pratilipi-logo প্রতিলিপি
বাংলা

অন্য বসন্ত

4.2
2273

বসন্ত মানেই প্রেমের আমেজ। বসন্তের রঙে সকলেই ভেসে বেরাতে ভালবাসে কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে সেই রঙ গায়ে লাগলেও পূর্ণতা পায়না। বলা ভালো প্রেমের ছোঁয়া পেয়েও, সেটা না পাওয়া থেকে যায়। আর সেই না পাওয়ার ...

এখন পড়ুন
লেখক পরিচিতি
author
Ranit Bhowmik

জন্ম হাওড়ায়, রণিত ভৌমিক বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পড়াশোনা করেছেন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন নিয়ে। বর্তমানে পেশায় একজন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার হলেও, লেখালিখি তার নেশা। এছাড়াও রণিত ভালোবাসেন খেলাধূলা করতে, ইতিহাস নিয়ে চর্চা করতে, ছবি দেখতে ও গান শুনতে।

রিভিউসমূহ
  • author
    আপনার রেটিং

  • মোট রিভিউ
  • author
    Jolly Roy
    03 অগাস্ট 2020
    #বিয়ের_ভ্রান্ত_নিয়মাবলী, #যুক্তিহীন_প্রথা_অনুসরণ_আর_নয়। #অনিন্দিতা_মিত্র বিয়েতে পুরোহিত দ্বারা করনীয় ধর্মীয়-আচারের তুলনায় স্ত্রী-আচারের উপর বেশী জোর দেওয়া হয়। কিছু কিছু স্ত্রী আচার তো ভীষণ হাস্যকর। বলাবাহুল্য সেই স্ত্রী আচারগুলো আমার উপরেও পরীক্ষিত হয়েছে! তখন বয়স অল্প ছিল, প্রতিবাদী মনন ছিল একটু ভীতসন্ত্রস্ত সুতরাং সেই সময়ে বিনা প্রতিবাদে কিছু কিছু আচার মেনে নিতে হয়েছিল বাধ্য হয়ে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে পদার্পন করলাম কাঁদতে কাঁদতে.. চোখগুলো বোলতা কামড়ানোর মতন ফুলে উঠেছে তখন, মুখের ক্রিম পাউডার সব গলে ধুয়ে এক শেষ! যাইহোক বিধ্বস্ত অবস্থায় প্রবেশ করলাম শ্বশুরবাড়িতে। যথারীতি শাশুড়ি উলু , শঙ্খ ফু সহযোগে বরণ করলেন। রাহুল ঘরে ঢুকে নিজের পরিবেশ পেয়ে বেশ উৎফুল্ল !! তো যাই হোক যা বলছিলাম শুরু হলো স্ত্রী আচার… বসে আছি রাহুলের সাথে , সকলে একে একে আশীর্বাদের পালা সারছেন। এরপর এলো সেই মহান পর্ব। দেখলাম একটা বাটিতে করে মধু নিয়ে এসেছেন আমার শাশুড়ি! এই রীতি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না । দেখলাম কড়ে আঙ্গুলে বেশ খানিকটা মধু তুলে আমার শাশুড়ি সহাস্য বদনে আমার দুই কানের ভেতরে গুঁজে দিচ্ছেন! আমি চমকিত…. রাহুল বিব্রত। আড়চোখে রাহুলের দিকে তাকাতে ও ওর মাকে বলল, -"কি আশ্চর্য মধু কানে দিচ্ছ কেন?" শাশুড়ির মুখ উজ্জ্বল, -" কানে মধু দিলে বউ মধু মধু কথা শুনবে! সারাংশ এই যে , প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নববধূর কানে যদি বেশি পরিমাণে মধু ঢেলে দেওয়া হয় তাহলে শাশুড়ির তীর্যক সিসা বিগলিত বাক্য বাণও জাদু বলে মধুর মত মিষ্টি সুরেলা রূপ ধারণ করে কর্ণকুহরে প্রবেশ করবে!! ব্যাস সংসার হবে সুখের ! আহা কি অপরূপ ব্যাখ্যা কিন্তু মধুর মাহাত্ম্য তো কোনদিন বুঝলাম না! কি জানি মধুতে ভেজাল ছিল বুঝি!!