- ফলাফল - সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস 530 সেপ্টেম্বর 2023প্রিয় লেখক, অপেক্ষার দিন শেষ হল! অত্যন্ত আনন্দের সাথে আমরা আজ ঘোষণা করতে চলেছি বহু প্রতীক্ষিত সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস - 5 প্রতিযোগিতার ফলাফল। তবে বিজয়ী লেখকদের নাম প্রকাশ করার আগে, আমরা কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে চাই। এত বিপুল সংখ্যক লেখক লেখিকা এবারে অংশগ্রহণ করেছেন যে এই সিজন আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আমরা ভীষণ খুশি যে বহু নতুন লেখক গোল্ডেন ব্যাজ পেয়ে এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার অংশগ্রহণ করেছেন, নতুন মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন ও 60 পর্বের দারুণ ধারাবাহিক গল্প প্রকাশ করেছেন। সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস যেভাবে আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্য বিষয়ক পুরস্কার হয়ে উঠেছে তা দেখে আমরা সত্যিই গর্বিত। ভারতজুড়ে 12টি ভাষা মিলিয়ে কয়েক হাজার জনপ্রিয় এবং নতুন লেখকের অংশগ্রহণ ও অসংখ্য বেস্টসেলার গল্প প্রকাশিত হওয়ার ফলে - এই জাতীয় স্তরের সাহিত্য প্রতিযোগিতা সকলের কাছে এনে দিয়েছে এক দারুণ সুযোগ যার মাধ্যমে তারা নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা সারা দেশের সামনে তুলে ধরতে পারছেন। প্রতিলিপিতে এমন অসাধারণ মানের গল্প লেখার জন্য আমাদের সমস্ত সেরা কলমকারদের আমরা জানাই হার্দিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিযোগিতায় জমা পড়া অসংখ্য লেখার মধ্যে আপনাদের লেখা গল্পগুলি সেরা হিসেবে মনোনীত হয়েছে এবং আপনাদের এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা গর্বিত। এছাড়া, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ইভেন্টটিকে চূড়ান্ত সফল করে তোলার জন্য সমস্ত অংশগ্রহণকারী লেখকদের আমরা বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। লেখার প্রতি আপনাদের আবেগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমাদের প্ল্যাটফর্মে এত সংখ্যক প্রতিভাবান লেখকদের পেয়ে আমরা আপ্লুত ও গর্বিত। গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার মত ক্রাইম থ্রিলার, গা ছমছমে ভূতের গল্প, হৃদয়স্পর্শী প্রেমের গল্প, সামাজিক গল্প, সায়েন্স ফিকশন, ঐতিহাসিক গল্প - আমাদের পাঠকরা সবধরনের লেখা পড়ার সুযোগ পেয়েছেন! সত্যি বলতে এই প্রতিযোগিতায় আমাদের লেখকরা যে মানের গল্প প্রকাশ করেছেন তা এককথায় অনবদ্য, অসাধারণ! প্রায় প্রতিটি গল্পই আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে, এবং বেশ কিছু গল্প চিরকাল আমাদের মনে রয়ে যাবে। তবে প্রতিযোগিতার নিয়ম মেনে আমাদের সেরা কলমকারদের বেছে নিতেই হয়। তাই নিরন্তর প্রচেষ্টার পর এবারেও আমাদের বিচারকমণ্ডলী অজস্র গল্পের মধ্যে থেকে সেরার সেরা গল্পগুলিকে বেছে নিয়ে বিজয়ী তালিকা প্রস্তুত করেছেন। এবারের সেরা কলমকারদের তালিকা নিচে দেওয়া হল - সেরা কলমকারদের তালিকা- প্রথমপুরস্কার: 1.কলঙ্কিত নায়ক-অনন্যা মিত্র বসু (ভারতীয় মুদ্রায়15,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) দ্বিতীয় পুরস্কার: 2.পুলিশ ফাইল থেকে- রিনি বসু (ভারতীয় মুদ্রায়11,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) তৃতীয় পুরস্কার: 3.কুমারীত্ব- স্মৃতিপর্ণা দেবনাথ (ভারতীয় মুদ্রায়7,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) চতুর্থ পুরস্কার: 4.রূপ লাগি আঁখি ঝুরে-সুষমা মণ্ডল (ভারতীয় মুদ্রায়5,000 টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) পঞ্চম পুরস্কার: 5.রক্ত নদীর কান্না-মৌসুমী বৈদ্য দাস (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) ষষ্ঠপুরস্কার: 6.স্বার্থপর রাজা ও দুয়োরানি- স্বাতী দত্ত (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) সপ্তমপুরস্কার: 7.বাজিমাত-দিশা মন্ডল (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) অষ্টম পুরস্কার: 8.একটি দুর্ঘটনা এবং...-দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায় (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) নবমপুরস্কার: 9.ভুল সবই ভুল-সুদীপা হালদার (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) দশম পুরস্কার: 10.তৃষিত তৃপ্তির সন্ধানে- শোরাংসি রঘুবংশী (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি) 11.কালী তুই তফাত যা- অর্পিতা রায় মোদক (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 12.ভালোবাসার ঘর-শর্মিষ্ঠা আচার্য্য (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 13.নীল গোলাপের আতঙ্ক- স্বাগতা পাঠক (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 14.প্রেমের অন্তরালে-ছন্দ বিতানশ্রী (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 15.খেলনা বিয়ে-মাধবী পাল (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 16.নানা রঙের বসন্ত-সৌরদীপা ঘোষ (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 17.স্তর-পৌলমী গঙ্গোপাধ্যায় (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 18.আকাশের অস্তরাগে- হীরক মুখোপাধ্যায় (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 19.কাঁচের মানুষ-তীর্থা সরকার (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) 20.পাহাড়ি আতঙ্ক!- সমীক সান্যাল (ভারতীয় মুদ্রায়5,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট + সরাসরি প্রিমিয়াম এন্ট্রি ) বিঃদ্রঃ- সকল বিজয়ী লেখকদের অনুরোধ করা হচ্ছে পুরস্কার সংগ্রহ করার জন্য অবিলম্বে আপনাদের নাম, র্যাঙ্ক, পিন কোডসহ সম্পূর্ণ ঠিকানা (ইংরেজিতে), ফোন নম্বর, সম্পূর্ণ ব্যাংক ডিটেলস, PAN কার্ড নম্বর এবং নিজেদের প্রতিলিপি প্রোফাইলের লিংক আগামী 10 দিনের মধ্যেevents@pratilipi.comএই ঠিকানায় ইমেলের মাধ্যমে পাঠান। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী লেখকের ইমেলে আমরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পাঠাব প্রতিলিপির তরফ থেকে আকর্ষণীয় ডিজিটাল সার্টিফিকেট। আরও কিছু দারুণ গল্প আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই - এই গল্পগুলি হয়ত এবারের মত বিজয়ী তালিকায় স্থান পায়নি তবে এই লেখাগুলি বিশেষভাবে আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে তা বলতেই হবে। আশা রাখি পরের সিজনে আমরা আপনাদের অবশ্যই বিজয়ী হিসেবে দেখতে পাব। ভালোবাসার ক্যানভাস - স্নিগ্ধা পারিয়াল হৃদ মাঝারে- শ্রিয়া সরকার ঘুঙুর-শুক্লা দে নদী ভরা ঢেউ-দেবিকা বসু কাশীনাথের মেয়ে-উত্তম মুখোপাধ্যায় ভালোবাসার সন্ধানে-অপর্ণা চৌধুরী জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে-পারমিতা পারো রক্তাক্ত সিংহাসন-তমাল গাঙ্গুলী এ তুমি কেমন তুমি!- মিশু অপরাজেয় অপরাজিত-আশালতা প্রণয়িনী-নবনীতা চক্রবর্ত্তী শোণিত অবগুণ্ঠন-পিয়ালী চক্রবর্তী পোষ্য- রিয়া ভট্টাচার্য ছায়াতরুর আশ্রয়ে-শারদীয়া বিশ্বাস জীবনের জলছবি- মঞ্জিমা রায় চৌধুরী আমার প্রিয়জন-শ্বেতা পোদ্দার ভালোবাসা হাত বাড়ালো-নবনীতা সাহা মুন অবস্থান -সুনন্দ সান্যাল অপরাধী- জেসমিন রোদন ভরা বসন্ত-জয়ন্তী ছিন্নপত্র-অরুন্ধতী চৌধুরী নষ্ট মায়ের মিষ্টি মেয়ে- এঞ্জেল রোশনি তোমাকে হারায় খুঁজি-কবিতিকা এক পরী ও তিন যুবক- উপালী বেরা অন্তরালে প্রেম- প্রতিমা আইচ মণিকর্নিকা- রিমা গোস্বামী দাস ভাগ্যের লিখন- মনিকা দাস শ্রুতিধর-ইন্দ্রানী চক্রবর্তী অজানার বন্ধনে- নূপুর ঘোষ গোয়েন্দা বড়দি - তমেকা ঘোষ আশা করি আপনারা সকলেই সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস - 6 প্রতিযোগিতায় লিখছেন এবং পাঠকদের আরও নতুন জনপ্রিয় গল্প পড়ার সুযোগ করে দেবেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে আগামী 25 ডিসেম্বরের মধ্যে 60 পর্বের একটি গল্প লিখে প্রতিলিপিতে প্রকাশ করতে হবে। অংশগ্রহণের পদ্ধতি এবং এক্সক্লুসিভ পুরস্কার তালিকার বিষয়ে বিশদে জানতে ক্লিক করুন -https://bengali.pratilipi.com/event/laj7ky2419 শুভেচ্ছা অফুরান, প্রতিলিপি প্রতিযোগিতা বিভাগআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ১১21 সেপ্টেম্বর 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "... এরপর 'প্রতিলিপি' নিয়ে এলো নতুন কিছু সুবিধাজনক ব্যবস্থা৷ 'কয়েন' ও 'স্টিকার'৷ যার মাধ্যমে লেখক লেখিকারা কিছু উপার্জন করতে পারবেন৷ আমার পাঠক পাঠিকারা ভালোবেসে আমাকেও 'স্টিকার - কয়েন' প্রদান করল৷ আর আমিও পেলাম কিছু অর্থ৷ মনে আছে 'প্রতিলিপি' থেকে আমার প্রথম উপার্জিত অর্থ ছিল ৭৭৮ টাকা৷ আমি যেহেতু একজন চাকরিজীবী হয়তো সবার মনে হবে এই অর্থটা আমার কাছে খুবই নগণ্য৷ কিন্তু না অর্থের পরিমানটা না এই অর্জিত অর্থটাই আমার কাছে অমূল্য ছিল৷ কারণ আমি নিজের সৃষ্টি দিয়ে এই অর্থ উপার্জন করেছিলাম৷ এরপর ধীরে ধীরে প্রতিলিপি আরও অনেক পরিবর্তন আনতে থাকলো৷ চালু হলো প্রিমিয়ামে গল্প নেওয়ার পক্রিয়া৷ আমার 'হৃদয়ের অন্তরালে' গল্পটা প্রিমিয়ামে নেওয়া হল৷ তার থেকেও উপার্জন আসা শুরু হলো৷ এরপর এলো আরো একটা পদ্ধতি, চলতি গল্প যেগুলো লিখছি সেগুলো সাবস্ক্রিপশনে রাখা৷ অর্থাৎ গল্পগুলো তাড়াতাড়ি পড়তে চাইলে সুপারফ্যানের সুবিধা নিতে হবে৷ প্রথমে নিজের গল্প সাবস্ক্রিপশনে রাখতে ভয়ই পেয়েছিলাম, মনে হয়েছিল আমার গল্প সাবস্ক্রিপশনে রাখার পর কি কেউ পড়বে!! কিন্তু না দেখলাম সাবস্ক্রিপশনে রাখার পরেও তোমাদের ভালোবাসা এক চুলও কমেনি তোমাদের প্রিয় জুটি সূর্য ও কিরণের প্রতি৷ প্রথমত কোনদিন ভাবিনি এভাবে লেখালেখি করবো, দ্বিতীয়ত লেখালেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সেটা তো একেবারে দুরস্ত ব্যাপার ছিল৷ কিন্তু হ্যাঁ এটা সফল হয়েছে প্রতিলিপির মাধ্যমে৷ অনেকেই এখন প্রতিলিপির মাধ্যমে কিছু টাকা উপার্জন করতে সক্ষম৷ তার মধ্যে আমিও একজন৷ আর অর্থ জীবনে এলে সেটা অবশ্যই লাভ জনক তো বটেই৷ সত্যি কথা বলতে এটা অস্বীকার করতে পারবো না প্রতিলিপি আমার জীবনে নতুন একটা দিশা খুলে দিয়েছে। প্রতিলিপিতে এসে বুঝেছি নিজ সৃষ্টির আনন্দ কতটা হতে পারে৷ এখন প্রতিলিপি আমার জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে, সাথে আমার পাঠক পাঠিকারও৷ কারণ তারা পাশে না থাকলে, আমার গল্প না পড়লে আমি এই 'লেখিকা' আখ্যাটা কখনো পেতাম না৷ এখন তো গল্প লেখাটা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে৷ এখনো প্রতিটি পর্বের প্রতিটি রিভিউ আমাকে সমানভাবে উৎসাহিত করে৷ হয়তো সেদিন প্রতিলিপিকে খুঁজে না পেলে জীবনের এই নতুন পথের দিশাটা আমি পেতাম না৷ প্রতিলিপিতে এসেছি বলেই বুঝেছি না লেখালেখির মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন সম্ভব৷..." আরও পড়ুন -নতুন পথের দিশা (সোমা ঘোষ) "...তারপর একদিন নেট ঘেঁটে প্রতিলিপি অ্যাপের কথা জানতে পারলাম। ইন্সটল করে প্রথমে সেখানে থাকা আগের লেখক লেখিকাদের কিছু লেখা পড়লাম। তারপর কিভাবে লেখা প্রকাশ করতে হয় সেটা শিখলাম। তারপর প্রথম একটা গল্প প্রকাশ করলাম। নামটা সম্ভবত ভালোবাসার খোঁজ।তখন প্রতিলিপিতে একটা আলোচনা সেকশন ছিল। প্রতিদিন কোন না কোন টপিক এর উপর আলোচনা হত। সেই আলোচনায় অংশ নেওয়া আমার খুব প্রিয় একটা বিষয় ছিল। তারপর এই প্রতিদিনের এক একটা বিষয়ের উপর গল্প অথবা কবিতা লেখা এগুলোও বেশ ভালো লাগতো।বেশ কিছুদিন এভাবে কেটে গেল। আমার লেখার ভিউ খুব একটা হল না। প্রথমদিকে একটু ভেঙে পড়লাম, ভাবলাম আমি যেভাবে একদিন আমার কলমকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ সে হয়ত অভিমান করে আর আমার কাছে ফিরতে চায় না।কিন্তু না, তারপর আমার মাথায় এল এমন এক টপিক। এমন এক গল্পের প্লট। যে আমাকে কেবল প্রতিলিপিতেই নয়, গোটা লেখালেখির জগতের কাছে পরিচিতি দিয়েছিল। আর সেই গল্পের নাম ফুলশয্যাপ্রতিলিপিতে সেই সময় ধারাবাহিক গল্পগুলি লাইভ হত। সেখানে লেখা শুরু করলাম ফুলশয্যা। ধীরে ধীরে আমার ধারাবাহিক সবাই পছন্দ করতে শুরু করল। আমিও লেখার উৎসাহ পেলাম। আরও লিখতে থাকলাম। একদিন নতুন পর্ব না দিলে তার পরের দিন আমার প্রতিলিপির ইনবক্স ভর্তি হয়ে যেত। দাদা আজকে পর্ব দিলে না দাদা আমরা অপেক্ষা করে আছি ইত্যাদি ইত্যাদি।..." আরও পড়ুন -আমার লেখালেখির গল্প (রাজকুমার মাহাতো) "...লেখা লেখি একটি ব্যক্তিগত শখ আমার। সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে যে সত্যি অর্থ উপার্জনও করা যায় তার পথ প্রথম বলে দিলো এই প্রতিলিপিই। হ্যাঁ আমি এমন অনেক কেই চিনি যারা লেখা লেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন কিন্তু আমার কাছে এটাই প্রথম। শুধু এই নয় প্রতিলিপির মাধ্যমে আমার বিভিন্ন ছোটগল্প, উপন্যাসগুলির আই পি কন্ট্রাক করে নেওয়া হলো। ভীষণ স্বচ্ছ পদ্ধতিতে। যেগুলি অডিও, কমিক্স, বই পাবলিশ করবার পূর্ণ সমর্থন সহযোগের একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দেওয়া হলো এই কন্ট্রাক এর বিনিময়ে।এই শর্ত অনুযায়ী প্রতিলিপি এফ এম থেকে আমার লেখা উপন্যাস "তুমি এলে তাই" এর অডিও রূপ টিও প্রকাশ পেলো। বিশ্বাস করুন আগে এতো কিছু ভেবে লেখা লেখি শুরু করিনি তবে এই প্রতিলিপি এখন আমাদের এই পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য ধার্য করে বলে ভালো লাগছে। আমি সত্যি প্রতিলিপির গোটা টিম কে ধন্যবাদ জানাতেই চাই।শুধু মাত্র লেখার প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই কলম চলতো আমার। আজও চলে। তবে সংসার জীবনের পথ এখন আরও কঠিন ও দুর্গম । একটি ছোট ফুটফুটে কন্যা সন্তান এসেছে আমার কোল জুড়ে। ছোট্ট "পেখম" এসেছে আমাদের মধ্যে। এখন অনেক দায়িত্ব আমার। তার সাথেই লেখালেখির শখ যাকে ধরে রাখাও ভীষণ গুরত্বপূর্ণ, কারণ আমার মানসিক স্বাস্থ্যের রক্ষা করাও আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে । এই কঠিন সময় আমার মন আর মস্তিষ্ক জুড়ে প্রায় যুদ্ধ হয় কোন কাজটি আগে করবো সেই নিয়ে। মাঝে মাঝে পরিশ্রম এর ক্লান্তিতে নেমে আসে চোখে ঘুম। তাও হার মানতে নারাজ আমি, রোজ নিজেকে উন্নত করবার চেষ্টায় লেগে থাকি। রাত ২ অব্দি জেগে থাকি লেখালেখির জন্য এটাও যে আমারই অন্য একটি জগৎ। সেটাকে ছেড়ে দি কি করে? কারণ অর্থ নয় আপনারাই যে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ।আর হয়তো সেই কারণেই এই বারের সেরা কলমকার ৫ এর নবম স্থান অধিকার করলো আমার লেখা "অন্ত - ঋণ"। শুধু মাত্র আপনাদের ভালোবাসায়।পরিশেষে একটাই কথা বলতে চাই । দেখতে গেলে প্রতিলিপি শুধুই আমাকে অর্থ প্রদান করেছে তা নয়। এই প্রতিলিপি আমার কাছে নতুন একটা দিশা উন্মোচন করতে সাহায্য করেছে। আমাকে সাহায্য করেছে নিজের অন্তরের অন্য আর একটি "ব্যক্তিত্ব" বা " আমি "কে জাগিয়ে তোলার।..." আরও পড়ুন -এ এক অন্য আমি (রিমা ব্যানার্জি) "...সাল ২০২১ এর শুরু, হঠাৎই প্রতিলিপি নতুন জিনিস নিয়ে আসে, স্টিকার দেওয়া। গল্প পড়লেই স্টিকার পাওয়া যায়, আর সেই স্টিকার লেখক লেখিকাদের দেওয়া যায়। কিন্তু তার থেকেও বড়ো ব্যাপার সেই স্টিকারের পরিবর্তে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও আমি ২০২০ শুরু থেকে বেশ কিছুদিন ব্যক্তিগত কারণে লেখালেখি থেকে দূরে ছিলাম, তাই এই স্টিকার থেকে টাকা হয়ে সেটা ৫০ টাকা হতে ২ মাস লেগে যায়। তবে ৫০ টাকা হলেও তার জন্য প্রতিলিপি আমার কাছ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার নেয়, এবং সেটা আমার অ্যাকাউন্টে আসে। লেখা থেকে কিছু পাবো কোনোদিনো ভাবিনি। শুধুমাত্র সময় কাটাতে, এবং খানিকটা শখেই লেখা শুরু করেছিলাম। হঠাৎই দেখি আমার "অনবহিত ভালোবাসা" গল্পটা প্রিমিয়াম হয়ে গেলো। আর তারপর থেকে এই ইনকামও বাড়তে লাগলো। এরপর আর দুটো গল্প প্রিমিয়াম হয়। আর মাস শেষ হলেই দেখি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে চলে আসছে। তবে আসল সারপ্রাইজ পায় ২০২১ এর পুজোর সময় আমার কিছু গল্পের জন্য প্রতিলিপি আমার সাথে কনট্র্যাক্ট করতে চায়। প্রথমে তো আমি ব্যাপারটা বিশ্বাসই করতে পারিনি, আর তাই এই ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। এরপর ২০২২ সালেই আমার সবথেকে বড়ো উপন্যাস লেখা শুরু করি, যেটা শেষ ২০২৩ সালে এসে, "তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো" ৩৬০ পর্বের। এই উপন্যাস শুরু করার কিছুদিন পরই প্রতিলিপি আবার আমার সাথে যোগাযোগ করে, আর এবার সরাসরি ফোন কল করে। সেই সময় আমাকে বেশ ভালো করে সমস্ত বিষয়ে বোঝানো হয়, আর তারপরই আমি কনট্র্যাক্ট করার ব্যাপারে রাজি হই। আর সেইসময় আমার প্রোফাইলের ছোটো বড়ো মিলিয়ে ১৪টা গল্প নিয়ে আইপি কনট্র্যাক্ট হয়, আর তার বদলে আমকে এককালীন একটা বড়ো অ্যামাউন্টের টাকা দেওয়া হয়।তবে সারপ্রাইজের এখনও শেষ হয়নি, এর কিছুদিন পর আমার বাড়িতে এসে পৌঁছায় একটা সুদৃশ্য স্মারক, প্রতিলিপিতে ১০,০০০ ফলোয়ার হওয়ার জন্য। আর তার কিছুদিন পর থেকে একটা একটা করে আমার ৬ টা গল্প অডিও আকারে প্রতিলিপি এফএম এ আসে। এটা সত্যিই আমার কাছে আজও একটা স্বপ্নই মনে হয়।..." আরও পড়ুন -ভালোবাসার প্রতিলিপি (সৌমিত্র দে) "...প্রতিলিপিতে প্রথম গল্প দিয়েছিলাম ১১ই ডিসেম্বর। অ্যাপটা খুঁজে পেয়েছিলাম ঐ ফেসবুক স্ক্রোল করতে করতেই। এরপর আমাকে অবাক করে হঠাৎ করেই আমার গল্পগুলো সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠলো। আমিও লেখার উৎসাহ পেয়ে একদিনে একেকটা গল্প দিতে শুরু করলাম। এমনও হয়েছে একদিনে দুটো গল্পের পর্ব দিয়েছি। এত আনন্দের মধ্যে হঠাৎই একটা ভুল বোঝাবুঝি যা আমার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিলো। আর পাইনি সেটা ফিরে তবে এতোদিন এটা বলে থেমে যেতাম, আজ থামবো না; ওই অ্যাকাউন্টটা ফিরে না পেলেও তার থেকে দ্বিগুণ ফিরে পেয়েছি। এখন আর খুব একটা কষ্ট হয় না।২০২০ তে শেষের দিকে হঠাৎ আমার কাছে একটা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আসে যে আমার গল্প কমিক বুকস, অডিওবুক ইত্যাদির জন্য সিলেক্ট হয়েছে। কথা ফাইনাল হওয়ার পরও বিশ্বাস করতে পারিনি আমার গল্পর দ্বারা আমি উপার্জন করতে চলেছি। সেই উপার্জন ধীরে ধীরে মাসিক উপার্জন হয়ে দাঁড়ায়। বলা ভালো আজ অবধি প্রতিলিপি যা যা করেছে লেখকদের উপার্জনের জন্য তার সবই আমার কল্পনার বাইরে। আমি আগেও বলেছি এই উপার্জনের দ্বারায় আমার পড়াশোনা চলছে, গ্র্যাজুয়েশন করছি। শুধু তাই নয়, পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারছি। কিছুক্ষেত্রে টুকটাক সখ পূরণ করতে পারছি তাঁদের। অনেকেই ভাববেন নিজের কথা কেন বলছি না, কারণ এটাই যে আমি নিজের স্বপ্ন পূরণ করছি। আমার সখ তেমন কিছুই নেই যা আছে সেসবই স্বপ্ন যা নিজস্ব আমার নয়, পরিবারের জন্য। নিজের জন্য আজ অবধি আমি তেমন কিছু ভাবিনি, শুধু একটু খেতে ভালোবাসি ওটুকুই।..." আরও পড়ুন -উপার্জনে হাতেখড়ি, সাহায্যে প্রতিলিপি (কোয়েল ব্যানার্জি) "...এবার আসি উপার্জন।স্টিকার কয়েন থেকে টুকটাক ভাবে আমি দুশো টাকা প্রথমে পেয়েছিলাম।কিন্তু প্রতিলিপি থেকে আমার জীবনের প্রথম উপার্জন ছিলো ১০০০ টাকা।জীবনে সবথেকে বেশি খুশি আমি সেদিন হয়েছিলাম।আমার প্রথম উপার্জন!আমার মা বরাবরই আমাকে লেখালেখিতে উৎসাহ দিয়ে এসেছে।কারণ আমি সাহিত্য কতটা ভালোবাসি মা জানতো।আর আমি সাহিত্যেরই ছাত্রী।গল্প উপন্যাসেই আমার জীবন কাটে।যেদিন মাকে এই উপার্জনের কথাটা বলি সেদিন মাকে খুশি হতে দেখে আরো বেশি খুশি হয়েছিলাম।নিজের আনন্দ হচ্ছিল যে আর মা বাবার কাছে টাকা চাইতে হবে না।নিজের হাতখরচ এবার নিজেই চালাবো।ছোটো থেকে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি আর এখন যা চেয়েছি নিজের টাকায় পাচ্ছি।পার্থক্য বুঝলেন তো!ভাই,বাবা,মাকে নিজের টাকায় উপহার দেওয়ার আনন্দটা যে কি সেটা ভাষা খুঁজে পেলে প্রকাশ করবো নাহয়।আর প্রতিলিপি থেকে আমার সবথেকে বেশি উপার্জন ছিলো এগারোহাজার,গল্প এবং আইপি কন্ট্রাক্ট এর অ্যাডভান্স।বুঝতেই পারছেন কলেজ পড়ুয়া ১৯ বছরের একটা মেয়ের কাছে সেটা কতো বড় পাওয়া ছিলো।প্রতিলিপি না থাকলে হয়তো আমার এই গল্প লেখার প্রতিভা ওই গোপন খাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকত।এত মানুষের কাছে পৌঁছত না,এই উপার্জন হতো না।প্রতিলিপির কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।আর শুধু উপার্জনই নয় এখান থেকে আমি অনেক পাঠক বন্ধুদেরও পেয়েছি।যাদের সাথে wp তে মাঝে মধ্যেই কথা হয়।আর সবশেষে এটাই বলবো যে যদি তোমার মনে হয় নিজের মধ্যে লেখার প্রতিভা আছে।তাহলে দেরী করো না।প্রতিলিপি তোমার প্রতিভা বহু মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য এই প্লার্টফর্ম দিয়েছে।উপার্জনের জন্য এখন সাবস্ক্রিপশন,প্রিমিয়াম আছে।সেরা কলোমকার প্রতিযোগিতা,ফেলোশিপ পোগ্রম আরো কত সুযোগ আছে উপার্জনের আর নিজের গল্পের জনপ্রিয়তার জন্য।শুধু লিখতে থাকো।এবং লেখা নিয়মিত দিতে থাকলে পাঠক বাড়বে।একসাথে তো সব পাওয়া যায় না।তাই হয়তো প্রথমদিকে একটু হতাশ হতে হয় কিন্তু চেষ্টা থাকলে সাফল্য অবশ্যই আসবে।প্রতিলিপির নতুন লেখকদের জন্য শুভকামনা।..." আরও পড়ুন -এ এক স্মৃতিমধুর পথচলা (Rose Queen - Lija) আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতেআরও কাহিনী যুক্ত হবে।সঙ্গে থাকবেন টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ১০20 সেপ্টেম্বর 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! -"প্রতিলিপি তুমি তাকিয়ে আছো কেন আমার দিকে?"-"তুই বড্ড লাজুক নারে?"-"ওই... হ্যাঁ... ""সাহস করে পদক্ষেপ নেওয়া শিখতে হয়। দেখিস কি ভালো লাগছে... জিতে যাই বা হেরে... পদক্ষেপ নিতে শিখতে হয়। আমি প্রতিলিপি তো আছিই এজন্যে... ছোটবেলায় যেমন অ আ ক খ থেকে শুরু করেছিস... তেমনই এখানেও... প্রতিলিপির বুকে ভুলভ্রান্তি দিয়ে শুরু করেই হাত পাকা করতে হবে।"-" তাই আমি পারবো প্রতিলিপি?""একবার স্কুলে কি হয়েছে মনে আছে তোর? ছবি আঁকা...""