pratilipi-logo প্রতিলিপি
বাংলা

প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ২

28 मई 2023

নমস্কার,

প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব!


"...আমি কলকাতা বিশ্ববিদ‍্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী পাশ করার পর থেকেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মনোবিদ হিসেবে যুক্ত ছিলাম। পরবর্তীকালে এম.বি.এ. (এইচ.আর) করে কর্পোরেট সংস্হায় এইচ.আর অফিসিয়াল হিসেবে কাজ করেছি। তখন শনি - রবিবার করে কাউন্সেলিং প্র‍্যাকটিস করতাম। আসলে আমি একটু অন্তর্মুখী মানুষ। কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসি। তার মধ্যে থেকে সময় পেলেই বই নিয়ে বসে পড়তাম। ছোটবেলা থেকেই আমার একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম বই। সে বই সবসময় গল্পের বই হতে হবে এমন নয়; তা যেকোনো বিষয়ের ওপরেও হতে পারে। মোটের ওপরে কিছু না কিছু পড়ার মধ্যেই আমি থাকতাম।

আমি ব‍্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাতাম। মেয়ে সারাদিন আয়ার কাছে থাকতো। তার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আমি 2018 সালে চাকরি ছেড়ে দিই। সেইসময় আমি ফেসবুকে দিনের মধ্যে অনেকটা সময় কাটাতাম। বন্ধু বান্ধব, পুরনো অফিসের কোলিগদের সঙ্গে গল্প গাছা করতাম, ছবি দেখতাম, নিজেও ছবি পোস্ট করে লাইক গুণতাম। এইসব অকাজের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু, একটা কিছু না করার যন্ত্রনা নিজের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।

একদিন ফেসবুকে একটা সাহিত্য গ্রুপ আমার নজরে পড়ল। সেখানে যুক্ত হয়ে অন্যদের লেখা পড়তাম। পড়তে পড়তে একদিন মনে হল, আমিও একবার লেখার চেষ্টা করে দেখলে হয়। প্রথম দিকে আমি বিভিন্ন মানসিক সমস্যা নিয়ে লেখালিখি করতাম। অনেকেই আমার লেখা পড়তে পছন্দ করতেন। একে একে অনেক সাহিত্য গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হলাম। ধীরে ধীরে আমি ছোট গল্প লেখা শুরু করলাম। অনেকেই তাঁদের পত্রিকা বা সংকলনের জন্য লেখা চেয়ে নিতেন। আমিও সানন্দে লিখে দিতাম। কেউ হয়ত দুশো বা তিনশো টাকা দিতেন। আবার কেউ শুধুমাত্র লেখক কপি ধরিয়ে দিতেন। যাঁরা লেখা ছাপা হলে নিজেকে পত্রিকা বা সংকলন কিনে নিতে হবে বলতেন; তাঁদের আমি লেখা দিতাম না। নিজের লেখা নিজে টাকা দিয়ে কিনে পড়ার মত ইচ্ছে আমার ছিলনা। নিজের থেকেও অনেক জায়গায় লেখা পাঠিয়েছি প্রকাশ করার জন্য।

আমি ছোট ছোট ভৌতিক বা থ্রিলার গল্প লিখতাম বেশি। সেগুলো অনেকসময় আমার থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েই কয়েকটা ইউটিউব চ্যানেল থেকে অডিও করেছে। কেউ কেউ পাঁচ- সাতশো টাকা ধরিয়ে দিয়েছে। কেউ দেবে বলেও দেয়নি। পরবর্তীকালে আমার লেখা চেয়ে নিয়ে একজন প্রকাশক একক বই ছাপিয়ে ভালো বিক্রি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে একটা টাকাও দেন নি। আমিও আইন আদালতের পথ এড়িয়ে গেছি। আমার মেধা মনন দ্বারা রচিত সৃষ্টির থেকে অন্য একজন লাভ তুলে নিয়েছেন। তাও আমি ছেড়ে দিয়েছি। আমার মনে হয় সেইসময় নিজের লেখালিখিকে আমি সেইভাবে গুরুত্ব বা সম্মান দিইনি।

২০১৯ সালের জানুয়ারী মাস থেকে আমি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের পাশাপাশি প্রতিলিপি ফেসবুক গ্রুপ ও প্রতিলিপি এ্যাপে লেখা শুরু করি। ছোট ছোট গল্প, কবিতা লিখতাম। সারা মাসে হাজার শব্দের একটা গল্প লিখেই মনে হত, অনেক লিখে ফেলেছি। এখন দিনে কখনো কখনো চার-পাঁচ হাজার শব্দ লিখে ফেলি। ভাবতেই অবাক লাগে।

পাঠকদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমার কাছে সবসময় ছিল। আজ আমি লেখার মাধ্যমে সম্মান বা অর্থ যতটুকু উপার্জন করেছি; সব আমার প্রতিলিপি ও তার পাঠক বন্ধুদের জন্য।..."