😄 দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ বৌভাতের রাতে বলা হল জল দিয়ে স্বামীর পা ধুইয়ে চুল দিয়ে মুছে দিতে হবে! আমি তো জুলজুল চোখে তাকিয়ে আছি , মনে প্রতিবাদের ঝড় । বাড়ী ভর্তি লোকজন সবাই বেশ কৌতূহলের সাথে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে! ব্যাপারটা এমন যেন কোন সার্কাসে খেলা দেখতে এসেছে তারা...রাহুল পূর্বপরিচিত সুতরাং আমার চোখের ভাষা বুঝতে তার অসুবিধা হওয়ার কথা নয় কিন্তু সেও কেমন যেন না বোঝার ভান করে দাঁড়িয়েছিল। আমি ঘাড় গোঁজ করে ঠায় বসে ছিলাম। তখন আমার মাথায় এক ঢাল চুল! কে যেন পেছন থেকে চুলগুলো খুলে দিল আর তখনই অবাধ্য চুল তার পা ছুঁল! কি অদ্ভুত নিয়ম! কি অদ্ভুত রীতি নীতি!!! নারীকে পদানত করবার জন্য ঠান্ডা মস্তিষ্কে রচিত হয়েছে কত কত নিয়ম!! © অনিন্দিতা মিত্র বিয়ের পর আমাকে যখন আমার নাম বলতে বলা হত তখন সগর্বে বলতাম অনিন্দিতা মিত্র। কিন্তু তাতে কিছু মানুষজন আমাকে বোঝাল বিয়ের পর স্ত্রীকে তার পিতৃকুলের গোত্র পরিহার করে স্বামীর কুলের গোত্র গ্রহণ করতে হয়। আর নামের সাথে স্বামীর পদবী লাগাতে হয়! আর সেই কাজটা নাকি বিয়ের সময় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে!! যাহ্ বাবা কোন ফাঁকে পুরোহিত মহাশয় অতি নিষ্ঠা সহকারে সেই কাজটি করে দিয়েছেন বুঝতেই পারিনি! কিন্তু মধু কানে ঢোকানোর বিষয়টি মেনে নিলেও এই অন্যায়টি মেনে নিতে পারিনি। অন্য একটা মানুষের পদবী উড়ে এসে জুড়ে বসবে আর আমাকে তা মেনে নিতে হবে ! হবে না ,জাস্ট হবে না। আমার পরিচিতি এতকাল ধরে যে নামে হয়ে এসেছে সে নামটাই বহাল থাকবে । মরার আগে অবধি পরিবর্তন করব না। পুরোহিত সমাজ কি ভাবল, শ্বশুরবাড়ির লোকজন কি ভাবল আর সমাজই বা কি ভাবল তাতে আমার বয়েই গেল! বিয়ে করছি দুটি মানুষ, যদি আমার স্বামী তার পদবী না পরিবর্তন করেন তাহলে আমি কেন করব! (বলাবাহুল্য যদি নামের শেষে কারো কোন পদবী না থাকত আরো বেশি খুশি হতাম। নামের সঙ্গে পদবির উল্লেখ বৈষম্য আর জাতপাতের উচ্চ নীচ ছাড়া অন্য কোনো ভাবের উন্মেষ ঘটায় না, তাই পদবিহীন নামটাই বেশি কাম্য। ) যুগ বদলেছে, তাই এখনকার প্রজন্মের কাছে অনুরোধ যুক্তিহীন কোন কিছুকেই নির্দ্বিধায় মেনে নিও না। আর নিজে অন্যায় করো না কিন্তু অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করো। যুক্তিহীন প্রথা অনুসরণ আর নয়। © অনিন্দিতা মিত্র
  • author
    Debarati Santra "তুলি"
    27 জুলাই 2020
    খুব ভালো। আমার লেখা পরে দেখার অনুরোধ রইলো। "সখি যাতনা কাহারে বলে", read it on Pratilipi : https://bengali.pratilipi.com/story/gidulcnmgwj6?utm_source=android&utm_campaign=content_share Read, write and listen to unlimited contents in Indian languages absolutely free
  • author
    Madhabi Bhuiya
    07 মে 2019
    সত্যি এ এক অন্য ধরনের বসন্ত, বেশ লাগলো।
  • author
    আপনার রেটিং