ওহ হ্যাঁ তো। আমি কখনো কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করিনি... বরাবর ভীতু... বাড়ির গণ্ডির বাইরে যাবার আগেও বারবার বাড়িতে পারমিশন লাগে... সেই আমি কিছু করতে পারি?ছোট থেকে আঁকতাম... আমার ছবি চতুর্দিকে লোকে নিয়ে যেত কিন্তু কখনো স্কুলে বা কোথাও ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় নাম দিইনি... যদি না পারি? এটাই ভয়...! আরও পড়ুন -প্রতিলিপি কোটি বছর বাঁইচো! (সমীর সরকার) "...তারপর জীবনটা পুরো পাল্টে যায়। নদীর স্রোতের মতো তীব্র বেগে ধেয়ে যায় দিন। ইংরেজী সাহিত্যে বি,এ( সম্মান) ভর্তি হই। একদিকে পড়ার চাপ তার মাঝে হঠাৎ বিয়ে, বাচ্চা বড় করা, তারপর এম,এ শেষ করে চাকরী যুদ্ধে নামা, ধীরে ধীরে ক্যরিয়ার গড়ার জালে আঁটকে পড়া, লক্ষ্যে না পৌঁছানোর যন্ত্রণা - সব মিলে দিশেহারা হয়ে পড়ছিলাম। কোন ভাবেই স্থির হতে পারছিলাম না। যেন ডুবে যাচ্ছিলাম অথই সমুদ্রে। মনে হচ্ছিল হয়তো পাগলই হয়ে যাবো। এমনি এক দিনে ফেজবুকে নিউজফিডে স্ক্রোল করতে করতে প্রতিলিপির একটা গল্প সামনে আসে। গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট করি। তারপর প্রায় প্রায় অনেক গল্প আসতে লাগলো আমিও পড়তে লাগলাম। গল্প পড়ার নেশায় শেষমেষ এ্যপটা ইন্সটল করে নেই। এমনি করে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনেক গল্প পড়ি। হাজার কাজের মাঝে প্রতিলিপি যেন একটা নেশার মতো হয়ে উঠেছিল তখন। মাঝেমাঝে গল্প পড়তে পড়তে সকাল হয়ে যেতো। আমার পুরোনো বইপোকা আমিটা যেন হঠাৎ করে জেগে উঠেছিল গল্পের ছোঁয়ায়। সাথে নতুন করে পুরোনো অভ্যেসকে জাগিয়ে তুলেছিল। বইয়ের তাকে পড়ে থাকা রবীন্দ্ররচনাবলী, বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস সমগ্র, শরৎচন্দ্রের উপন্যাস সমগ্র, বায়রণ শেক্সপিয়র, এলিয়ট সহ এমন সব অমূল্য লেখকের বইয়ের উপর থেকে ধুলোর আস্তরণ ঝরে পড়তে থাকে। আমি যেন পুরোনো দেহে নতুন ভাবে জন্ম নিচ্ছিলাম।প্রতিলিপিতে লিখবো কি না ভাবতে ভাবতে একদিন একটা কবিতা লিখেই ফেলি, তারপর ছোটগল্প। পাঠক তেমন ছিলো না। তবে যে-কজন ছিলেন আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাতে যথেষ্ট ছিলেন। ২০২০ সালের মার্চে আমি লিখতে শুরু করি একটি উপন্যাস " তোমায় ভেবে "। এটিই মূলত আমার জীবনে সাফল্য নিয়ে আসে। এরপর একটানা লিখেই চলছি ছোটগল্প, কবিতা, অণুগল্প, উপন্যাস। আজ এতোদিনে প্রতিলিপির আমি একজন পেইড রাইটার। মাসের শেষে হাতখরচ চালানোর মতো টাকা প্রতিলিপি ও আমার প্রিয় রিডাররা আমাকে দেয়। এ যেন চাওয়ার থেকেও বেশি পাওয়া। যেদিন লিখতে শুরু করেছিলাম সেদিন স্বপ্নেও টাকার কথা চিন্তা করিনি, না এতো ভালোবাসা পাওয়ার কথা ভেবেছি। আজ সবার এমন স্নিগ্ধ ভালোবাসায় আমি পূর্ণ।..." আরও পড়ুন -আত্মকথন - অনুপ্রেরণায় প্রতিলিপি (দেবাঞ্জলি চক্রবর্তী) "...এটা তো গেলো প্রতিলিপিতে কিভাবে নিজের কলমের উত্তরণ ঘটালাম তার কথা। এবার প্রতিলিপি থেকে কি পেয়েছি সেটা না বললে চলে? প্রতিলিপি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে সত্যিই কিছু হারায় নি পেয়েছি শুধু। আমার সারাদিন ঘরে বসে থাকার একাকীত্ব যেমন কেটেছে ,তেমনি পেয়েছি এখান থেকে অনেক লেখিকা বন্ধু, যাদের গল্প পড়তে পড়তে এতোটাই বিভোর হয়ে যাই সবাই ,তাদের যে ব্যক্তিগতভাবে জানতে পারবো কখোনোই ভাবিনি। তাদের নাম এখানে আমি বলবো না। কারণ কিছু জিনিস আমার মতে ব্যক্তিগত থাকাই ভালো। অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন তাদের নাম দিয়ে আমি আমার প্রোফাইল হাইলাইট করছি । কিন্তু তা নয়। আর আমি সেটা কোনোদিন ও করি না। তবে তারা প্রত্যেকেই আপনাদের খুব প্রিয় লেখক লেখিকা এবং প্রতিলিপিতে খুব ই জনপ্রিয়।তবে ইচ্ছে আছে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠার একটা জার্নি আলাদা করে লেখার। তাদের সাথে আলোচনা করে অনেক ভুল নিজের শুধরেছি, সেটা বানান হোক বা যতিচিহ্ন। জানেন তো শেখার কোনো বয়স হয় না। তারা অনেকেই বয়সে অনেক ছোটো হলেও জ্ঞানের ভান্ডার তাদের কাছে অনেক। আমরা প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখি। আমার প্রথম গল্পে অজস্র ভুলত্রুটি থাকা সত্ত্বেও যে পাঠকরা সেটাকে সাদরে গ্ৰহণ করেছে এটা ভেবেই আমি খুব খুশি। প্রতিলিপির " সেরা কলমাকার অ্যাওয়ার্ডস" প্রতিযোগিতায় দুবার গল্প দিয়েছি । বিজয়ী স্থানে না থাকলেও আমার লেখা দুটি গল্প " মিলন বেলায় " আর "মনের আঙিনায় " গল্প দুটি অন্যতম বিজয়ী হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। দশ পর্বের গল্পেও ও লেখা " অভয়া "গল্পটি অন্যতম বিজয়ী হিসেবে স্থান পেয়েছে। আমার গল্প ও যে কোনোদিন এভাবে স্থান পাবে ভাবতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমি যে কোনোদিন ধারাবাহিক বা গল্প লিখবো ভাবতেই পারিনি। সবটাই আপনাদের ভালোবাসার জন্য।..." আরও পড়ুন -কলমের উত্তরণ (লিপিকা দত্ত) "...যখন লেখা শুরু করি তখন আজকের যুগে লিখেও উপার্জন করা যায় , জানতাম না । আমি যখন প্রতিলিপিতে আসি তখনই শুরু হয় মনিটাইজেশন । এই বিষয়ে কিচ্ছু বুঝিনি , জানতামও না । একদিন দেখলাম স্টিকার দিচ্ছেন এক পাঠক বন্ধু । ভাবলাম হয়তো এটাই এখানকার নিয়ম । গল্প পড়ে সবাই স্টিকার দেয় বা রিভিউ করে । এরপর বুঝলাম এর থেকে লেখকদের ইনকাম হয় । খুব সুন্দর সিস্টেম তাই না ?এই জন্যেই বলবো , যদি লিখতে ভালোবাসেন । নিজের এই বিশেষ প্রতিভাকে পেশা করে প্রতিষ্ঠিত লেখক হতে চান , তবে বিনা দ্বিধায় আজই প্রতিলিপিতে লেখা শুরু করতে পারেন । ধৈর্য্য ধরুন , হয়তো আপনিও সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবেন :)আমার প্রথম উপার্জন ৬৮ টাকা ২৫ পয়সা । যখন দেখলাম লিখে ইনকাম হয়েছে তখন বুঝলাম প্রতিলিপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়নি । সত্যিই লেখকদের জন্যে ওনারা ভাবছেন । আর এই ভাবনার শুরু হয়েছে প্রায় নয় বছর আগে । যখন পাঁচজন টিম মেম্বার এই ভাবনাটা কাজে কীভাবে সফল করা যায় সেকথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবটা বাস্তবায়ন করেছিলেন ।আজকের যুগে দশ টাকা চাইলেও কেউ এমনি এমনি দেবেনা ।সেখানে এই ভাবনা সত্যিই প্রশংসনীয় ।এরপর আসলো সাবস্ক্রিপশন , প্রিমিয়াম হবার সুযোগ , আইপি , অডিও । আমার আইপি এবং অডিও এখনও হয়নি । প্রিমিয়াম হয়েছে গুটিকয়েক । তারজন্যে প্রতিলিপিকে এবং অজস্র ধন্যবাদ জানাই আমার ছন্নছাড়া , ভুলে ভরা লেখা গুলোকে প্রতিলিপির অংশ করার জন্যে :) এবং আমার পাঠকদেরও ধন্যবাদ , যাদের ভালোবাসায় আজ আমি এখানে আছি ।প্রতিলিপির ভাষায় " লেখক " হিসেবে সন্মান পেয়েছি । আপনাদের মতন কিছু পাঠকের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পেয়েছি । ভালোলাগার মধ্যে কেবল এইটুকুই আছে আমার কাছে । এর বেশি কোনো কাহিনী নেই । শুধু চাইবো , আপনাদের ভালোবাসাটুকু যেনো আজীবন পাই । ভালো কিছু বলতে শুধু এইটুকুই প্রাপ্তি আমার । বাকি আপনাদের আশীর্বাদ থাকলে আর ঈশ্বরের মর্জি হলে হয়তো একদিন আমিও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত লেখিকা বলতে পারবো । এই আশা রাখি । ভালো থাকবেন সকলে । দেখা হচ্ছে আমার গল্প গুলোর পরবর্তী পর্বে ।..." আরও পড়ুন -প্রতিলিপির পাতায় আমার গল্প (শর্মিষ্ঠাআচার্য্য) "...আমার স্পষ্ট মনে আছে প্রতিলিপি থেকে প্রথম আমি মাত্রা 64 টাকা উপার্জন করেছিলাম। হ্যাঁ এটা বড়ো সংখ্যা নয় তবে এই সংখ্যাটাই আমার মনের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার তাগিদের জন্ম দিয়েছে। আজ আমি আমার টাকা বলে যা উপার্জন করি তা দিয়ে আমার ছোট ছোট স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে পারি। এর মধ্যে সব থেকে বড় ব্যাপার আমার কাছে, আমি যে মেয়েটা জীবনে কিছু করতে পারিনি সে নিজে উপার্জনের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত পরিবারে জীবন যাপন করা সত্ত্বেও ঘরের শীততাপ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রটি কিনতে সক্ষম হয়েছি।এটা আর পাঁচ জনের কাছে বিশাল না হতে পারে বা অনেকের ঘরে থাকতে পারে তবে আমার কাছে অনেক বড়ো পাওয়া। আজ আমি বাবা বা স্বামীর টাকাই নয় বরং নিজের টাকায় ইচ্ছা হলেই পরে কিনবো বলে থেমে যাওয়া সাধ্যের মধ্যে থাকা জিনিসটা কিনতে পারি।আজ আমি একটু হলেও সাবলম্বী প্রতিলিপির হাত ধরে প্রতিলিপীর দেওয়া নতুন পরিচয়ে। প্রতিলিপি আমার মাঝে কিছু লিখতে পারার সত্তাটা বের করে দিয়েছে।প্রতিনিয়ত প্রতিলিপি প্ল্যাটফর্মের বড় বড় লেখক লেখিকাদের থেকে আমি মোটিভেট হচ্ছি। আমিও তাদের মত বড় অংকের উপার্জন করব এবং জীবনে আরো কিছু করব। প্রতিলিপি তে আয়োজিত বিভিন্ন পোগ্রামে অংশ গ্রহণ করে, স্টিকার কয়েন থেকে, সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে, মাসের শেষে প্রতিলিপি থেকে পাওয়া রয়ালিটি এবং বিশেষভাবে আয়োজিত প্রতিলিপির ফেলোশিপ ট্রেনিং গ্রহণ করে খুব সহজেই আমরা প্রতিলিপি পরিবারের সদস্যরা উপার্জন করতে পারি। এটা অত্যন্তই গর্বের।আমি চির কৃতজ্ঞ প্রতিলিপির প্রতি এবং যারা প্রতিলিপির টিমের মেম্বার, আমাদেরকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করে চলেছে লেখালেখির জগৎটাকে নিজেদের উপার্জনের জন্য পাকাপোক্ত করে নিতে আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ। কিছুই না জেনে যখন লিখতে শুরু করেছিলাম এই প্লাটফর্মে অনেক বন্ধুরা এগিয়ে এসেছে সাহায্য করতে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। প্রতিলিপি শুধু উপার্জনের একটা পন্থায় নয় মানুষের আবেগ, নয়া পরিবার গড়ার বাড়ি একটা। প্রতিলিপি যেমন ভালো ভালো গল্পের মাধ্যমে মানুষের অবসর কাটিয়ে দিতে পারে, মন খারাপঘুচিয়ে দিতে পারে তেমন আমাদের মত মানুষদেরকে স্বনির্ভর করতেও পারে।..." আরও পড়ুন -প্রতিলিপির হাত ধরে আমি! (হিনা আফরিন) "...আর নতুন যারা লেখক লেখিকা আছেন তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলবো ।প্রতিলিপি তে লেখা যখন শুরু করেছো তখন তোমাকে প্রথমে ধৈর্য ধরতে হবে একদিনেই তুমি সাফল্য পাবে না কিন্তু একদিন পাবে । তার জন্য তোমার লেখার মান উন্নত করতে হবে, বেশি বেশি করে পড়তে হবে । নতুন পুরনো সব লেখক লেখিকার লেখা পড় । নিজের লেখায় বানানের দিকে লক্ষ্য রাখবে । লেখার মাঝখানে যদি অতিরিক্ত ভুল বানান হয় তবে সেটা পড়ার আগ্রহ কমিয়ে দেয় । তাই বড় লেখায় একটা দুটো ভুল হতেই পারে তবে সেটা যেনো মাত্রারিক্ত না হয় লক্ষ্য রাখবে । আর ছোটো গল্পের তুলনায় ধারাবাহিক গল্প লেখার চেষ্টা করবে । প্রতিটা পর্বে এক হাজার শব্দের মধ্যে রাখলে ভালো হয় । আর সমস্ত পর্ব সাবস্ক্রিপশনের মধ্যে রাখবে । আর প্রতিটা পর্বের শেষে একটা সাসপেন্স রেখে শেষে করবে এতে তোমার পাঠকদের আগামী পর্বের জন্য আগ্রহ বাড়বে ।আর তাছাড়া সব শেষে একটা কথাই বলবো ।স্বপ্ন কে আকড়ে ধরে রাখো আর নিজের মনের কথা শোনো সাফল্য একদিন আসবেই । মাটি কামড়ে পরে থাকতে হবে নিজের জমি ছেড়ে দিলে চলবে না । নেতিবাচক মানুষ তোমার আশেপাশে থাকবেই তার মধ্যে থেকে তোমাকে আগুন পাখি হয়ে উড়ে যেতে হবে । মানুষ পারে না বলে আসলেই কোনো কথা হয় না। শুধু মনের মধ্যে দরকার অদম্য জেদ আর নিজের স্বপ্নের প্রতি প্যাসন । একদিন আকাশ তুমি ছোঁবেই ।..." আরও পড়ুন -নিজের পরিচয় (স্বাগতা পাঠক) আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতেআরও কাহিনী যুক্ত হবে।সঙ্গে থাকবেন টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম 2.001 সেপ্টেম্বর 2023কেমন লাগবে যদি আপনি শিখতে পারেন অনলাইনে প্রতি মাসে নিজের গল্প থেকে রয়্যালটি উপার্জন করার সিক্রেট? কেমন হত যদি আপনিও জানতেন নিজের লেখা প্রতিটি গল্পকে কয়েক মিলিয়ন পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অজানা বিভিন্ন উপায়? বড় দৈর্ঘ্যের, বেস্টসেলার ধারাবাহিক গল্প লেখার কোনো সহজ রেসিপি আছে কি? প্রতিলিপি অ্যাপে সফল লেখক লেখিকারা প্রতি মাসে কীভাবে নিজেদের লেখা থেকে মোটা অঙ্কের রয়্যালটি উপার্জন করছেন? যেসমস্ত লেখক লেখিকা এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন তাদের জন্য ভারতের সবথেকে বড় অনলাইন সাহিত্য প্ল্যাটফর্ম, প্রতিলিপি নিয়ে এসেছে এই 7 দিনের ফ্রি অনলাইন ট্রেনিং কোর্স (শুরু হচ্ছে 8 September)। এই কোর্সে থাকছে বেসিক থেকে অ্যাডভান্স - গল্প লেখা সম্পর্কিত যাবতীয় ট্রেনিং; অনলাইন দুনিয়ায় আপনাকে একজন সফল লেখক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে। এছাড়াও থাকছে প্রতিলিপি তরফে একটি বিশেষ ট্রেনিং সার্টিফিকেট জিতে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। প্রতিলিপি টিম প্রায় তিন মাস সময় ধরে এই ট্রেনিং কোর্সের মেটেরিয়াল তৈরি করেছে। প্রতিলিপি ফেলোশিপ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় এই সংস্করণে আপনি এতকিছু শিখতে চলেছেন যা লেখক হিসেবে আপনার জীবন বদলে দিতে পারে ও খুলে দিতে পারে প্রচুর সুযোগের দরজা। ইতিমধ্যে যারা প্রতিলিপির সদস্য বা যারা বাইরে থেকে আসতে চান - সমস্ত প্রতিভাবান লেখকদের আমরা হার্দিক আমন্ত্রণ জানাই 7 দিনের এই গল্প লেখার মাস্টারক্লাসে। *********************** আজই আমাদের অফিশিয়াল WhatsApp কমিউনিটি জয়েন করুন প্রতিলিপি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম 2.0' -তে অংশ নেওয়ার জন্য - https://chat.whatsapp.com/EMbF4PYDp4vKQ9IxaoMnzv *********************** একইসাথে, নিচে দেওয়া গুগল ফর্মটি পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক - https://forms.gle/296qXxhBeF2WcuCp7 (পুনশ্চ- এই রেজিস্ট্রেশন ফর্মটি 7 সেপ্টেম্বর রাত 12টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তারপরের কোনও সাবমিশন গ্রহণ করা হবে না।) *********************** চলুন একসাথে গল্পের মাধ্যমে আমরা এক সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলি। শুভেচ্ছান্তে, প্রতিলিপি ফেলোশিপ টিমআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৯26 অগাস্ট 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "...ধীরে ধীরে প্রতিলিপিতে কয়েন সিস্টেম চালু হলো। শুরু হলো লেখকদের লিখনির সম্মানিক দেওয়া। যদিও আমার পঞ্চাশ টাকা হতে মাস তিনেক সময় লেগেছিলো, তারপর প্রায় তিন হাজার টাকার মতো একসাথে পেয়েছিলাম। সেদিন যে কি আনন্দ হয়েছিল বলে বোঝাতে পারবো না। যারা আমাকে বলতো এইসব লিখে কি হবে!অকারণ সময় নষ্ট। তাঁদের সেদিন আমি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পেরেছিলাম যে সবুরের ফল সত্যিই মিঠে হয়। ধৈয্য ও প্রচেষ্টা কোনোদিনই বিফলে যায়না।তার পর পর কোনো মাসে হাজার, কখনো দেড় হাজার, কখনো দুহাজার টাকা ঢুকেছে। তবে দুঃখের বিষয় এই অর্থের পরিমান আমি এর বেশি বাড়াতে পারিনি, কারণ গত দুই বছর ধরে আমি অনেকগুলো ভালো ধারাবাহিক শুরু করলেও ব্যাক্তিগত পারিবারিক জীবন ও অত্যন্ত ব্যাস্ততার কারণে লেখায় খেই হারিয়ে সেই গল্প সম্পূর্ণ লিখে ওঠা হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে ধীরে ধীরে আমি সব লেখা আবার শেষ করবো। একটা কথা না বললেই নয় যে, প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপ্টশন, ও আইপি কন্ট্রাক্ট থেকে বেশ ভালো এমাউন্ট এর টাকা আমি পেয়েছি। যা আমার লিখন উদ্দীপনাকে এর বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে।এবার আসি ধারাবাহিক এর কথায়। আমার লেখা "লাভ সেক্স ধোঁকা" ধারাবাহিকটি আমাকে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা দিয়েছে এবং আগামী দিনেও দেবে তা জানি, এর জন্য আমার সকল পাঠক বর্গকে আরও একবার ধন্যবাদ জানাবো।নতুন যারা গল্প লিখতে শুরু করেছে তাঁদের জন্য বলবো.... প্রথম প্রথম ছোট ছোট লেখা দিয়ে, ছোট গল্প অনুগল্প দিয়ে পথ চলা শুরু করা ভালো। তাতে নিজেদের ভুল গুলো শুধরে নেওয়ার অনেক বেশি সুযোগ থাকে। তারপর পাঠকবর্গের আগ্রহের উপর নির্ভর করেই ধারাবাহিক লেখা শুরু করা উচিত। নিজের সময় ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে শব্দ সংখ্যা ও পর্ব সংখ্যা স্থির করতে হবে। খুব সহজ সাবলীল ভঙ্গিতে লেখা প্রয়োজন। যেকোনো গল্পে নিজেকে একজন সদস্য ভেবেই গল্প লেখা দরকার। তাতে প্লট অনেক বেশি সুদৃঢ় হয়। মনের সমস্ত ভাবনা, কল্পনাশক্তিকে উপুড় করে দিয়ে লিখতে থাকলেই ঠিক একদিন সাফল্য আসবে। কোনো কিছুই এক দিনে হয়না,সময় দিয়ে হয়। তবে কোনো নেগেটিভ কমেন্টস পেলে তারসাথে মতো বিরোধে না গিয়ে বিষয়টা এভোয়েড করাই ভালো বলে মনে করি। নাহলে অযাচিত ভাবেই লেখার মান খারাপ হয়ে যাওয়া ও একাউন্ট হারানোর সম্ভবনা থাকে।..." আরও পড়ুন -যখন সময় থমকে দাঁড়ায় (দেবারতি সাঁতরা) "...প্রতিলিপি থেকে আমার প্রথম আয় পঞ্চাশ টাকা। পাঠকদের প্রদত্ত স্টিকারের মাধ্যমে। ব্যাঙ্ক একাউন্ট যোগ করার অপশন টা দেখাচ্ছিল তখন।আমি ভাবলাম আরো কিছু যোগ হোক তারপর একাউন্ট যোগ করবো।তারপর একদিন প্রতিলিপি থেকে যোগাযোগ করা হলো গল্প অডিওর জন্য। তখন আমার প্রথম গল্পটা শেষ হয়ে দ্বিতীয় গল্পটিও প্রায় সমাপ্তির পথে। তৃতীয় গল্পটি ভালোবাসি তোমায় চলছে। তিনটে গল্পই একসাথে প্রতিলিপি থেকে অডিওর জন্য চুক্তিবদ্ধ হলাম। প্রথম একাউন্টে মোটা টাকা ঢুকলো আমার প্রতিলিপি থেকে। খুব খুশি হয়েছিলাম। পরিবারের সকলকে উপহার দিয়েছিলাম আমি আমার সেই উপার্জন থেকে। এরপর কয়েন চালু হলো। তারপর সুপারফ্যান, প্রিমিয়াম সাবক্রিপশন হওয়াতে উপার্জন বৃদ্ধি পেলো। সত্যি বলতে এখন আর আমি শুধুই গৃহবধূ নেই যে সবকিছু তে সম্পূর্ণ স্বামীর ওপর নির্ভরশীল। কিছুটা সাবলম্বী হয়েছি আমি প্রতিলিপির হাত ধরে। এখন প্রতি মাসে কিছু উপার্জন আমিও করি। এটা যে আমাকে কতোটা স্বস্তি দিয়েছে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার মনের অন্তরালে যে বিষয়টি এতোকাল ছিল সেটা যে সাহস করে কোনদিন বের করে আনতে পারবো ভাবিনি আমি। একমাত্র প্রতিলিপির জন্যই সম্ভব হয়েছে সেটা। প্রতিলিপি মানুষের সাথে আছে, আমাদের মতো গৃহবধূ, কলেজ পড়ুয়াদের পাশে আছে। আশাকরি আগামীতেও থাকবে। আমার যেটুকু সাফল্য সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রতিলিপির জন্য।বর্তমানে আমার তিনটি গল্প চলছে।দস্যি মেয়ের সংসার,মরা গাঙে উষ্ণ ভালোবাসার জোয়ার আর অভিমানী দাম্পত্য।তার মধ্যে দস্যি মেয়ের সংসার একদম শেষের দিকে আছে। আমার প্রথম যে তিনটি গল্প অডিও হয়েছে সেগুলো হলো... ভালোবাসার অঙ্গন ,আমি যে তোমার পরীনিতি,আর ভালোবাসি তোমায়। এরমধ্যে ভালোবাসি তোমায় গল্পটা সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে।বেশ কয়েকবার বেস্ট সেলারের তালিকায় এসেছে গল্পটা। সিজন টু লেখার অনুরোধ আসছে প্রতিলিপি এবং পাঠকদের তরফ থেকে বারবার।একটু সময় পেলেই ভালোবাসি তোমায় সিজন টু লেখা শুরু করবো আমি। ভালোবাসি তোমায় গল্পটা থেকেই আমার পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এখন যেটা ৬০০০ অতিক্রম করে গেছে।এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রতিলিপি এবং পাঠক বন্ধুদের ভালোবাসায়।..." আরও পড়ুন -প্রতিলিপিতে পথচলার স্মৃতিচারণ (মুনমুন অধিকারী রায়) "...কখনো মোবাইলে লম্বা গল্প লিখবো ভাবিনি, যতটুকু লিখেছি, ঐ ফেসবুকের পাতায় অবরে সবরে, খেয়ালে বে খেয়ালে। তাই অসুবিধে তো হচ্ছিলোই, তবে সেই অসুবিধে কাটিয়ে উঠতে বিশেষ সময় লাগলো না। আঙুল চলতে লাগলো। ছোট ছোট গল্প প্রকাশিত হতে লাগলো। বেশ কিছু অপরিচিত মানুষ আমার গল্প পড়লেন। ভালো মন্দ মতামত দিলেন। লিখে ফেললাম সতেরো পর্বের একটা ধারাবাহিক, দিন যায়। মানুষের ভালো লাগলো, তবে অনেকেই লিখলেন, এটা বোধ হয় আমার জীবন কাহিনী। আসলে দিন যায় ছিলো নিছকই একটা গল্প। কিন্তু তখন মাথায় এসে গেছে নিজের অটোবায়োগ্রাফি লিখলে মন্দ হয় না।দিন যায় কে কন্টিনিউ করে একটা ট্রিলজি লিখে ফেললাম। দিন যায়, নানা রঙের দিনগুলি, আর দিনান্তে। অবশ্যই ছোট ছোট পর্ব। সে সময় ধারাবাহিক গল্পের পর্বে প্রতিলিপির ধার্য করা শব্দ সংখ্যা ছিলো দুশো+, সেই মতো এগিয়ে চলেছি, ইতিমধ্যে পুজো এসে গেলো।প্রতিলিপি আয়োজন করলো শারদ অর্ঘ ২০২০ প্রতিযোগিতা। অনেক গুলো সেগমেন্ট। অনুগল্প, ছোটগল্প, রম্য রচনা, উপন্যাস, নাটক আরো কতো কি! বেশ কিছু সেগমেন্টে লিখলাম। রম্যরচনা বিভাগে প্রথম হলো আমার গল্প আয়ান। এক হাজার টাকা পুরস্কার। ভাবতে পারিনি লিখেও টাকা পাওয়া যায়।এর পর পর পর২০২১- ২০২২সালে ষোলো সতেরোটা পুরস্কার ঢুকলো আমার ঝুলিতে। বাড়িতে বাঁধানো সার্টিফিকেট আসতে শুরু করেছে, এমন সময় প্রতিলিপি নিয়ে এলো মনিটাইজেশন। মানুষ স্টিকার দিচ্ছেন, কয়েন দিচ্ছেন, কাউকেই আমি চিনি না।উৎসাহে লিখতে শুরু করলাম পরবাসে আর আমার আত্ম কাহিনী পরিত্যাক্ত ডায়েরি। পরিত্যাক্ত ডায়েরি লেখাটা বানালাম প্রফেসর শঙ্কুর স্টাইলে। আর পরবাসে তৈরি করলাম কাট টু কাট মেথডে। পরবাসে সুপার হিট হয়ে গেল। ঢুকে গেল প্রথম প্রিমিয়াম গল্পে। তৈরী হলো প্রতিলিপি এফ এমের জন্য অডিও গল্প। মনে আছে এক মাসে স্টিকার আর প্রিমিয়াম মিলিয়ে রোজগার করলাম বারো হাজার টাকা। এখন অবশ্য সেই টাকার অঙ্ক কমে কমে হাজার খানেক হাজার দুয়েকের আসেপাশে ঘোরাঘুরি করে।ওদিকে শুরু হলো সেরা কলমকার এওয়ার্ড। প্রথম দুটো প্রতিযোগিতায় সাফল্য না এলেও, তৃতীয় প্রতিযোগিতায় তৃতীয়, আর চতুর্থ প্রতিযেগিতায় একটা বিশেষ স্থান পেলাম। প্রথম প্রতিযোগিতায় লিখেছিলাম সায়েন্স ফিকশন,প্রেম, রহস্য মিশিয়ে প্রতিচ্ছবি (চৌধুরী বাড়ির রহস্য) একটা অন্য রকম লেখা। গল্পটা বড়োদের, কিন্তু স্টাইলটা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ছোটদের গল্পের মত। দ্বিতীয় সেরা কলমকারে লিখলাম অসূর্যম্পশ্যা। বনফুলের স্টাইলে শরৎ চন্দ্রের মেয়ে মানুষের দুঃখের কাহিনী আর পুরুষের আজীবন আত্মত্যাগ। আমার মতে এই লেখাটাই আমার সেরা লেখা।দুটোর একটাও লাগলো না। তখন ঠিক করলাম, নিজের পুরনো স্টাইলে ফিরে যাবো। ফল পেলাম হাতে নাতে। দৈনিক খবরের কাগজের রাজনৈতিক খুন গুলোকে এক সুতোয় বেঁধে তৈরী হলো সিরিয়াল কিলিং এর গল্প পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক।তৃতীয় পুরস্কার।..." আরও পড়ুন -প্রতিলিপিতে আমার পথচলা (সব্যসাচী সেন) "... প্রতিলিপির বেশ কয়েকটা গ্রুপে নিজেকে দেখে সত্যি ভালো লাগে! প্রতিলিপির গল্প ছাড়া আমি যেন সত্যি নিজেকে শূন্য অনুভব করি! অসুস্থতার জন্য যদি গল্প লিখতে না পারি তবে মন ছটফট করে ওঠে ..... খুব আনন্দ হয় আমার যখন অনুভব হয় , যে বিষয়টা আমি এক সময় করেছি.... আমার লেখক লেখিকাদের মেসেজ করে জিজ্ঞাসা করতাম পরবর্তী পর্ব কখন দেবে, এখন আমার পাঠক পাঠিকারা একই কথা জিজ্ঞাসা করে! সত্যি বলতে কি প্রতিলিপি ছাড়া এখন আমি পুরোপুরি অন্ধ .... সেটা গল্প লেখার ক্ষেত্রেই হোক বা পড়ার ক্ষেত্রে! ব্যস্ততার নিরিখে গল্প লিখতে না পারলে আমি রাত তিনটা চারটে পর্যন্ত গল্প দিয়েছি ! সেটা শুধু গল্প দেওয়ার জন্য নয় , প্রতিলিপির প্রতি আমার অগাধ অনুভূতির জন্য এ বিষয়টা হয়েছে! আমার প্রিয় লেখিকাদের সাথে সম্পর্কটা যেন আরো নিবিড় হয়ে উঠেছে এখন। এক সময় যারা আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল, যাদের গল্প পড়ে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যেতাম আজ ওরা আমার লেখিকা বন্ধু , ছোট বোনের মতো! প্রতিলিপি নিত্য নতুন আয়োজন করছে অনেক প্রতিযোগিতা, নতুন ফিচারস, ফেলোসিপ প্রোগ্রাম... এখন যেন এই জগৎটা আমার পারিবারিক জগৎ হয়ে গড়ে উঠেছে। আমার অনুসরণকারী , আমার রিভিউ সংখ্যা খুব বেশি নয়... তবু আমি সন্তুষ্ট ! যে কয়েকজনের ভালোবাসা পেয়েছি ওরা সবসময় লেখালেখির কাজে উৎসাহ প্রদান করে আমাকে। সাইলেন্ট রিডারদের ধন্যবাদ জানাই ওরাও সমভাবে অংশীদার আমার পাঠক সংখ্যার তালিকায় ! তোমাদের ভালোবাসায় আমার পাঠক সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ ছুঁতে চলেছে! ভবিষ্যতে আমার গল্প গুলোতে তোমাদের রিভিউ এর মাধ্যমে তোমাদের নাম জানতে পারবো, আমি আশাবাদী! অনেক নবাগত লেখিকারা প্রতিলিপিতে লেখালেখি করছে, এদের অনেকেই আমার গল্পে রিভিউতে পেয়েছি! খুব ভালো লাগে যখন ' দিদি' বলে সম্বোধন করে .... তোমরা এভাবে এগিয়ে যাও, লেখালেখির জগৎটা তোমার! তুমি তোমার জগতের কান্ডারী , তাই কখনো হাল ছেড়ো না। প্রতিলিপি আমাকে বেঁচে থাকার রসদ সরবরাহ করেছে! এখন এই জগৎ ফেলে জীবন যাপন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়! যতদিন বেঁচে আছি প্রতিলিপির সাথে জুড়ে থাকবো ! আমার নতুন গল্পে "সহধর্মিণী ~ভালোবাসার এক নতুন অধ্যায়" এবং "ভালোবাসার 💞 রংমহল" দুটো গল্পে আমার সকল পাঠক পাঠিকাদের এবং সাইলেন্ট রিডারদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে জুড়ে থাকার আবেদন রইল 🙏'স্মৃতিরপাতায়প্রতিলিপি' এই ছোট্ট প্রতিবেদনে আমার প্রিয় প্রতিলিপির সকল টিম মেম্বারদের জানাই ধন্যবাদ! আমার প্রিয় লেখক লেখিকাদের প্রতি প্রাণ ভরা ভালোবাসা, নবাগত লেখক লেখিকাদের অভিনন্দন রইল ! সবশেষে আমার সকল পাঠক পাঠিকাদের জন্য রইল মনের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা, তোমরা সবাই সবসময় আমার পাশে থেকো! তোমাদের ভালোবাসা আমার গল্পের উৎস🙏🙏❤️" আরও পড়ুন -স্মৃতির পাতায় 🌿 💖প্রতিলিপি💖 (স্নিগ্ধা পারিয়াল) "...প্রতিলিপির যে বিষয়গুলি আমার ভাল লাগে -(১) ধারাবাহিক লেখকদের জন্য বারবার একাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। আমার বিশেষ পছন্দ, সেরা কলমকার প্রতিযোগিতাটি কারণ এতে নিজের পছন্দের প্লট বাছার স্বাধীনতা থাকে। আপনারা জানেন, আমার লেখা "পূর্ব পশ্চিম বন্ধু সঙ্গম" উপন্যাসটি সেরা কলমকার ৪ প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়েছে। এটা আমাকে খুব অল্পসময়ের মধ্যে আরেকটি ঐতিহাসিক উপন্যাস "নিকষেতে তড়িৎপ্রভা" লিখতে মোটিভেশন দিয়েছে। মাত্র তিন মাসে আমি ১০৬ পর্বের একটি উপন্যাস নামিয়েছি, প্রচুর পরিশ্রম গিয়েছে। মোটিভেশন না থাকলে এতগুলো বই পড়া এবং সেই সাথে এত বড় উপন্যাস এত কম সময়ে লেখা সম্ভব হত না।(২) লেখকদের ওপর ট্রোলদের ব্যক্তিগত আক্রমণের প্রতি জিরো টলারেন্স রাখা প্রতিলিপির আরেকটি ভাল বৈশিষ্ট্য।(৩) ইদানীং লেখকদের উপার্জনের প্রচুর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নতুন ফিচারে যে সব ধারাবাহিক সাবস্ক্রিপশনের আওতায় রাখা হচ্ছে এটাও খুব ভাল। লেখকরা পারিশ্রমিক ডিজার্ভ করেন, তাঁরা সেটা পেলে আরো দায়বদ্ধ হয়ে লিখবেন, লেখার মানের দিকে আরো মনোযোগ দেবেন বলে আমার বিশ্বাস।(৪) পোস্ট করার ফিচারটা খুব ভাল। এটার মাধ্যমে আমি AI ব্যবহার করে গল্পের চরিত্রদের ছবি বানিয়ে পাঠকবন্ধুদের দেখাতে পারি।..." আরও পড়ুন -প্রতিলিপিতে, ফিরে দেখা কয়েকবছর (তিয়াসা চ্যাটার্জী) আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতেআরও কাহিনী যুক্ত হবে।সঙ্গে থাকবেন টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৮23 অগাস্ট 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "...প্রথম দেড় বছর মতো আমি খালি মনের সুখে প্রতিলিপিতে গল্প পড়েছি।অনেক অনেক রকমের গল্প পড়েছি। আর এগুলো পড়তে পড়তে আমি যেটা বুঝতে পারছিলাম যে এখানে সব রকমের লেখকরাই গল্প লেখে। কারন প্রতিলিপিতে পাকা হাতের লেখা যেমন আছে তেমনই কিছু কাঁচা হাতের লেখাও আছে। অনেকে আছে যারা নতুন লেখা শুরু করেছে।আর এই সবরকমের লেখা পড়তে পড়তেই একদিন হঠাৎ করেই আমার নিজের মাথাতেও গল্প লেখার ভুত চেপে গেলো। ছোটবেলায় টুকটাক ছোট গল্প আর কবিতা লিখেছিলাম। সেটা নেহাতই বাচ্চা বাচ্চা লেখা। এখন পড়লে নিজেরই হাসি পায়। ওইটুকু বাদে আর গল্প লেখা, বিশেষ করে উপন্যাস লেখার ক্ষমতা আমার ছিলোনা। আর প্রতিলিপি নামক প্লাটফর্মটা না থাকলে এই গল্প লেখার দুঃসাহস টাও আমি হয়তো দেখাতাম না।যখন দেখলাম অনেক কাঁচা হাতে লেখা গল্পও এখানে প্রকাশিত হচ্ছে। আর এত পাঠকরা সেটা পড়ছে ও সাপোর্ট করছে,তখনই মনে হলো আমি নিজেও একবার চেষ্টা করে দেখি,,পারি কিনা।সত্যি কথা বলতে শুধুমাত্র আমি লিখতে পারবো কিনা সেটা জানার জন্যই আমি লেখাটা শুরু করেছিলাম।কোনো রকম জনপ্রিয়তার কথা আমি একদমই আশা করিনি।30 জানুয়ারি,2020 আমি আমার এই জার্নিটা আমার প্রথম গল্প "একটি ভালোবাসার গল্প" দিয়ে শুরু করে ছিলাম। গল্পের প্লটটা হঠাৎ করেই আমার মাথায় এসেছিল। তাই আর কিছু না ভেবেই দুম করে লিখে ফেলেছিলাম প্রথম পর্বটা। ভেবেছিলাম কি আর হবে?খুব বেশি হলে সবাই খারাপ বলবে। মারধর তো আর করবে না।খারাপ রেসপন্স পেলে নাহয় গল্পটা সরিয়ে ফেলবো।আমার আজও ওই দিনটার কথা ভাবলেই হাসি পাই। প্রথম পর্বটা প্রকাশিত করার পর আমার সে কি টেনশন আর এক্সাইটমেন্ট। আমি প্রায় প্রতিটি মিনিটে মিনিটে প্রতিলিপি খুলে চেক করছিলাম যে কতগুলো ভিউ হলো, কমেন্ট হলো কিনা একটাও।..." আরও পড়ুন - প্রতিলিপি (সায়নী মহাপাত্র) "...অবশ্য এই 5মিলিয়ন সংখ্যা টা এত সহজে হয়নি,, এর জন্য আমি অনেক পরিশ্রম করেছি,, রেগুলার দুটো তিনটে করে এপিসোড লিখেছি,,, প্রথম ছয় মাস কিন্তু আমার পাঠক মোটে 50000 ছিলো,, কিন্তু আমি কোনোদিকে না তাকিয়ে লিখে গেছি,,,তার পরের তিন মাসে এক লাফে দশ লাখ পাঠক হয়ে যায়,,, এবং বাকি দেড় বছরে আরো চল্লিশ লাখ পাঠক আমার লেখা পড়েছেন,, প্রতিলিপি তে আমাদের একটাই কথা বলা হয় যে ধৈর্য রাখুন এবং পরিশ্রম করুন,,আমি সেটা অক্ষরে অক্ষরে মেনেছি,,আর রিভিউ এর কথা বলতে গেলে বলবো যে রিভিউ পেতে তো ভালোই লাগে তবে খুব কম জন ই দেয়,,,যারা দেয় আমি জানি,,,না দিলে সত্যি খুব খারাপ লাগে সে যাই হোক,,,কিছু মানুষের রিভিউ আমি প্রতিটি গল্পের প্রতিটি এপিসোডে পাই,, এবং তাদের রিভিউ দেখা আমার ও নেশা হয়ে গেছে,,, একদিন দেখতে না পেলে মনে হয় এই রে আমাকে ভুলে গেলো নাকি!!!!তাই যখন কেউ রিকোয়েস্ট করে দিদি আজ বেশি করে পর্ব দাও,,আমি কিন্তু দিই,,, আমি মেঘ বৃষ্টি প্রেম এর একদিনে পাঁচটা পর্ব লিখেছি এবং এক পরী ও তিন যুবক এর চারটে নতুন পর্ব একই দিনে লিখেছি, শুধু তোমাদের কথায়,,,,আমার মাইগ্রেন আছে,চোখে মাইনাস পাওয়ার তবুও আমি লিখি কারন একটাই লিখতে ভালো লাগে,,,এরপরেও যখন দেখি রিভিউ দাও না আমার সত্যি খারাপ লাগে।এখন একদিন অসুস্থ থাকলে অনেক মেসেজ পাই দিদি তুমি কেন লেখা দিলেনা,, এবং তারা আমার সুস্হ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে,, খোঁজ নেয়,,আমিও নিই,, সমস্ত পাঠকদের আমি বলেছি আপনি নয়,ম্যাডাম নয়, তুমি করে বলবে,,,আমি তোমাদের দিদি বা বোন,,আমি সবার মতো সাধারন মানুষ,,আমি তোমাদের সাথে মিশতে চাই,,আর মিশেছি ও,,আমি লেখিকা হয়ে ফুরিয়ে যেতে চাই না..." আরও পড়ুন -❤️ স্বপ্ন পূরনে প্রতিলিপি-- উপালী র কলমে ❤️ "...ঠিক 2022 এর এপ্রিল মে মাসে আমি আবার প্রতিলিপি অ্যাপটা ইনস্টল করি। একটু একটু লেখা দিতে শুরু করি। তখন শুধু ছোট গল্প আর কবিতা লিখতাম। ঠিক সেই সময়ই প্রতিলিপিতে একটা ওয়েবিনার আয়োজন করা হয়। বলতে পারেন সেই ওয়েবিনারটাই আমার জীবনটা একদম বদলে দিল। যে মেয়েটা ছোট গল্প আর কবিতার বাইরে কিছুই বুঝত না, সেই লিখে ফেলল তার প্রথম ধারাবাহিক উপন্যাস গড়পুরের বৌরাণী। হ্যাঁ! এই শিরোনাম নিয়ে অনেক পাঠক অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু তারাই যখন শেষ অবধি উপন্যাসটা পড়েছেন। তারাই বলেছেন ভীষণ ভালো একটি উপন্যাস।ওই উপন্যাসটা লিখতে লিখতেই আমার অনেক সুপারফ্যান হয়। আমি তখনই বুঝতে পারি শুধুমাত্র লিখেও টাকা পাওয়া যায়। না এই ধারণা যে একদম ছিল না তা নয়। তখন অলরেডি আমার তিন তিনটি বই প্রকাশিত। দুটি কবিতার বই আর একটি ছোটগল্পের বই। প্রকাশকদের কাছ থেকে রয়্যালটির টাকাও পেয়েছি। কিন্তু এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যে প্রতিমাসে শুধু লিখে উপার্জন করা যায়, সেটা প্রথম বুঝেছিলাম প্রতিলিপিতে এসে।একটা সময় যখন আমি ফেসবুকে লিখতাম তখন অনেক বন্ধুরা আমার লেখা নিয়ে নানান মন্তব্য করেছিল। আমার লেখাগুলো নাকি ঠিক ঠাক হচ্ছে না। তাদের কথা শুনে একসময় ঠিক করেছিলাম আর লিখব না। কিন্তু পরমুহূর্তেই আবার তাদের কথার জবাব দিতেই তুলে নিয়েছিলাম কলম। তাই আজকে আমার সফলতার গল্প বলতে এসে, সেই সব বন্ধুদের অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা যদি সেই আঘাতটা না দিত তাহলে হয়ত এই দিনটা আসত না আমার জীবনে। আমি নিজের লেখার প্রতি এতটাও যত্নবান হতাম না।এরপর আসি প্রতিলিপিতে আমার ধীরে ধীরে উত্তরণ হবার কথায়। প্রথম ধারাবাহিক গড়পুরের বৌরাণী জনপ্ৰিয় হবার পরই আমি শুরু করি আরও একটি ভৌতিক উপন্যাস কালভৈরবীর চড়। সেটিও এখন পাঁচ লক্ষ পাঠকের কাছে পৌঁছে গেছে।..." আরও পড়ুন -হাঁটছি আলোর পথে (মৌসুমী বৈদ্য দাস) "...দীপশিখা আজ ৩৪২ তম পর্বে পৌঁছে গেছে । এই মুহূর্তে আমার ফলোয়ার ৩১০০ ছাড়িয়েছে । শুরুটা হয়েছিল প্রথম সেরা কলমকার প্রতিযোগিতা থেকে । সম্প্রতি সেরা কলমকার-৬ শুরু হয়েছে । মাঝখানে সমাপ্ত হয়েছে পাঁচটি প্রতিযোগিতা । কেটে গেছে প্রায় দুটি বছর । আজও দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দীপশিখা । তার পাঠক সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২৫ লক্ষ । আমার সর্বমোট পাঠক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৬ লক্ষ । সবই সম্ভব হয়েছে পাঠকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় । প্রায় দু'বছর ধরে দীপশিখা লিখতে লিখতে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি । নিজের লেখার মান বৃদ্ধি পেয়েছে । পাঠকের মন বোঝা লেখক হিসেবে খুব জরুরি । যে লেখাটি লিখছি তা পাঠকের মনে কতটা দাগ কাটতে পারে এ ব্যাপারে একটি ধারণা থাকা খুবই আবশ্যিক লেখকের কাছে । বিশেষ করে একটি চলমান ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে । গল্পের প্লট , টুইস্ট এবং পর্বের শেষে এমন একটি ঘটনার অবতারণা করতে হয় যা পাঠকে পরবর্তী পর্বে যাবার জন্যে উৎসাহিত করবে । সর্বোপরি শেষ পর্ব পর্যন্ত পাঠককে ধরে রাখা একটি বিশেষ গুণ লেখকের । কিছু দিন আগে ' প্রতিলিপি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ' নামক একটি অনলাইন ট্রেনিং-এর ব্যাবস্থা করেছিল প্রতিলিপি । তাতে লেখালিখি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল । খুব মনোযোগ দিয়ে সেটি শুনেছিলাম । সেখানে অনেক নতুন কিছু ধারণা দেওয়া হয়েছিল লেখকদের । শিখেছি অনেক কিছু । আবার এটাও বুঝেছি , দীপশিখা ঠিক ভাবেই এগিয়ে চলেছে । এই মুহূর্তে প্রায় ৬৯০০০ রেটিং পড়েছে দীপশিখায় । যার গড় ৪.৮১ । রিভিউ পেয়েছি ১৭০০০ এর উপর । এর জন্য আমার প্রতিলিপির পাঠকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ । এই মুহূর্তে প্রতিলিপি বা দীপশিখা আমার রোজগারের একটি রাস্তা খুলে দিয়েছে । পাঠকরা আমাকে সাবস্ক্রাইব করেন , যাঁরা আমার সুপারফ্যান । একটা সময়ে ৭০ এর কাছাকাছি সুপারফ্যান ছিল আমার । বর্তমানে প্রতিলিপি ফিচারে কিছু রদবদল আনায় সেটা নেমে গেছে অনেকটা । কিন্তু আমার রোজগার কমেনি । কয়েন , স্টিকার , সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশন ও প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন থেকে প্রতি মাসে২৫০০ - ৩০০০টাকা আমার অ্যাকাউন্টে আসে । যত দিন যাচ্ছে এটা বৃদ্ধি পাচ্ছে । যারা প্রতিলিপিতে নতুন লিখছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি । ধৈর্য একটি বড় বিষয় । রাতারাতি জনপ্রিয়তা আসে না । নিজের প্রতি আস্থা রেখে লিখতে থাকুন।..." আরও পড়ুন -উত্তরণ (অরূপ প্রামাণিক) "...প্রতিলিপি আমার সাথে আমার লেখা মোট চৌত্রিশটি গল্প নিয়ে আই.পি কন্ট্রাক্ট করেছে। আমার লেখা বেশ কিছু গল্প স্থান পেয়েছে প্রতিলিপি এফ.এম-এ। খুব শীঘ্রই আমার লাল-গোলাপ উপন্যাসটি পুস্তক আকারে মুদ্রিত হতে চলেছে। প্রতিলিপিতে সাবস্ত্রিপশন, সুপার-ফ্যান প্রভৃতি নিয়ম চালু হওয়ার ফলে প্রতি মাসেই ঘটে চলেছে অর্থ প্রাপ্তি। আর সেই অর্থের পরিমাণ ক্রম-বর্ধমান। প্রতিলিপিতে আমার লেখার সাফল্য দেখে বেশ কিছু অন-লাইন প্ল্যাটফর্ম আমার সাথে যোগাযোগ করে। আমি সেই প্ল্যাটফর্ম কয়েকটি গল্প লিখলেও, নানা কারণে সেসব জায়গায় বেশিদিন গল্প লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। নির্দিষ্ট লক্ষ না থাকলে কোনও কাজে এগোনো সম্ভব হয় না। প্রতিলিপি নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে লেখকদের কাছে একটি লক্ষ্য স্থির করে দেয়। অনলাইন গল্পের পাশাপাশি প্রতিলিপি নিয়ে এসেছে অডিও, কমিকস প্রভৃতি। তার ফলে লেখক ও পাঠক উভয়ের উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে যথেষ্ট। প্রতিলিপি লেখকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। কোনও সমস্যা হলে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে সেই সমস্যা সমাধান করার। লেখক বা পাঠকের তারা যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সম্পূর্ণ ভাবে রক্ষা করে। লেখকদের নানা প্রকার টিপস ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে আরও ভালো গল্প লিখতে সাহায্য করে। লেখকদের উপার্জন ও পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য তারা নিরলস প্রচেষ্টা করে চলেছে। এই সকল কারণে প্রতিলিপির প্রতি আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। ..." আরও পড়ুন -আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ (জয়দীপ চক্রবর্তী) আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতেআরও কাহিনী যুক্ত হবে।সঙ্গে থাকবেন টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপি সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস: 60 পর্বের গল্প লেখার জন্য 6টি সিক্রেট টিপস22 অগাস্ট 2023প্রিয় লেখক, ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় অনলাইন সাহিত্য প্রতিযোগিতা প্রতিলিপি সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস এর নতুন আরেকটি সিজন শুরু হয়ে গেছে। এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র একটি 60 পর্বের ধারাবাহিক গল্প লিখলেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন প্রতিলিপিতে সেরা কলমকার সম্মানে সম্মানিত হওয়ার অভাবনীয় সুযোগ; একইসাথে থাকছে আকর্ষণীয় অনেক পুরস্কার ও দারুণ সুযোগ। আমরা আপনার জন্য এনেছি এমন 6 টি সিক্রেট টিপস যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে একটি বড় ধারাবাহিক গল্প প্ল্যান করতে পারবেন ও 25 ডিসেম্বর, অর্থাৎ প্রতিযোগিতার শেষ দিনের মধ্যেই 60 পর্বের গল্পটি লিখে শেষ করতে পারবেন। 1.লাইনের একটি প্লট নিন- একটি সাদা পাতায় 1 লাইনের একটি প্লট ভেবে লিখুন। যেকোনো দৈনিক ঘটনা/ খবরের কাগজ/ টিভি নিউজ/ কোনো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা প্রতিলিপির কোনো পাঠকের রিভিউ ইত্যাদি যেকোনো জায়গা থেকে আপনি এই প্লট আইডিয়া পেতে পারেন। 2. গল্পের একটি সারাংশ লিখুন, হাফ পেজের বেশি নয় - এই 1 লাইনের প্লটের ওপর ভিত্তি করে আপনার গল্পটিকে ফ্রেম করার চেষ্টা করুন। গল্প কীভাবে শুরু ও শেষ হবে সেটা ভাবুন ও খুব সংক্ষেপে লিখে নিন। গল্পে কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থাকতে পারে সেটিও লিখুন। এছাড়া আরও কিছু পরিকল্পনা থাকলে সেটিও সাজিয়ে লিখে ফেলুন। 3. গল্পের মূল চরিত্রদের তৈরি করুন - আপনার গল্পের মূল চরিত্ররা কেমন হবে ভাবুন। তারা কোথায় থাকে? কেমন তাদের জীবন? তাদের বাড়িতে কে কে রয়েছে? তাদের ব্যক্তিগত জীবন বা পার্সোনালিটিই বা কেমন? আপনার গল্পে আর কোন কোন চরিত্র প্রয়োজন? এই সব নিয়ে 4-5 লাইনের একটি নোটস বানিয়ে নিন। 4. গল্পের শুরু থেকে শেষ অবধি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি লিখে নিন - একটি সাদা পাতা নিন। ওপরে লেখা সারাংশ ও চরিত্রদের নিয়ে আপনার গল্পে কোন কোন সম্ভাব্য বড় ঘটনাগুলি ঘটতে থাকবে সেগুলি পরপর পয়েন্ট করে লিখে নিন। প্রতিটি ঘটনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত 1,2,3,4 পয়েন্ট করে পরপর লিখে ফেলুন। 1 লাইন করে প্রতিটি ঘটনা লিখে নিলেই হবে। 5. গল্পটিকে বিভিন্ন পর্বে ভাগ করে নিন - এবার সময় এসে গেছে একটি 60 পর্বের গল্প প্ল্যান করার। মোট 6টি সেকশন বানিয়ে নিন এবং গল্পের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলিকে প্রতিটি সেকশন অনুযায়ী ভাগ করে দিন - 1-10 পর্ব 11-20 পর্ব 21-30 পর্ব 31-40 পর্ব 41-50 পর্ব 51-60 পর্ব প্রতিটি সেকশনে গল্প কীভাবে এগোবে? আপনার আইডিয়াগুলি এক একটি সেকশনের পাশে 1-2 লাইনে লিখে ফেলুন। 6. প্রতিটি একক পর্ব নিয়ে এক লাইনের নোট লিখুন - আমরা এবার প্রায় তৈরি! আপনি গল্পকে ইতিমধ্যে 6টি সেকশনে ভেঙেছেন ও প্রতিটি বিভাগে গল্পে কী কী ঘটবে সেই আইডিয়া লিখে নিয়েছেন। এবার আপনাকে শুধু প্রতিটি একক পর্ব প্ল্যান করতে হবে। গল্পের প্রতিটি পর্বে কী ঘটবে সেই নিয়ে 1 লাইন করে একটি রাফ আইডিয়া লিখে ফেলুন। যেমন - পর্ব 1- পর্ব 2- পর্ব 3- পর্ব 4- এইভাবে চালিয়ে যান ******************************* এই পুরো প্ল্যানিং করতে আপনার লাগবে বড়জোর 2-3 দিন। কিন্তু মন রাখবেন, গল্প লেখা শুরুর আগে এই পরিকল্পনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস - 6 প্রতিযোগিতায় লেখা শুরু করবেন তখন এই পরিকল্পনাটিই আপনাকে কোনোরকম বাধা ছাড়াই একদম সহজে প্রতিদিন লেখা চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আপনি যেহেতু আগে থেকেই সব প্ল্যান করে রাখছেন তাই আইডিয়া নিয়ে কোনো সমস্যা আপনার হবে না। এইভাবে অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের থেকে আপনি বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবেন। টিম প্রতিলিপির শেয়ার করা এই হ্যাক একবার ট্রাই করুন! আপনি নিজেই দেখবেন গল্প লেখার প্রক্রিয়াটি আপনার কাছে কতটা সহজ হয়ে গেছে। আমরা বিশ্বাসী যে আপনি 25 ডিসেম্বরের মধ্যেই খুব সহজে আপনার 60 পর্বের গল্পটি লেখা শেষ করতে পারবেন। সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস 6 ইভেন্টের বিষয়ে বিশদে জানতে ক্লিক করুন - https://bengali.pratilipi.com/event/laj7ky2419 লেখা শুরু করুন আজই! অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল, প্রতিলিপি বাংলা প্রতিযোগিতা বিভাগআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৭19 অগাস্ট 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "...গোল্ডেন ব্যাচ পাওয়ার পর প্ৰথম লিখতে আরম্ভ করেছিলাম Lady lion-এর সিকুয়াল, প্ৰেমবর্ষণ আর শুভ পরিণয়। লেডি লায়ন আর প্ৰেমবর্ষণ খাতা থেকে টাইপ করে লিখে প্ৰতিলিপিতে আপলোড করেছিলাম... ওগুলো ইলেভেন, টুয়েলভেই লেখা। শুভ পরিণয় সম্পূর্ণ ব্ৰেন থেকে ফোনের কীবোর্ডে এসে পড়েছে... আমি স্বপ্নেও কল্পনা করিনি এতো জটিল একটা গল্প আমি লিখে শেষ করতে পারবো। শুভ পরিণয় লিখতে লিখতে মাঝে অনেক ছোটোবড়ো গল্প, অনুগল্প, কবিতা লিখেছি.. তাতেও অনেক ভালোবাসা পেয়েছি পাঠকদের। শুভ পরিণয় গল্পটা লেখার পরেই আমার ইনবক্স, রিভিউ সেকশনে অগন্তি মানুষের ভালোবাসা ঝরে পরলো। আমার জীবনে সৃষ্ট সবথেকে শক্তিশালী দুটো চরিত্ৰ অভ্ৰজিৎ আর মাহেশ্বরী... পাঠকরা ভরে ভরে ভালোবাসা দিয়েছেন তাই, এই জুটিকে নিয়েই লেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। ক্ৰমে অহি জুটিকে নিয়ে শুভ পরিণয়ের পর 'বিয়ের ফাঁদে' (অসমাপ্ত), 'ভাগ্যচক্ৰে গাঁটছড়ার বাঁধনে', 'সম্পর্কের বাঁধনে', 'PARTNER', 'ভালোবাসা না ভালোফাঁসা' লিখেছি।সাবস্ক্ৰিপশনে রেখে গল্প লিখতে লিখতে, পাঠকদের ভালোবাসা স্বরূপ স্টিকার পেয়ে ২০২২-এর এপ্ৰিল মাসে ৪৮১ টাকা প্ৰথম উপার্জন করেছিলাম। যেদিন আমি এই টাকার অ্যামাউন্ট আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যুক্ত হতে দেখেছিলাম... সেদিন আমার খুশির ঠিকানাই ছিলো না। যারা যারা আমায় বলেছিলো, 'তোর লেখা কেউ পড়বে না', 'যাদের কাজ নেই, তারা পড়ে তোর লেখা', 'তোর দ্বারা হবে না'... তাদের মুখ একটু হলেও বন্ধ করতে পেরেছি। অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা ঘটে গেলো জীবনে, বাড়িয়ে দিয়েছে মনের জোর হাজারগুণ আর লড়াই করার শক্তি।..." আরও পড়ুন -তিন্নীর কলমযাত্ৰা (কলমে- সাসপেন্স কুইন 'তিন্নী') "...