pratilipi-logo প্রতিলিপি
বাংলা

আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি!

4.9
3191

PRATILIPI you make me a, you make me a believer ❤️ #guest_bloging

এখন পড়ুন
লেখক পরিচিতি
author
Mysterious Girl 💞

আমার কলম বাঁচে ভালোবাসার উষ্ণ আঁচে ❤️✒️ "আমি আপন রুপে আপনে ভুলি, পাষান আমি তাই রে আমি নিজের খেয়া আপনে চালাই, অন্য কেবা চাইরে!!" - Mysterious Girl💞 "মিশু" Imagination is more important than knowledge. Knowledge is limited Imagination encircle the world 💞 খামখেয়ালী তালে চলা এক পথচারী আমি। জীবনের চড়াই উৎরাই উপভোগ করতে করতে নদীর প্রবাহে বয়ে চলেছি। কিছুটা স্বপ্ন, কাল্পনিক ভাবনা ও বাকিটা বাস্তব মিলিয়ে লিখি নিজের মনের ভাব গুলো। তৈরি করি নিজের স্বপ্নের দুনিয়া আর তার সাক্ষী থেকে যান আপনারা। ✿ Facebook Page :- মিশু ✧ Facebook Profile :- Mismi Bhunia ♡ Instagram ID :- myself_mismi ❥ YouTube :- Mishu's Creation

রিভিউসমূহ
  • author
    আপনার রেটিং

  • মোট রিভিউ
  • author
    রিশু সুপারফ্যান
    01 ജൂണ്‍ 2023
    চোখে জল এসে গেলো তোমার জার্নি পড়ে।না কষ্টে নয় আনন্দে। ফার্স্ট লকডাউনে যখন ফোনটা হাতে পাওয়ার পরই ফেসবুক খুলেছিলাম,সেখান থেকেই প্রতিলিপির কথা জানতে পারি। গল্পপোকা হওয়ার জন্য প্রতিলিপির সাথে ভাব জমাতে বেশিদিন সময় লাগেনি।আগে ভাবতাম এটা হয়তো একটা ফেসবুক পেজ। পরে জেনেছিলাম যে এটা একটা অ্যাপ,গল্পের খনি বলা যায় যাকে। তোমার গল্প পড়ার শুরুটা বেশ ইন্টারেস্টিং😄😄😄😄😄😄তখন তো আর এই প্রিমিয়াম ছিল না,সব গল্প ফেসবুক থেকে ফ্রি তেই পড়া যেতো।তখন একটা গল্প ট্যাপ করলে সেটার নিচে আরো অনেক গল্পের লিংক আসতো।তো বেশ কয়েকদিন ধরেই দুটো গল্পের লিংক বারবার আসছিল - "মায়াবতী","love me like you do"। তো কয়েকদিন ধরে একই গল্প দেখতে দেখতে একদিন মনে হলো যে কি রে বাবা এই দুটো গল্পের লিংক বারবার কেন আসছে,কি এমন আছে গল্প দুটোই। পড়েই দেখি কি এমন আছে এতে যে এর লিঙ্ক বারবার আসছে।পড়তে শুরু করি "love me like you do"তারপর ইতিহাস😄😄😄😄😄😄😄😄বিভোর হয়ে একটানা পুরো গল্পটা পড়ে শেষ করেছিলাম।মারাত্মক সুন্দর গল্পটা পড়ার পর মনে হয়েছিল ভাগ্যিস অধৈর্য হয়ে পড়তে এসেছিলাম,নইলে একটা অসম্ভব সুন্দর কিছু মিস করে যেতাম জীবনে।চরিত্র দুটোর প্রেমে পড়ে গেছিলাম।তখন গল্পের লেখিকার নাম জানতাম না আমি। মানে শুধু গল্পটাতেই ডুবে গেছিলাম।কয়েকদিন পর আবার "মায়াবতী" এর অ্যাড দেখে ওটা পড়তে শুরু করি। ও মা এখানেও আয়ান সাগরিকা!!কিসের টানে গল্পটা পড়তে শুরু করলাম।কয়েকটা পর্বের পর দেখি একটা পর্বের শেষে লেখা আছে আয়ান সাগরিকা আমার পছন্দের দুই চরিত্র তাই ওদের আমি গল্প থেকে সরিয়ে দিতে পারবো না।