আরও পড়ুন - অনুপ্রেরনার বাস্তব গল্প (মধুমিতা মুখার্জী)


"... ২০১৮ সালের গোড়ার দিকে, রাত্রে ঘুম পাড়ানোর সময় প্রতিলিপি থেকে গল্প পড়ে শোনাতাম আমার মেয়েকে। গল্প পড়ার ক্ষেত্রে কোনদিন যে প্রতিলিপির প্রতি ভীষণ দুর্বল, আসক্ত এবং নির্ভরশীল হয়ে পড়ি নিজেও বুঝতে পারিনি।


প্রতিলিপি ওয়েবসাইট থেকে গল্প পড়তে পড়তে, ইনস্টল করলাম প্রতিলিপি অ্যাপ। অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করলাম। গল্প ও ধারাবাহিক রচনা পড়ার সাথে সাথে প্রতিলিপির আলোচনাসভায় প্রতিনিয়ত অংশগ্রহণ করতাম। প্রত্যেকদিন টপ কমেন্টার লিস্টে "ওয়ান্ডার ওম্যান ডবল্যু" নাম দেখে আপ্লুত হতাম আরো বেশি।

এভাবে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে কখন যে লেখার প্রতি এক অদম্য টান অনুভব করতে শুরু করলাম, বুঝতেই পারিনি।

প্রথম লেখা প্রকাশিত করি ২০১৯ সালের ২৮ শে নভেম্বর। গল্পটির নাম "একলা আকাশ"। পাঠকদের মনে দাগ কেটে যায় গল্পটি। আমি আর পিছন ফিরে দেখিনি কখনো। একের পর এক গল্প, কবিতা লিখতে শুরু করি।

গল্প লিখতে লিখতে অনুভব করি গল্প বা কবিতার চেয়েও অনেক বেশি পাঠকদেরকে আকর্ষণ করা যায় ধারাবাহিক রচনা লেখার মাধ্যমে।

শুরু করি জীবনের প্রথম ধারাবাহিক রচনা "রূপান্তর"। পাঠকবন্ধুদের মনের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে দেয় এই "রূপান্তর"। পাঠকদের ভালোবাসা, আবেগ, আবদার, অভিযোগে ভরে ওঠে আমার রূপান্তরের বুক।

এরপর থেকে ছোটগল্প, কবিতা লেখার সাথে সাথে প্রাধান্য দিয়েছি মূলতঃ ধারাবাহিক রচনার দিকে। একের পর এক ধারাবাহিক উপন্যাসে বিপুল সাফল্য, বিপুল পাঠকসংখ্যা, এবং অনুসরণকারী পেয়ে আমি আপ্লুত হতে থাকি দিনের পর দিন।

এভাবে দেখতে দেখতে কখন যে অগণিত ধারাবাহিক লিখে ফেলি, আমি তা নিজেও জানিনা। বর্তমানে আমার দশটি ধারাবাহিক উপন্যাস প্রিমিয়াম তালিকার অন্তর্ভুক্ত।..."

আরও পড়ুন - আমার ভালোবাসার প্রতিলিপি (পিয়ালী চক্রবর্তী) 