নতুন লেখকদের টিপস দেওয়ার মতো যোগ্যতা আমার এখনো হয়নি , তারা অনেক ভালো লিখছে আর আগেও লিখবে আমি জানি । শুধু নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকে কয়েকটা কথা বলতে পারি , যেমন ---- ১) প্রতিলিপির সমস্ত ওয়েবিনার এবং ফেলোশিপ এর ক্লাস ম্যাটেরিয়ালস গুলো ফলো করতে পারেন । ওখান থেকে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে ।২)ড্রাফট লিখে সেটা পাবলিশ করার আগে , রিডিং পড়ার মতো করে দুবার পড়ে নিতে পারেন , এতে বানান ভুলের সম্ভবনা থাকবে না ।৩) আপনি নিজের পছন্দ মতো যে কোনো বিষয় বেছে নিতে পারেন । শুধু চেষ্টা করবেন অন্তত পক্ষে ষাট পর্বের গল্প লেখার , আর সেই সাথে প্রতিটা পর্বের শব্দ সংখ্যা যেনো হাজার থেকে বারোশোর মধ্যে হয় । দরকার হলে সময় নিয়ে ভেবে চিন্তে লিখুন কোনো তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই । একটু আধটু ভুল তো সবাই করে থাকে ,মানুষ মাত্রই ভুল হয় , সেটা কোনো বড়ো ব্যাপার না । মনে রাখবেন সুদীর্ঘ উপন্যাসই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ।। আমাদের সুবিধার কথা ভেবেই প্রতিলিপি একটা নতুন পরিবর্তন এনেছে , যেখানে আপনাকে নিজের গল্প প্রিমিয়ামে যাওয়ার অবধি অপেক্ষা করতে হবে না ।পনেরো পর্ব অতিক্রম করার পর আপনি নিজেই প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন , এক্ষেত্রে আপনার পাঠক সংখ্যা আর উপার্জন দুটোই বৃদ্ধি পাবে । তাছাড়া পাঠকদের আর আগের মতো চার দিন অপেক্ষা করতে হবে না , প্রতিদিনই একটি করে পর্ব আনলক হবে ।৪) পাঠকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন ।৫) নিজের শরীর মন বুঝে, একদিনে যতটা পারবেন ততটাই লিখবেন ।..." আরও পড়ুন -গল্প হলেও সত্যি (চন্দনা বাড়ৈ) "...যে প্ল্যাটফর্ম কখনও বিনা কারনে গল্প রিজেক্ট করেনা সেই প্ল্যাটফর্মের নাম আমাদের সকলের প্রিয়প্রতিলিপি!!! তারিখটা আমার চিরদিন মনে থাকবে । আমি তখন গল্প লেখার জন্য নানা ইউ টিউব ভিডিও গুগুল ঘাঁটছি। এমন সময়ে আমার এক বান্ধবী বললো -" তুমি প্রতিলিপিতে কেন লিখছো না ? ওখানে প্রচুর লেখক দারুণ দারুণ সব গল্প লেখে ! ওখানে একবার ট্রাই করো ।"বান্ধবীর কথাটা শুনে সেদিনই প্রথম আমি প্রতিলিপি অ্যাপটা মোবাইলে ইনস্টল করে ফেললাম।আর করেই আমি অবাক !!!প্রচুর গল্প ,কবিতা !! অনেক লেখক রোজ কিছু না কিছু লিখেই চলেছে এখানে ,,,আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গেলাম । এখানে কি করে জনপ্রিয় হবো বা কি করেই বা টাকা আসবে ??আমি প্রতিলিপির পুরো বিষয়টা জানার জন্য সহায়তা বিভাগ, সম্পাদকীয় বিভাগ, অনলাইন প্রতিযোগিতা বিভাগ সব খুঁটিয়ে পড়ে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করলাম।বিষয়টা বুঝতে আমার বেশী দেরী হলো না । প্রতিলিপি কি ? কেমন করে এখানে গল্প প্রকাশ করতে হয় আর কেমন ভাবেই বা অর্থ উপার্জন করা যায় - সবকিছুই পরিষ্কার লেখা আছে অ্যাপের মধ্যে,,আমার সবচেয়ে ভালো লাগল প্রতিলিপির পরিষ্কার সব কিছু তুলে ধরা টাকে , প্রতিলিপি কখনোই এসব বলেনি যে, আপনি এতো সংখ্যক শব্দ লিখুন আর পেয়ে যান এতো সংখ্যক টাকা - এধরনের ফেক প্রতিশ্রুতি এখানে দেওয়া নেই।এখানে বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতা চলে সেখানে গল্প লিখে অংশগ্রহণ করলে পরে বিচারক গল্প পড়ে বিচার করে তারপর পুরষ্কার দেওয়া হয় ।..." আরও পড়ুন - আমার কথা (শমীক স্যানাল) "...প্রতিলিপি থেকে আমি প্রথম উপার্জন লাভ করিনরকসূত্রলেখার সময়ে, আড়াইশো টাকা। বড্ড আনন্দ পেয়েছিলাম সেদিন। প্রতিলিপি থেকে পাওয়া প্রথম উপার্জন তো বটেই, লেখা শুরু করার পরে আমার প্রথম উপার্জন ছিলো ওটিই। একটা জার্নাল কিনেছিলাম টাকাটা দিয়ে, যা আজও রয়ে গেছে আমার কাছে৷ তারপর বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে আয় করলেও এটা বরাবর আমার কাছে স্পেশাল রইবে৷ এখন অবশ্য একটু বেড়েছে উপার্জন। সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশন, প্রতিলিপি প্রিমিয়াম, স্টিকার ইত্যাদির মাধ্যমে মাসে পাঁচশো থেকে হাজার তো উঠেই যায়, কখনো আরেকটু বেশি। আসলে আমার পাঠক পাঠিকারা বেশিরভাগই ছাত্র ছাত্রী, তাই তাঁরা স্টিকার দিতে পারেন না বললেই চলে, সুপারফ্যানও এইজন্যই খুব কম আমার। বাচ্চা পোলাপাইনকে জোর করতে পারি না আমি, সবাই খুশি হলে যে আনন্দ পাওয়া যায়, কোনো অর্থ দিয়েই তাকে মাপা সম্ভব হয় না।হ্যাঁ, লেখালিখির মাধ্যমে উপার্জন করা যায়, এটা প্রতিলিপি থেকেই আমার শেখা। অন্যান্য ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করে সাফল্যলাভ করেছি আমি। বিনা শ্রমে কাজ দেবো না, এটি বললে আজও বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে লেখক লেখিকাকে বাঁকা নজরের মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিলিপি সেখানে এই উদ্যোগ নিয়ে প্রমাণ করেছে যে, শ্রম যাই হোক তা পারিশ্রমিক দাবী করে। এতে লজ্জা পাওয়ার কিচ্ছু নেই।বর্তমান উপার্জন সম্পর্কে আগেই বলেছি, তাই এই নিয়ে আর বিশদে কিছু বললাম না। হ্যাঁ, এই উপার্জন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রতিটি উপন্যাস লিখতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় একজন লেখককে। এমনও দিন গিয়েছে আমার যখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে হাতে স্যালাইন নিয়ে আমি গল্পের পর্ব লিখেছি কারণ একদিন দেরী হলে পাঠকের উদ্বিগ্ন বার্তায় ইনবক্স ভরে যায় আমার। তাই যখন অল্প হলেও পারিশ্রমিক পাই, নিজের কাজ ও কষ্টকে সার্থক মনে হয়।..." আরও পড়ুন -এক কলমচির গল্প (রিয়া ভট্টাচার্য) "...প্রতিলিপি আমার কাছে একটি নতুন স্বপ্নের জগৎ। লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন! আমার এখনও মনে আছে, প্রতিলিপি থেকেও যে উপার্জন আসে, সেটি যেদিন আমি প্রোফাইলে দেখেছিলাম সেদিন কি পরিমাণ খুশি হয়েছি বলে বোঝাতে পারবো না। দেখাচ্ছিল 7 টাকা। সেই 7 টাকাই যেন আমার কাছে অনেক কোটি মনে হচ্ছিল। কারণ সেটি আমার প্রতিভার প্রাপ্তি। পুরষ্কার। প্রথম যেদিন 2022 সালে ব্যাঙ্কে টাকা পেলাম 180 টাকা! সেই টাকাটা আমার জমানো টাকার থেকে যেন বেশি দেখাতে লাগলো। প্রতিলিপি থেকে আমি জানতে পারি লেখা থেকেও উপার্জন হয়। গতবছর থেকে এই বছর ফেব্রুয়ারি পযর্ন্ত আমি লেখালেখি করে যথেষ্ট পারিশ্রমিক পেয়েছি। তবে মার্চ থেকে বর্তমানে ভাটা পড়েছে, উপার্জন কমেছে। তাই বলে লেখার ইচ্ছে কমেনি। পাঠকের ভালোবাসার স্টিকার, সাবস্ক্রিপশন, প্রিমিয়াম, সুপারফ্যানস আমাকে ভবিষ্যতে সব দিক থেকে সাহায্য করবে! আশা রাখি। যারা নতুন গল্প লেখা শুরু করেছেন প্রতিলিপিতে। তাদের একটাই কথা; এগিয়ে যান, একদিনে হবে না। এক সময় ঠিক হবে। লেখা অন্তর থেকে আসে। কল্পনা থেকে আসে। আপনার লেখা বোঝাবে আপনার কল্পনার জগত কতটা বিস্তর, কতটা ভয়ঙ্কর, কতটা সুন্দর। লেখালেখি জীবনে সাফল্য চট করে সবাই পায় না। আমি 2021 থেকে প্রতিলিপিতে আছি। 2022 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে পরিচিতি পেয়েছি। তাই নতুন লেখক যারা পড়ছেন তাদের বলছি, হতাশ হবেন না। আপনার কলম চলতে থাকলে, আপনি একদিন ঠিক নিজের লক্ষ্য পৌছাতে পারবেন।..." আরও পড়ুন -আমার কলমের পথচলা (রুহি মণ্ডল) আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতেআরও কাহিনী যুক্ত হবে।সঙ্গে থাকবেন টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৬16 অগাস্ট 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "...শুধু গল্প পড়েই আমার কয়েকজন অনুসরণ কারী ছিল । তারপর যখন লিখতে শুরু করলাম ধীরে ধীরে অনুসরণকারী বাড়তে লাগলো আর তেমন করেই কমেন্ট আসতে লাগলো। আমি চেষ্টা করতাম একটু অন্যরকম ভাবে লেখার । সবার থেকে যদি একটু আলাদা লেখা যায় তাহলে বেশ নিজেরই ভালো লাগতো না । আমি সম্পূর্ণ অনুভব থেকে লেখার চেষ্টা করি । সেটা ভূতের হোক বা সামাজিক । নিজে যেটা অনুভব করি সেটাই লিখি । আমরা স্বাভাবিকভাবে যেভাবে কথা বলি সেভাবেই আমি গল্প লেখার চেষ্টা করি । পাঠকরা যেন গল্প পড়তে পড়তে তাদের চোখের সামনে ঘটনা দেখতে পায় । আমার গল্প পড়ে এমন কথা অনেক পাঠকই বলেছেন । এছাড়া ঘটনা বহুল জীবনের অনেক কথাই তো গল্পের আকারে প্রকাশ পেয়ে যায় তাই না ? প্রতিলিপি থেকেই আমাকে একজন উপদেশ দিয়েছিলেন যে ধারাবাহিক লিখলে আরো বেশি পাঠক সংখ্যা ও অনুসরণকারী পাওয়া যাবে , তাই আমার প্রথম ধারাবাহিক গল্প হল "একান্তই ব্যক্তিগত"। ছোট্ট ছোট্ট পর্বে আমি ধারাবাহিক টা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে লাগলাম । আর অদ্ভুতভাবে এই গল্পের জন্য পাঠক সংখ্যা সত্যি ই অভূতপূর্বভাবে বেড়ে গেল । সেই থেকে ছোট গল্পের পাশাপাশি ধারাবাহিক লিখতে শুরু করলাম । প্রতিটা পর্ব বেরোনোর পর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম কতগুলো কমেন্ট এলো আর কতজনই বা পড়ল । সেটার জন্য প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মোবাইল খুলে দেখতে লাগলাম । আমি লিখতে পারি এটাই তো আমার মধ্যে ছিল না। আমি জানতামই না যে আমি গল্প লিখতে পারি । স্কুল জীবনে আমি কোনদিন কোন ম্যাগাজিনে লিখেছি বলে তো মনে পড়ে না । অথচ সেই আমি একটার পর একটা গল্প লিখেই চলেছি ।ঠিক দুই বছর আগে আগষ্ট মাসে আমার প্রতিলিপি থেকে প্রথম আয় হয় ২৫৮ . ৯৩ পয়সা । তারপর থেকে আয় যেমন বেড়েছে আবার কখনো কখনো কমেও গেছে । এতদিন জানতাম আমি নাকি ধরতি কা বোঝ । কিন্তু প্রতিলিপি আমাকে লেখক হওয়ার যে সম্মানটা দিয়েছে তারপর এই কথাগুলো সত্যিই খুব মূল্যহীন লাগে । এখন তো কয়েন, স্টিকার, সুপারফ্যান ও প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন থেকেও কিছু পাচ্ছি । এছাড়াও আমার একটা গল্প "বিবাহিতা কুমারী" কমিক্স রাইটসের জন্য নির্বাচিত হয়েছে । সেইজন্য আমাকে কিছু টাকাও দিয়েছে প্রতিলিপি । প্রতিলিপি থেকে লেখকরা যে প্রতিমাসে কিছু যে উপার্জন করতে পারেন , সেটা প্রতিলিপি দেখিয়ে দিয়েছে । আমার লিখতে সত্যিই খুব ভালো লাগে । একটা আলাদা জগতে যেন থাকি । মাঝে মাঝে এমনও হয় যে লেখার জন্য একটা শব্দ খুঁজে পাইনা , খুব হতাশ লাগে তখন । নিজের উপর আত্মবিশ্বাসটা যেন কেমন নড়বড়ে হয়ে যায় । ভীষণ অসহায় লাগে । কিচ্ছু ভালো লাগে না তখন । খুব বিরক্ত লাগে নিজের ওপর ।এটা মনে হয় যারা লেখালেখি করে তাদের সবার মধ্যেই দেখা যায় । পরে জেনেছি এটাকে বলে রাইটার্স ব্লক । তখন আমি কিছুক্ষণের জন্য লেখাটা ছেড়ে দিয়ে অন্যের গল্প পড়তে শুরু করি । কখনো গান শুনি বা খোলা আকাশের নিচে ছাদের উপর ঘোরাঘুরি করি অথবা গল্প করি বন্ধুদের সাথে। মাথাটা আপনা থেকেই তখন হালকা হয়ে যায় ।..." আরও পড়ুন - আত্মবিশ্বাস (সুদীপা হালদার 'মুনিয়া') "...2020 সালের প্রথম দিকে।মোবাইলে প্রতিলিপি অ্যাপ ডাউনলোড করে লিখতে শুরু করলাম। ঝরা পাতারা ধারাবাহিক আকারে প্রকাশ করতে শুরু করলাম।মনে আছে পাঠক সংখ্যা দেখছি। একশ ছাড়িয়ে গেল। পাঁচশ থেকে হাজার। ভীষণ আনন্দ হলো। মানুষের ভালো লাগছে আমার লেখা। ফলোয়ার বাড়ছে। খুব ধীর গতিতে। একহাজার ফলোয়ার হওয়ার আগে তিনটে উপন্যাস লেখা হয়ে গেল। মনে হতো একজনও যদি আগ্রহ নিয়ে পড়েন তার জন্য আমি লিখব। কখনও মনে হয়নি এত কম পাঠক, এত কম ফলোয়ার, লেখা ছেড়ে দিই।মনে হলো এতটা জীবন পেরিয়ে যে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি তা যখন লেখার সুযোগ পেয়েছি তখন লিখে রেখে যাব।আমি যখন লিখতে শুরু করলাম, তখনও প্রতিলিপি থেকে রয়্যালটি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। আমরা যারা লিখছি সবাই মনের আনন্দেই লিখি। তারপর এলো স্টিকার, কয়েন দিয়ে লেখকদের সাপোর্ট করার সিস্টেম। প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের পদ্ধতি।আমার মনে আছে ২০২১ সালের জুন মাসে আমার প্রথম উপার্জন আসে প্রতিলিপি থেকে। তিনশ এগারো টাকা। পাঠকদের কয়েন এবং স্টিকার থেকে। ভীষণ ভালো লেগেছিল। পাঠকরা আমার গল্প পড়ছেন। স্টিকার দেওয়ার উপযুক্ত মনে করছেন।এরপর প্রতিলিপি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করলাম। সেরা সাহিত্যিক অ্যাওয়ার্ড। সেরা কলমকার প্রতিযোগিতা।সেরা কলমকার-১ প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্রতিলিপি থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হলো। আইপি কন্ট্রাক্টের জন্য। এটা আমার কাছে ছিল একটা অভুতপুর্ব সুযোগ। অসামান্য প্রাপ্তি। এখন থেকে শুধু লেখা নয়, সেই লেখার মর্যাদা পাব। মূল্য পাব।..." আরও পড়ুন -ইচ্ছেডানায় উড়াল (স্বর্ণলতা রায় কবিরাজ) "... প্রতিলিপিতে ২০০ অনুসরণকারী না হলে সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস এ অংশগ্রহণ করা যায় না। এই ২০০ অনুসরণকারী করতে আমাকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে। পাঠক সংখ্যা বললেও অনুসনকারী কিছুতেই বাড় ছিল না। সাফল্যের সিঁড়িতে তো খুব শীঘ্রই পৌঁছানো যায় না। এখানেই তো ধৈর্যের প্রমাণ। আমি ভেবে নিয়েছিলাম একদিন ঠিক অনুসনকারীর সংখ্যাও বাড়বে। তাই চেষ্টা করতে ছাড়িনি। আজকে দেখুন আমার 2.2 k পেরিয়ে গেছে। পাঠক সংখ্যা 11,90500. নেহাতি মন্দ নয়।নানা রকম প্রতিলিপির আয়োজিত অনলাইন সাহিত্য প্রতিযোগিতা গুলোতে লিখতে শুরু করলাম। আর বিজয়ী তালিকায় স্থান পেয়ে গেলাম।সেরা কলমকার ওয়ার্ডাস 3, আমার লেখা "লাশ" গল্প বিজয়ী তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করে।তারপর সেরা কলমকার ওয়ার্ডাস4তাতে আমার লেখা,' ক্রাইম ইন কলকাতা 'বিজয়ী তালিকায় স্থান পায়।ওখান থেকেই আমার প্রথম উপার্জন শুরু হয়।১/৫/২০২২ আমার কাছে প্রতিলিপি থেকে একটা নোটিশ আসে,আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস আমাদের পাঠান। পাঠানোর কিছুদিন পরেই আমার প্রথম উপার্জন প্রতিলিপি থেকে ৬৭৯.১৪ তা আমার একাউন্টে এড হয়। তাছাড়া প্রতিযোগীতা থেকেও, দু দুবার ১০০০ করে ব্যাংকে জমা হয়।প্রথমে প্রতিলিপিতে সুপার ফ্যান বা অন্য কোন উপায় থেকে টাকা ইনকামের ব্যবস্থা ছিল না। আজ প্রতিলিপি অনেক উন্নত। এটা আস্তে আস্তেই শুরু হয়। যতদিন যেতে লাগল প্রতিলিপি অনেক ফিচার তৈরি করল। আর তাতে লেখকদের আর্থিক উপার্জনের পথ সুনিশ্চিত হল। স্টিকার থেকে, সুপারফ্যান থেকে, এখন তো সব থেকে ভালো প্রিমিয়াম থেকে লেখকরা তাদের লেখার জন্য একটা মোটা রকম ইনকাম করছেন। সকল লেখকের আয়ের সংখ্যা সমান না হলেও, আয় থেকে বাদ পড়েনি কেউ।..." আরও পড়ুন -ইচ্ছেপূরণ (চৈতালী মুখার্জী) "...প্রতিলিপিতে এভাবেই আমার দিন কাটছিলো। কিন্তু হটাৎ একদিন মহামারী এলো দুনিয়ায়। সেই সময়টা আমার কাছে বিভীষকা ময় ছিলো। সেই সময় হটাৎ পারিবারিক কারণে আমার লেখা বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিলিপি থেকে তৈরী হয় দূরত্ব। ক্রমশ লেখার থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। হারাতে থাকে পাঠক। এই সময়টা ছিলো আমার অন্ধকার সময়। তবে অন্ধকার দীর্ঘদিন থাকেনা। তাই হটাৎ একদিন প্রতিলিপি থেকে ফোন এলো। ঠিক যেমন নিজের পরিবারের মানুষ হারিয়ে গেলে আমরা ফিরিয়ে নিয়ে আসি ঠিক সেরকম টিম প্রতিলিপি ফিরিয়ে নিয়ে এলো আমাকে। আমি আবারও প্রাণ ফিরে পেলাম। ততদিনে প্রতিলিপি আরও উন্নতির পথে এগিয়ে গেছে। শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা।আমি যে সময় ফিরে আসি সে সময় প্রতিলিপি তে চলছিল "সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ড " আমি সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি গোল্ডেন ব্যাচ পাওয়ার মাধ্যমে। এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার মূল্য আর তার সাথে বিভিন্ন উপহার আমাকে অবাক করে দিয়েছিলো। অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে এ ধরণের পুরস্কার পাওয়া যায়না। শুধু "সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ড " নয় তার সাথে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতার সুযোগ চোখে পড়ে প্রতিলিপির অনলাইন প্রতিযোগিতা বিভাগে।আমি অংশগ্রহণ করা শুরু করি। আর এই প্রতিযোগিতার হাত ধরে বেশি পর্বের গল্প লেখা শুরু করি। সেই সময় প্রতিলিপি প্রিমিয়াম চালু হয়ে গিয়েছিলো। আমার চোখে পড়লো প্রিমিয়াম থেকে বহু লেখক লেখিকা উপার্জন করছে।এই প্রতিলিপি প্ল্যাটফর্ম আমাকে প্রথম সুযোগ দিল লেখালিখি থেকে উপার্জন করার।সেদিন আমি ভীষণ খুশি হলাম। কারণ আমার মত গৃহবধূ ও যে বাড়ি বসে লেখার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারে সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিলো। আমার ধারণা কে নাকচ করে সঠিক জিনিসটা বুঝিয়ে দিল প্রতিলিপি। আমি প্রথম ১০০টাকা উপার্জন করলাম প্রতিলিপি থেকে স্টিকারের মাধ্যমে। কারণ প্রতিলিপিতে তখন স্টিকার দিয়ে সমর্থন শুরু হয়ে গিয়েছে। মাসের প্রথম সপ্তাহে আমার করা উপার্জন আমার ব্যাঙ্কে সরাসরি চলে এলো।সেই দিনটা আমার কাছে এমন একটা দিন ছিলো যেটা হয়ত অল্প কথায় ব্যখ্যা করা স্বম্ভব নয়। মনের মধ্যে এতটাই আলোড়ন ফেলেছিলো যে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলাম যে আমিও কিছু উপার্জন করতে পারি।এরপর প্রতি মাসে আমার গল্পের জন্য সন্মানিক পেতে থাকলাম প্রতিলিপি থেকে। আমার মত এখানে উপস্থিত অনেক লেখক লেখিকা উপার্জন করছে প্রতিলিপি থেকে।..." আরও পড়ুন -প্রতিলিপির যাত্রা পথ (সোমালী সরকার) "...নিজের ভালোবাসা থেকে যেদিন প্রথম ইনকাম হয়েছিল আমি ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। আমার এই সাধারণ লেখা থেকেও ইনকাম হতে পারে?? প্রতিলিপি আমায় প্রথম আমার লেখা সবার সামনে আনতে সাহায্য করেছে, তাতে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ ছিলাম আর তারপর টাকা?? মানে সত্যি?? সত্যি টাকা আমার একাউন্টে ঢুকছে?? আমি যে কতবার চেক করেছি আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। ৩০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা হতে হতে,১/৯/২০২২এ একাউন্টে ঢুকলো৪০০০টাকা। লেখা থেকে প্রথম এতো টাকা ইনকাম। আনন্দটা বলে বোঝানোর মত না। সেদিন প্রথম বাড়িতে জানালাম, আমি লিখি আর লেখা থেকে টাকাও ইনকাম করি। প্রথম উপার্জন যারা নিজের ফ্যামিলির হাতে তুলে দিয়েছেন, তারা হয়তো অনুভূতিটা বুঝতে পারবেন। লেখা থেকে ইনকাম করবো ভাবিনি, তবে আজ যখন টাকা একাউন্ট-এ ঢোকে তখন খারাপ লাগে না। ভালোলাগাটা প্রফেশন হলে মন্দ কি?? নিজের ইনকামের ৫০০০০ টাকা তুলে দিয়েছিলাম বাবার হাতে, বিশ্বাস করুন চেক লিখতে বেশ লাগছিলো।আমার লেখা "ভাগ্যের বন্ধনে" গল্পটা প্রিমিয়ারে যাওয়ার পরই টাকার পরিমান বাড়তে থাকে, যত বেশি পাঠক, ততো বেশি টাকা। তবে সুপারফ্যান, স্টিকার, কয়েন পেলে ওই টাকার পরিমান আরও বেড়ে যায়।প্রতিলিপি প্রথম আমার নামের পাশে "লেখক" উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে। আমার লেখাকে কোনোরকম বিচার বিবেচনা ছাড়াই সবার সামনে তুলে ধরেছে, আমাদের মতো আনকোরা লেখকদের নানান প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উৎসাহিত করেছে। নানান পুরস্কার, এছাড়াও লেখাগুলো যাতে পরবর্তী কালে কোনো সিনেমা বা সিরিয়ালে চান্স পায় তারও প্রচেষ্টা করে চলেছে অনবরত। প্রথম কোনো অ্যাপ্ যা মানুষের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভাকে বাইরে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। লেখালেখিকে কেউ নিজের প্রফেশন বলতে ভয় পায়, কোনো বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করলে, সে ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার, টিচার হবার কথাই বলে। লেখক হতে কেউ চায় না। কেউ যদি বলেও ফেলে, আসে পাশের মানুষ ব্যঙ্গ করে। তাই বেশির ভাগ লেখা খাতার মধ্যে লোকানোই থেকে যায়। কিন্তু প্রতিলিপি নতুন সমাজ গড়ছে, বেশির ভাগ মানুষ নির্ভয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করছে প্রতিলিপির মাধ্যমে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছে, আমি লেখক হতে চাই।..." আরও পড়ুন -প্রতিলিপির হাত ধরে সাফল্যর খোঁজ (কনক রাই) আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতেআরও কাহিনী যুক্ত হবে।সঙ্গে থাকবেন টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- ফলাফল - দ্যা গোল্ডেন পেন অ্যাওয়ার্ড16 অগাস্ট 2023প্রিয় লেখক! দ্যা গোল্ডেন পেন অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার বহু প্রতীক্ষিত ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেছে! আমরা প্রতিলিপির নতুন লেখকদের জন্যই এমনভাবে এই লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিলাম যাতে তারা একটি ধারাবাহিক গল্প প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিলিপিতে গোল্ডেন ব্যাজ লাভের দিকে একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। আপনি ভাবতেই পারেন, এই গোল্ডেন ব্যাজ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ! এককথায় বললে, গোল্ডেন ব্যাজ লাভ করাই হল প্রতিলিপিতে লেখার মাধ্যমে উপার্জন ও প্রতিমাসে লেখা থেকে রয়্যালটি লাভের পথে প্রথম ধাপ। তাই অত্যন্ত আনন্দের সাথে আমরা বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই আমাদের সেই 176 জন লেখককে যারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গোল্ডেন ব্যাজ লাভ করেছেন। এই লেখকেরা এখন পেয়ে যাবেন তাদের গল্পগুলিকে সাবস্ক্রিপশনে রাখার এক্সক্লুসিভ সুযোগ। যখনই তারা একটি নতুন গল্প প্রকাশ করবেন, গল্পের 16 পর্ব থেকে বাকি সমস্ত পর্বগুলি লকড হয়ে যাবে এবং ধারাবাহিক গল্পটি প্রতিলিপি প্রিমিয়ামের অন্তর্গত হয়ে যাবে। এরপর পাঠকেরা সাবস্ক্রিপশন কিনে, কয়েন দিয়ে অথবা পরের দিন অবধি অপেক্ষা করে গল্পের পর্বগুলি পড়তে পারবেন। প্রতিলিপির অন্যান্য হাজার হাজার লেখকের মতোই এই লেখকেরাো পেয়ে যাবেন প্রতিলিপি অ্যাপে নিয়মিত ধারাবাহিক গল্প লিখে প্রতিমাসে পাঁচ-দশ হাজার টাকা উপার্জনের দুর্দান্ত সুযোগ। একইসাথে এই গোল্ডেন ব্যাজপ্রাপ্ত লেখকেরা পেয়ে যাবেন প্রতিলিপি সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস - 6 প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ, দারুণ আর্থিক পুরস্কার, এক্সক্লুসিভ সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য অনেক সুযোগসুবিধা। আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমরা জানি আপনি আপনার প্রতিভা ও লেখার গুণে ভবিষ্যতে লক্ষাধিক পাঠকের মন ছুঁয়ে নিতে পারবেন। একইসাথে আমরা কথা দিচ্ছি, আপনি যদি নিয়মিত প্রতিলিপিতে বড় ধারাবাহিক গল্প লিখতে থাকেন তাহলে লেখার জগতে একটি সফল কেরিয়ার গড়ে তুলতে আমরা আপনাকে সবরকমভাবে সাহায্য করব। দ্যা গোল্ডেন পেন অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় যে গল্পগুলি আমাদের সকলের মন ছুঁয়ে গেছে - প্রথমপুরস্কার: 1.