মনে মনে ভীষণ খুশি হয়ে বলে উঠেছিলাম হ্যাঁ হ্যাঁ ওরা দুজন থাকুক,আমার খুব ভালো লাগে ।তখনই লেখিকার নামটাও দেখি। mysterious girl মিশু।ভাবলাম লেখিকা দারুণ লেখে কিন্তু।কিন্তু "মায়াবতী" পড়তে পড়তে হটাৎ মা কিছু জরুরী কাজে ডেকে দেওয়াই শেষ পর্বটা আর পড়া হলোনা।প্রচন্ড একটা উত্তেজনা চেপে রেখে উঠে চলে gechilam। আশ্চর্যের বিষয় হলো আর কোনোদিন ফেসবুকে গল্পটা খুঁজেই পায়নি।কত চেষ্টা করেছি লেখিকার নাম দিয়ে গল্পের নাম দিয়ে কিন্তু খুঁজে আর পেলাম না।বেশ কয়েকদিন পর মেসেঞ্জারে প্রতিলিপি কে মেসেজ করতে ওরা জানালো এভাবে কোনো গল্প ওরা দিতে পারবে না মেসেঞ্জারে,অ্যাপ ইন্সটল করে সেখানে সার্চ করতে হবে।ব্যাস করে নিলাম ইনস্টল।এসেই ফার্স্ট সার্চ করলাম mysterious girl মিশু।ব্যাস তারপর যে কি magic করলে দু বছরের বেশি হয়ে গেলো তবুও তোমায় ছেড়ে যেতে পারলাম না।একটা মজার কথা শোনো,যখন আমি তোমার লেখা পড়তে শুরু করি তখন কয়েকটা গল্প টানা অমোঘ আকর্ষণে পড়ে গেছি।তারপর ভয় হয়ে গেলো এভাবে যে পড়ছি যদি ওদের গল্প শেষ হয়ে যায় তখন কি করবো,এটা তো নেশার মত হয়ে যাচ্ছে আমার।তার থেকে থাক এভাবে পড়বো না,একটু একটু করে পড়বো।সেগুরে বালি 😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄পড়তেই থাকলাম,পড়তেই থাকলাম ভাবলাম যা হবে হোক এভাবে একটু একটু করে নিজের পছন্দের গল্প পড়তে পারবো না আমি।আমার ভয়টা যে সত্যি হয়নি এতেই আমি হেপ্পি🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰 আর একটাই প্রার্থনা আমার ভয় যেন কখনো সত্যি না হয়।কথা দিলাম সারাজীবন পাশে থাকবো।তুমি লিখতে থাকো।কোনোদিন "ছেড়ে যেও না" আরো একবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই❤️❤️❤️❤️❤️❤️ভালো থেকো। আর ধন্যবাদ আমাদের "মন কেমনের সঙ্গী" করে আয়ান সাগরিকাকে পাঠানোর জন্য🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
  • author
    01 ജൂണ്‍ 2023
    তোমার জার্নি পড়তে পড়তে কয়েক মুহূর্তের জন‍্য একটা ঘোরের মধ‍্যে চলে গেছিলাম আমি ! যেন এমনই মনে হচ্ছিল তোমার জীবনের প্রতিটা ঘটনা আমি নিজের স্বচক্ষে দেখছি,! লকডাউনের ঘটনা টা যখন বললে, তখন আমার অজান্তেই চোখে দুটো জলে ভরে উঠলো! উম্ম না না দুঃখে নয় কিন্তু বরং আনন্দে, অদ্ভুত একটা আনন্দ। আমার এখনো মনে আছে সেইদিনটা, যেইদিন আমি প্রথম প্রতিলিপি নামক প্লাটফর্ম এ আসি.., কাউকে চিনতাম না সেই ভাবে, মোটামুটি গল্প মানেই আমার প্রথম ভালোবাসা। তাই যা চোখের সামনে দেখতে পেতাম তাই পড়তে শুরু করে দিতাম। কিন্তু বিরক্তি জিনিসটা আমার মধ‍্যে আসিনি। বছর দুয়েক আগের কথা.., মন মেজাজ একদমই ভালো ছিল না সেইদিন হঠাৎই প্রতিলিপির কথা মনে পরল, মনে হল কিছুটা সময় আমার একান্ত ভাবে কাটানো উচিৎ। সোজা ভর দুপুর বেলায় ছাঁদের মধ‍্যে চলে গেলাম..., ব‍্যাস্ ছাঁদের মধ‍্যে উঠে এসে বসে পরলাম , শীত কাল ছিল তখন তাই সমস্যা হচ্ছিল না বসতে! সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা হাতে নিয়ে চট জলদি প্রতিলিপি খুলে ফেললাম, আর খুলতেই তোমার লেখা "Love me like you do" গল্পটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। গল্পর টাইটেল টা এতই টানছিল আমাকে আমি সোজা গল্পটা খুলে পড়তে বসে গেলাম, সত‍্যি বলতে সেইদিন আমি এতটাই ডুবে গেছিলাম আমার সময় জ্ঞানই ছিল নাহ্, কখন যে দুপুর গরিয়ে রাত হয়ে গেছে তা একটু জন‍্যও টের পাইনি। বাড়ির লোক তখন আমার জন‍্য চিন্তায় অস্থির, কি হলো আমার ঘরে না এসে ছাদে বসে আছি একা একা, অনেক বার ডাক দেওয়ার পরেও কেউ আমার সারা শব্দ টুকু পাইনি! শেষে আমার ধ‍্যান ভাঙলো মায়ের হাতের "খুন্তির বারিটা" খেয়ে 🤭 আমার এখনো সেই দিনটার কথা মনে পরলে আমার বেজায় হাসি পায়। যেই মোহনা কিনা এক জায়গায় এক সেকেন্ডের জন‍্যও স্থির হয়ে বসে না, সেই মোহনাই কিনা দুপুর থেকে রাত অবধি এক জায়গায় ঠাঁয় বসে রইল.., কি ভাবে সম্ভব এটা? আমার বাড়ির লোক জনের মুখে আমি নিজের কান্ড শুনে নিজেই অবাক হলাম। শুধুমাত্র এতেই থেমে থাকিনি আমি, রাতের পর রাত ফোনের দিক থেকে চোখ সরতো না আমার, প্রতিটা গল্প তোমার এতটাই মনযোগ দিয়ে পড়েছি, এতটাই খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছি পুরো গল্প গুলো আমার ঝড়ঝড় করে মুখস্ত হয়ে গেছে। না না শুধু পড়েছি বললে ভুল হবে, আমি রীতিমতো আমার সব বন্ধুদের মাথা খারাপ করতাম তোমার গল্প গুলো ওদের শুনিয়ে শুনিয়ে! যদিও ওরা বেজায় বিরক্ত হত আমার উপর, কারন ফোন করলেই ওরা শুনতে পেত "আমি এখন ব‍্যস্ত আছি আয়ান দা আর সাগরিকা দির সঙ্গে। এখন কথা বলা যাবে না পড়ে সময় পেলে ফোন করে নেবো।" একদিকে আমার বন্ধুরা যেই ভাবে আমার প্রতি বিরক্ত ছিল আমার গল্প পড়া নেশা নিয়ে, ঠিক অন‍্যদিকে আমার পরিবারের লোকজনেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতো আমার এই পড়ার নেশা দেখে। অন্তত বাড়ি বয়ে এসে আর কেউ আমার নামে কমপ্লেন নিয়ে আসছে না।... বেশ দিন কাটছিল, তোমার গল্প পড়তে পড়তে আমি যেন হারিয়েই যেতাম, প্রতিটা ঘটনা যেন চোখে সামনে ভেসে উঠতো! আমার মন ভালো রাখার একমাত্র মেডিসিন " Mysterious girl" 'মিশু' সেটা তখনও ছিল আর এখনো একই ভাবে আছে। প্রতিলিপিতে এসে প্রথম ফলো আমি তোমাকেই করেছিলাম, তারপর আয়ান দা আর সাগরিকা দি, ওদের সঙ্গে যেন আমি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি! এখনো আমার কোনো কারনে মন খারাপ হলে আমি এখনো সেই ছাদের অন্ধকারে চলে যাই, আর ফোনটা হাতে নিয়েই খুলে ফেলি তোমার প্রোফাইল টা, আর ব‍্যাস পড়তে শুরু করে দিই। একটা ব‍্যাপার কি যেন আমি এতবারই পড়েছি তোমার গল্প একটুর জন‍্যও আমি