pratilipi-logo প্রতিলিপি
বাংলা

প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৬

16 অগাস্ট 2023

নমস্কার,

প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব!


"... শুধু গল্প পড়েই আমার কয়েকজন অনুসরণ কারী ছিল । তারপর যখন লিখতে শুরু করলাম ধীরে ধীরে অনুসরণকারী বাড়তে লাগলো আর তেমন করেই কমেন্ট আসতে লাগলো। আমি চেষ্টা করতাম একটু অন্যরকম ভাবে লেখার । সবার থেকে যদি একটু আলাদা লেখা যায় তাহলে বেশ নিজেরই ভালো লাগতো না । আমি সম্পূর্ণ অনুভব থেকে লেখার চেষ্টা করি । সেটা ভূতের হোক বা সামাজিক । নিজে যেটা অনুভব করি সেটাই লিখি । আমরা স্বাভাবিকভাবে যেভাবে কথা বলি সেভাবেই আমি গল্প লেখার চেষ্টা করি । পাঠকরা যেন গল্প পড়তে পড়তে তাদের চোখের সামনে ঘটনা দেখতে পায় । আমার গল্প পড়ে এমন কথা অনেক পাঠকই বলেছেন । এছাড়া ঘটনা বহুল জীবনের অনেক কথাই তো গল্পের আকারে প্রকাশ পেয়ে যায় তাই না ?
                 প্রতিলিপি থেকেই আমাকে একজন উপদেশ দিয়েছিলেন যে ধারাবাহিক লিখলে আরো বেশি পাঠক সংখ্যা ও অনুসরণকারী পাওয়া যাবে , তাই আমার প্রথম ধারাবাহিক গল্প হল "একান্তই ব্যক্তিগত"। ছোট্ট ছোট্ট পর্বে আমি ধারাবাহিক টা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে লাগলাম । আর অদ্ভুতভাবে এই গল্পের জন্য পাঠক সংখ্যা সত্যি ই অভূতপূর্বভাবে বেড়ে গেল । সেই থেকে ছোট গল্পের পাশাপাশি ধারাবাহিক লিখতে শুরু করলাম । প্রতিটা পর্ব বেরোনোর পর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কতগুলো কমেন্ট এলো আর কতজনই বা পড়ল । সেটার জন্য প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মোবাইল খুলে দেখতে লাগলাম ।
              আমি লিখতে পারি এটাই তো আমার মধ্যে ছিল না। আমি জানতামই না যে আমি গল্প লিখতে পারি । স্কুল জীবনে আমি কোনদিন কোন ম্যাগাজিনে লিখেছি বলে তো মনে পড়ে না । অথচ সেই আমি একটার পর একটা গল্প লিখেই চলেছি ।
                      ঠিক দুই বছর আগে আগষ্ট মাসে আমার প্রতিলিপি থেকে প্রথম আয় হয় ২৫৮ . ৯৩ পয়সা । তারপর থেকে আয় যেমন বেড়েছে আবার কখনো কখনো কমেও গেছে । এতদিন জানতাম আমি নাকি ধরতি কা বোঝ । কিন্তু প্রতিলিপি আমাকে লেখক হওয়ার যে সম্মানটা দিয়েছে তারপর এই কথাগুলো সত্যিই খুব মূল্যহীন লাগে । এখন তো কয়েন, স্টিকার, সুপারফ্যান ও প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন থেকেও কিছু পাচ্ছি । এছাড়াও আমার একটা গল্প "বিবাহিতা কুমারী" কমিক্স রাইটসের জন্য নির্বাচিত হয়েছে । সেইজন্য আমাকে কিছু টাকাও দিয়েছে প্রতিলিপি । প্রতিলিপি থেকে লেখকরা যে প্রতিমাসে কিছু যে উপার্জন করতে পারেন , সেটা প্রতিলিপি দেখিয়ে দিয়েছে ।
                      আমার লিখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে । একটা আলাদা জগতে যেন থাকি । মাঝে মাঝে এমনও হয় যে লেখার জন্য একটা শব্দ খুঁজে পাইনা , খুব হতাশ লাগে তখন । নিজের উপর আত্মবিশ্বাসটা যেন কেমন নড়বড়ে হয়ে যায় । ভীষণ অসহায় লাগে । কিচ্ছু ভালো লাগে না তখন । খুব বিরক্ত লাগে নিজের ওপর ।এটা মনে হয় যারা লেখালেখি করে তাদের সবার মধ্যেই দেখা যায় । পরে জেনেছি এটাকে বলে রাইটার্স ব্লক ।  তখন আমি কিছুক্ষণের জন্য লেখাটা ছেড়ে দিয়ে অন্যের গল্প পড়তে শুরু করি । কখনো গান শুনি বা খোলা আকাশের নিচে ছাদের উপর ঘোরাঘুরি করি অথবা গল্প করি বন্ধুদের সাথে। মাথাটা আপনা থেকেই তখন হালকা হয়ে যায় ।..."