উন্মোচন-শ্রাবণী মিত্র (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) দ্বিতীয় পুরস্কার: 2.ফেরা- ধূসর পাণ্ডুলিপি (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) তৃতীয় পুরস্কার: 3.করলিকা-ছদ্মবেশী রূপকথা (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) চতুর্থ পুরস্কার: 4.ডাকাত রাণী সিতারা- দীপা গোস্বামী (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) পঞ্চম পুরস্কার: 5.দেবলোকে হত্যাকারী- দ্যা ইউনিক রায়া (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) ষষ্ঠপুরস্কার: 6.সুতৃষ্ণা-মানস মণ্ডল (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) সপ্তমপুরস্কার: 7.চুক্তির বেড়াজালে-মিষ্টি বন্ধু মধুমিতা (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) অষ্টম পুরস্কার: 8.কে তুমি???-সুমিত্রা ঘোষাল (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) নবমপুরস্কার: 9.রুপা- সোমা দাস চক্রবর্তী (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) দশম পুরস্কার: 10.আঁধারের প্রদীপ- গোপাল শীল (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) বিঃদ্রঃ- সকল বিজয়ী লেখকদের অনুরোধ করা হচ্ছে পুরস্কার সংগ্রহ করার জন্য অবিলম্বে আপনার নাম, র্যাঙ্ক, পিন কোডসহ সম্পূর্ণ ঠিকানা (ইংরেজিতে), ফোন নম্বর, সম্পূর্ণ ব্যাংক ডিটেলস, PAN কার্ড নম্বর এবং নিজেদের প্রতিলিপি প্রোফাইলের লিংক আগামী 10 দিনের মধ্যেevents@pratilipi.comএই ঠিকানায় ইমেলের মাধ্যমে পাঠান। আরও কিছু দারুণ গল্প আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই - প্রতিশোধ-সঞ্চিতা নায়ক ফেউড়ের কান্না-মান্না দাস মেঘে ঢাকা চাঁদ- কবিতা ঘোষ মোনালি রহস্য- হরিপ্রিয়া জিঘাংসা-সানিয়া বৃহন্নলা- মৌমিতা বল্লভ মেঘের কোলে রোদ হেসেছে-আদ্রিসা পল্ল্যে যখন অতৃপ্তরা আসে- দীপালী গায়েন এ কেমন প্রেম?- অদৃজা চ্যাটার্জী অভিশপ্তা- ঈশানী ঘোষ ছেঁড়া কাগজের নৌকা-নীল ঝিনুক রুদ্রাঙ্গিকা- শুভ্রাঅধিকারী আজও ভালোবাসি- রূপসা দে প্রেতাত্মাদের সাথে-পরশুরাম বন্দ্যোপাধ্যায় দেবীর বুদ্ধিমত্তা- রুমেলা পাল ক্যাকটাস- মৌমিতা বন্দোপাধ্যায় একাকী মন নাকি!-নয়নী কুমার প্রেম মেলে না-ময়ূরপঙ্খী ভাগ্যের বিড়ম্বনা-শিউলি কুন্ডু শ্লীল কিংবা অশ্লীল- বীথিকা বিশ্বাস পুনরপি- টিঙ্কু রঞ্জন মিত্র প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী লেখকের ইমেলে আমরা আগামী কয়েকদিনেরমধ্যেই পাঠাব প্রতিলিপির তরফ থেকে আকর্ষণীয় ডিজিটাল সার্টিফিকেট। শুভেচ্ছা অফুরান, প্রতিলিপি প্রতিযোগিতা বিভাগআরও দেখুন
- প্রতিলিপির নতুন লেখকদের জন্য কিছু টিপস12 জুন 2023প্রতিলিপিতে একজন নতুন লেখক হিসাবে পরিচিতি লাভ করা কঠিন নয়। এক্ষেত্রে ধৈর্য্য সহকারে নিয়মিত গল্প প্রকাশ করে যাওয়াই হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্ল্যাটফর্মে সমস্ত লেখকই একদিন শূন্য থেকে শুরু করেছেন কিন্তু ধৈর্য্য সহকারে এবং ধারাবাহিক ভাবে গল্প প্রকাশ করার মাধ্যমে বহুসংখ্যক লেখক আজ নিজস্ব পরিচিতি লাভ করেছেন এবং লক্ষাধিক পাঠক তাদের লেখা গল্প পড়েছেন। প্রতিলিপি অ্যাপে কিভাবে ধারাবাহিক গল্প লিখে প্রকাশ করবেন তা জানার জন্য অনুগ্রহ করে নিচের এই ভিডিওটি দেখুন। আমরা ধারাবাহিক উপন্যাস প্রকাশ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ পদ্ধতিটিকে ধাপে ধাপে খুব সহজে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই একটি ভিডিওই আপনার সমস্ত প্রশ্ন দূর করে দেবে। 📌ভিডিও লিংক -https://youtu.be/wEkY_kM0rl8 আপনি যদি খুব দ্রুত একজন জনপ্রিয় ও সফল লেখক হতে চান এবং ভারতের সবথেকে বড় ডিজিটাল পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম প্রতিলিপিতে নিজের কেরিয়ার গড়ে তুলতে চান তাহলে - বেশি পর্বের ধারাবাহিক গল্প লিখুন! এই মুহূর্তে আমরা আপনাকে পরামর্শ দেব যে একাধিক ছোটগল্প বা অল্প পর্বের ধারাবাহিক না লিখে 1 বা 2টি বড় ধারাবাহিক গল্প লেখা শুরু করুন আজই! নতুন প্লট, সাবপ্লট, চরিত্র গঠন প্রভৃতিতে নিজের সময় ও মনোযোগ দিন এবং 100+ পর্ব লেখার চেষ্টা করুন। প্রতিলিপি প্রিমিয়াম টিম সবসময় 60/80/100-এর বেশি পর্ববিশিষ্ট জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পগুলি সন্ধান করে। তাই আপনি যদি একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক উপন্যাস লেখেন এবং সেটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাহলে আপনার গল্পটি আমাদের টিমের নজরে পড়ার সুযোগ অনেক বেড়ে যাবে এবং আমাদের টিম আপনার গল্পটি রিভিউ করে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এরপর আপনার গল্পটি প্রিমিয়াম বিভাগে যুক্ত করা হবে। প্রতিলিপি প্রিমিয়াম বিভাগে হাজার হাজার ধারাবাহিক উপন্যাস আছে। তবে আমরা ডেটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি 100+ পর্বের ধারাবাহিক উপন্যাসগুলি বর্তমানে প্রিমিয়াম বিভাগে অসাধারণ সাফল্য পাচ্ছে এবং পাঠকেরা এই গল্পগুলিতেই বেশি ক্লিক করেছেন এবং টানা পড়ছেন। পাঠকেরা এইসকল উপন্যাসগুলিই বেশি পড়ছেন এবং এই গল্পগুলির লেখকেরাই প্রতিমাসে সবথেকে বেশি রয়্যালটি লাভ করছেন। 📌কীভাবে আপনি আপনার গল্পে পাঠকদের আকর্ষণ করবেন এবং পর্বের শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবেন? কীভাবে গল্পের প্রোমোশন করা যায়? দেখুন এখানে - https://drive.google.com/file/d/12LJTjI8ApAlwwJnSGruk8FrhEvYXs1zA/view?usp=share_link শুধু তাই নয়, প্রতিলিপি আয়োজিত প্রতিটি প্রতিযোগিতাই পাঠকেরা কী ধরনের গল্প বেশি পড়ছেন তার ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করা হয়। 📌প্রতিলিপি আয়োজিত প্রতিযোগিতাগুলিতে অংশগ্রহন করুন -https://bengali.pratilipi.com/event আপনি যদি কোনো চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী মেনে ধারাবাহিক গল্প প্রকাশ করেন তাহলে এটি ভবিষ্যতে আপনাকে সুযোগ সুবিধা এনে দিতে পারে। শুধুমাত্র আকর্ষণীয় ক্যাশ প্রাইজ এবং সার্টিফিকেটই নয়, আপনি দীর্ঘমেয়াদি নানান সুবিধাও ভোগ করতে পারবেন এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিমাসে অর্থ উপার্জনের সুযোগও পেয়ে যাবেন। 📌আপনি কি ধারাবাহিক লেখা শিখতে চান? তাহলে প্রতিলিপি ফেলোশিপ প্রোগ্রামের সেশনগুলি দেখতে ভুলবেন না - https://drive.google.com/drive/folders/1tIJ6KXm7oiVNdjQwXhah0qn0p-FQC-1n?usp=share_link 📌প্রতিলিপি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম 2.0 - 7 দিনেরমাস্টারক্লাস ভিডিও রেকর্ডিং: এখানে ক্লিক করুন 📌কোর্স মেটেরিয়াল PDF: এখানে ক্লিক করুন প্রতিলিপিতে জনপ্রিয় ও সফল হওয়ার চাবিকাঠি! প্রতিলিপি অ্যাপে আপনার গল্প কিভাবে রেকমেন্ডশনে আসবে জানুন - প্রতিলিপির রেকমেন্ডেশন ইঞ্জিন হল একটি অ্যালগরিদম বেসড সিস্টেম যার মাধ্যমে প্রতিটি পাঠক তাদের প্রতিলিপি হোমপেজে আলাদা আলাদা গল্প দেখতে পান। প্রতিটি মোবাইল ডিভাইসের ক্ষেত্রে এই গল্পগুলি সবসময় আলাদা হয়। যদিও কিছু বিশেষ বৈশিষ্টের কারণে কিছু লেখা অধিক সংখ্যক পাঠক লাভ করে! জেনে নিন সেই গোপন বৈশিষ্টগুলি: ১। HD কভার ছবি ব্যবহার করুন: বেশিরভাগ লেখক কম কোয়ালিটির কভার ইমেজ ব্যবহার করেন। আপনি পাঠকদের আকৃষ্ট করতে উচ্চমানের HD কভার ইমেজ ব্যবহার করতে পারেন। canva.com এর মতো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি উপযুক্ত কভার বানিয়েও নিতে পারেন। মনে রাখবেন, একটি ভালো কভার ও উপযুক্ত শিরোনাম আপনার পাঠকসংখ্যা ৩০% বাড়িয়ে দিতে পারে। ২। কপিরাইটমুক্ত কভার ব্যবহার করুন:pixabay.com বা unsplash.com বা canva.com ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে কপিরাইটমুক্ত উচ্চমানের ছবি ডাউনলোড করে আপনার লেখার সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। গুগল থেকে সরাসরি ছবি ডাউনলোড করে ব্যবহার করবেন না। যেকোনো চলতি ছবি, সেলিব্রিটিদের ছবি বা আপনার নিজস্ব ছবি ব্যবহার করলে আইনি সমস্যা হতে পারে। ৩। সঠিক শ্রেণীটি বাছুন: নিজের ধারাবাহিক গল্পের জন্য ভালভাবে ভাবনাচিন্তা করে উপযুক্ত শ্রেণী নির্বাচন করুন। মাথায় রাখবেন আপনি নিজের লেখায় শুধুমাত্র ৩টি শ্রেণী ব্যবহার করতে পারেন। ৪। সবচেয়ে জনপ্রিয় শ্রেণীগুলি ব্যবহার করুন: প্রতিলিপিতে পাঠক কমিউনিটি ৪টি শ্রেণীর লেখা পড়তে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন। তাই নিচের শ্রেণীগুলির ওপর ভিত্তি করে ধারাবাহিক রচনা লিখতে চেষ্টা করুনঃ প্রেমের গল্প ভূতের গল্প সাসপেন্স- থ্রিলার মহিলা এবং সমাজ বিষয়ক বন্ধুত্ব এবং পরিবার সম্বন্ধীয় নিজের লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন - আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম, ট্যুইটার এবং অন্যান্য মাধ্যমে আপনার গল্পের লিংক শেয়ার করতে পারেন: হোয়াটসঅ্য়াপ: আপনার গল্পের লিংক কপি করে সেটি বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন। আপনার স্টেটাসে এই লিংক পোস্ট করুন। ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্ব নিয়মিত শেয়ার করুন। এবং শেয়ার করার সময় লিংকটির সাথে কিছুটা লেখা জুড়ে দিতে ভুলবেন না। ফেসবুক: নিজের ধারাবাহিক গল্পের পর্বগুলির লিংক নিয়মিতভাবে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকুন। তবে খেয়াল রাখবেন, পোস্টের সাথে যুক্ত লেখার অংশটি যেন ছোট এবং আকর্ষণীয় হয়। যাতে পাঠকেরা পরবর্তী অংশ জানার জন্য লিংকে ক্লিক করেন। ইন্সটাগ্রাম: আপনার প্রতিলিপি প্রোফাইল লিংকটি ইন্সটাগ্রাম বায়োতে লিখে রাখুন। আপনার গল্প সম্পর্কিত লাইন, ঘোষণা, রিল ইত্যাদি স্টেটাসে আপডেট করতে থাকুন। প্রতিলিপিতে আপনার র্যাঙ্কিং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন। প্রতিলিপি পোস্ট এবং স্টোরি ফিচার: প্রতিলিপিতে থাকা পোস্ট এবং স্টোরি ফিচারটি ব্যবহার করুন। আপনি একটি টিজারের মতো আপনার আসন্ন পর্বগুলি সম্পর্কে একটি আপডেট পোস্ট করতে পারেন যা আপনার দর্শকদের আপনার পরবর্তী অংশ পড়তে আগ্রহী করে তুলবে৷ নিজের অনুসরণকারীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন - আপনার ফ্যান, পাঠক ও অনুসরণকারীদের সাথে গল্প, আলাপচারিতা, বন্ধুত্ব আপনার ও পাঠকদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলবে যার ফলে তারা দীর্ঘ সময় ধরে আপনার লেখা পড়তে থাকবেন এবং সাবস্ক্রিপশন নেবেন। আপনি পাঠকদের কমেন্টে উত্তর দিয়ে, চ্যাটরুমে কথোপকথন করে অথবা তাদের ধন্যবাদসূচক মেসেজ পাঠিয়ে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। আপনার রিপ্লাই পাঠকদের প্রতিটি লেখা পড়ে রিভিউ জানাতে উৎসাহ দেবে। পাঠকদের আগ্রহী করে তুলতে প্রতিলিপির ফিচারগুলি ব্যবহার করুন - প্রতিলিপিতে আছে এমন চারটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার বা সুবিধা যা আপনি পাঠকদের আগ্রহী করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন: চ্যাটরুম: এই ফিচারটি শুধুমাত্র আপনার সুপারফ্যানদের জন্যই উপলব্ধ। আপনার এই নিজস্ব চ্যাটরুমটিকে আপনি সুপারফ্যান পাঠকদের সাথে গল্প ও আলোচনা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি পাঠকদের সাথে নতুন লেখা, পরবর্তী পর্ব, গল্পের চরিত্র ও বিভিন্ন অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রশ্নোত্তর সেশনও করতে পারেন। পোস্ট: আপনি গল্পের কোনো পর্ব প্রকাশ করা মাত্রই সেই বিষয়ে একটি স্টোরি পোস্ট করে পাঠকদের অবগত করতে পারেন। অনন্য বিষয় কাহিনী: আমরা জানি প্রতিদিন নতুন নতুন প্লট বা আইডিয়া খুজে পাওয়া একজন লেখকের পক্ষে কতটা কঠিন। তাই আমরা প্রতিলিপিতে এনেছি 'অনন্য বিষয় কাহিনী' বিভাগটি যেখানে আমরা প্রতিদিন দারুণ দারুণ টপিক তুলে ধরার মাধ্যমে লেখকদের সাহায্য করে থাকি প্রতিদিন তাদের লেখার অভ্যাস বজায় রাখতে। এটি আপনার প্রোফাইলটিকেও দৃশ্যমানতা দেবে। ধন্যবাদ জানান:আপনার নতুন সাবস্ক্রাইবারদের সাবস্ক্রিপশন করার জন্য একটি ধন্যবাদ বার্তা পাঠান। নিজেকে আকর্ষণীয়, ভিন্ন ও অনন্য রূপে গড়ে তুলুন! ভিন্ন স্বাদের ধারাবাহিক গল্প লেখা একটু সময়সাপেক্ষ হতে পারে কিন্তু নিজের লেখার আলাদা স্টাইল তৈরি করতে পারলে আপনি ধীরে ধীরে আপনি একটি মজবুত ফ্যানবেস গড়ে তুলতে পারবেন। পাঠকদের মন জয় করুন: Earning is just a side-effect of love! যদি আপনার লেখা অসাধারণ হয়ে থাকে তাহলে পাঠকেরা পর্ব আনলক হওয়ার অপেক্ষা করবেন না। তারা সাবস্ক্রিপশন নিয়ে পড়া চালিয়ে যাবেন। কখনই অন্য লেখকদের লেখা কপি করবেন না: আমরা দেখেছি বহু লেখক অন্য লেখকদের লেখা, সিরিয়ালের প্লট, সিনেমা, নভেলের অংশ কপি করছেন। এইসমস্ত বিষয় রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। অন্যের লেখা কপি করলে আপনি আইনি ঝামেলায়ও পড়তে পারেন। প্রতিলিপি প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করবেন না: আমরা দেখেছি বহু লেখক, অন্য লেখকদের উদ্দেশ্যে নানা সমালোচনামূলক বা বিদ্রুপসূচক লেখা লিখে থাকেন! এইধরণের কোনো পোস্ট আমাদের চোখে পড়লেই আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিই। আপনি যদি গল্প লেখা ছাড়া ঘৃণাবাচক বা বিদ্রুপাত্বক পোস্ট করতে থাকেন তাহলে আপনার ১০% রও বেশি পাঠক আপনাকে আনফলো করে দিতে পারেন। এইধরণের কোনো পোস্ট চোখে পড়লে আপনি আমাদের bengali@pratilipi.com এই ঠিকানায় লিখে অথবা অ্যাপ থেকে রিপোর্ট করে জানাতে পারেন। ওপরে লেখা এই উপায়ে আপনি প্রতিলিপিতে লেখক হিসাবে সাফল্য লাভ করতে পারবেন। আশাকরি আপনি সম্পূর্ণ নির্দেশিকাটি বিশদে পড়বেন এবং উপায়গুলি অনুসরণ করে আগামীদিনে প্রতিলিপির একজন সেরা লেখক হয়ে উঠবেন। আমরা আশা রাখি আপনিও একদিন নিজের কলম ও শব্দের জোরে লাখ লাখ পাঠকের মনে স্থায়ীভাবে স্থান পাবেন। প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! পড়ুন প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-1-csefi5p6udfw0rc - https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-2-x3bw4ef16pbrwcm - https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-3-j772hhp2kuk8z9h - https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-4-187tttiuojanp3x -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-5-c66yzw5hqfu058c -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-6-ffwv7u5l63khpis -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-7-c7v8elhvn2gwo7f -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-8-f1dzr54jc6qq6fe -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-9-m6id5y4kzxlrdhx -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-10-9t23gk80tt9u8qz -https://bengali.pratilipi.com/blog/guest-blogging-part-11-85q6hzcnl09fz4h আমাদের তরফে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল! টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৫06 জুন 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "... কাজের অবসরে গল্প পড়তে পড়তে ২০১৯ কেটে গিয়ে এলো ২০২০। এই বছরটাকে একটা অভিশপ্তময় বছর বললেও বোধয় খুব ভুল বলা হবে না। কারণ এই বছরের প্রথম দু মাস কাটতে না কাটতেই করোনার প্রকোপে সারা বিশ্বব্যাপী লক ডাউন ঘোষিত হয়েছিল। ফলে অনেক মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলো না জানি কিভাবে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করছিলেন। যেহেতু বেসরকারি যায়গায় কাজ করতাম সেহেতু আমার অফিসটাও বন্ধ হয়ে গেলো। খুব একঘেঁয়ে লাগছিলো দিনগুলো।অবসর যেনো আর কাটতেই চাইছিলো না। সময় কাটাতে প্রতিলিপিই তখন একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠলো আমার। আসলে আমি মানুষটা একটু ইন্ট্রোভার্ট। তাই কোনো কালেই বিশেষ বন্ধু বা বন্ধুমহল বলে আলাদা কিছু ছিলনা। আর অন্যান্য সকল অ্যাপের থেকে আমি ইউটিউব আর প্রতিলিপিতেই বেশি সময় কাটাতাম। একটা সময় পর গিয়ে আর যেনো কিছুই ভালো লাগছিলো না। একমাস হতে যাচ্ছিল অফিস বন্ধ। কত গান শুনবো আর কতই বা গল্প পড়বো? বিরক্ত লাগছিলো একপ্রকার।তারিখটা ছিল ২৪শে এপ্রিল ২০২০। ঠিক করলাম আমিও আজ থেকে প্রতিলিপিতে লিখবো। কারণ ইতিমধ্যেই গল্প পড়ে প্রচুর কাল্পনিক কথোপকথন আর চরিত্ররা মাথার মধ্যে এসে ভিড় করতে শুরু করেছিল। তাই খুব বেশি না ভেবে একটু দুরু দুরু বুকে প্লে স্টোর থেকে অফিসের ফোনেই প্রতিলিপি অ্যাপটা ইন্সটল করলাম। অফিসের ফোন বুঝতেই পারছেন ব্যাক্তিগত মেইল আইডির অ্যাকসেস সেখানে নেই। তাই আমি ফেসবুক আইডি থেকে লগইন করেছিলাম। এবার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড মনে থাকলে আপনি যে কোনো ফোন থেকেই সেটায় লগইন করতে পারেন। তাই ঘটনাচক্রে আর ভগবানের আশীর্বাদে আমার লগইনটা সফল হয়েছিল।এরপর সেদিনই লিখে ফেলেছিলাম"সূচনাএবংইতি"র প্রথম পর্ব। যা কিনা বাস্তব আর কিছুটা কল্পনার উপর অধারিত একটা তেরো মিনিটের ছোটগল্প। না কোনো ভিউজ আসেনি সেদিন। পাঠক সংখ্যা, গড় রেটিং, সর্বমোট অনুসরণকারী আর সর্বমোট পর্যালোচনা সবকটা সেগমেন্টই সেদিন শূন্য ছিল। পরপর চারটে দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও গল্পটায় কোনো ভিউজ আসেনি। সত্যি কথা বলতে একটু হতাশ হয়েছিলাম। এমনটা নয় যে আমি জনপ্রিয় হওয়ার জন্য প্রতিলিপিতে লিখতে এসেছিলাম কিন্তু একটা কথাতো মানবেন উৎসাহ না পেলে কোনোকিছুই হয়তো সম্ভব নয়।..." আরও পড়ুন - প্রতিলিপি ও আমি (তপতী কর্মকার 'মেঘা') "... প্রতিলিপিতে পড়া আমার প্রথম ধারাবাহিক ছিল আশীষ জোয়ারদার স্যারের 'পায়েল একটি অসমাপ্ত কাহিনী'। এক প্রকার নেশা ধরানোর মতো অসামান্য একটি কাহিনী! যে গল্পের প্রতিটি পর্ব আমাকে পাগল করে দিয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন গল্প ,উপন্যাস ,ধারাবাহিক ,কবিতা পড়তে পড়তে আমার মনের সুপ্ত ইচ্ছেটা জেগে ওঠে। বলতে গেলে আমি আগে কোনোদিনই সেভাবে লেখালেখি করিনি। তবে প্রতিলিপিতে এসে সবার লেখা দেখে দেখে আমারও ইচ্ছে হলো মনের সুপ্ত কল্পনাগুলোকে অক্ষরের রূপ দিই। সেই থেকে ভয়ে ভয়ে আমি একটি অনুগল্প প্রতিলিপিতে প্রকাশ করে ফেলি। গল্পটি ছিল 'পেখম: একটি প্রতিবাদী মেয়ের কাহিনী'।গল্পটি প্রকাশ করার পরেই ধীরে ধীরে ভিউজ বাড়তে শুরু করে, অনুসরণকারীও বাড়তে শুরু করে।শুরুতে এতো মানুষের সাপোর্ট হয়তো পাইনি। তবে ধীরে ধীরেই তা বাড়তে শুরু করে।আর এতো মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি প্রথম উপন্যাস 'পরিনতি' লিখতে সাহস পাই। তবে পরিচিতি টা আরোও বাড়তে থাকে আমার খুব পছন্দের উপন্যাস 'জব উই মেট'লেখার পর। উপন্যাসটি লেখার পর আমি প্রচুর মানুষের যেমন ভালোবাসা পেয়েছি তেমন নেগেটিভ কমেন্টও এসেছে অনেক। প্রথম প্রথম খুব ভেঙে পড়তাম নেগেটিভ কমেন্ট পেয়ে। কিন্তু অন্যান্য প্রিয় লেখক লেখিকার সাপোর্ট, ভালোবাসা পেয়ে আমি নেগেটিভিটি সরিয়ে রেখে পরবর্তী ধারাবাহিক লেখার প্রস্তুতি নিই। আর এর পরের ধারাবাহিকটাই আমাকে আরোও পাঠক পাঠিকার কাছে পৌঁছে দিয়েছে।ধারাবাহিকটি ছিলো 'ডেয়ারডেভিল সুইটহার্ট'। ধারাবাহিকের পুরো গল্পই ছিলো আমার নিজস্ব মেস জীবনের কাহিনী। মেসে থাকাকালীন আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে কিসব মজার ঘটনা ঘটিয়ে ছিলাম সেই নিয়েই একটি দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের কাহিনী।তাছাড়া এই ধারাবাহিকে বিভিন্ন মজার ঘটনাগুলো যুক্ত করতে ও ধারাবাহিকটিকে পুরোপুরিভাবে সাজাতে আমার বোন মধুশ্রী জানা ভীষণভাবে সাহায্য করেছিল।তাছাড়া বিভিন্ন গল্পের বিভিন্ন প্লট সাজাতেও সে খুব সাহায্য করে।এই জন্য বোনের কাছে আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ।এই ধারাবাহিকের পরেই আমার লেখার ইচ্ছেটা আরোও বেড়ে যায় আর লেখা নিয়ে ভবিষ্যতে এগোনোর ইচ্ছেও মনের মধ্যে জায়গা করে নেয়।প্রতিলিপি থেকে আমার প্রথম মাসিক উপার্জন ছিলো 218 টাকা 61 পয়সা। টাকাটা সামান্য হলেও আমার কাছে বিষয়টা অসামান্য ছিল। নিজের লেখার মাধ্যমে প্রথম উপার্জনটা মনের মধ্যে যে এতটা খুশি বয়ে নিয়ে আসবে তা আমি ভাবতেই পারিনি।পরের দিকে অবশ্য টাকার অঙ্কটা ধীরে ধীরে বেড়েছিলো।পাঠকরা স্টিকার দিয়ে সাপোর্ট করলে বা সাবস্ক্রাইব করলে সেখান থেকেও একটা অঙ্ক যুক্ত হয় মাসিক আ্যমাউন্ট এর সাথে।..." আরও পড়ুন - ভালোবাসার প্রতিলিপি (তনুশ্রী জানা) "... প্রতিলিপির সাথে আমার পরিচয় ২০১৭ র থেকে ।জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমেই এই অনলাইনস্টোরি রিডিং অ্যান্ড রাইটিং অ্যাপের খোঁজ পাই আমি । তবে খোঁজ পেলেও , দীর্ঘ তিনটি বছর শুধু একনিষ্ঠ পাঠিকা হয়েই ছিলাম আমি ।ঐ সময়টাতে কত লেখক, লেখিকার , কত গল্প যে আমি পড়েছি , তার কোনো হিসেব এখন আমার কাছে নেই ।তবে তখনো নিজে থেকে কিছু লেখার মত সাহস ভেতরে তৈরী হয়নি । শেষে একটা সময় এমন আসলো যে আমার এই গল্প পড়া , আমার জীবন সাথীর কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে উঠলো !.অবশ্য তাকেও দোষ দিই না । বৌ যদি সারাক্ষন মোবাইলের মধ্যে মুখ গুঁজে বসে থাকে , তবে বরের কাছে অবশ্যই চিন্তার বিষয় । একদিন তাই না পেরে বলে , " দিন রাত অন্যের গল্প পড়ে পড়ে চোখ খারাপ না করে নিজে তো দুই চার লাইন লিখলেও পারো ।