 "... এই প্রতিলিপিতে আমার প্রথম আসা ফেসবুকে মিশুর গল্প পড়ে। মিস্টেরিয়াস গার্লকে তোমরা হয়তো অনেকে চেনো। তা প্রায় বছর তিনেক আগের কথা। সম্ভবত সেটাও ছিলো ২০২০ -এর এপ্রিল মাস। মাস ছয়েক রিসার্চের কাজ চলার পর হঠাৎ করেই একদিন কলেজ তালাবন্ধ। করোনার জন্য লকডাউন শুরু হয়েছিল। আমার ব্যস্ত জীবন হঠাৎ করেই থমকে গিয়েছিল। আর তার ফল স্বরূপ ডিপ্রেশন। কাউকে বললে তাদের প্রথম প্রশ্ন হল, ব্রেকআপ হয়ে গেছে? আমার এক বন্ধু সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছে। তার কাছে পরামর্শ চাইলে বিশ্বাস না করে বলেছিল, তোর মত একটা হাসিখুশি মেয়ের ডিপ্রেশন হতেই পারেনা। অনেকে বলেছিল যাই হয়ে যাক মাথায় খারাপ চিন্তা আনিস না। সেই সময় অনেকেই বোধহয় আমার মতোই ভুক্তভোগী হয়েছিল। চার দেওয়ালের মধ্যে যখন প্রাণ হাঁপিয়ে উঠেছিল তখন আমার জীবনে একরাশ খোলা হাওয়ার মতোই এসেছিল প্রতিলিপি। নীহারিকার অনির্বাণই আমায় খোঁজটা দিয়েছিল যাতে মন হালকা করতে পারি। আর তারপর থেকে প্রতিলিপি আমার আর এক পরিবার হয়ে গেছে।

ছোট থেকেই আমার গল্প বই পড়ার নেশা ছিল। অভ্যাসটা প্রথম তৈরি করেছিলেন আমার প্রাইমারি স্কুলের হেড স্যার। ক্লাস টুয়ে পড়ার সময় উনি আমাকে উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা ছোটদের রামায়ণ ও মহাভারত বই জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলেন। বইটা কম করেও পাঁচশো বার পড়েছি। এরপর প্রতিবার বইমেলা থেকে মায়ের কাছে কেঁদে কেটে কমপক্ষে পাঁচটা করে বই কিনে বাড়ি ফিরতাম। ছোট থেকে আমার গোয়েন্দা গল্প পড়তে খুব ভালো লাগতো। ক্লাস সিক্সে বাবা আমাকে আনন্দ মেলা পূজা বার্ষিকী কিনে এনে দিয়েছিলো। রাত জেগে প্রথম কাকাবাবু, প্রফেসর শঙ্কু, গোয়েন্দা অর্জুন আর মিতিন মাসির রসাস্বাদন করতে করতে কখন যে সাহিত্যের প্রতি ভালোলাগাটা ভালোবাসায় পরিণত হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। এরপর ক্লাস সেভেনে বান্ধবীর গ্রামের লাইব্রেরী থেকে আনা শরৎচন্দ্রের পরিণীতা, চরিত্রহীন, দত্তা ক্লাসের ফাঁকে লুকিয়ে পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই বড় হয়ে যাওয়া। লাইব্রেরিয়ান স্যারের সঙ্গে ভাব জমানো, বিছানার তলায় গল্পবই রাখা, ক্লাশের বই বাদ দিয়ে গল্প পড়ার জন্য মায়ের পিটুনি, সঙ্গে বেশ কিছু প্রিয় গল্প বইয়ের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, এইসব মিলিয়ে দিনগুলো ভালোই কাটছিল। ডিপ্রেশন আমার আগেও হয়েছিল যখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর বাড়িতে মাস খানেক বসেছিলাম। তখন অবশ্য বুঝতে পারিনি। মা একদিন আমাকে কাঁদতে দেখে ছুটে এলো। কেন যে তখন কাঁদছিলাম নিজেও জানিনা। বোর লাগছে বলায় তাড়াতাড়ি মা দোকান থেকে গল্পবই এনে দিয়ে আমায় শান্ত করেছিল। কিন্তু লকডাউনের সময় বইয়ের দোকানও বন্ধ। প্রতিলিপি সেই সময় হাজার হাজার গল্পের সম্ভার সাজিয়ে দিয়েছিল। অ্যাপ ইন্সটল করার প্রথম দিনই প্রেমে পড়ে যাই।

তখন অবশ্য এইরকম মুড়ি মুরকির মতো গল্প লেখা হতো না। কয়েকজন লেখকের লেখা বেশ মনে ধরল। কয়েকদিন পড়ার পর হঠাৎই একদিন প্রতিলিপিতে ধারাবাহিক গল্পের প্রতিযোগিতার এক নোটিফিকেশন চোখে পড়ল। আর সেটা দেখেই মনের সুপ্ত ইচ্ছাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। পরদিন একটা লক্ষাধিক ভিউযুক্ত অসমাপ্ত গল্প পড়েছিলাম। কোন লেখককে ছোট করতে চাইনা তাই নাম করলাম না কিন্তু সেটা পড়ে মনে হয়েছিল যে আমি চেষ্টা করলে এর থেকে অন্তত ভালো কিছু লিখতে পারব।