আরও পড়ুন - আত্মবিশ্বাস (সুদীপা হালদার 'মুনিয়া') 


"... 2020 সালের প্রথম দিকে।
মোবাইলে প্রতিলিপি অ্যাপ ডাউনলোড করে লিখতে শুরু করলাম। ঝরা পাতারা ধারাবাহিক আকারে প্রকাশ করতে শুরু করলাম।
মনে আছে পাঠক সংখ্যা দেখছি। একশ ছাড়িয়ে গেল। পাঁচশ থেকে হাজার। ভীষণ আনন্দ হলো। মানুষের ভালো লাগছে আমার লেখা। ফলোয়ার বাড়ছে। খুব ধীর গতিতে। একহাজার ফলোয়ার হওয়ার আগে তিনটে উপন্যাস লেখা হয়ে গেল। মনে হতো একজনও যদি আগ্রহ নিয়ে পড়েন তার জন্য আমি লিখব। কখনও মনে হয়নি এত কম পাঠক, এত কম ফলোয়ার, লেখা ছেড়ে দিই। 
মনে হলো এতটা জীবন পেরিয়ে যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি তা যখন লেখার সুযোগ পেয়েছি তখন লিখে রেখে যাব। 

আমি যখন লিখতে শুরু করলাম, তখনও প্রতিলিপি থেকে রয়্যালটি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। আমরা যারা লিখছি সবাই মনের আনন্দেই লিখি। তারপর এলো স্টিকার, কয়েন দিয়ে লেখকদের সাপোর্ট করার সিস্টেম। প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের পদ্ধতি।

আমার মনে আছে ২০২১ সালের জুন মাসে আমার প্রথম উপার্জন আসে প্রতিলিপি থেকে। তিনশ এগারো টাকা। পাঠকদের কয়েন এবং স্টিকার থেকে। ভীষণ ভালো লেগেছিল। পাঠকরা আমার গল্প পড়ছেন। স্টিকার দেওয়ার উপযুক্ত মনে করছেন। 

এরপর প্রতিলিপি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করলাম। সেরা সাহিত্যিক অ্যাওয়ার্ড। সেরা কলমকার প্রতিযোগিতা। 
সেরা কলমকার-১ প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্রতিলিপি থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হলো। আইপি কন্ট্রাক্টের জন্য। এটা আমার কাছে ছিল একটা অভুতপুর্ব সুযোগ। অসামান্য প্রাপ্তি। এখন থেকে শুধু লেখা নয়, সেই লেখার মর্যাদা পাব। মূল্য পাব।..."

আরও পড়ুন - ইচ্ছেডানায় উড়াল (স্বর্ণলতা রায় কবিরাজ)


"... প্রতিলিপিতে ২০০ অনুসরণকারী না হলে  সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস এ অংশগ্রহণ করা যায় না। এই ২০০ অনুসরণকারী করতে আমাকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে। পাঠক সংখ্যা বললেও অনুসনকারী কিছুতেই বাড় ছিল না। সাফল্যের সিঁড়িতে তো খুব শীঘ্রই পৌঁছানো যায় না। এখানেই তো ধৈর্যের প্রমাণ। আমি ভেবে নিয়েছিলাম একদিন ঠিক অনুসনকারীর সংখ্যাও বাড়বে। তাই চেষ্টা করতে ছাড়িনি। আজকে দেখুন আমার    2.2 k পেরিয়ে গেছে। পাঠক সংখ্যা 11,90500. নেহাতি মন্দ নয়।