বিরক্ত হয়নি, বরং আমার খুব ভালো লাগে। আমি কাল রাতেও 'তুমি না আমি আমি' গল্পটা প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়ে শেষ করেছি। শুতে শুতে প্রায় ভোর! দিনে এটা আমার অভ‍্যেস হয়ে গেছে, চা - কফি ছাড়া আমার দিন চলে যাবে, তবে মিশু দিদিয়াকে ছাড়া কিন্তু আমার একদন্ডও চলবে না। আমার নিজের উপর এখন ভিষণ রাগ হয়, সময়ের অভাবে আমি রিভিউ টুকুও দিতে পারি না, তবে খালি ভয় ভয়ও হয়, এই যে আমি মাঝে সাঝে রিভিউ দিই, তাতে তুমি রেগে যাবে না তো! ভয় টাকে আপাতত চেপে রেখে দিই, কারন জানি সহজে রাগ করবে না তুমি! পড়াশোনা আর কাজের মাঝে এমন ভাবেই ডুবে আছি নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসৎ নেই আমার। রোজ রাতে আমার মাথার পোকা গুলো কিলবিলিয়ে উঠে, বার বার আমাকে তারা মনে করিয়ে দেয়,"সারাদিনের ব‍্যস্ততার মাঝে, দিদিয়ার গল্পগুলো পড়া হয়নি কিন্তু.., গল্প গুলো না পড়ে ঘুমাতে যাবি না একদম।" ব‍্যাস বসে পরি ফোনটা নিয়ে, বলছি না তুমি আমার অভ‍্যেস হয়ে গেছো! এই অভ‍্যেস যেন আজীবন এভাবেই থেকে যায়। "Mysterious girl"'মিশু' কে কিন্তু এই মোহনা ছেড়ে কোথাও যাবে না কথা দিলাম, ঠিক তেমন মিশুকেও কথা দিতে হবে "সেও যেন কোনো কিছুর বিনিময়ে আমাদের সবাইকে ছেড়ে না যায়।" গেলেও কি, আমি বাব্বা সোজা গিয়ে বাড়িতে গিয়ে হানা দেবো, হ‍্যাঁ ঠিকানা ঠিক জোগাড় করে নেবো, সেই সব নিয়ে চাপ নেই আমার প্রিয় লেখিকা কাম দিদিয়া বলে কথা। 😄👉👈❤ যাক গে, আসল কথায় আসি, আমি আজ মন্দিরে গেছিলাম আর সেখানে তোমার জন‍্য প্রার্থনা করেছি, বেশি কিছু বলছি না, শুধুমাত্র লাস্টের টুকুই বলি 'হে কালি মা আমার মিশু দিদিয়ার লাইফে হুস করে একটা আয়ান দার এন্ট্রি করে দাও তো দেখি।"😌 বোধহয় মা ঠিক শুনবে, আরে আমার বিশ্বাস। একটা আয়ান দাকে এবারে সত্যি চাই 🤭। যাই হোক, তুমি সুস্থ থাকো, ভালো থাকো, আনন্দে থাকো সব সময়। তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হোক.., আরো একবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই ❤😘... আর অনেক ধন্যবাদ "আয়ান চৌধুরী আর সাগরিকা সেন" কে আমাদের সবার মাঝে এনে দেওয়ার জন‍্য 🦋🙃 তোমার কলম চলতে থাকুক সর্বদা। 🖊📝
  • author
    Ankita Deb✨অঙ্কি🫧
    01 ജൂണ്‍ 2023
    দিভাই আমি কী বলব ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তোমার সব গল্প গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে প্রেম পয়জেন, ইতিউতি, স্পর্শ, পারফেক্ট রিলেশনশিপ, ওরা মনের গোপন চেনে না, ফিলিংস ফর ইউ, বাউন্ডুলে মন, মায়াবতী সিসন 1, 2,প্রেম পতন, প্রেমাভিযান। সেভাবে রিভিউ দেওয়া হয় নি ঠিকই তবে গল্প গুলো খুবই ভালো লেগেছে। আমি নিজেও একজন লেখিকা। অনেক ঘাত প্রতিঘাত এসেছে,,, লেখালিখি ছেড়ে দিয়েছিলাম,, কিন্তু