানেক "রাজকীয় বাহরাইন স্পেশাল পুলিশ ফোর্সে" কাজও করেন তিনি। কিন্তু এবার ফিরে এসে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও ভাষাতত্ত্ব বিভাগে। লেখক আনন্দিত এ জন্যে যে, তিনি পড়ালেখা করেছেন ঢাকা ভার্সিটির ড. হুমায়ুন আজাদ, ড. আনিসুজ্জামান, ড. ওয়াকিল আহম্মেদ, ড. রফিকুল ইসলাম, ড. আবুল কালাম মঞ্জুর মোর্শেদ, ড. সানজিদা খাতুন, নরেণ বিশ্বাস, ড. মনসুর মুসা, ড. মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ড. সাইদুজ্জামান, ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক, ড. আবু জাফর, ড. ছিদ্দিকুর রহমান (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) এর মত শিক্ষাবিদ, জ্ঞানতাপস, দার্শনিকদের কাছে। মুক্তচিন্তক জ্ঞানতাপস ড. হুমায়ুন আজাদকে যদি বাংলার ‘সক্রেটিস’ বা ‘সূর্য’ বলি আমরা, তবে সে সূর্যের সামান্য প্রভায় আলোকিত হয়েছে এ লেখকের জীবন। তাইতো তাঁর আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে তিনি লিখতে পারছেন এমনসব গল্পমালা, কাব্যকথা, জীবনগাথা। লেখক জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাষায় বলতে গেলে- "স্কুল জীবনে খুব পড়ালেখা করতামনা আমি। নদী সাঁতরে, বিল-ঝিলে ঘুরে, মায়ের আঁচলতলে দিন কাটাতাম আমি। কিন্তু ঢাবির আজাদ স্যার আমায় শিখিয়েছেন অ, আ, ক, খ কাকে বলে। তাইতো এখন বলতে পারি 'ক' আর 'খ' এর পার্থক্য। অল্পপ্রাণ আর মহাপ্রাণের সূত্র! লিখতে পারি বাংলা ভাষার ত্রুটিগুলো এবং বলতে পারি তার আধুনিকায়নের সপ্তপদি পথের কথা! বানাতে আর বিশ্লেষণ করতে পারিভাষিক সব সূত্রগুচ্ছ। তাই আমার লিখিত গল্পমালা, রূপকলেখা, প্রবন্ধগুচ্ছ আর সচেতনতার ধোনবোনা কাব্যপোস্ট সবই আমার ঐসব টিচারদের থেকে পাওয়া! ঢাবিতে ভর্তি না হলে আমি হয়তো ধর্মান্ধ কোন মাদ্রাসা টিচার হতাম। ১০/১২-টা বাচ্চার বাপ হয়ে কাল কাটাতাম আমার চরদ্বীপের কোন স্কুল মাদ্রাসায়"! : লেখক বাংলা সাহিত্য, ভাষাতত্ত্ব ও শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে ঢাকা ভার্সিটি থেকে। শিক্ষাশেষে তিনি কিছুকাল খৃস্টান মিশনারী পরিচালিত ঢাকার সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে ‘প্রভাষক’ হিসেবে কাজ করেন। প্রবাসে সৌদি আরবে একটা কলেজেও ‘প্রভাষক’ ছিলেন তিনি। পরে সরকারি শিক্ষা দপ্তরে সহযোগি অধ্যাপক ও সর্বশেষে ‘উপপরিচালক’ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০২১ সনে। কর্মসূত্রে তিনি সরকারি ও নিজ উদ্যোগে ভ্রমণ করেছেন বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন, তাইওয়ানসহ বিশ্বের প্রায় ৫৩-টি দেশ। দেশে-বিদেশে রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, টিম-বিল্ডিং, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের ওপর বিবিধ প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ফেসবুক, ব্লগের জগতে প্রবেশের আগে তিনি নিয়মিত লিখতেন, বাংলাদেশ আর প্রবাসী সপ্তপদি পত্রপত্রিকায়। বেশ কটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন তিনি দেশে ও বিদেশে। এ লেখকের দুটো গল্প সংকলন "দুই বাংলার আস্তিক-নাস্তিকতায় হিন্দু-মুসলমানের গল্প" নামে প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা আর কলকাতা থেকে। কথাছিল তার প্রায় পাঁচ শতাধিক গল্পের সবগুলো প্রকাশ করবেন তিনি কালক্রমে। অন্তত ১০০-গল্পের ইউটিউব বানাবেন তিনি। কোনটার Short Film কিন্তু আকস্মিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নানাদিকে বিধ্বস্ত হয়েছে লেখকের জীবন। কলকাতার টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করান এখন তিনি ক্যান্সারের! ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য সংস্থা খুলনার "ফুলকলি" ছোটগল্পে নান্দনিকতার জন্যে তাকে "ফুলকলি পুরস্কার ২০১৮" প্রদান করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ভারতের যৌথ সাহিত্য সংস্থা "আন্তজাতিক কবি পরিষদ" অসাম্প্রদায়িক গল্পকার হিসেবে লেখককে "সাহিত্য-জ্যোতি" ও সম্মাননা প্রদান করে ২০১৮ সনে। মনুষ্যজীবনের অতল রহস্য এবং মানুষের জীবন সংগ্রামকে লেখক খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার তীক্ষ্ণতা অর্জন করেছেন বলে, তার প্রায় সকল গল্পে এ তীক্ষ্নতা সুষ্পষ্ট! আর কৈশোরে গ্রামে বড় হওয়া লেখক কাদামাটির মতো মাখামাখি করে গড়ে তুলেছেন তাঁর শিল্প ও সাহিত্য প্রতিমা, যার পরিচয় মিলবে এ বইয়ের সব গল্পে আর পাতায় পাতায়।
জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যক্তিপরিচয়, শিক্ষা ও বিবিধ জাহাঙ্গীর হোসেন রাজনৈতিক বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও মূলত কখনো নিজেকে দুবাংলার আলাদা মানুষ মনে করেননি। তাই তার গল্পের উপজীব্য অধিকাংশ হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের দলিত সাধারণ মানুষ। বরিশালের একটা প্রত্যন্ত দ্বীপগাঁয়ে ১৯৬১ সনে জন্ম জাহাঙ্গীর হোসেনের। মা তাকে বলতেন - "সম্রাট জাহাঙ্গীর"! মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন আর পিতা আব্দুল মন্নান। মা তার গ্রামীণ ভাঙা বেড়ার স্কুলে পড়া এ দূরন্ত ছেলেকে বলতেন "বাবা, তুই রবীন্দ্রনাথ হ, না হলে নজরুল"! উত্তাল মেঘনার ঝড়জলে সাঁতার কেটে বড় হওয়া দ্রাবিড়রঙা চেহারার লিকলিকে জাহাঙ্গীর ভাঙাবেড়ার স্কুল পেরিয়ে প্রথমে ভর্তি হোন ঢাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাঝে বছরখানেক "রাজকীয় বাহরাইন স্পেশাল পুলিশ ফোর্সে" কাজও করেন তিনি। কিন্তু এবার ফিরে এসে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও ভাষাতত্ত্ব বিভাগে। লেখক আনন্দিত এ জন্যে যে, তিনি পড়ালেখা করেছেন ঢাকা ভার্সিটির ড. হুমায়ুন আজাদ, ড. আনিসুজ্জামান, ড. ওয়াকিল আহম্মেদ, ড. রফিকুল ইসলাম, ড. আবুল কালাম মঞ্জুর মোর্শেদ, ড. সানজিদা খাতুন, নরেণ বিশ্বাস, ড. মনসুর মুসা, ড. মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ড. সাইদুজ্জামান, ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক, ড. আবু জাফর, ড. ছিদ্দিকুর রহমান (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) এর মত শিক্ষাবিদ, জ্ঞানতাপস, দার্শনিকদের কাছে। মুক্তচিন্তক জ্ঞানতাপস ড. হুমায়ুন আজাদকে যদি বাংলার ‘সক্রেটিস’ বা ‘সূর্য’ বলি আমরা, তবে সে সূর্যের সামান্য প্রভায় আলোকিত হয়েছে এ লেখকের জীবন। তাইতো তাঁর আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে তিনি লিখতে পারছেন এমনসব গল্পমালা, কাব্যকথা, জীবনগাথা। লেখক জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাষায় বলতে