নানা রকম প্রতিলিপির আয়োজিত অনলাইন সাহিত্য প্রতিযোগিতা গুলোতে লিখতে শুরু করলাম। আর বিজয়ী তালিকায় স্থান  পেয়ে গেলাম।সেরা কলমকার ওয়ার্ডাস  3, আমার লেখা "লাশ"   গল্প বিজয়ী তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করে।তারপর সেরা কলমকার ওয়ার্ডাস4
তাতে আমার লেখা,' ক্রাইম ইন কলকাতা 'বিজয়ী তালিকায় স্থান পায়।ওখান থেকেই আমার প্রথম উপার্জন শুরু হয়।
১/৫/২০২২ আমার কাছে প্রতিলিপি থেকে একটা নোটিশ আসে,আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস আমাদের পাঠান। পাঠানোর কিছুদিন পরেই আমার প্রথম উপার্জন প্রতিলিপি থেকে ৬৭৯.১৪ তা আমার একাউন্টে এড হয়। তাছাড়া প্রতিযোগীতা থেকেও, দু দুবার ১০০০ করে ব্যাংকে জমা হয়।

প্রথমে প্রতিলিপিতে সুপার ফ্যান  বা অন্য কোন উপায় থেকে টাকা ইনকামের ব্যবস্থা ছিল না।  আজ প্রতিলিপি  অনেক উন্নত। এটা আস্তে আস্তেই শুরু হয়। যতদিন যেতে লাগল প্রতিলিপি অনেক ফিচার তৈরি করল। আর তাতে লেখকদের আর্থিক উপার্জনের পথ সুনিশ্চিত হল। স্টিকার থেকে, সুপারফ্যান থেকে, এখন তো সব থেকে ভালো প্রিমিয়াম থেকে লেখকরা তাদের লেখার জন্য একটা মোটা রকম ইনকাম করছেন। সকল লেখকের আয়ের সংখ্যা সমান না হলেও, আয় থেকে বাদ পড়েনি কেউ। ..."

আরও পড়ুন - ইচ্ছেপূরণ (চৈতালী মুখার্জী)


 "...প্রতিলিপিতে এভাবেই আমার দিন কাটছিলো। কিন্তু হটাৎ একদিন মহামারী এলো দুনিয়ায়। সেই সময়টা আমার কাছে বিভীষকা ময় ছিলো। সেই সময় হটাৎ পারিবারিক কারণে আমার লেখা বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিলিপি থেকে তৈরী হয় দূরত্ব। ক্রমশ লেখার থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। হারাতে থাকে পাঠক। এই সময়টা ছিলো আমার অন্ধকার সময়। তবে অন্ধকার দীর্ঘদিন থাকেনা। তাই হটাৎ একদিন প্রতিলিপি থেকে ফোন এলো।

ঠিক যেমন নিজের পরিবারের মানুষ হারিয়ে গেলে আমরা ফিরিয়ে নিয়ে আসি ঠিক সেরকম টিম প্রতিলিপি ফিরিয়ে নিয়ে এলো আমাকে। আমি আবারও প্রাণ ফিরে পেলাম। ততদিনে প্রতিলিপি আরও উন্নতির পথে এগিয়ে গেছে। শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা।

আমি যে সময় ফিরে আসি সে সময় প্রতিলিপি তে চলছিল "সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ড " আমি সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি গোল্ডেন ব্যাচ পাওয়ার মাধ্যমে। এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার মূল্য আর তার সাথে বিভিন্ন উপহার আমাকে অবাক করে দিয়েছিলো। অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে এ ধরণের পুরস্কার পাওয়া যায়না। শুধু "সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ড " নয় তার সাথে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতার সুযোগ চোখে পড়ে প্রতিলিপির অনলাইন প্রতিযোগিতা বিভাগে।
আমি অংশগ্রহণ করা শুরু করি। আর এই প্রতিযোগিতার হাত ধরে বেশি পর্বের গল্প লেখা শুরু করি। সেই সময় প্রতিলিপি প্রিমিয়াম চালু হয়ে গিয়েছিলো। আমার চোখে পড়লো প্রিমিয়াম থেকে বহু লেখক লেখিকা উপার্জন করছে।
এই প্রতিলিপি প্ল্যাটফর্ম আমাকে প্রথম সুযোগ দিল লেখালিখি থেকে উপার্জন করার।
সেদিন আমি ভীষণ খুশি হলাম। কারণ আমার মত গৃহবধূ ও যে বাড়ি বসে লেখার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারে সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিলো। আমার ধারণা কে নাকচ করে সঠিক জিনিসটা বুঝিয়ে দিল প্রতিলিপি। আমি প্রথম ১০০টাকা উপার্জন করলাম প্রতিলিপি থেকে স্টিকারের মাধ্যমে। কারণ প্রতিলিপিতে তখন স্টিকার দিয়ে সমর্থন শুরু হয়ে গিয়েছে। মাসের প্রথম সপ্তাহে আমার করা উপার্জন আমার ব্যাঙ্কে সরাসরি চলে এলো।
সেই দিনটা আমার কাছে এমন একটা দিন ছিলো যেটা হয়ত অল্প কথায় ব্যখ্যা করা স্বম্ভব নয়। মনের মধ্যে এতটাই আলোড়ন ফেলেছিলো যে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলাম যে আমিও কিছু উপার্জন করতে পারি।
এরপর প্রতি মাসে আমার গল্পের জন্য সন্মানিক পেতে থাকলাম প্রতিলিপি থেকে। আমার মত এখানে উপস্থিত অনেক লেখক লেখিকা উপার্জন করছে প্রতিলিপি থেকে।..."