তারপর অনির্বাণের উৎসাহে সেদিনই আমার জীবনে প্রথম লেখালেখি শুরু করি। নীহারিকা নামের অ্যাকাউন্ট থেকে আমার প্রথম ধারাবাহিক গল্প প্রকাশ করি 'আরো একবার হাতটা ছুঁয়ে দেখ' যেটি 'স্মৃতির সরণি বেয়ে’ নামে আমার বর্তমান প্রোফাইলে রয়েছে। আমার প্রথম ধারাবাহিক গল্পটি চলাকালীন প্রায় হাজার খানেক অনুসরণকারী আর পঞ্চাশ হাজার ভিউ হয়েছিল। সাহস করে আরো দুটো রোমান্টিক সাসপেন্স থ্রিলার উপন্যাস লিখে ফেলি এরপর। “কুহেলিকার অন্তরালে আর ব্রহ্মকমল রহস্য”। দুটোই অনেক পাঠকেরই মন জয় করেছিল। 'তারে আমি চোখে দেখিনি’ উপন্যাসটি লেখার সময় একটু একটু করে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। অনুসরণকারী তিন হাজারের গন্ডি পেরোয়। কিন্তু হঠাৎই একদিন আবারো প্রচন্ড কাঁধে আর হাতে ব্যথা, সঙ্গে মাথা এবং কানের যন্ত্রণা। দিন দিন উপশম বেড়ে চলল। ডক্টর জানালো আবার পুরানো রোগটি মাথাচারা দিয়ে স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটির কারণে টিএমজে প্রবলেম। ডক্টর বললেন বেশি চিন্তা ভাবনা করে লেখালেখি করা যাবেনা, হাতে মোবাইল ধরে লেখা যাবে না। অগত্যা ইচ্ছা না থাকলেও লেখালেখি থেকে বিরতি নিতে হল। না সেই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিলিপিকেও সঙ্গী করতে পারিনি কারণ গল্প পড়ার জন্য প্রতিলিপি খুললেই অনেক পাঠকের মেসেজ চোখের সামনে ভিড় করত। কেউ জিজ্ঞাসা করত কোথায় চলে গেলে? কেউ শরীর ঠিক আছে কিনা জানতে চাইত। কেউ বলত লেখা পাচ্ছি না কেন? কবে ফিরবেন? কিন্তু এর উত্তর আমার জানা ছিল না তাই একদিন বাধ্য হয়ে প্রতিলিপি আনইন্সটল করে দিই ঠিকই কিন্তু পাঠকের ভালোবাসা মনে দাগ কেটে যায়। বারবার মনে হচ্ছিল যে আমার গল্পের অপেক্ষায় এত মানুষ বসে আছে যখন, গল্প আমি আবারও লিখব।..."
 

"... সালটা ২০১৯ এর শেষ, একদিন ফেসবুক স্ক্রলিং করতে গিয়ে একটা গল্পের কিছুটা অংশ পাই, এবং সেই সাথেই গল্পের লিঙ্ক... পড়লাম, খুব ভালো লাগল... তখন অবশ্য ব্রাউজার থেকে পড়া যেত অ্যাপ ডাউনলোড করতে হত না সেভাবে, কিন্তু আমার গল্প পড়ার নেশা বহুদিনকার, অ্যাপ ডাউনলোড করলাম। পড়লাম বেশ কিছু লেখা। খুব ভালো লাগল..