  • মোট রিভিউ
  • author
    Jolly Roy
    03 অগাস্ট 2020
    #বিয়ের_ভ্রান্ত_নিয়মাবলী, #যুক্তিহীন_প্রথা_অনুসরণ_আর_নয়। #অনিন্দিতা_মিত্র বিয়েতে পুরোহিত দ্বারা করনীয় ধর্মীয়-আচারের তুলনায় স্ত্রী-আচারের উপর বেশী জোর দেওয়া হয়। কিছু কিছু স্ত্রী আচার তো ভীষণ হাস্যকর। বলাবাহুল্য সেই স্ত্রী আচারগুলো আমার উপরেও পরীক্ষিত হয়েছে! তখন বয়স অল্প ছিল, প্রতিবাদী মনন ছিল একটু ভীতসন্ত্রস্ত সুতরাং সেই সময়ে বিনা প্রতিবাদে কিছু কিছু আচার মেনে নিতে হয়েছিল বাধ্য হয়ে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে পদার্পন করলাম কাঁদতে কাঁদতে.. চোখগুলো বোলতা কামড়ানোর মতন ফুলে উঠেছে তখন, মুখের ক্রিম পাউডার সব গলে ধুয়ে এক শেষ! যাইহোক বিধ্বস্ত অবস্থায় প্রবেশ করলাম শ্বশুরবাড়িতে। যথারীতি শাশুড়ি উলু , শঙ্খ ফু সহযোগে বরণ করলেন। রাহুল ঘরে ঢুকে নিজের পরিবেশ পেয়ে বেশ উৎফুল্ল !! তো যাই হোক যা বলছিলাম শুরু হলো স্ত্রী আচার… বসে আছি রাহুলের সাথে , সকলে একে একে আশীর্বাদের পালা সারছেন। এরপর এলো সেই মহান পর্ব। দেখলাম একটা বাটিতে করে মধু নিয়ে এসেছেন আমার শাশুড়ি! এই রীতি সম্পর্কে অবগত ছিলাম না । দেখলাম কড়ে আঙ্গুলে বেশ খানিকটা মধু তুলে আমার শাশুড়ি সহাস্য বদনে আমার দুই কানের ভেতরে গুঁজে দিচ্ছেন! আমি চমকিত…. রাহুল বিব্রত। আড়চোখে রাহুলের দিকে তাকাতে ও ওর মাকে বলল, -"কি আশ্চর্য মধু কানে দিচ্ছ কেন?" শাশুড়ির মুখ উজ্জ্বল, -" কানে মধু দিলে বউ মধু মধু কথা শুনবে! সারাংশ এই যে , প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নববধূর কানে যদি বেশি পরিমাণে মধু ঢেলে দেওয়া হয় তাহলে শাশুড়ির তীর্যক সিসা বিগলিত বাক্য বাণও জাদু বলে মধুর মত মিষ্টি সুরেলা রূপ ধারণ করে কর্ণকুহরে প্রবেশ করবে!! ব্যাস সংসার হবে সুখের ! আহা কি অপরূপ ব্যাখ্যা কিন্তু মধুর মাহাত্ম্য তো কোনদিন বুঝলাম না! কি জানি মধুতে ভেজাল ছিল বুঝি!!😄 দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ বৌভাতের রাতে বলা হল জল দিয়ে স্বামীর পা ধুইয়ে চুল দিয়ে মুছে দিতে হবে! আমি তো জুলজুল চোখে তাকিয়ে আছি , মনে প্রতিবাদের ঝড় । বাড়ী ভর্তি লোকজন সবাই বেশ কৌতূহলের সাথে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে! ব্যাপারটা এমন যেন কোন সার্কাসে খেলা দেখতে এসেছে তারা...