আরও পড়ুন - প্রতিলিপির যাত্রা পথ (সোমালী সরকার) 


 "... নিজের ভালোবাসা থেকে যেদিন প্রথম ইনকাম হয়েছিল আমি ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। আমার এই সাধারণ লেখা থেকেও ইনকাম হতে পারে?? প্রতিলিপি আমায় প্রথম আমার লেখা সবার সামনে আনতে সাহায্য করেছে, তাতে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ ছিলাম আর তারপর টাকা?? মানে সত্যি?? সত্যি টাকা আমার একাউন্টে ঢুকছে?? আমি যে কতবার চেক করেছি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা হতে হতে, ১/৯/২০২২ এ একাউন্টে ঢুকলো ৪০০০ টাকা। লেখা থেকে প্রথম এতো টাকা ইনকাম। আনন্দটা বলে বোঝানোর মত না। সেদিন প্রথম বাড়িতে জানালাম, আমি লিখি আর লেখা থেকে টাকাও ইনকাম করি। প্রথম উপার্জন যারা নিজের ফ্যামিলির হাতে তুলে দিয়েছেন, তারা হয়তো অনুভূতিটা বুঝতে পারবেন। লেখা থেকে ইনকাম করবো ভাবিনি, তবে আজ যখন টাকা একাউন্ট-এ ঢোকে তখন খারাপ লাগে না। ভালোলাগাটা প্রফেশন হলে মন্দ কি??

নিজের ইনকামের ৫০০০০ টাকা তুলে দিয়েছিলাম বাবার হাতে, বিশ্বাস করুন চেক লিখতে বেশ লাগছিলো।
আমার লেখা "ভাগ্যের বন্ধনে" গল্পটা প্রিমিয়ারে যাওয়ার পরই টাকার পরিমান বাড়তে থাকে, যত বেশি পাঠক, ততো বেশি টাকা। তবে সুপারফ্যান, স্টিকার, কয়েন পেলে ওই টাকার পরিমান আরও বেড়ে যায়।

প্রতিলিপি প্রথম আমার নামের পাশে "লেখক" উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে। আমার লেখাকে কোনোরকম বিচার বিবেচনা ছাড়াই সবার সামনে তুলে ধরেছে, আমাদের মতো আনকোরা লেখকদের নানান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎসাহিত করেছে। নানান পুরস্কার, এছাড়াও লেখাগুলো যাতে পরবর্তী কালে কোনো সিনেমা বা সিরিয়ালে চান্স পায় তারও প্রচেষ্টা করে চলেছে অনবরত। প্রথম কোনো অ্যাপ্ যা মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভাকে বাইরে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। লেখালেখিকে কেউ নিজের প্রফেশন বলতে ভয় পায়, কোনো বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করলে, সে ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার, টিচার হবার কথাই বলে। লেখক হতে কেউ চায় না। কেউ যদি বলেও ফেলে, আসে পাশের মানুষ ব্যঙ্গ করে। তাই বেশির ভাগ লেখা খাতার মধ্যে লোকানোই থেকে যায়। কিন্তু প্রতিলিপি নতুন সমাজ গড়ছে, বেশির ভাগ মানুষ নির্ভয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করছে প্রতিলিপির মাধ্যমে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছে, আমি লেখক হতে চাই।..." 

আরও পড়ুন - প্রতিলিপির হাত ধরে সাফল্যর খোঁজ (কনক রাই)


 

আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতে আরও কাহিনী যুক্ত হবে। সঙ্গে থাকবেন

টিম প্রতিলিপি