গেলে- "স্কুল জীবনে খুব পড়ালেখা করতামনা আমি। নদী সাঁতরে, বিল-ঝিলে ঘুরে, মায়ের আঁচলতলে দিন কাটাতাম আমি। কিন্তু ঢাবির আজাদ স্যার আমায় শিখিয়েছেন অ, আ, ক, খ কাকে বলে। তাইতো এখন বলতে পারি 'ক' আর 'খ' এর পার্থক্য। অল্পপ্রাণ আর মহাপ্রাণের সূত্র! লিখতে পারি বাংলা ভাষার ত্রুটিগুলো এবং বলতে পারি তার আধুনিকায়নের সপ্তপদি পথের কথা! বানাতে আর বিশ্লেষণ করতে পারিভাষিক সব সূত্রগুচ্ছ। তাই আমার লিখিত গল্পমালা, রূপকলেখা, প্রবন্ধগুচ্ছ আর সচেতনতার ধোনবোনা কাব্যপোস্ট সবই আমার ঐসব টিচারদের থেকে পাওয়া! ঢাবিতে ভর্তি না হলে আমি হয়তো ধর্মান্ধ কোন মাদ্রাসা টিচার হতাম। ১০/১২-টা বাচ্চার বাপ হয়ে কাল কাটাতাম আমার চরদ্বীপের কোন স্কুল মাদ্রাসায়"! : লেখক বাংলা সাহিত্য, ভাষাতত্ত্ব ও শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন প্রথম শ্রেণিতে ঢাকা ভার্সিটি থেকে। শিক্ষাশেষে তিনি কিছুকাল খৃস্টান মিশনারী পরিচালিত ঢাকার সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে ‘প্রভাষক’ হিসেবে কাজ করেন। প্রবাসে সৌদি আরবে একটা কলেজেও ‘প্রভাষক’ ছিলেন তিনি। পরে সরকারি শিক্ষা দপ্তরে সহযোগি অধ্যাপক ও সর্বশেষে ‘উপপরিচালক’ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন ২০২১ সনে। কর্মসূত্রে তিনি সরকারি ও নিজ উদ্যোগে ভ্রমণ করেছেন বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন, তাইওয়ানসহ বিশ্বের প্রায় ৫৩-টি দেশ। দেশে-বিদেশে রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, টিম-বিল্ডিং, নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের ওপর বিবিধ প্রশিক্ষণ নেন তিনি। ফেসবুক, ব্লগের জগতে প্রবেশের আগে তিনি নিয়মিত লিখতেন, বাংলাদেশ আর প্রবাসী সপ্তপদি পত্রপত্রিকায়। বেশ কটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন তিনি দেশে ও বিদেশে। এ লেখকের দুটো গল্প সংকলন "দুই বাংলার আস্তিক-নাস্তিকতায় হিন্দু-মুসলমানের গল্প" নামে প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা আর কলকাতা থেকে। কথাছিল তার প্রায় পাঁচ শতাধিক গল্পের সবগুলো প্রকাশ করবেন তিনি কালক্রমে। অন্তত ১০০-গল্পের ইউটিউব বানাবেন তিনি। কোনটার Short Film কিন্তু আকস্মিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নানাদিকে বিধ্বস্ত হয়েছে লেখকের জীবন। কলকাতার টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করান এখন তিনি ক্যান্সারের! ইতোমধ্যে বাংলাদেশের শিল্প ও সাহিত্য সংস্থা খুলনার "ফুলকলি" ছোটগল্পে নান্দনিকতার জন্যে তাকে "ফুলকলি পুরস্কার ২০১৮" প্রদান করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ভারতের যৌথ সাহিত্য সংস্থা "আন্তজাতিক কবি পরিষদ" অসাম্প্রদায়িক গল্পকার হিসেবে লেখককে "সাহিত্য-জ্যোতি" ও সম্মাননা প্রদান করে ২০১৮ সনে। মনুষ্যজীবনের অতল রহস্য এবং মানুষের জীবন সংগ্রামকে লেখক খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার তীক্ষ্ণতা অর্জন করেছেন বলে, তার প্রায় সকল গল্পে এ তীক্ষ্নতা সুষ্পষ্ট! আর কৈশোরে গ্রামে বড় হওয়া লেখক কাদামাটির মতো মাখামাখি করে গড়ে তুলেছেন তাঁর শিল্প ও সাহিত্য প্রতিমা, যার পরিচয় মিলবে এ বইয়ের সব গল্পে আর পাতায় পাতায়।