আবারও শুরু করেছি কারন লেখালিখি ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয়। তুমি আমার ইন্সপিরিশন। তোমার প্রতিলিপির জার্নি পড়ে খুব ভালো লাগল, খুব অনুপ্রাণিত হলাম। তুমি চিন্তা করো না, সবসময় তোমার পাশে আছি। তোমার লেখা এত ভালো,, একদিন তুমি অনেক বড়ো হবে, সারা পৃথিবী তোমাকে চিনবে। আমার খুব প্রিয় লেখিকা তুমি,, এভাবেই আরও সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দাও আমাদের। ও হ্যাঁ,, শুভ জন্মদিন দিভাই।❣❣❣❣অনেক ভালোবাসা রইল।
  • author
    আপনার রেটিং

  • মোট রিভিউ
  • author
    রিশু সুপারফ্যান
    01 ജൂണ്‍ 2023
    চোখে জল এসে গেলো তোমার জার্নি পড়ে।না কষ্টে নয় আনন্দে। ফার্স্ট লকডাউনে যখন ফোনটা হাতে পাওয়ার পরই ফেসবুক খুলেছিলাম,সেখান থেকেই প্রতিলিপির কথা জানতে পারি। গল্পপোকা হওয়ার জন্য প্রতিলিপির সাথে ভাব জমাতে বেশিদিন সময় লাগেনি।আগে ভাবতাম এটা হয়তো একটা ফেসবুক পেজ। পরে জেনেছিলাম যে এটা একটা অ্যাপ,গল্পের খনি বলা যায় যাকে। তোমার গল্প পড়ার শুরুটা বেশ ইন্টারেস্টিং😄😄😄😄😄😄তখন তো আর এই প্রিমিয়াম ছিল না,সব গল্প ফেসবুক থেকে ফ্রি তেই পড়া যেতো।তখন একটা গল্প ট্যাপ করলে সেটার নিচে আরো অনেক গল্পের লিংক আসতো।তো বেশ কয়েকদিন ধরেই দুটো গল্পের লিংক বারবার আসছিল - "মায়াবতী","love me like you do"। তো কয়েকদিন ধরে একই গল্প দেখতে দেখতে একদিন মনে হলো যে কি রে বাবা এই দুটো গল্পের লিংক বারবার কেন আসছে,কি এমন আছে গল্প দুটোই। পড়েই দেখি কি এমন আছে এতে যে এর লিঙ্ক বারবার আসছে।পড়তে শুরু করি "love me like you do"তারপর ইতিহাস😄😄😄😄😄😄😄😄বিভোর হয়ে একটানা পুরো গল্পটা পড়ে শেষ করেছিলাম।মারাত্মক সুন্দর গল্পটা পড়ার পর মনে হয়েছিল ভাগ্যিস অধৈর্য হয়ে পড়তে এসেছিলাম,নইলে একটা অসম্ভব সুন্দর কিছু মিস করে যেতাম জীবনে।চরিত্র দুটোর প্রেমে পড়ে গেছিলাম।তখন গল্পের লেখিকার নাম জানতাম না আমি। মানে শুধু গল্পটাতেই ডুবে গেছিলাম।কয়েকদিন পর আবার "মায়াবতী" এর অ্যাড দেখে ওটা পড়তে শুরু করি। ও মা এখানেও আয়ান সাগরিকা!!কিসের টানে গল্পটা পড়তে শুরু করলাম।কয়েকটা পর্বের পর দেখি একটা পর্বের শেষে লেখা আছে আয়ান সাগরিকা আমার পছন্দের দুই চরিত্র তাই ওদের আমি গল্প থেকে সরিয়ে দিতে পারবো না।মনে মনে ভীষণ খুশি হয়ে বলে উঠেছিলাম হ্যাঁ হ্যাঁ ওরা দুজন থাকুক,আমার খুব ভালো লাগে ।তখনই লেখিকার নামটাও দেখি। mysterious girl মিশু।ভাবলাম লেখিকা দারুণ লেখে কিন্তু।কিন্তু "মায়াবতী" পড়তে পড়তে হটাৎ মা কিছু জরুরী কাজে ডেকে দেওয়াই শেষ পর্বটা আর পড়া হলোনা।প্রচন্ড একটা উত্তেজনা চেপে রেখে উঠে চলে gechilam। আশ্চর্যের বিষয় হলো আর কোনোদিন ফেসবুকে গল্পটা খুঁজেই পায়নি।কত চেষ্টা করেছি লেখিকার নাম দিয়ে গল্পের নাম দিয়ে কিন্তু খুঁজে আর পেলাম না।