নিয়মিত কমেন্ট করতাম সেই সময় প্রত্যেকের লেখায়। এভাবেই একদিন সমীরদা ( সমীর সরকার - ভোলামন ) সঙ্গে পরিচয়। ততদিনে প্রতিলিপিতে আমার পাঁচ জন ফলোয়ার, সমীরদাকে নিয়ে ছয়। বেশ কয়েকটা কবিতা লিখে ফেলেছি ততদিনে — সমীরদা একদিন হঠাৎ করেই বলল, তুমি ধারাবাহিক কেন লেখ না, ধারাবাহিক লেখার চেষ্টা করো.... সেই প্রথম প্রতিলিপিতে কলম ধরা ধারাবাহিক লেখার জন্যে। লিখতে শুরু করলাম, কিন্তু আমিই হয়ত প্রথম ব্যক্তি যে তার জীবনের প্রথম ধারাবাহিক শেষ করেনি আজ‌ও....( তুমি মোর প্রিয় ) 😶😶 ততদিনে ফলোয়ার্স বেড়ে হয়ে কুড়ি। এরপরে লিখলাম সাইকোলাভার আর তাতেই পেলাম সাফল্য। ফলোয়ার্স বেড়ে হল পাঁচশোর বেশী.... তবে বোল্ড স্টোরি লিখতে তখন‌ও হাত কাঁপত। ২০২০ এর শেষ কিংবা ২০২১ এর শুরুতে লিখলাম প্রথম বোল্ড ধারাবাহিক পতিতার ভার্জিনিটি এবং তার বেশ কিছুদিন পর থেকে আমি তোমার পরিনিতা ( এখন‌ও পর্যন্ত যতগুলি ধারাবাহিক লিখেছি, তার মধ্যে সব থেকে প্রিয় ধারাবাহিক এটাই আমার ) .... শুরু হল অদম্য এক পথচলা। তবে পতিতার ভার্জিনিটি লিখতে গিয়ে আমাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে বেশ কিছু হুমকি, অ্যাকাউন্ট রিপোর্টের এবং সেই সাথেই উঠেছে আমার ক্যারেক্টার নিয়ে কথাবার্তা..... ভেঙে পড়েছিলাম, সেই সময় ভীষণ পরিমাণে পাশে দাঁড়িয়েছিল প্রতিলিপির থেকে পাওয়া বেশ কিছু দাদা এবং পাঠকদের, তার মধ্যে রাজকুমারদার ( রাজকুমার মাহাতো )  কথাগুলো আজ‌ও মনে পড়লে অনেক জোড় পাই। কাটিয়ে উঠলাম খারাপলাগা, উজাড় করে দিলাম কলমের মধ্যে দিয়ে নিজের অনুভূতিগুলোকে। সাফল্য পেলাম ফলোয়ার্সের সংখ্যা পৌঁছালো সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি.... সেই আমার পথচলা শুরু.....

বর্তমানে দাঁড়িয়ে আমার ফলোয়ার্স দশ হাজারের দরজার খুব কাছে পৌঁছে গেছে ( ৯৮৯৪ ) এবং পাঠক সংখ্যা 3.5M — মোট সমাপ্ত ধারাবাহিকের সংখ্যা - ১৩টি। তার মধ্যে দুটি রয়েছে ১০০ পর্বের বেশী পর্বযুক্ত ধারাবাহিক, এবং বাকিগুলো ত্রিশ থেকে ষাটের মধ্যে পর্বযুক্ত। অসমাপ্ত ধারাবাহিক‌ও আছে বেশ কয়েকটি। পাঠক, রিভিউ, সমালোচনা, ভিউজ সবকিছুর ধীরে ধীরে কমে আসাতে সেই ধারাবাহিকগুলিকে যথার্থভাবে আমি সমাপ্তি দিতে পারিনি। তবে অবশ্যই শেষ করব। আজ শিবানীদির ( শিবানী চক্রবর্তী) সাথে কথা বলতে বলতে আবারো একটা বিষয়ে ভীষণ পরিমাণে ইন্সস্পায়ার হলাম— লেখা যখন শুরু করেছি, তখন পাঠক সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে সেই ধারাবাহিককে শেষ করাটাই আমার কর্তব্য। এবং আমি অবশ্যই সেই কর্তব্য পালন করব।
এছাড়াও এই মুহূর্তে প্রতিলিপি প্রিমিয়াম বিভাগে আমার চারটে ধারাবাহিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তার মধ্যে একটি ধারাবাহিকের ভিউজ রয়েছে মিলিয়নের কোটায়, যা আমার মতন একজন পাঠক থেকে লেখিকা হয়ে ওঠা মানুষের কাছে ভীষণ বড় পাওয়া।..."

আরও পড়ুন - প্রতিলিপি - এক সফলতার ডানা (চোখের কোলাচ)


 আজ তাহলে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে ফিরে আসব প্রতিলিপি পরিবারের আরও কয়েকজন লেখকের অভিজ্ঞতার কাহিনী নিয়ে। 

সঙ্গে থাকবেন! 

টিম প্রতিলিপি