রাহুল পূর্বপরিচিত সুতরাং আমার চোখের ভাষা বুঝতে তার অসুবিধা হওয়ার কথা নয় কিন্তু সেও কেমন যেন না বোঝার ভান করে দাঁড়িয়েছিল। আমি ঘাড় গোঁজ করে ঠায় বসে ছিলাম। তখন আমার মাথায় এক ঢাল চুল! কে যেন পেছন থেকে চুলগুলো খুলে দিল আর তখনই অবাধ্য চুল তার পা ছুঁল! কি অদ্ভুত নিয়ম! কি অদ্ভুত রীতি নীতি!!! নারীকে পদানত করবার জন্য ঠান্ডা মস্তিষ্কে রচিত হয়েছে কত কত নিয়ম!! © অনিন্দিতা মিত্র বিয়ের পর আমাকে যখন আমার নাম বলতে বলা হত তখন সগর্বে বলতাম অনিন্দিতা মিত্র। কিন্তু তাতে কিছু মানুষজন আমাকে বোঝাল বিয়ের পর স্ত্রীকে তার পিতৃকুলের গোত্র পরিহার করে স্বামীর কুলের গোত্র গ্রহণ করতে হয়। আর নামের সাথে স্বামীর পদবী লাগাতে হয়! আর সেই কাজটা নাকি বিয়ের সময় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে!! যাহ্ বাবা কোন ফাঁকে পুরোহিত মহাশয় অতি নিষ্ঠা সহকারে সেই কাজটি করে দিয়েছেন বুঝতেই পারিনি! কিন্তু মধু কানে ঢোকানোর বিষয়টি মেনে নিলেও এই অন্যায়টি মেনে নিতে পারিনি। অন্য একটা মানুষের পদবী উড়ে এসে জুড়ে বসবে আর আমাকে তা মেনে নিতে হবে ! হবে না ,জাস্ট হবে না। আমার পরিচিতি এতকাল ধরে যে নামে হয়ে এসেছে সে নামটাই বহাল থাকবে । মরার আগে অবধি পরিবর্তন করব না। পুরোহিত সমাজ কি ভাবল, শ্বশুরবাড়ির লোকজন কি ভাবল আর সমাজই বা কি ভাবল তাতে আমার বয়েই গেল! বিয়ে করছি দুটি মানুষ, যদি আমার স্বামী তার পদবী না পরিবর্তন করেন তাহলে আমি কেন করব! (বলাবাহুল্য যদি নামের শেষে কারো কোন পদবী না থাকত আরো বেশি খুশি হতাম। নামের সঙ্গে পদবির উল্লেখ বৈষম্য আর জাতপাতের উচ্চ নীচ ছাড়া অন্য কোনো ভাবের উন্মেষ ঘটায় না, তাই পদবিহীন নামটাই বেশি কাম্য। ) যুগ বদলেছে, তাই এখনকার প্রজন্মের কাছে অনুরোধ যুক্তিহীন কোন কিছুকেই নির্দ্বিধায় মেনে নিও না। আর নিজে অন্যায় করো না কিন্তু অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করো। যুক্তিহীন প্রথা অনুসরণ আর নয়। © অনিন্দিতা মিত্র
  • author
    Debarati Santra "তুলি"
    27 জুলাই 2020
    খুব ভালো। আমার লেখা পরে দেখার অনুরোধ রইলো। "সখি যাতনা কাহারে বলে", read it on Pratilipi : https://bengali.pratilipi.com/story/gidulcnmgwj6?utm_source=android&utm_campaign=content_share Read, write and listen to unlimited contents in Indian languages absolutely free
  • author
    Madhabi Bhuiya
    07 মে 2019
    সত্যি এ এক অন্য ধরনের বসন্ত, বেশ লাগলো।