বেশ কয়েকদিন পর মেসেঞ্জারে প্রতিলিপি কে মেসেজ করতে ওরা জানালো এভাবে কোনো গল্প ওরা দিতে পারবে না মেসেঞ্জারে,অ্যাপ ইন্সটল করে সেখানে সার্চ করতে হবে।ব্যাস করে নিলাম ইনস্টল।এসেই ফার্স্ট সার্চ করলাম mysterious girl মিশু।ব্যাস তারপর যে কি magic করলে দু বছরের বেশি হয়ে গেলো তবুও তোমায় ছেড়ে যেতে পারলাম না।একটা মজার কথা শোনো,যখন আমি তোমার লেখা পড়তে শুরু করি তখন কয়েকটা গল্প টানা অমোঘ আকর্ষণে পড়ে গেছি।তারপর ভয় হয়ে গেলো এভাবে যে পড়ছি যদি ওদের গল্প শেষ হয়ে যায় তখন কি করবো,এটা তো নেশার মত হয়ে যাচ্ছে আমার।তার থেকে থাক এভাবে পড়বো না,একটু একটু করে পড়বো।সেগুরে বালি 😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄😄পড়তেই থাকলাম,পড়তেই থাকলাম ভাবলাম যা হবে হোক এভাবে একটু একটু করে নিজের পছন্দের গল্প পড়তে পারবো না আমি।আমার ভয়টা যে সত্যি হয়নি এতেই আমি হেপ্পি🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰 আর একটাই প্রার্থনা আমার ভয় যেন কখনো সত্যি না হয়।কথা দিলাম সারাজীবন পাশে থাকবো।তুমি লিখতে থাকো।কোনোদিন "ছেড়ে যেও না" আরো একবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই❤️❤️❤️❤️❤️❤️ভালো থেকো। আর ধন্যবাদ আমাদের "মন কেমনের সঙ্গী" করে আয়ান সাগরিকাকে পাঠানোর জন্য🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
  • author
    01 ജൂണ്‍ 2023
    তোমার জার্নি পড়তে পড়তে কয়েক মুহূর্তের জন‍্য একটা ঘোরের মধ‍্যে চলে গেছিলাম আমি ! যেন এমনই মনে হচ্ছিল তোমার জীবনের প্রতিটা ঘটনা আমি নিজের স্বচক্ষে দেখছি,! লকডাউনের ঘটনা টা যখন বললে, তখন আমার অজান্তেই চোখে দুটো জলে ভরে উঠলো! উম্ম না না দুঃখে নয় কিন্তু বরং আনন্দে, অদ্ভুত একটা আনন্দ। আমার এখনো মনে আছে সেইদিনটা, যেইদিন আমি প্রথম প্রতিলিপি নামক প্লাটফর্ম এ আসি.., কাউকে চিনতাম না সেই ভাবে, মোটামুটি গল্প মানেই আমার প্রথম ভালোবাসা। তাই যা চোখের সামনে দেখতে পেতাম তাই পড়তে শুরু করে দিতাম। কিন্তু বিরক্তি জিনিসটা আমার মধ‍্যে আসিনি। বছর দুয়েক আগের কথা.., মন মেজাজ একদমই ভালো ছিল না সেইদিন হঠাৎই প্রতিলিপির কথা মনে পরল, মনে হল কিছুটা সময় আমার একান্ত ভাবে কাটানো উচিৎ। সোজা ভর দুপুর বেলায় ছাঁদের মধ‍্যে চলে গেলাম..., ব‍্যাস্ ছাঁদের মধ‍্যে উঠে এসে বসে পরলাম , শীত কাল ছিল তখন তাই সমস্যা হচ্ছিল না বসতে! সঙ্গে সঙ্গে ফোনটা হাতে নিয়ে চট জলদি প্রতিলিপি খুলে ফেললাম, আর খুলতেই তোমার লেখা "Love me like you do" গল্পটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। গল্পর টাইটেল টা এতই টানছিল আমাকে আমি সোজা গল্পটা খুলে পড়তে বসে গেলাম, সত‍্যি বলতে সেইদিন আমি এতটাই ডুবে গেছিলাম আমার সময় জ্ঞানই ছিল নাহ্, কখন যে দুপুর গরিয়ে রাত হয়ে গেছে তা একটু জন‍্যও টের পাইনি। বাড়ির লোক তখন আমার জন‍্য চিন্তায় অস্থির, কি হলো আমার ঘরে না এসে ছাদে বসে আছি একা একা, অনেক বার ডাক দেওয়ার পরেও কেউ আমার সারা শব্দ টুকু পাইনি! শেষে আমার ধ‍্যান ভাঙলো মায়ের হাতের "খুন্তির বারিটা" খেয়ে 🤭 আমার এখনো সেই দিনটার কথা মনে পরলে আমার বেজায় হাসি পায়। যেই মোহনা কিনা এক জায়গায় এক সেকেন্ডের জন‍্যও স্থির হয়ে বসে না, সেই মোহনাই কিনা দুপুর থেকে রাত অবধি এক জায়গায় ঠাঁয় বসে রইল.., কি ভাবে সম্ভব এটা? আমার বাড়ির লোক জনের মুখে আমি নিজের কান্ড শুনে নিজেই অবাক হলাম। শুধুমাত্র এতেই থেমে থাকিনি আমি, রাতের পর রাত ফোনের দিক থেকে চোখ সরতো না আমার, প্রতিটা গল্প তোমার এতটাই মনযোগ দিয়ে পড়েছি, এতটাই খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছি পুরো গল্প গুলো আমার ঝড়ঝড় করে মুখস্ত হয়ে গেছে। না না শুধু পড়েছি বললে ভুল হবে, আমি রীতিমতো আমার সব বন্ধুদের মাথা খারাপ করতাম তোমার গল্প গুলো ওদের শুনিয়ে শুনিয়ে! যদিও ওরা বেজায় বিরক্ত হত আমার উপর, কারন ফোন করলেই ওরা শুনতে পেত "আমি এখন ব‍্যস্ত আছি আয়ান দা আর সাগরিকা দির সঙ্গে। এখন কথা বলা যাবে না পড়ে সময় পেলে ফোন করে নেবো।" একদিকে আমার বন্ধুরা যেই ভাবে আমার প্রতি বিরক্ত ছিল আমার গল্প পড়া নেশা নিয়ে, ঠিক অন‍্যদিকে আমার পরিবারের লোকজনেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতো আমার এই পড়ার নেশা দেখে। অন্তত বাড়ি বয়ে এসে আর কেউ আমার নামে কমপ্লেন নিয়ে আসছে না।... বেশ দিন কাটছিল, তোমার গল্প পড়তে পড়তে আমি যেন হারিয়েই যেতাম, প্রতিটা ঘটনা যেন চোখে সামনে ভেসে উঠতো! আমার মন ভালো রাখার একমাত্র মেডিসিন " Mysterious girl" 'মিশু' সেটা তখনও ছিল আর এখনো একই ভাবে আছে। প্রতিলিপিতে এসে প্রথম ফলো আমি তোমাকেই করেছিলাম, তারপর আয়ান দা আর সাগরিকা দি, ওদের সঙ্গে যেন আমি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছি! এখনো আমার কোনো কারনে মন খারাপ হলে আমি এখনো সেই ছাদের অন্ধকারে চলে যাই, আর ফোনটা হাতে নিয়েই খুলে ফেলি তোমার প্রোফাইল টা, আর ব‍্যাস পড়তে শুরু করে দিই। একটা ব‍্যাপার কি যেন আমি এতবারই পড়েছি তোমার গল্প একটুর জন‍্যও আমি বিরক্ত হয়নি, বরং আমার খুব ভালো লাগে। আমি কাল রাতেও 'তুমি না আমি আমি' গল্পটা প্রথম থেকে শেষ অবধি পড়ে শেষ করেছি। শুতে শুতে প্রায় ভোর! দিনে এটা আমার অভ‍্যেস হয়ে গেছে, চা - কফি ছাড়া আমার দিন চলে যাবে, তবে মিশু দিদিয়াকে ছাড়া কিন্তু আমার একদন্ডও চলবে না। আমার নিজের উপর এখন ভিষণ রাগ হয়, সময়ের অভাবে আমি রিভিউ টুকুও দিতে পারি না, তবে খালি ভয় ভয়ও হয়, এই যে আমি মাঝে সাঝে রিভিউ দিই, তাতে তুমি রেগে যাবে না তো! ভয় টাকে আপাতত চেপে রেখে দিই, কারন জানি সহজে রাগ করবে না তুমি! পড়াশোনা আর কাজের মাঝে এমন ভাবেই ডুবে আছি নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসৎ নেই আমার। রোজ রাতে আমার মাথার পোকা গুলো কিলবিলিয়ে উঠে, বার বার আমাকে তারা মনে করিয়ে দেয়,"সারাদিনের ব‍্যস্ততার মাঝে, দিদিয়ার গল্পগুলো পড়া হয়নি কিন্তু.., গল্প গুলো না পড়ে ঘুমাতে যাবি না একদম।" ব‍্যাস বসে পরি ফোনটা নিয়ে, বলছি না তুমি আমার অভ‍্যেস হয়ে গেছো! এই অভ‍্যেস যেন আজীবন এভাবেই থেকে যায়। "Mysterious girl"'মিশু' কে কিন্তু এই মোহনা ছেড়ে কোথাও যাবে না কথা দিলাম, ঠিক তেমন মিশুকেও কথা দিতে হবে "সেও যেন কোনো কিছুর বিনিময়ে আমাদের সবাইকে ছেড়ে না যায়।" গেলেও কি, আমি বাব্বা সোজা গিয়ে বাড়িতে গিয়ে হানা দেবো, হ‍্যাঁ ঠিকানা ঠিক জোগাড় করে নেবো, সেই সব নিয়ে চাপ নেই আমার প্রিয় লেখিকা কাম দিদিয়া বলে কথা। 😄👉👈❤ যাক গে, আসল কথায় আসি, আমি আজ মন্দিরে গেছিলাম আর সেখানে তোমার জন‍্য প্রার্থনা করেছি, বেশি কিছু বলছি না, শুধুমাত্র লাস্টের টুকুই বলি 'হে কালি মা আমার মিশু দিদিয়ার লাইফে হুস করে একটা আয়ান দার এন্ট্রি করে দাও তো দেখি।"😌 বোধহয় মা ঠিক শুনবে, আরে আমার বিশ্বাস। একটা আয়ান দাকে এবারে সত্যি চাই 🤭। যাই হোক, তুমি সুস্থ থাকো, ভালো থাকো, আনন্দে থাকো সব সময়। তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হোক.., আরো একবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই ❤😘... আর অনেক ধন্যবাদ "আয়ান চৌধুরী আর সাগরিকা সেন" কে আমাদের সবার মাঝে এনে দেওয়ার জন‍্য 🦋🙃 তোমার কলম চলতে থাকুক সর্বদা। 🖊📝
  • author
    Ankita Deb✨অঙ্কি🫧
    01 ജൂണ്‍ 2023
    দিভাই আমি কী বলব ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তোমার সব গল্প গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে প্রেম পয়জেন, ইতিউতি, স্পর্শ, পারফেক্ট রিলেশনশিপ, ওরা মনের গোপন চেনে না, ফিলিংস ফর ইউ, বাউন্ডুলে মন, মায়াবতী সিসন 1, 2,প্রেম পতন, প্রেমাভিযান। সেভাবে রিভিউ দেওয়া হয় নি ঠিকই তবে গল্প গুলো খুবই ভালো লেগেছে। আমি নিজেও একজন লেখিকা। অনেক ঘাত প্রতিঘাত এসেছে,,, লেখালিখি ছেড়ে দিয়েছিলাম,, কিন্তু আবারও শুরু করেছি কারন লেখালিখি ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয়। তুমি আমার ইন্সপিরিশন। তোমার প্রতিলিপির জার্নি পড়ে খুব ভালো লাগল, খুব অনুপ্রাণিত হলাম। তুমি চিন্তা করো না, সবসময় তোমার পাশে আছি। তোমার লেখা এত ভালো,, একদিন তুমি অনেক বড়ো হবে, সারা পৃথিবী তোমাকে চিনবে। আমার খুব প্রিয় লেখিকা তুমি,, এভাবেই আরও সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দাও আমাদের। ও হ্যাঁ,, শুভ জন্মদিন দিভাই।❣❣❣❣অনেক ভালোবাসা রইল।