কথাটা মন্দ লাগলো না । ' নিজে থেকে তো দুই কলম লেখাই যায় ' ... বিশেষ করে বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী বলে কথা !কিন্তু ওই যে ভয় , কে কি বলবে ?. কার কেমন লাগবে ?.. ঐ ভয়েতে কাবু হয়েই কেটে গেলো অনেকটা সময় । শেষে একসময় ভয় কাটলো । কাটলো সঙ্কোচ ।সময়টা ২০২০ র জানুয়ারি মাসের প্রথম দিক । করোনা তখনো চিনের গন্ডী পেরিয়ে বিশ্ব মহামারির তকমা হাসিল করেনি । সবে সবে তার থাবা চিন থেকে বেরিয়ে অন্যান্য দেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় রয়েছে । ঠিক সেই সময়টায় নিজের দ্বিধা কাটিয়ে উঠে লেখা শুরু করলাম । প্রথম গল্প 'মিঠি' ভৌতিক গল্প হলেও তাতে সামাজিক মূল্যবোধের একটা দিক তুলে ধরলাম । প্রথম পর্ব পাবলিশ করে দিলাম ভয়ে ভয়ে । ঠিক করলাম পাঠক রিভিউয়ের ওপর নির্ভর করে লিখবো । যদি ভালো বলে , তবেই আগে এগোবো নতুবা নয়।ঈশ্বরের করুনায় একে একে বহু পাঠক পড়লেন । কমেন্ট করলেন ,বললেন ' আরো পর্ব দিন ,পড়তে চাই !'কি যে ভালো লাগলো ,ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না । মনে হলো , আমার লেখাও লোকে পড়ছে , আবার বলছে আরো পড়তে চাই !!..ব্যাস এরপর আর থামিনি । একের পর এক পর্ব লিখে গেলাম । সাথে শুরু হলো প্রেম , সাসপেন্স থ্রিলার ধর্মী ' এ কেমন প্রেম' । সেই গল্প কেও সমান ভাবে সমাদর পেতে দেখলাম ।এরপর আসলো একটা ঝড় , যার নাম " প্রতাপগড়ের বৌরাণী " !!.." আরও পড়ুন - প্রতিলিপি... এক স্বপ্ন (রত্না হালদার) "...আর একটা কথা না বললেই নয়! সেটা হল আমাদের সকলের প্রিয় এই প্রতিলিপি। আমার জীবনে তিনজনের অবদান অপরিসীম। 'জন' এই কারণেই বললাম, প্রতিলিপি আমার কাছে শুধু পড়া বা লেখার অ্যাপ নয়, আমার স্বপ্ন পূরণ করার বড় একটা জায়গা। আমার স্বপ্নসঙ্গী।হ্যাঁ ছোটোবেলা থেকে টাকা পয়সার অভাব খুব একটা বুঝতে পারিনি। যখন যা চেয়েছিলাম; পেয়েছি। কিন্তু মনে একটা দুঃখ থেকে গিয়েছিল আমি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করার পরেও বেকার! আমি কোন রোজগার করি না! আমার জন্মদাত্রী মাকে পূজার সময় একটা শাড়ি কিনে দেব, তাও অন্যের পয়সায়!প্রতিলিপিতে যখন প্রিমিয়াম আর সাবস্ক্রিপশনের ব্যাপারটা শুরু হয়; তখন প্রথম দিকে আমি এর ঘোরতর বিরোধী ছিলাম। তারপর যখন ব্যাপারটা বুঝলাম তখন আর বিরোধিতা করিনি। প্রতিলিপি তো কাউকেই পড়া থেকে বঞ্চিত করছে না! একদিন পর কিংবা পাঁচদিন পর পর্ব তো খুলেই যাচ্ছে। তখন সকলেই বিনামূল্যে পড়তে পারে। এর মধ্যে কেউ যদি টাকা দিয়ে পড়তে চায় ক্ষতি কি! আমাদের মতো গৃহবধূ লেখকদেরও তো ইচ্ছা করেনিজের রোজগারের পয়সাতে আপনজনদের কিছু কিনে দিই। এই দেওয়ার মধ্যে কী যে আনন্দ সত্যিই এতদিন সেটা বুঝিনি! প্রতিলিপি আমাকে সেই আনন্দটা দিয়েছে। তাই প্রতিলিপিকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের বাংলা সাহিত্য প্রতিলিপির মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাক।..." আরও পড়ুন -পরিচয় (চম্পা চক্রবর্তী) আমাদের লেখক পরিবারের কয়েকজনের কথা আপনার কাছে তুলে ধরলাম। ভবিষ্যতেআরও কাহিনী যুক্ত হবে।সঙ্গে থাকবেন! টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- পেপারব্যাক05 জুন 2023প্রতিলিপিরপ্রিয় সদস্যবন্ধু, একটি দুর্দান্ত খবর আজ আমরা আপনাকে জানাতে চলেছি! প্রতিলিপি পরিবারের এক জনপ্রিয় লেখক Rima Goswami Dasপ্রতিলিপি থেকে তাঁর বই 'দ্রাক্ষানী'প্রকাশের মাধ্যমে একটি অসাধারন মাইলস্টোন অতিক্রম করেছেন। বিখ্যাত প্রকাশক ওয়েস্টল্যান্ড এই বইটি প্রকাশের জন্য বেছে নেয় এবং বর্তমানে এটি পেপারব্যাক ফরম্যাটে অনলাইন বিপনীসংস্থা আমাজনে উপলব্ধ। এই লিঙ্কে ক্লিক করে বইটি আপনি দেখতে পারেন: আমাজন লিঙ্ক -https://www.amazon.in/dp/9395767901?ref=myi_title_dp লেখক Rima Goswami Das-কে প্রতিলিপি পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে পেয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত এবং লেখককে এই তাঁর এই সাফল্যের জন্য অনেক শুভকামনা জানাই। আপনি যদি লেখাটি এখনও না পড়ে থাকেন তবে এই লিঙ্কে ক্লিক করে প্রতিলিপিতে লেখাটি পড়তে পারেন: ধারাবাহিকের লিঙ্ক -https://bengali.pratilipi.com/series/mynujbuwde3d আসুন আমরা সকলে মিলে এই বইটিকে আমাদের সংগ্রহে রেখে লেখক Rima Goswami Das- কে উৎসাহ ও সমর্থন জানাই এবং লেখকের গল্প লেখার ধরনকে কুর্নিস করি। প্রতিলিপি পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!আরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৪04 জুন 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "... জীবনের ইঁদুরদৌড়ে ছুটতে ছুটতে আবার যে সেই পুরোনো ডাইরিকে খুঁজে পাবো, তা কোনদিন আশা করিনি। কলেজে ওঠার পর প্রথম স্মার্টফোন হাতে পাই। তারপর কোনো এক সাইড থেকে প্রতিলিপির একটা গল্পের লিংক থেকে প্রথম প্রতিলিপির খোঁজ পাওয়া। যদিও প্রথমে ভাবিনি , এখানে আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। সাধারণ পাঠক হিসেবে পড়তে শুরু করলেও, মনের মধ্যে সেই লেখক ভাবনাটা চাপা পরে যায়নি। ডাইরির পাতা আবার ভরাট করতে শুরু করলাম ।কিন্তু তখনও এতটা সাহস জোগাড় করতে পারিনি যে প্রতিলিপিতে পোস্ট করবো। একজন খুব কাছের মানুষের সমর্থনে সেই ভয়টাও কেটে গেছিল। তবে প্রথম গল্প পোস্ট করার সময় অবশ্যই কিছু কথা মনে হয়েছিল-----১) আদৌ আমার গল্পটা কেউ পড়বে?২) তাদের সেটা ভালো লাগবে তো?৩) যদি কারোর খারাপ লাগে!!?এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে একটা কথা মনে হয়েছিল, তুমি ততক্ষন অবধি কোনো উত্তরেই স্থির হতে পারবে না, যতক্ষণ না অবধি তুমি সেটা জিজ্ঞাসা করছো। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে গেলে, আমাকে গল্পটা পোস্ট করতেই হতো।সেই ক্লাস 9 এ প্রথম কাচা হাতে লেখা গল্পটাই পোস্ট করেছিলাম। "শুভ অষ্টমী" - যেটা আমার জীবনে লেখা প্রথম গল্প ও প্রতিলিপিতে পোস্ট করা প্রথম গল্প। এখনো মনে আছে আমার প্রথম গল্পে প্রথম দিন 50 জন পাঠক ছিল আর রিভিউ 1টি ( যে আমারই পরিচিত)। তবে সেই 50 জন পাঠকই ছিল আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তর। তার সাথে আমার সাহসও বাড়িয়েছিল। তারপরের দিন আমি এই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব দিই। আর প্রথম বার রেটিং পেয়েছিলাম 2 টো, তাও 5 স্টার। যেটা আমার বাকি 2 টো প্রশ্নের উত্তরও খুব সহজে দিয়ে দিয়েছিল। তারপর ক্রমে পাঠক, রেটিং ও রিভিউ সবই বাড়তে থাকে আর আমার জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। যেটা আমি কোনোদিনও ভাবিনি সবার সামনে আনতে পারবো।প্রতিলিপি আমাকে সেই সুযোগটা করে দিয়েছে। যেটা আমার জীবনের অনেক বড় পাওয়া। শুধু এটা নয়, তার সাথে আরো অনেক কিছু দিয়েছে প্রতিলিপি।..." আরও পড়ুন - লেখার কাহিনী (তুলিকা সাঁতরা) "... তারপর একদিন হঠাৎই মনে হল যদি আমিও লিখতাম, প্রকাশ করেছিলাম একটা ছোটো গল্প। কিন্তু নতুন ছিলাম বলে তেমন কেউই গল্পটা পড়েনি, কিছুটা মন খারাপ নিয়েই প্রতিলিপি আনইন্সটল করে দিলাম ফোন থেকে। এরপর আবার শুরু হলো জীবনের এক নতুন অধ্যায় কলেজে উঠলাম সবকিছু নতুন নতুন লাগছিল। বেশ কিছু মাস পর খুব মনে পড়ে যে গল্পটা প্রকাশ করেছিলাম সেটা কি কেউ পড়েছে সেটা দেখতেই কৌতুহল নিয়ে চলে এলাম প্রতিলিপিতে দেখলাম গল্পটা প্রায় ৫০০ জন মত মানুষ গল্পটা পড়েছে। ১০০ জন মানুষ আমাকে অনুসরণ করেছে এটা দেখার পর ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। উৎসাহ জেগেছিল কিছু কিছু মানুষ কমেন্ট করেছিলো। তাদের কমেন্ট দেখে মনে জোর পেলাম। তারপর শুরু করেছিলাম নিজের প্রথম ধারাবাহিক গল্প যার নাম অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ।এরপর আর থেমে থাকিনি লিখে গিয়েছি একটার পর একটা গল্প। তবে সেটা অবশ্যই আপনাদের ভালোবাসার কারণে। সত্যি কথা বলতে এরপর প্রতিলিপিতে গল্প যেন একদিন না লিখলেই মন খারাপ হয়ে যেত সেই কারণে অবশ্য প্রচুর বকা খেয়েছি তারপর তো ২০২০ তে লকডাউন পড়ে যায়। ওই এক বছর সময় বাড়িতে বসে পুরোপুরি গল্প লেখাতে নিজেকে ঢেলে দিয়েছিলাম। আমার মা ছোটো থেকে আমাকে সবকিছুতে সাপোর্ট করে তাই এই ক্ষেত্রেও মায়ের সাপোর্ট পেয়েছি। কিন্তু বাবা না জানি কি মনে করতো তাই সারাদিন ফোন নিয়ে থাকলে অসন্তুষ্ট হত। তবে আমি ভাবতেও পারিনি সেই দিন বেশি দূরে নেই যেদিন বাবাও খুশি হবে।প্রতিলিপি থেকে যেদিন প্রথম গল্প গুলো নিয়ে এগ্রিমেন্ট করার জন্য বলা হয় নিজেকে সত্যি সেদিন আবার লেখক মনে হয়েছিল। দশ হাজারফলোয়ারের জন্য বাঁধাই করা অ্যাওয়ার্ড দেখে যখন আজ আশেপাশের মানুষ যখন জিজ্ঞাসা করে, তুই লেখালেখি করিস প্রতিলিপিতে? বাহ্ খুব ভালো এভাবেই চালিয়ে যা। শুনতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। আমার অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে শুধু প্রতিলিপির কারণে। আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনাদের জন্যআপনারা সেই প্রথম দিন থেকে আমার পাশে আছেন আমি জানি ভবিষ্যতেও থাকবেন।..." আরও পড়ুন - আমার গল্প (প্রিয়াঙ্কা মুখার্জী) "... ভরা লকডাউনে সবাই যখন ঘরবন্দী তখন প্রতিলিপি আমাদের সুযোগ করে দিচ্ছে লেখার এবং বহু পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার। সেই সময়টা আমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় হিসেবে কেটেছে। এই লেখালেখির জগতটাকে কাছ থেকে দেখেছি, পাঠকদের ভালোবাসা কতটা তীব্র তা উপভোগ করেছি। নিজেকে নতুন ভাবে চিনেছি।এরপর ধীরে ধীরে লকডাউনের প্রথম পর্ব কাটলো, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলো তবে লেখালেখি থামলো না। এ যে নেশার মতো, এত সহজ নাকি থামানো!! চলল গাড়ি গড়গড়িয়ে, এলো এক নতুন পর্ব। প্রতিলিপি যোগাযোগ করলো আমার সঙ্গে সরাসরি, গল্পের জন্য কন্ট্র্যাক্ট সাইন হলো। সাতদিনের মধ্যে পেলাম একটা বড় অঙ্কের টাকা। আমার জীবনের প্রথম উপার্জন। মাস তিনেকের মধ্যেই আবার একটা কন্ট্র্যাক্ট সাইন করলাম তাতে টাকার অঙ্কটা আরো বেশি। সেই সময় জায়গা বিশেষে লকডাউন চলছে। ভাইয়ের ফোন হঠাৎ খারাপ হয়ে গেছে। ফোনটা খুব দরকার, নয়তো অনলাইন ক্লাসগুলো করা যাবে না। ছুটলাম বন্ধুকে নিয়ে ব্যাঙ্কে, টাকা তুলবো নিজের আ্যকাউন্ট থেকে।ব্যাঙ্কের একজন বয়ষ্কা ভদ্রলোক আমার আ্যকাউন্ট চেক করে প্রশ্ন করলেন, "কি করো? মুখটা দেখি"।মাস্কের চাপা সরাতেই ভদ্রলোক ভ্রু কুঁচকে বললেন, "স্টুডেন্ট তো?"ঘাড়টি নেড়ে বললাম, "ফিফথ সেমিস্টার"।"কাজ কি করো?" পরের প্রশ্ন এলো।বেজায় হাসি পেলেও তা আড়াল করে বললাম, "ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের রাইটার"।কিছু আর বললেন না তিনি। টাকা গুনে হাতে দিয়ে বললেন, "অনেক বড় হবে, অল দা বেস্ট"।মুহুর্তে চোখ দুটো ভিজে এসেছিল আমার। মুখে হাসি ধরে রেখে বেরিয়ে এসেছিলাম ব্যাঙ্ক থেকে। নিজের উপার্জনে প্রথম ফোন কিনে দিই ভাইকে।..." আরও পড়ুন - আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি (Mysterious Girl 'মিশু') আজ তাহলে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে ফিরে আসব প্রতিলিপি পরিবারের আরও কয়েকজন লেখকের অভিজ্ঞতার কাহিনী নিয়ে। সঙ্গে থাকবেন! টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ৩31 মে 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "... ২০১৮ সাল থেকে আমি প্রতিলিপিতে লিখছি । অবশ্য আমি এই অ্যাপের সাথে যুক্ত প্রায় আরো এক বছর আগে থেকে। তখন ছিলাম শুধুই পাঠক।যেখানে প্রকাশিত বইয়ের ক্ষেত্রে একজন নতুন লেখককে অপদস্ত হতে হয় কারণ সে নতুন তার বই বিক্রির কোন নিশ্চয়তা নেই। সেখানে প্রতিলিপি প্রথম থেকেই লেখকদের মনে একটা আশা তৈরি করেছে , তাদের জন্য অবারিত দ্বার উন্মোচন করেছে। প্রথমে ছোট গল্প লিখতাম। পাক্ষিক অনুশীলন চ্যালেঞ্জ গুলো রোজ আমাকে নিত্য নতুন টপিক দিতো লেখার। ধীরে ধীরে একজন দুজন করে আমার প্রোফাইলের সাথে জুড়তে শুরু করলো। তারা পড়তে পড়তে রিভিউ ও লিখলেন। আমি তো তখন অবাক ! আমাকে কেউ রিভিউ দিচ্ছে ! আমার প্রোফাইল ফলো করছে !লিখতে লিখতে আমি ধারাবাহিক লিখতে শুরু করি। এবং এটাই আমাকে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সাহায্য করে। আমার মিথ নিয়ে বা সাসপেন্স নিয়ে পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। সেই থেকেই আমি প্রথম লিখি অঘোরীর অভিশাপ , রক্তবীজ সংহার। পাঠকদের সমালোচনা গুলো আমাকে বুঝতে সাহায্য করে যে মাইথোলজি নিয়ে আমার লেখা পাঠকদের বিশেষ আকর্ষণ করছে।মনে আছে এক পাঠক আমাকে অনুরোধ করে ছিলেন দশমহাবিদ্যা নিয়ে গল্প লিখতে।আমার পড়ার আগ্রহ এবং পূজারী পরিবার থেকে আসা সব মিলিয়ে আমার পুরান বিষয় নিয়ে পড়াশোনা বা এই বিষয়ে দখল অনেকটা ছিল।সেই সম্বল করে আমি লিখি দশমহাবিদ্যার সাধিকা। এগারো পর্বের গল্পের ছত্রে ছত্রে ছিল মহা বিদ্যার বর্ণনা আর সাসপেন্স। পাঁচ লাখ মানুষ এখনো পর্যন্ত পড়েছে গল্পটি। ওখান থেকে যে সেই শুরু তার চরম পর্যায় হলো আমার ধারাবাহিক রূপকথা দ্রাক্ষানী। আমার লেখার কেরিয়ারে মোড় নিয়ে আসে এই কাহিনী যা প্রতিলিপি রিডিং অ্যাপ এ প্রায় ষাট লাখ মানুষ দ্বারা সমাদৃত। এটি প্রতিলিপি fm এর পাঁচটি ভাষায় উপলব্ধ এবং প্রতিলিপি কমিকস এ বর্তমানে প্রকাশিত হয়েছে।কাহিনীর মোট চারটি সিজন আছে। যার প্রথম তিনটি অডিও আকারে প্রকাশিত হয়েছে।মিথ বা সাসপেন্স ছাড়াও আমি বিভিন্ন জনার লিখে থাকি। সেটা পারিবারিক গল্প বা সামাজিক গল্প। সম্প্রতি নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আর রান্নার এক ফিউশন নিয়ে লেখা অন্নপূর্ণা কিচেন পাঠকদের মনে সাড়া জাগতে সক্ষম হয়েছে।..." আরও পড়ুন - জয়ের অভিমুখে যাত্রা (রিমা গোস্বামী দাস) "... পুরোপুরি যখন আমি সংসারী, তখনো বই পড়ার নেশার কারনে ,আমি প্রতিলিপি অ্যাপ ডাউনলোড করি ।প্রথমে লিখি ..শিকার নামে একটি সামাজিক ছোট গল্প ।আর বিড়ালের কাটা মুন্ডু নামে একটি ভৌতিক ছোট গল্প।তারপর 15 পর্বের মোনালিসা নামে একটি ধারাবাহিক ও লিখেছিলাম ।শিকার নামে ছোট গল্পটি অনেকে পড়েন এবং প্রচুর ভালো ভালো কমেন্ট পাই ।মোনালিসাতেও অনেকে কমেন্ট করেছিলেন।কিন্তু সংসারের কাজ,, মেয়ের দেখাশোনা, নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতি, এই সমস্ত কারণে আমি আবার হারিয়ে যাই লেখা ও পড়ার জগত থেকে।ডিলিট হয়ে যায় প্রতিলিপি অ্যাপ।তারপর ২০২১ এর এপ্রিল মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাই আমি ।পুরোপুরি মৃত্যুর সম্মুখে, মৃত্যুকে স্বচক্ষে দেখেছি আমি।দেহের মধ্যে অসংখ্য রোগ বাসা বেঁধেছে আমার। কিডনি স্টোন, লিভারে সমস্যা, হাই ব্লাড সুগার, এই সমস্ত রোগগুলো মৃত্যুর মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল আমাকে।সুগার ফল্ট করে মরেই গেছিলাম প্রায়।বারবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো আমাকে। একটু সুস্থ হয়ে যখন বাড়ি ফিরি ,।তখন আর্থিক, শারীরিক ,মানসিক ,সব দিক থেকেই দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। যেন জীবন প্রবাহের খরকুটার মতো ভেসে চলে যাচ্ছিলাম।প্রকৃত বন্ধু যেমন বিপদ থেকে ধরে টেনে তোলে, তেমনি প্রতিলিপি এসে তার শক্ত হাতটা আমার দিকে বাড়িয়ে দেয় ।আবার ফেসবুকেই প্রতিলিপি কে দেখলাম, মনে হল আমার পুরোনো লেখাগুলো কি অবস্থায় আছে একটু দেখি! আবার প্রতিলিপি অ্যাপ ডাউনলোড করলাম। ডাউনলোড করে দেখি আমার শিকার গল্পের অনেক ভিউ হয়েছে। আমার ফলোয়ার সংখ্যা বেড়েছে ।আমি গোল্ডেন ব্যাচ প্রাপ্ত একজন লেখকে পরিণত হয়েছি। নিজের মানসিক অবসাদ কাটানোর জন্য প্রতিলিপিতে গল্প পড়া শুরু করি।সঙ্গে টুকটাক লেখালিখি ।আমি দেখি যে আমার শিকার গল্প থেকে আমার 29 টাকা এসেছে।আমার মনে হলো আমি তো কোথাও কাজ করতে যেতে পারবো না। আমার নিজের চিকিৎসা নিজের ওষুধ সমস্ত কিছুর জন্য, আমি সম্পূর্ণরূপে পর নির্ভরশীল । একটা নিম্নবিত্ত পরিবারের খাওয়া-দাওয়া ,পড়াশোনা ,এসব তো কষ্ট করে চালানো যায়। কিন্তু ওষুধের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় ।আবার কলম ধরি । নারী মাংস উপন্যাস টা লেখা শুরু করি ২০২১ এর সেপ্টেম্বর মাসেগল্পটা আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। নতুন করে লেখার ইচ্ছে,,, নতুন করে বাঁচার রসদ সমস্ত কিছু। আমি রোজগার করতে শুরু করি।..." আরও পড়ুন - আমার বন্ধু প্রতিলিপি (রিংকি দেবনাথ) "... সময়টা মনে হয় ২০১৯র মাঝামাঝি, ফেসবুকে ইতি উতি উঁকি ঝুঁকি মারতে মারতে চোখে পড়ে প্রতিলিপির ফেসবুক পেজ। পেজের নামটা পছন্দ হওয়ায় নেহাতই কৌতুহল বসত পেজটা খুলি, খুলতেই সামনে আসে একরাশ গল্পের ঝুলি। গল্প যে আমার ছোটবেলা থেকেই বড় প্রিয়,সে ছোট বড় যেমনই হোকনা কেন...পড়ার বই ফেলে গল্পের বই পড়া আমার বরাবরের স্বভাব। আর সেখানে এমন একটা পেজের সন্ধান পাওয়া তো হাতে চাঁদ পাওয়ার মতন আর এই পেজের সূত্র ধরেই প্রতিলিপি অ্যাপর সন্ধান মেলে। ইচ্ছেমত যখন খুশি,যেখানে খুশি গল্প পড়তে বেশ লাগত,নতুন পুরানো বহু লেখক লেখিকার গল্পই পড়েছি। এত সুন্দর করে তারা নিজেদের গল্প গুলোর মাধ্যমে বাস্তব আর কল্পনার মেলবন্ধন ঘটান যেন মনে হয় সবকিছু নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। আমারও তো অনেক কথা কখনো কাউকে বলা হয়ে ওঠে না,যদি আমিও লিখে রাখি?সেই ভাবনা থেকেই লেখার শুরু আমার ২০১৯র ১৪ই নভেম্বর। ১৪ই নভেম্বর দিনটি সকলের কাছে শিশুদিবস হিসেবে বিশেষ হলেও আমার কাছে বিশেষ অন্য কারনে। কারন আমি সেই দিন এমন একজন মানুষকে হারিয়েছিলাম যার হাত ধরে আমার গল্পের সাথে প্রথম পরিচয় হয়,আমার ঠাকুমা ওরফে আমার দিদিভাইকে। ছোট্ট থেকে দুপুরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দিদিভাইয়ের কাছে গল্প শোনা আমার বাধ্যতামূলক ছিল। দিদিভাই দেশ বিদেশের নানারকম গোয়েন্দা গল্প,হাসির গল্প,পুরাণ, রূপকথা আরো কত কি কত সুন্দর করে শোনাত আর আমি শুনতে শুনতে কল্পনার দুনিয়ায় পাড়ি জমাতাম সেখানে। সব ধরনের গল্প শুনলেও সবচেয়ে ভালো লাগত আমার রূপকথার গল্প শুনতে,কি সুন্দর রাজা-রানী,রাজপুত্র-রাজকন্যা,রাক্ষস-রাক্ষসী নিয়ে টানটান উত্তেজনায় ভরপুর গল্প গুলো। সময়ের সাথে সাথে পড়াশোনা ও অন্যান্য ব্যস্ততার মাঝে সেই দিন গুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছিল,তাই চেয়েছিলাম রূপকথার গল্পের মাঝে দিদিভাইকে বাঁচিয়ে রাখতে। রূপকথা নামে লেখা শুরু করলাম,আশাকরিনি কখনো যে আমার অগোছালো ভাবনা গুলোও কেউ পড়বে...তবে প্রথম গল্পের প্রথম পর্ব প্রকাশিত হওয়ার পরের দিন থেকে যখন একটা দুটো করে পরের পর্বের অপেক্ষায়",দারুন হচ্ছেএমন কমেন্ট আসতে লাগল মনে হল লেখাটা থামালে হবে না। এবার নিজের ইচ্ছেপূরণের জন্য নয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুদের জন্য লিখতে হবে...যদিও সে দিনের অনুভূতি আমি আজ কেন কোনদিনই হয়ত ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তারপর থেকে বহু কমেন্ট, বহু ম্যাসেজে র মাধ্যমে পেয়েছি অজস্র পাঠকের উৎসাহ, শুভকামনা,অনেক বয়ঃজ্যেষ্ঠ মানুষের আশীর্বাদও পেয়েছি কমেন্টের মাধ্যমে...নিজেও চেষ্টা করেছি সময়মতো সকলকে উত্তর দেওয়ার। হ্যাঁ আমি লোভী,লোভ আমার ভালোবাসা পাওয়ায়...তাই লিখতাম শুধু নিজের কল্পনা গুলোকে পাঠক-পাঠিকাদের কাছে ভালোবাসা পাওয়ার আশায়। আমি সকলকে কতটা দিতে পেরেছি জানি না,তবে প্রতিলিপির থেকে পেয়েছি অনেক...পেয়েছি আমার সবচেয়ে প্রিয় একজন বন্ধু অরিন্দম মুখার্জিওরফে অরি-কে,যার হাত ধরে প্রতিলিপি থেকে আমার ফেসবুকে লেখালেখি শুরু,যার উৎসাহে আমার পেজের সূচনা...অরির হাত ধরেই আলাপ আমার আরও একজন প্রাণের বন্ধু অঙ্কিতা ঘোষের সাথে। দুজনেই নিজ নিজ ক্ষেত্রের এক একজন অসামান্য লেখক লেখিকা হলেও আমাকে উৎসাহ দেয় আমাকে বন্ধু হিসেবে আমার একনিষ্ঠ পাঠক হিসাবে। কখনো কোথাও থমকে গেলে যেমন উৎসাহ দেয় তেমন ভুল করলে মাথায় চাটি মারতেও ছাড়ে না...আবার প্রশংসা করে যখন থামতেও চায়না। তাই গল্পের কথা প্রতিলিপির কথা উঠলে ওদের ছাড়া তা অপূর্ন আমার কাছে। উপার্জনের আশায় লিখি নি ঠিকই তবে,প্রতিলিপির তরফে গল্পের সন্মানিক ভাবে যখন আইপি কন্ট্র্যাক্টর জন্য যোগাযোগ করে তখন সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল।..." আরও পড়ুন - প্রতিলিপির প্রীতি কথা (রুপকথা) "... আমি শিপ্রা চক্রবর্তী, তবে এখানে প্রতিলিপির পরিবারে'শিপ্রামেঘপিয়ন' নামেই পরিচিত। আমি পুরোপুরি একজন গৃহবধূ, বাপের বাড়ি নদীয়া জেলায়, শ্বশুরবাড়ি বর্ধমান জেলায় আর নিজের বাড়ি হুগলি জেলায়, তবে বর্তমানে থাকছি জলপাইগুড়ি। আসলে জীবন বড় অদ্ভুত কখন কি ভাবে কোথায় কেমন মোড় নেবে তা বোঝা মুশকিল। তবে জীবনের একটাই নিয়ম থেমে থাকলে চলবেনা তাই চালিয়ে চলেছি, এগিয়ে চলেছি নিজের মত করে একটু একটু করে আর এই এগিয়ে চলার কথাই আজ কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।প্রতিলিপিতে আমার প্রথম হাতে খড়ি ২০১৮ সালে, তবে লেখিকা হিসেবে না... একজন পাঠক হিসাবে। গল্পের প্রতি আমার ভীষন আগ্রহ এবং ঝোঁক দুটোই আছে। গল্প পড়তে আমি ভীষন ভীষন ভালোবাসি চেনা ছন্দের বাইরে অচেনা গল্প পড়তেই মূলত প্রতিলিপিতে আসা। তবে লেখালেখি যে একবারেই করতাম না... তা কিন্তু না লেখালেখি শুরু হয়েছিল তার অনেক আগে। তবে তা কবিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল আর তার পাঠক ছিল দুজন একজন আমার স্বামী আর দ্বিতীয়জন আমার মা।গল্প পড়তে পড়তেই একদিন আবিস্কার করলাম এখানে শুধু গল্প পড়ানা লেখাও যায়। আর সেই উৎসাহ নিয়ে প্রথম দুখানা কবিতা ছাপাই প্রতিলিপির পেজে। তখন আমি শিপ্রা চক্রবর্তী নামেই অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম। সত্যি কথা বলতে প্রথম তিন থেকে চারমাস বেশি রেসপন্স পাইনি, তাই উৎসাহ না.. পেয়ে প্রতিলিপিতে লেখা ছেড়েদি। কিছু সময়ের ব্যবধানে পড়াও বন্ধ করে প্রতিলিপি থেকে পুরোপুরি বেড়িয়ে আসি।গতানুগতিক ধারাতে জীবন এগিয়ে চলেছিল তবে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি, নিজেকে বড্ড একা মনে হতে থাকে, সবার থেকে দূরে সরে যেতে থাকি, নিজের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারি কিন্তু কিছুই করে উঠতে পারিনা। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে আমার কর্তার উদ্যগে এবং উৎসাহে আমি নতুন করে লেখালেখি শুরু করি আর সেটা ২০২০ সাল।নিয়মিত প্রতিদিন সময় করে লিখতে থাকি। কবিতাই ছিল আমার প্রথম লেখার মাধ্যম। গল্প লিখব এমনটা কোনদিন ভাবিওনি। সময়ের সাথে প্রতিলিপি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের সাথে পরিচয় হয় তাদের লেখা পড়ার মাধ্যমে। প্রতিলিপিতে আমার লেখার প্রথম পাঠক হলেন(SWAPANKUMARMONDAL)ওনার 'ভালো লাগল' এই শব্দদুটো আমাকে প্রচন্ড উৎসাহিত এবং খুশী করেছিল, তার সাথে মনে মনে লেখাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস দিয়েছিল। ওনার কাছে আমি অন্তর থেকে কৃতজ্ঞ।... " আরও পড়ুন - অনুপ্রেরনায় প্রতিলিপি (শিপ্রা মেঘপিয়ন) আজ তাহলে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে ফিরে আসব প্রতিলিপি পরিবারের আরও কয়েকজন লেখকের অভিজ্ঞতার কাহিনী নিয়ে। সঙ্গে থাকবেন! টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ২28 মে 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "...আমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী পাশ করার পর থেকেই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মনোবিদ হিসেবে যুক্ত ছিলাম। পরবর্তীকালে এম.বি.এ. (এইচ.আর) করে কর্পোরেট সংস্হায় এইচ.আর অফিসিয়াল হিসেবে কাজ করেছি। তখন শনি - রবিবার করে কাউন্সেলিং প্র্যাকটিস করতাম। আসলে আমি একটু অন্তর্মুখী মানুষ। কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি ভালোবাসি। তার মধ্যে থেকে সময় পেলেই বই নিয়ে বসে পড়তাম। ছোটবেলা থেকেই আমার একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম বই। সে বই সবসময় গল্পের বই হতে হবে এমন নয়; তা যেকোনো বিষয়ের ওপরেও হতে পারে। মোটের ওপরে কিছু না কিছু পড়ার মধ্যেই আমি থাকতাম। আমি ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটাতাম। মেয়ে সারাদিন আয়ার কাছে থাকতো। তার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য আমি 2018 সালে চাকরি ছেড়ে দিই। সেইসময় আমি ফেসবুকে দিনের মধ্যে অনেকটা সময় কাটাতাম। বন্ধু বান্ধব, পুরনো অফিসের কোলিগদের সঙ্গে গল্প গাছা করতাম, ছবি দেখতাম, নিজেও ছবি পোস্ট করে লাইক গুণতাম। এইসব অকাজের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলাম। কিন্তু, একটা কিছু না করার যন্ত্রনা নিজের মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।একদিন ফেসবুকে একটা সাহিত্য গ্রুপ আমার নজরে পড়ল। সেখানে যুক্ত হয়ে অন্যদের লেখা পড়তাম। পড়তে পড়তে একদিন মনে হল, আমিও একবার লেখার চেষ্টা করে দেখলে হয়। প্রথম দিকে আমি বিভিন্ন মানসিক সমস্যা নিয়ে লেখালিখি করতাম। অনেকেই আমার লেখা পড়তে পছন্দ করতেন। একে একে অনেক সাহিত্য গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হলাম। ধীরে ধীরে আমি ছোট গল্প লেখা শুরু করলাম। অনেকেই তাঁদের পত্রিকা বা সংকলনের জন্য লেখা চেয়ে নিতেন। আমিও সানন্দে লিখে দিতাম। কেউ হয়ত দুশো বা তিনশো টাকা দিতেন। আবার কেউ শুধুমাত্র লেখক কপি ধরিয়ে দিতেন। যাঁরা লেখা ছাপা হলে নিজেকে পত্রিকা বা সংকলন কিনে নিতে হবে বলতেন; তাঁদের আমি লেখা দিতাম না। নিজের লেখা নিজে টাকা দিয়ে কিনে পড়ার মত ইচ্ছে আমার ছিলনা। নিজের থেকেও অনেক জায়গায় লেখা পাঠিয়েছি প্রকাশ করার জন্য।আমি ছোট ছোট ভৌতিক বা থ্রিলার গল্প লিখতাম বেশি। সেগুলো অনেকসময় আমার থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়েই কয়েকটা ইউটিউব চ্যানেল থেকে অডিও করেছে। কেউ কেউ পাঁচ- সাতশো টাকা ধরিয়ে দিয়েছে। কেউ দেবে বলেও দেয়নি। পরবর্তীকালে আমার লেখা চেয়ে নিয়ে একজন প্রকাশক একক বই ছাপিয়ে ভালো বিক্রি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে একটা টাকাও দেন নি। আমিও আইন আদালতের পথ এড়িয়ে গেছি। আমার মেধা মনন দ্বারা রচিত সৃষ্টির থেকে অন্য একজন লাভ তুলে নিয়েছেন। তাও আমি ছেড়ে দিয়েছি। আমার মনে হয় সেইসময় নিজের লেখালিখিকে আমি সেইভাবে গুরুত্ব বা সম্মান দিইনি।২০১৯ সালের জানুয়ারী মাস থেকে আমি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের পাশাপাশি প্রতিলিপি ফেসবুক গ্রুপ ও প্রতিলিপি এ্যাপে লেখা শুরু করি। ছোট ছোট গল্প, কবিতা লিখতাম। সারা মাসে হাজার শব্দের একটা গল্প লিখেই মনে হত, অনেক লিখে ফেলেছি। এখন দিনে কখনো কখনো চার-পাঁচ হাজার শব্দ লিখে ফেলি। ভাবতেই অবাক লাগে।পাঠকদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমার কাছে সবসময় ছিল। আজ আমি লেখার মাধ্যমে সম্মান বা অর্থ যতটুকু উপার্জন করেছি; সব আমার প্রতিলিপি ও তার পাঠক বন্ধুদের জন্য।..." আরও পড়ুন - অনুপ্রেরনার বাস্তব গল্প (মধুমিতা মুখার্জী) "... ২০১৮ সালের গোড়ার দিকে, রাত্রে ঘুম পাড়ানোর সময় প্রতিলিপি থেকে গল্প পড়ে শোনাতাম আমার মেয়েকে। গল্প পড়ার ক্ষেত্রে কোনদিন যে প্রতিলিপির প্রতি ভীষণ দুর্বল, আসক্ত এবং নির্ভরশীল হয়ে পড়ি নিজেও বুঝতে পারিনি। প্রতিলিপি ওয়েবসাইট থেকে গল্প পড়তে পড়তে, ইনস্টল করলাম প্রতিলিপি অ্যাপ। অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করলাম। গল্প ও ধারাবাহিক রচনা পড়ার সাথে সাথে প্রতিলিপির আলোচনাসভায় প্রতিনিয়ত অংশগ্রহণ করতাম। প্রত্যেকদিন টপ কমেন্টার লিস্টে "ওয়ান্ডার ওম্যান ডবল্যু" নাম দেখে আপ্লুত হতাম আরো বেশি।এভাবে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে কখন যে লেখার প্রতি এক অদম্য টান অনুভব করতে শুরু করলাম, বুঝতেই পারিনি।প্রথম লেখা প্রকাশিত করি ২০১৯ সালের ২৮ শে নভেম্বর। গল্পটির নাম "একলা আকাশ"। পাঠকদের মনে দাগ কেটে যায় গল্পটি। আমি আর পিছন ফিরে দেখিনি কখনো। একের পর এক গল্প, কবিতা লিখতে শুরু করি।গল্প লিখতে লিখতে অনুভব করি গল্প বা কবিতার চেয়েও অনেক বেশি পাঠকদেরকে আকর্ষণ করা যায় ধারাবাহিক রচনা লেখার মাধ্যমে।শুরু করি জীবনের প্রথম ধারাবাহিক রচনা "রূপান্তর"। পাঠকবন্ধুদের মনের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে দেয় এই "রূপান্তর"। পাঠকদের ভালোবাসা, আবেগ, আবদার, অভিযোগে ভরে ওঠে আমার রূপান্তরের বুক।এরপর থেকে ছোটগল্প, কবিতা লেখার সাথে সাথে প্রাধান্য দিয়েছি মূলতঃ ধারাবাহিক রচনার দিকে। একের পর এক ধারাবাহিক উপন্যাসে বিপুল সাফল্য, বিপুল পাঠকসংখ্যা, এবং অনুসরণকারী পেয়ে আমি আপ্লুত হতে থাকি দিনের পর দিন।এভাবে দেখতে দেখতে কখন যে অগণিত ধারাবাহিক লিখে ফেলি, আমি তা নিজেও জানিনা। বর্তমানে আমার দশটি ধারাবাহিক উপন্যাস প্রিমিয়াম তালিকার অন্তর্ভুক্ত।..." আরও পড়ুন - আমার ভালোবাসার প্রতিলিপি (পিয়ালী চক্রবর্তী) "... এই প্রতিলিপিতে আমার প্রথম আসা ফেসবুকে মিশুর গল্প পড়ে। মিস্টেরিয়াস গার্লকে তোমরা হয়তো অনেকে চেনো। তা প্রায় বছর তিনেক আগের কথা। সম্ভবত সেটাও ছিলো ২০২০ -এর এপ্রিল মাস। মাস ছয়েক রিসার্চের কাজ চলার পর হঠাৎ করেই একদিন কলেজ তালাবন্ধ। করোনার জন্য লকডাউন শুরু হয়েছিল। আমার ব্যস্ত জীবন হঠাৎ করেই থমকে গিয়েছিল। আর তার ফল স্বরূপ ডিপ্রেশন। কাউকে বললে তাদের প্রথম প্রশ্ন হল, ব্রেকআপ হয়ে গেছে? আমার এক বন্ধু সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করছে। তার কাছে পরামর্শ চাইলে বিশ্বাস না করে বলেছিল, তোর মত একটা হাসিখুশি মেয়ের ডিপ্রেশন হতেই পারেনা। অনেকে বলেছিল যাই হয়ে যাক মাথায় খারাপ চিন্তা আনিস না। সেই সময় অনেকেই বোধহয় আমার মতোই ভুক্তভোগী হয়েছিল। চার দেওয়ালের মধ্যে যখন প্রাণ হাঁপিয়ে উঠেছিল তখন আমার জীবনে একরাশ খোলা হাওয়ার মতোই এসেছিল প্রতিলিপি। নীহারিকার অনির্বাণই আমায় খোঁজটা দিয়েছিল যাতে মন হালকা করতে পারি। আর তারপর থেকে প্রতিলিপি আমার আর এক পরিবার হয়ে গেছে। ছোট থেকেই আমার গল্প বই পড়ার নেশা ছিল। অভ্যাসটা প্রথম তৈরি করেছিলেন আমার প্রাইমারি স্কুলের হেড স্যার। ক্লাস টুয়ে পড়ার সময় উনি আমাকে উপেন্দ্রকিশোর রায়ের লেখা ছোটদের রামায়ণ ও মহাভারত বই জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলেন। বইটা কম করেও পাঁচশো বার পড়েছি। এরপর প্রতিবার বইমেলা থেকে মায়ের কাছে কেঁদে কেটে কমপক্ষে পাঁচটা করে বই কিনে বাড়ি ফিরতাম। ছোট থেকে আমার গোয়েন্দা গল্প পড়তে খুব ভালো লাগতো। ক্লাস সিক্সে বাবা আমাকে আনন্দ মেলা পূজা বার্ষিকী কিনে এনে দিয়েছিলো। রাত জেগে প্রথম কাকাবাবু, প্রফেসর শঙ্কু, গোয়েন্দা অর্জুন আর মিতিনমাসিররসাস্বাদন করতে করতে কখন যে সাহিত্যের প্রতি ভালোলাগাটা ভালোবাসায় পরিণত হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। এরপর ক্লাস সেভেনে বান্ধবীর গ্রামের লাইব্রেরী থেকে আনা শরৎচন্দ্রের পরিণীতা, চরিত্রহীন, দত্তা ক্লাসের ফাঁকে লুকিয়ে পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই বড় হয়ে যাওয়া। লাইব্রেরিয়ান স্যারের সঙ্গে ভাব জমানো, বিছানার তলায় গল্পবই রাখা, ক্লাশের বই বাদ দিয়ে গল্প পড়ার জন্য মায়ের পিটুনি, সঙ্গে বেশ কিছু প্রিয় গল্প বইয়ের পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, এইসব মিলিয়ে দিনগুলো ভালোই কাটছিল। ডিপ্রেশন আমার আগেও হয়েছিল যখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর বাড়িতে মাস খানেক বসেছিলাম। তখন অবশ্য বুঝতে পারিনি। মা একদিন আমাকে কাঁদতে দেখে ছুটে এলো। কেন যে তখন কাঁদছিলাম নিজেও জানিনা। বোর লাগছে বলায় তাড়াতাড়ি মা দোকান থেকে গল্পবই এনে দিয়ে আমায় শান্ত করেছিল। কিন্তু লকডাউনের সময় বইয়ের দোকানও বন্ধ। প্রতিলিপি সেই সময় হাজার হাজার গল্পের সম্ভার সাজিয়ে দিয়েছিল। অ্যাপ ইন্সটল করার প্রথম দিনই প্রেমে পড়ে যাই।তখন অবশ্য এইরকম মুড়ি মুরকির মতো গল্প লেখা হতো না। কয়েকজন লেখকের লেখা বেশ মনে ধরল। কয়েকদিন পড়ার পর হঠাৎই একদিন প্রতিলিপিতে ধারাবাহিক গল্পের প্রতিযোগিতার এক নোটিফিকেশন চোখে পড়ল। আর সেটা দেখেই মনের সুপ্ত ইচ্ছাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। পরদিন একটা লক্ষাধিক ভিউযুক্ত অসমাপ্ত গল্প পড়েছিলাম। কোন লেখককে ছোট করতে চাইনা তাই নাম করলাম না কিন্তু সেটা পড়ে মনে হয়েছিল যে আমি চেষ্টা করলে এর থেকে অন্তত ভালো কিছু লিখতে পারব।তারপর অনির্বাণের উৎসাহে সেদিনই আমার জীবনে প্রথম লেখালেখি শুরু করি। নীহারিকা নামের অ্যাকাউন্ট থেকে আমার প্রথম ধারাবাহিক গল্প প্রকাশ করি 'আরো একবার হাতটা ছুঁয়ে দেখ' যেটি 'স্মৃতির সরণি বেয়ে নামে আমার বর্তমান প্রোফাইলে রয়েছে। আমার প্রথম ধারাবাহিক গল্পটি চলাকালীন প্রায় হাজার খানেক অনুসরণকারী আর পঞ্চাশ হাজার ভিউ হয়েছিল। সাহস করে আরো দুটো রোমান্টিক সাসপেন্স থ্রিলার উপন্যাস লিখে ফেলি এরপর। কুহেলিকার অন্তরালে আর ব্রহ্মকমল রহস্য। দুটোই অনেক পাঠকেরই মন জয় করেছিল। 'তারে আমি চোখে দেখিনি উপন্যাসটি লেখার সময় একটু একটু করে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। অনুসরণকারী তিন হাজারের গন্ডি পেরোয়। কিন্তু হঠাৎই একদিন আবারো প্রচন্ড কাঁধে আর হাতে ব্যথা, সঙ্গে মাথা এবং কানের যন্ত্রণা। দিন দিন উপশম বেড়ে চলল। ডক্টর জানালো আবার পুরানো রোগটি মাথাচারা দিয়ে স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটির কারণে টিএমজে প্রবলেম। ডক্টর বললেন বেশি চিন্তা ভাবনা করে লেখালেখি করা যাবেনা, হাতে মোবাইল ধরে লেখা যাবে না। অগত্যা ইচ্ছা না থাকলেও লেখালেখি থেকে বিরতি নিতে হল। না সেই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিলিপিকেও সঙ্গী করতে পারিনি কারণ গল্প পড়ার জন্য প্রতিলিপি খুললেই অনেক পাঠকের মেসেজ চোখের সামনে ভিড় করত। কেউ জিজ্ঞাসা করত কোথায় চলে গেলে? কেউ শরীর ঠিক আছে কিনা জানতে চাইত। কেউ বলত লেখা পাচ্ছি না কেন? কবে ফিরবেন? কিন্তু এর উত্তর আমার জানা ছিল না তাই একদিন বাধ্য হয়ে প্রতিলিপি আনইন্সটল করে দিই ঠিকই কিন্তু পাঠকের ভালোবাসা মনে দাগ কেটে যায়। বারবার মনে হচ্ছিল যে আমার গল্পের অপেক্ষায় এত মানুষ বসে আছে যখন, গল্প আমি আবারও লিখব।..." আরও পড়ুন -ধূমকেতুর উদয় (ধুমকেতু) "... সালটা ২০১৯ এর শেষ, একদিন ফেসবুক স্ক্রলিং করতে গিয়ে একটা গল্পের কিছুটা অংশ পাই, এবং সেই সাথেই গল্পের লিঙ্ক... পড়লাম, খুব ভালো লাগল... তখন অবশ্য ব্রাউজার থেকে পড়া যেত অ্যাপ ডাউনলোড করতে হত না সেভাবে, কিন্তু আমার গল্প পড়ার নেশা বহুদিনকার, অ্যাপ ডাউনলোড করলাম। পড়লাম বেশ কিছু লেখা। খুব ভালো লাগল.. নিয়মিত কমেন্ট করতাম সেই সময় প্রত্যেকের লেখায়। এভাবেই একদিন সমীরদা ( সমীর সরকার - ভোলামন ) সঙ্গে পরিচয়। ততদিনে প্রতিলিপিতে আমার পাঁচ জন ফলোয়ার, সমীরদাকে নিয়ে ছয়। বেশ কয়েকটা কবিতা লিখে ফেলেছি ততদিনে সমীরদা একদিন হঠাৎ করেই বলল, তুমি ধারাবাহিক কেন লেখ না, ধারাবাহিক লেখার চেষ্টা করো.... সেই প্রথম প্রতিলিপিতে কলম ধরা ধারাবাহিক লেখার জন্যে। লিখতে শুরু করলাম, কিন্তু আমিই হয়ত প্রথম ব্যক্তি যে তার জীবনের প্রথম ধারাবাহিক শেষ করেনি আজও....(তুমি মোর প্রিয়) 😶😶 ততদিনে ফলোয়ার্স বেড়ে হয়ে কুড়ি। এরপরে লিখলামসাইকোলাভারআর তাতেই পেলাম সাফল্য। ফলোয়ার্স বেড়ে হল পাঁচশোর বেশী.... তবে বোল্ড স্টোরি লিখতে তখনও হাত কাঁপত। ২০২০ এর শেষ কিংবা ২০২১ এর শুরুতে লিখলাম প্রথম বোল্ড ধারাবাহিকপতিতার ভার্জিনিটিএবং তার বেশ কিছুদিন পর থেকেআমি তোমার পরিনিতা( এখনও পর্যন্ত যতগুলি ধারাবাহিক লিখেছি, তার মধ্যে সব থেকে প্রিয় ধারাবাহিক এটাই আমার ) .... শুরু হল অদম্য এক পথচলা। তবে পতিতার ভার্জিনিটি লিখতে গিয়ে আমাকে মুখোমুখি হতে হয়েছে বেশ কিছু হুমকি, অ্যাকাউন্ট রিপোর্টের এবং সেই সাথেই উঠেছে আমার ক্যারেক্টার নিয়ে কথাবার্তা..... ভেঙে পড়েছিলাম, সেই সময় ভীষণ পরিমাণে পাশে দাঁড়িয়েছিল প্রতিলিপির থেকে পাওয়া বেশ কিছু দাদা এবং পাঠকদের, তার মধ্যে রাজকুমারদার ( রাজকুমার মাহাতো ) কথাগুলো আজও মনে পড়লে অনেক জোড় পাই। কাটিয়ে উঠলাম খারাপলাগা, উজাড় করে দিলাম কলমের মধ্যে দিয়ে নিজের অনুভূতিগুলোকে। সাফল্য পেলাম ফলোয়ার্সের সংখ্যা পৌঁছালো সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি.... সেই আমার পথচলা শুরু.....বর্তমানে দাঁড়িয়ে আমার ফলোয়ার্স দশ হাজারের দরজার খুব কাছে পৌঁছে গেছে (৯৮৯৪) এবং পাঠক সংখ্যা3.5M মোট সমাপ্ত ধারাবাহিকের সংখ্যা -১৩টি।তার মধ্যেদুটিরয়েছে১০০পর্বের বেশী পর্বযুক্ত ধারাবাহিক, এবং বাকিগুলো ত্রিশ থেকে ষাটের মধ্যে পর্বযুক্ত। অসমাপ্ত ধারাবাহিকও আছে বেশ কয়েকটি। পাঠক, রিভিউ, সমালোচনা, ভিউজ সবকিছুর ধীরে ধীরে কমে আসাতে সেই ধারাবাহিকগুলিকে যথার্থভাবে আমি সমাপ্তি দিতে পারিনি। তবে অবশ্যই শেষ করব। আজ শিবানীদির ( শিবানী চক্রবর্তী) সাথে কথা বলতে বলতে আবারো একটা বিষয়ে ভীষণ পরিমাণে ইন্সস্পায়ার হলাম লেখা যখন শুরু করেছি, তখন পাঠক সংখ্যার দিকে না তাকিয়ে সেই ধারাবাহিককে শেষ করাটাই আমার কর্তব্য। এবং আমি অবশ্যই সেই কর্তব্য পালন করব।এছাড়াও এই মুহূর্তে প্রতিলিপি প্রিমিয়াম বিভাগে আমার চারটে ধারাবাহিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তার মধ্যে একটি ধারাবাহিকের ভিউজ রয়েছে মিলিয়নের কোটায়, যা আমার মতন একজন পাঠক থেকে লেখিকা হয়ে ওঠা মানুষের কাছে ভীষণ বড় পাওয়া।..." আরও পড়ুন - প্রতিলিপি - এক সফলতার ডানা (চোখের কোলাচ) আজ তাহলে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে ফিরে আসব প্রতিলিপি পরিবারের আরও কয়েকজন লেখকের অভিজ্ঞতার কাহিনী নিয়ে। সঙ্গে থাকবেন! টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- প্রতিলিপির লেখকদের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতার কাহিনী - পর্ব ১25 মে 2023নমস্কার, প্রতিলিপিতে বহু লেখক অনেক বছর ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছেন। তাঁরা লেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করে নিজেদের একটি পরিচিতি তৈরি করেছেন। আপনি কি জানেন এই লেখকদের প্রথম লেখা, লেখা থেকে উপার্জন, লেখার ধরন, লেখালেখি নিয়ে স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ লেখকদের জন্য তাঁদের বার্তা ইত্যাদি সম্পর্কে কী ধরনের অভিজ্ঞতা থাকতে পারে? আসুন তবে আজ থেকে জেনে নেওয়া যাক! আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিলিপির লেখকদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমরা আপনার সাথে শেয়ার করব! "তখন সময়টা দুই হাজার উনিশের শেষের দিক। ভারতে তখনো করোনা থাবা বিস্তার না করলেও পৃথিবী জুড়ে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। সেই পরিস্থিতিতে ভাবলাম এবার অন্ধকার থেকে বের হতে হবে, অন্তত মনের শান্তিটা ভীষণভাবে দরকার। আর সেই শান্তি একমাত্র দিতে পারে লেখালেখি। কিন্তু মাঝে বেশ কয়েকটা বছর পেরিয়ে গেছে, লেখালেখির সঙ্গে একেবারেই যোগাযোগ নেই। আদৌ লিখতে পারবো কিনা সেটাই জানি না। তবে লিখতে আমাকে হবেই, অন্তত আমার ভালো থাকার জন্য। এই কারণেই বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপগুলোর সন্ধান করতে লাগলাম, যেখানে আমি খুব সহজেই লেখা জমা দিতে পারব। লেখালেখি বিষয়ক বিভিন্ন অ্যাপে ঘুরতে ঘুরতে দুই হাজার কুড়ির একেবারে প্রথম দিকে সন্ধান পেলাম "প্রতিলিপি"-র। পরীক্ষামূলকভাবে কিভাবে লেখা প্রকাশিত হয় জানার জন্য প্রথমেই প্রকাশ করলাম গোয়েন্দা বেদ ইমনের প্রথম সিরিজ "শান্তিনীড়ে শান্তি শেষ"। কিন্তু প্রায় তিন ঘন্টা সময় জুড়ে বিস্তৃত এই বড় গল্পটির সময় সীমা অনেকটাই বেশি। পাঠক হিসাবে একসঙ্গে এতবড় গল্প পড়তে হলে আমার নিজেরও ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে। তাই মোটামুটি তখন তিনশোর মতো ভিউস হওয়া সত্ত্বেও লেখাটি তুলে নিয়েছিলাম।তখন এখানে 'ধারাবাহিক' শব্দটির সঙ্গে পরিচিত হলাম। সেই অর্থে প্রতিলিপিতে আমার লেখা প্রথম উপন্যাস "নীল প্রেম কালো গোলাপ"। উপন্যাসটি যখন শেষ হয় তখন ভিউস মোটামুটি তিরিশ হাজার মতো ছিল। জানি সংখ্যাটা বেশি নয়, কিন্তু সেই সময় আমার খুব ভালো লেগেছিল আর তার থেকেও বেশি ভালো লেগেছিল পাঠকের থেকে সরাসরি বিশ্লেষণাত্মক প্রতিক্রিয়া পেয়ে। আগেও যেহেতু আমার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হত, তাই লেখা প্রকাশটা আমার কাছে নতুন না হলেও সরাসরি পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানা আমার কাছে নতুন ছিল এবং একই সঙ্গে ভীষণভাবে শিক্ষনীয়। আজ তিন বছর এখানে থাকার পরেও যেটা এখনো একইভাবে আমাকে প্রতি মুহূর্তে কত কিছু শিখিয়ে চলেছে।..." আরও পড়ুন -প্যাশন (সুষমা মণ্ডল) "প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন হাতে পেয়ে খোঁজ শুরু করলাম, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে লেখা যায়। নানাভাবে অনুসন্ধান করে পেলাম প্রতিলিপি বাংলা। সম্ভবতঃ দুহাজার সতেরো সাল নাগাদ আমি প্রতিলিপি এপ্লিকেশন খুঁজে পাই প্লেস্টোরে।নিয়ম অনুযায়ী লগিন করেই আমি অবাক হয়েছিলাম। কারণ, আমার অনেক আগেই এই এপ্লিকেশনের সাথে অনেক লেখক-লেখিকা যুক্ত এবং তাঁরা নিজেদের লেখা প্রকাশ করছেন। এত আনন্দ হয়েছিল যে মনে হচ্ছিল আমি কোনো প্রতিযোগিতা জিতেগেছি। উল্লাস ব্যক্ত করেছিলাম "ইয়েস,,,, ইয়েস,,,, ইয়েস" বলে।শুরু করলাম অনেকের লেখা পড়া। অনেকেই সুন্দর সুন্দর গল্প ও কবিতা লিখতেন। ছন্দে ভরা কবিতা আমায় খুব আকৃষ্ট করতো। আবার কারুর গল্প পড়ে কল্পজগতে হারিয়ে যেতাম। অনেক লেখায় ছন্দ কাটলে নিজের মতো করে মত বিনিময় করতাম। প্রায় ছয়মাস অন্যের লেখা পড়ে সাহস পেলাম আমিও লিখতে পারি। আমার এন্ড্রয়েড ফোনে বাংলা কীবোর্ড ছিল না। তাই অফিসে বসে ছুটির পর যে কম্পিউটারে কেউ কাজে থাকতো না সেই কম্পিউটারে ডাইরিতে যে লেখা ছিল সেগুলোই ছাপানো শুরু করলাম প্রতিলিপির পাতায়। এই ছিল আমার ডিজিটাল লেখার জগতে প্রবেশ পথ ও লেখালেখি শুরু।তখন কবিতা লিখতাম। প্রথম কবিতা পোস্ট করে, সারাদিন পেজ রিফ্রেশ করে দেখি একজন মাত্র পড়েছেন। আমার লেখা একজন পড়লো! সে আনন্দ ধরে রাখা অসম্ভব। মানে মনের মধ্যে এমন একটা কল্পনা হচ্ছিল যে, বিখ্যাত কবিদের লেখা যেমন পাঠকেরা পড়ে আমার লেখাও তেমনি পড়বে? সাতদিনে তিনজন পাঠক পেয়েছিলাম। হতাশ হইনি। মোবাইলে লিখতাম বাংলা লেখা ইংরেজী হরফে। সাত দিন পর আবার একটা লেখা পোস্ট করলাম।দ্বিতীয় লেখাটা পোস্ট করার ঘন্টা চারেকের মধ্যে প্রথম রিভিউ পেয়েছিলাম "অপূর্ব।" এই রিভিউটা পাওয়ার পর মনের মধ্যে যেন খুশির জোয়ার এসেছিল। আমার পরিচিতদের মধ্যে যাঁরা গল্প, কবিতা বা উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন, তাদের দেখিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, "দেখো, আমার লেখাও মানুষ পড়ে এবং মন্তব্য করে।" তখন আমাকে সবাই উৎসাহ দিয়েছিল। সবাই একটাই কথা বলেছিল, আমার কলমে ও ভাবনায় কাব্যিক একটা ভাব রয়েছে। আমি লেখা চালিয়ে যেতে পারি এবং নিশ্চয়ই সফল হব। সকলের আশীর্বাদকে পাথেয় করে প্রতিলিপির পাতায় লেখা ছাপতে থাকলাম।..." আরও পড়ুন - ভাবনায় প্রতিলিপি (কলমের বন্ধু) "--- ততদিনে আমি ডিজিটাল লেখালেখির দুনিয়ায় সামান্য সড়গড় হয়ে উঠেছি। ২০১৮-এর জানুয়ারির শুরু থেকে ২০১৯-এর জানুয়ারির শুরু অবধি, এই একটা বছরে আমি ফেসবুকে ও নিজের পেজে ছাড়াও, আরো কয়েকটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত লিখছি। একটু-আধটু পরিচিতি তৈরি হচ্ছে, পাঠক-সংখ্যা বাড়ছে, আর আমার সাহস সঞ্চয় হচ্ছে। তখন দেশ-বিদেশ মিলিয়ে কয়েকটি ডিজিটাল বাংলা ম্যাগাজিন থেকে লেখার আমন্ত্রণ পাচ্ছি-- আরো লিখতে চাই এরকম একটা তূরীয় মুডে আছি। ২০১৯-এর জানুয়ারির সেইরকম এক কনকনে সকালে, আমার ভগ্নীসমা বন্ধু দেবযানী দত্ত আমাকে একটা লিঙ্ক পাঠাল হোয়াটসঅ্যাপে। তখন আর কোনো কথা হয়নি।একটু বেলা বাড়লে বসলাম হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে। দেবযানীর পাঠানো লিঙ্কটা খুলতেই বেরিয়ে এল "প্রতিলিপি বাংলা ফেসবুক" পেজের একটা পোস্ট। তাতে রয়েছে দেবযানী দত্তর একটা লেখা। প্রতিলিপির নিয়ম অনুযায়ী ফেসবুক পেজে প্রোমোট করা হয়েছে। গল্পটা পড়তে গিয়ে ঢুকে পড়লাম "প্রতিলিপি অ্যাপে"। বিশাল কৌতূহল তৈরি হল মনে। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পরে ফোন করলাম দেবযানীকে-- দেবযানী, এখানে কী ভাবে জয়েন করতে হয়? যে কেউ জয়েন করতে পারে?দেবযানী খুব অবাক হল-- আমি অত জায়গায় লিখি, কিন্তু "প্রতিলিপি" সম্পর্কে কিছুই জানি না দেখে। এরপর ও মোটামুটি অভিভাবিকার মতো বুঝিয়ে দিল "প্রতিলিপি" সম্পর্কে। তারপর খুব হতাশ গলায় বলেছিল-- সংঘমিত্রাদি, আমি জাস্ট ভাবতেই পারছি না যে তুমি "প্রতিলিপি" সম্পর্কে কিছুই জানতে না।ব্যাস্, ওইদিনই সন্ধ্যায় গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করলাম প্রতিলিপি অ্যাপ। তারপর বানিয়ে ফেললাম অ্যাকাউন্ট এবং পোস্ট করে দিলাম নিজের লেখা। প্রথম পোস্ট একটি অণুগল্প-- নাম: নবু। খুব ভয়ে ভয়ে ও টেনশন বুকে নিয়েই "প্রতিলিপি"র সঙ্গে নিঃশব্দে পরিচয় ঘটে গেল। সেদিন রাত্রে শুতে যাবার আগে এগারোটা নাগাদ-- দুরুদুরু বুকে খুললাম প্রতিলিপি অ্যাকাউন্ট।..." আরও পড়ুন - সাফল্যের নাম 'প্রতিলিপি (সংঘমিত্রা রায়চৌধুরী) 'প্রতিলিপি' নামটা আমার কাছে প্রচন্ড ভালোবাসার। যখন আমি এখানে লিখতাম না তখনও আমার নামটা খুব ভালো লাগতো। এই নামটার মধ্যেই যেনো সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যায় আমার কাছে। প্রতিলিপি একটা অ্যাপ্লিকেশন এটা জেনেছিলাম ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ। কী করে জেনেছিলাম প্রশ্নটা মস্তিষ্কে প্রকট হচ্ছে তাই না? বলছি, বলছি। আমার বাবার মোবাইলে প্রথম প্রতিলিপির ফেসবুক পেজ দেখেছিলাম। আজ্ঞে, আমার বাবা জানেন যে মেয়ে তার গল্প পড়তে ভীষন ভালোবাসে তাই একটা গা ছমছমে ভূতের গল্প ফেসবুকে দেখামাত্র আমাকে মোবাইলটা দিয়ে বলেছিলেন গল্পটা পড়ার জন্য। আমি প্রথম প্রতিলিপিকে চিনি সেই গল্পটা পড়ার মাধ্যমেই। হ্যাঁ, সেই গল্পটার নাম এমনকি লেখকের নামও আমার ঠিক মনে নেই কিন্তু আমার ভালো লেগেছিলো অনেক। কৌতূহলবশত আমি প্রতিলিপির ফেসবুক পেজে নিজের মোবাইল থেকে গিয়েছিলাম এবং বেশ অনেকগুলো গল্প দেখে পড়েও ছিলাম। তারপর এক বা দুদিনের মধ্যেই অ্যাপ্লিকেশনটা ইনস্টল করে নিই। প্রতিলিপি ইনস্টল করি জুন মাসে কিন্তু 'গল্প কী দেবো?', 'গল্প দেওয়া কী ঠিক হবে?', 'আমার এই লেখনী কী কারো আদৌ ভালো লাগবে?' এরকম নানা প্রশ্নের চিন্তায় গল্প দেওয়া হয়ে ওঠেনি। তারপর অনেকবার ভেবে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে দিয়েই দেখি না, এমনিতেও তো কেউ পড়বেন না; তার থেকে ভালো একটা জায়গায় গল্পটা থাকুক। অতঃপর আমি ১৩ আগস্ট, ২০২০ সালে প্রথম 'অজানা বন্ধন' গল্পের একটা পর্ব আপলোড করি। আমি যে সময় প্রতিলিপিতে লেখালেখি শুরু করি তখন এখনকার মতো গোল্ডেন ব্যাজ, সাবস্ক্রিপশন এসব ছিলো না; কিন্তু তখন ছিলো 'লাইভ সিরিয়াল' নামক একটি অপশন। কি দুর্দান্তই না ছিলো সেটা! যেকোনো ধারাবাহিক সপ্তাহের ঠিক কবে কবে দেবো সেটা আগে থেকে সেখানে ফিক্সড করে রাখতে হতো। না শিডিউল করে নয়, শুধুমাত্র দিনগুলো ঠিক করে রাখতে হতো। আমি সপ্তাহে দু'দিন, তিন দিন এই হিসেবে গল্প দেওয়া শুরু করলাম। ইতিমধ্যে আমি অজানা বন্ধনের সাথে 'অর্ধাঙ্গিনী'ও দেওয়া শুরু করি; বলাবাহুল্য সেটাও সপ্তাহে কয়েকদিনই দিতাম।প্রতিলিপিতে প্রতিবার পর্ব আপলোড করতাম, সবার লেখা দেখতাম তারপর আবার বেরিয়ে যেতাম অ্যাপ্লিকেশন থেকে। আমি তো জানতামই যে আমার লেখা কেউ পড়বেন না তাই আশাও ছিলো না। মূলত লেখালেখি আমার ভালোবাসা। নিজের মন থেকেই যা আসতো সেটাই লিখে প্রতিলিপিতে আপলোড করতাম কিন্তু পাঠকের আশা করিনি; তাও পর্ব আপলোড করলেই মন'টা খুশিতে ভরে উঠতো। প্রায় প্রথম কয়েক সপ্তাহ একদম পাঠক না থাকলেও ভগবানের কৃপায় একদিন হঠাৎ করে পাঠক সংখ্যা দেখতে পেলাম। আমার গল্প কেউ পড়েছেন সেটা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো; ঠিক কতোটা ভালো লেগেছিলো লিখে প্রকাশ করা অসম্ভব ব্যাপার। আমি খুবই সাদামাটা জিনিস লিখি সেই লেখাও কারো পছন্দ হতে পারে সেটা অবিশ্বাস্য ছিলো যেনো আমার কাছে। আমি সর্বদা ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো এটার জন্য। এরপর আমি আরো বেশি আনন্দিত মনে পর্ব দেওয়া শুরু করি। আমার কেন জানি মনে হতো যে পাঠক হয়তো আশা করে বসে আছেন পর্বের জন্য।'অজানা বন্ধন' ও 'অর্ধাঙ্গিনী' দুটো ধারাবাহিক দেওয়ার মধ্যেই হঠাৎ করে একদিন একজন পাঠকের রিভিউ পেলাম। তার গল্পটা ভালো লেগেছিলো সেটাই তিনি মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন। একটা লাইন আমার কাছে সেদিন একশো লাইনের সমান ছিলো; আমি এতোটাই খুশি হয়েছিলাম।..." আরও পড়ুন - আকাশপরীর ডায়রি (অঙ্কিতা চ্যাটার্জী) আজ তাহলে এই পর্যন্তই। আগামী পর্বে ফিরে আসব প্রতিলিপি পরিবারের আরও কয়েকজন লেখকের অভিজ্ঞতার কাহিনী নিয়ে। সঙ্গে থাকবেন! টিম প্রতিলিপিআরও দেখুন
- জেনে নেওয়া যাক, যেসমস্ত গোল্ডেন ব্যাজপ্রাপ্ত লেখক তাদের ধারাবাহিক গল্পকে সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশনে রেখে লিখছেন, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিলিপির নতুন পরিবর্তনের কী প্রভাব পড়বে20 মে 2023প্রিয় লেখক, কেমন আছেন? একটি দারুণ খবর জানাতে মেসেজ করছি। আমরা কিছুদিন আগেই আপনাকে জানিয়েছিলাম প্রতিলিপিতে লেখকদের উপার্জন বৃদ্ধিতে সাহায্য করার জন্য নতুন একটি পরিবর্তন আসতে চলেছে। অত্যন্ত খুশির সঙ্গে জানাচ্ছি আগামী 22শে মে, সোমবার এই নতুন পরিবর্তনটি অ্যাপে লাইভ হয়ে যাবে। এই নতুন ফিচারের সমস্ত সুবিধা উপভোগ করতে আজই অবশ্যই আপনার মোবাইলে প্রতিলিপি অ্যাপটি আপডেট করে রাখুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, যেসমস্ত গোল্ডেন ব্যাজপ্রাপ্ত লেখক তাদের ধারাবাহিক গল্পকে সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশনে রেখে লিখছেন, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিলিপির নতুন পরিবর্তনের ফলে কী প্রভাব পড়বে - 1. প্রতিলিপিতে আমার উপার্জনের সুযোগে কী প্রভাব পড়বে? এই পরিবর্তনের ফলে সমস্ত গোল্ডেন ব্যাজ লেখক উপার্জন করার সমান সুযোগ পাবেন। এখন থেকে আপনার লেখা প্রিমিয়ামে দেওয়ার জন্য আর প্রতিলিপি টিমের ওপর নির্ভর করে থাকতে হবে না। যেকোনও সময় আপনি বর্তমানে লিখছেন বা ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়ে গেছে এমন ধারাবাহিক গল্পগুলিকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। 2. আমি বর্তমানে সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশনে রেখে একটি ধারাবাহিক গল্প লিখছি। এই পরিবর্তনের ফলে কী প্রভাব পড়বে? যে ধারাবাহিক গল্পগুলি বর্তমানে সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশনের অংশ সেগুলি এই পরিবর্তনের ফলে সরাসরি প্রিমিয়াম ধারাবাহিক গল্পে পরিণত হয়ে যাবে। তবে, পাঠকদের গল্প পড়ার ক্ষেত্রে কিছু কিছু ছোট পরিবর্তন করা হচ্ছে। 16 নম্বর পর্ব থেকে আপনার বাকি সমস্ত ধারাবাহিক গল্পটি পাকাপাকিভাবে লক হয়ে যাবে। আগে আপনি নতুন পর্ব প্রকাশ করলে, বিনামূল্যে পর্বটি পড়ার জন্য পাঠককে 5 দিন অপেক্ষা করতে হত। এখন, গল্পের নতুন পর্ব বিনামূল্যে আনলক করতে পাঠকদের 1 দিন অপেক্ষা করতে হবে, ঠিক যেমনটা যেকোনো প্রিমিয়াম গল্পের ক্ষেত্রে হয়। 3. প্রতিলিপি কেন এই নতুন পরিবর্তনটি আনছে? প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে যাতে সমস্ত গোল্ডেন ব্যাজ লেখক সমানভাবে উপার্জন করার ও উপার্জন বৃদ্ধির সুযোগ পান, তাই এই পরিবর্তন করা হচ্ছে। 4. আমার পাঠকদের জন্য কী কী পরিবর্তন হতে চলেছে? - পাঠকরা ধারাবাহিকের 16 নম্বর পর্ব থেকে বাকি সম্পূর্ণ গল্পটি লকড অবস্থায় দেখতে পাবেন। - আগে আপনি নতুন পর্ব প্রকাশ করলে, বিনামূল্যে পর্বটি পড়ার জন্য পাঠককে 5 দিন অপেক্ষা করতে হত। এখন, গল্পের নতুন পর্ব বিনামূল্যে আনলক করতে পাঠকদের 1 দিন অপেক্ষা করতে হবে, ঠিক যেমনটা যেকোনো প্রিমিয়াম গল্পের ক্ষেত্রে হয়। - অপেক্ষা না করে একটানা সম্পূর্ণ ধারাবাহিক গল্প পড়তে পাঠকেরা প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন / অথবা লেখকের সুপারফ্যান হতে পারেন / অথবা লকড পর্ব আনলক করতে 5টি করে প্রতিলিপি কয়েন ব্যবহার করতে পারেন। 5. বর্তমানে লিখছি এমন ধারাবাহিক গল্পকে কীভাবে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করব? বর্তমানে নতুন ধারাবাহিক গল্প আপনি সাবস্ক্রিপশনে রেখে লিখছেন - এক্ষেত্রে গল্পের প্রথম 15টি পর্ব সকলের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে। 16 নম্বর পর্বটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে ধারাবাহিকটি সরাসরি প্রিমিয়ামের আওতায় চলে আসবে ও তারপর আপনি যত লেখা চালিয়ে যাবেন, একটি একটি করে সমস্ত নতুন পর্বগুলি পাকাপাকিভাবে পাঠকদের জন্য লকড হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার গল্পটি প্রিমিয়াম গল্প হয়ে যাবে। 6. আমি কি আগে সমাপ্ত হয়ে যাওয়া ধারাবাহিক গল্প প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের আওতায় আনতে পারি? আপনার যে গল্পগুলি বর্তমানে সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশনে রেখে লিখছেন, সেগুলি সরাসরি প্রিমিয়াম গল্প হয়ে যাবে, আপনাকে আলাদা করে কিছু করতে হবেনা। কিন্তু আগে সমাপ্ত হয়ে যাওয়া ধারাবাহিক গল্প যদি আপনি প্রিমিয়ামে রাখতে চান, সেক্ষেত্রে আপনি নিচে দেওয়া স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি অনুসরণ করুন- - লিখুন অপশনে ক্লিক করুন - নির্দিষ্ট ধারাবাহিক গল্পটি খুলুন - 'অন্যান্য তথ্য সম্পাদনা করুন' অপশনে ক্লিক করুন - গল্পটি সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করুন 7. আমি কী চাইলে আমার ধারাবাহিক গল্প সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রাম থেকে সরাতে পারব? হ্যাঁ পারবেন। তবে সরাসরি গল্পটি সাবস্ক্রিপশনের আওতা থেকে সরানো যাবে না। এরজন্য প্রতিলিপি টিমের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। আপনি প্রথমে 'অন্যান্য তথ্য সম্পাদনা করুন' অপশন থেকে গল্পটি সাবস্ক্রিপনে রাখতে চান কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে না বেছে নেবেন। এটি আমাদের টিমের কাছে একটি রিকোয়েস্ট হিসেবে জমা পড়বে। আমাদের টিম 72 ঘণ্টার মধ্যে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনাকে ধারাবাহিক গল্পটি সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রাম থেকে সরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। 8. আমি কেন নিজেই সরাসরি আমার গল্প সাবস্ক্রিপশন থেকে সরাতে পারব না? যে সমস্ত পাঠক ধারাবাহিক গল্পগুলি পড়ার জন্য টাকা খরচ করে সাবস্ক্রিপশন নিয়েছেন, তাদের আমরা গল্প পড়ার সেরা অভিজ্ঞতা করে দিতে চাই। হঠাৎ কোনও গল্প সরিয়ে নেওয়া হলে, সাবস্ক্রিপশন নেওয়া পাঠকদের জন্য তা বাজে অভিজ্ঞতা হবে ও তাদের প্ল্যাটফর্মের প্রতি বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। এরকম হলে তারা হয়ত ভবিষ্যতে আর সাবস্ক্রিপশন নেবেন না; এতে লেখক ও প্ল্যাটফর্ম দুপক্ষের ক্ষতি হবে। 9. গল্প লেখার পদ্ধতিতে কি কোনো পরিবর্তন হবে? নতুন প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হওয়া ধারাবাহিকগুলির ক্ষেত্রে - - ওপরের পয়েন্টে বলা একই কারণে, আপনি গল্পের মাঝের কোনো পর্ব অপ্রকাশিত বা ডিলিট করতে পারবেন না। তবে গল্পের সর্বশেষ প্রকাশিত পর্বটি আপনি চাইলে অপ্রকাশিত বা ডিলিট করতে পারবেন। কোনও বিশেষ প্রয়োজনে আমাদের অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বা bengali@pratilipi.com -এই ঠিকানায় ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। - তবে গল্পের সমস্ত পর্বগুলির লেখা আপনি প্রয়োজনমত এডিট করতে পারবেন। - গল্পের মাঝে কোনও পর্ব যুক্ত করা বা মুছে ফেলা যাবেনা। - গল্পের পর্বগুলি আপনি রিঅর্ডার করতে অর্থাৎ ক্রমানুসার পরিবর্তন করতে পারবেন না। 10. লেখার পদ্ধতিতে নতুন এই বিধিনিষেধ আনা হচ্ছে কেন? প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেওয়া পাঠকদের গল্প পড়ার অভিজ্ঞতা যাতে খারাপ না হয় তাই আমরা কিছু বিধিনিষেধ আনছি। ধরুন, একজন পাঠক প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিয়েছেন/ বা লেখকের সুপারফ্যান হয়েছেন এবং একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিক গল্প পড়তে শুরু করেছেন। এখন লেখক যদি গল্পের কোনও পর্ব হঠাৎ মুছে ফেলেন বা পর্বগুলি পুনরায় সাজান, তাহলে পাঠকের পড়ার অভিজ্ঞতা খারাপ হবে। পাঠক আর ভবিষ্যতে সাবস্ক্রিপশন নেবেন না। 11. বর্তমানে লিখছি এমন কোনও ধারাবাহিক গল্পকে সমাপ্ত ঘোষণা করলে কী হবে? কোনো পরিবর্তন হবেনা। আপনার গল্পটি পাকাপাকিভাবে প্রিমিয়াম গল্প হিসেবে প্রতিলিপিতে থেকে যাবে। বহু সাধারণ বা সাবস্ক্রিপশন নেওয়া পাঠকদের জন্য গল্পটি পড়ার সুযোগ তৈরি হবে। আপনার জন্য রয়্যালটি উপার্জন করার নতুন একটি সুযোগ তৈরি হবে। 12. নতুন পরিবর্তনে আমি কি গল্পের নতুন পর্ব শিডিউল করত পারব? হ্যাঁ, আপনি ঠিক আগের মতোই গল্পের নতুন পর্ব শিডিউল করতে পারবেন। 13. এই পরিবর্তনের ফলে আমার সুপারফ্যানদের কি গল্প পড়ার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হবে? না, কোনো পরিবর্তন হবেনা। 14. ইতিমধ্যে প্রতিলিপি প্রিমিয়ামে থাকা আমার গল্পগুলির কী হবে? ইতিমধ্যে প্রিমিয়ামে চলে যাওয়া ধারাবাহিকগুলির কোনো নতুন পরিবর্তন হবেনা। সেগুলি আগে যেমন ছিল একইভাবে প্রিমিয়ামে থাকবে। 15. আগে সমাপ্ত হয়ে যাওয়া কিছু ধারাবাহিক গল্প আমি সুপারফ্যান সাবস্ক্রিপশনে লকড রেখে প্রকাশ করিনি; সাধারণ পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি। এই গল্পগুলি কি এখন প্রিমিয়ামে আনা যাবে? হ্যাঁ, এই গল্পগুলিও আপনি এবার চাইলে নতুন প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। 16. আমার চিন্তা হচ্ছে এতে যদি আমার পাঠক, সুপারফ্যানের সংখ্যা বা প্রিমিয়াম থেকে উপার্জন কমে যায়! 1. প্রাথমিকভাবে এই পরিবর্তন পাঠকদের ওপর প্রভাব ফেলবে। তবে, এর ইতিমধ্যে আমরা অন্য ভাষায় এই পরিবর্তন এনেছি ও সেখানে যথেষ্ট ইতিবাচক রেসপন্স পেয়েছি। 2. মনে রাখবেন 16 নম্বর পর্ব থেকে গল্পের বাকি পর্বগুলি কিন্তু একদিন পর পর সব পাঠকের জন্য বিনামূল্যে আনলক হবে না। শুধুমাত্র যে পাঠক গল্পের আগের সমস্ত পর্ব সম্পূর্ণ পড়েছেন, তারাই 24 ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরের লকড পর্ব আনলক করতে পারবেন। অন্যান্য সাধারণ পাঠকের জন্য গল্পের সমস্ত লকড পর্বগুলি বন্ধ অবস্থায় থাকবে। একজন পাঠক একটি ধারাবাহিক গল্পের একটি মাত্র পর্ব একদিনে বিনামূল্যে আনলক পড়তে পারবেন। অর্থাৎ অনেকগুলি বড় ধারাবাহিক গল্প একবারে বসে বিনামূল্যে পড়তে চাইলে তা কোনভাবেই সম্ভব নয়। বরং তা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যপার। একটানা বসে আরাম করে গল্প পড়তে চাইলে সেক্ষেত্রে পাঠককে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতেই হবে / অথবা লেখকের সুপারফ্যান হতে হবে / বা 5টি করে কয়েন দিয়ে একটি করে পর্ব আনলক করতে হবে। ____________________________ সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল! এবার প্রত্যেকে পাবেন প্রিমিয়ামের সুযোগ! প্রতিলিপি বাংলা টিমআরও দেখুন
- 100 পর্বের মাইলস্টোন অতিক্রম করে থাকা সকল লেখককে জানাই অভিনন্দন!12 মে 2023প্রিয় প্রতিলিপি পরিবার, আপনাদের সাথে আজ আমরা একটি দারুণ খবর শেয়ার করব! বহু প্রতীক্ষিত সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস - 4 প্রতিযোগিতার ফলাফল মাত্র কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে! যারা এই বিষয়ে জানেন না তাদের জন্য বলি, এই সর্বভারতীয় গল্প লেখার প্রতিযোগিতায়, আমরা সকল অংশগ্রহণকারী লেখকদের দিয়েছিলাম একটি টাফ চ্যালেঞ্জ। প্রতিযোগিতার শুরুতে আমরা ঘোষণা করেছিলাম যে লেখকরা 100 বা তার বেশি পর্বের ধারাবাহিক গল্প লিখবেন তারা প্রত্যেকে পেয়ে যাবেন প্রতিলিপির তরফ থেকে নিশ্চিত পুরস্কার। এটি বেশ কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ ছিল কারণ 100 পর্বের বড় ধারাবাহিক গল্প লিখতে অনেকটা সময়, ধৈর্য্য, গল্প লেখার স্কিল, নিয়মানুবর্তিতা এবং ট্যালেন্ট প্রয়োজন। লেখার প্রতি একান্ত ভালোবাসা না থাকলে, এই চ্যালেঞ্জ পূরণ করা একপ্রকার অসম্ভব। সত্যি বলতে, লেখকদের থেকে এই বিষয়ে যে স্বতঃস্ফূর্ত রেসপন্স আমরা পেয়েছি তা আমাদের অবাক করে দিয়েছে। প্রচুর লেখক এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়েছেন এবং 100+ পর্বের ধারাবাহিক গল্প এই প্রতিযোগিতায় প্রকাশ করেছেন! কেউ কেউ 150/200/250/300 পর্বেরও উপন্যাস লিখেছেন। এত প্রতিভাবান লেখকদের প্রশংসা জানানোর মতো পর্যাপ্ত ভাষা আমাদের কাছে নেই। প্রতিলিপির প্ল্যাটফর্মে এত অসামান্য প্রতিভাকে পেয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে এই পরিমাণ ডেডিকেশন, প্যাশন ও হার্ডওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা নিশ্চই একসাথে আমাদের সকলের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব। প্রিয় লেখক, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রতিযোগিতাটিকে সফল করে তোলার জন্য আমরা আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। লেখার প্রতি আপনার প্যাশন আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, এবং আমরা আশাবাদী বাকি লেখকরাও এইভাবেই আপনাকে দেখে ইন্সপিরেশন ও মোটিভেশন পাবেন। এইজন্য আমরা এই আনন্দের খবর; আপনার এই বিশেষ অ্যাচিভমেন্ট আমাদের পুরো প্রতিলিপি পরিবারের সাথে শেয়ার ও সেলিব্রেট করছি। আমরা কথা দিয়েছিলাম 100 পর্বের গল্পের চ্যালেঞ্জে সফল হলে আমরা আপনার ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে একটি বিশেষ গিফট পাঠাব। অনুগ্রহ করে কিছুদিন অপেক্ষা করুন, আমাদের টিম এই বিষয়ে খুব শীঘ্রই আপনার সাথে যোগাযোগ করে নেবে। এই প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সবথেকে বড় ধারাবাহিক গল্প - প্রতিশোধের খেলা -দোয়েল কর স্বপ্নচারিনী- 250পর্ব সকল লেখকদের তালিকা যারা 100 বা তারও বেশি পর্বের গল্প পাঠকদের উপহার দিয়েছেন - দম লাগাকে হেইসা -Sumana Das নয়াচরের ইতিকথা -সুশান্ত কুমার ঘোষ নীল পাহাড়ের পাগলী ঝোরা -Upali Bera সিঁদুর দান -Rakhi Malik বিয়ের ফাঁদে -শৰ্মিষ্ঠা (কথাকলি) Deal of love -CHANDANA BAROI রঙ বদল -চম্পা চক্রবর্তী ত্রিকাল -সংঘমিত্রা রায়চৌধুরী "পরিণীতা" এক অন্তহীন অপেক্ষার নাম -স্বর্ণলতা রায় কবিরাজ মুখপুড়ী -সুদীপা হালদার উমা -চৈতালী মুখার্জী ক্রাইম in কলকাতা - চৈতালী মুখার্জি যখন কেউ নদী হয় -জাহানারা মনি তুমি আসবে বলে -Rakhi Malik অভিশঙ্কা - অরুন্ধতী বসু চৌধুরী পূর্ব পশ্চিম বন্ধু সঙ্গম -তিয়াসা চ্যাটার্জী প্রণয়পাশা সিন্ধু থেকে নীলে -অনামিকা রায় খোকা -Samik Sanyal অতীতের হাতছানি -জয়ন্ত অধিকারি দহনে পোড়া আলো -Shoranshi Raghuvanshi তাজমহল -সৌরদীপা ঘোষ স্বপ্নসঙ্গী -মেঘবর্ণা মহুলবনীর টাঁড়ে -Parbati বংশধর -Soumen Mallick রক্তলোভী নরপিশাচ -মৌসুমী বৈদ্য দাস সুজনের প্রেতাত্মা -কাজী আনারকলি ললন্তিকা -নিত্যানন্দ ব্যানার্জী এই মন তোমাকে দিলাম -সৌমিত্র দে তুমি এলে তাই -সঙ্গীতা দাস শিয়ালকাঁটা রহস্য -prosenjit chakraborty বসুধৈব কুটুম্বকম -Apurba Chakrabarti ফাগুন প্রেম - সুস্মিতা মহাপাত্র দীপ শিখা -bhagyadhar hudait NO OPTION -Purabi Manna সমাবর্তন -আশীষ অন্তহীন ভালোবাসা -Snigdha Parial প্রিয় বর -Sanchita Saha সিংহদুয়ার -বিনয় কৃষ্ণ গোস্বামী প্রথম রাতের অধিকার -সামসুর রহমান রক্তের পিপাসা -ক্লাউড নাইন ও মন পাখি -শ্রী কর্মকার "মন চুরি" মিস্টার হি! -Caption Angela একদন্ত রহস্য -সুদিপা দাস এ ভাবেও ফিরে আসা যায় -স্মৃতি রায় ১০০ প্রপোজাল -MRINMOY KAR আবির রাঙা গোধূলি -শিপ্রা (মেঘপিয়ন) কলঙ্কিনী -তরুন দাশ শর্মা রক্তগোলাপ -Sayani Sarkhel Chakraborty গণনা -পারমিতা সাহা (গহীন অরণ্যা) অগ্নি ও অশ্রু -Madhuchhanda Ghosh রঙিন ভালোবাসার হাতছানি -Jita Nath মেম সাহেবের মায়া জাল - চৈতালী মুখার্জি ঋষিকা -Lipika Biswas বিশ্বাসঘাতক জিন -Sk Mahatab Ali জোয়ালা দেবীর মন্দির -Sayandeep Das ফাগুনের দিনগুলি -Barnali Sengupta The King, The Princess and The Dragon -Trapita Dastidar ফুলশয্যা -Konika Yasmin রক্ত চাঁদের অশ্রু -নবনীতা চক্রবর্ত্তী প্রেম মানে মিষ্টি পাপ! -তনুজা দাস আমাদের গল্পগুলো -শ্রী সাহা স্বপ্নে খুঁজি তোমায় -ভাবের প্রকাশ জোছনায় জাগিছ নিশি -Santanu Maulik সন্ধি_হৃদয়ের -Mohena Roy ভালোবাসি শুধু তোমাকে -দিশা দগ্ধ অভিসার -সুষমা মণ্ডল তোমার টানে - শর্মিষ্ঠা আচার্য্য রাগে অনুরাগে -Biva Sardar মাতৃঋণ -Sanchita Das সহেলীর আত্মকথা -মৌমিতা পাল বগলা উবাচ -সুব্রত মজুমদার যে গল্প কখনো বলা হয়নি -তীর্থা সরকার সব রং ফ্যাকাসে - চন্দনা ব্যানার্জী চক্রবর্তী ফাটা বাঁশের বাঁশি -অসিতরঞ্জন চক্রবর্তী কুহেলিকার মায়াজালে -Heart Girl "Shruti" অভিশাপের অন্তরালে -Samarpita Dalui এক সমুদ্র ভালোবাসা -প্রিয়া দাস ভৌমিক মেঘের দেশে কুয়াশার হাতছানি -নন্দিতা মিশ্র জনপদ বধূ -জয়ন্তী সপ্তসুর -ভোরের পাখি ভালোবাসার ছোঁয়া -তমালি কর্ম্মকার তামান্না রূপকথা ভবন -মন পর্যন্ত হয়তো তোমারই জন্য -রংধনু এক দেবদাসীর প্রেম উপাখ্যান -Sukla Dey নীলমণি -চিরঞ্জিত প্রামাণিক প্রতিবিম্ব -Rini Basu ডার্ক ওয়েব.com - চৈতালী মুখার্জি Triangle -omnibus রক্তাক্ত অনুরাগ -মৌসুমী বৈদ্য দাস মহাভারতের নারী -Sampa Chakraborty এক নৌকার যাত্রী -Sanghamitra Roy কপোত-কপোতীদের গল্প -আনআমতা হাসান এক বারবনিতার জালে -মণীশ ভট্টাচার্য্য তোমায় ভালোবেসে -মেঘমালা সিয়া তুমি ভালোবাসবে বলে -Khusbu ভাগ্যচক্রে গাঁটছড়ার বাঁধনে -সাসপেন্স কুইন তিন্নী জীবন বীণা এক তারেতেই বাঁধা -তন্দ্রা মজুমদার নাথ The Queen of the Night -Athai পুনর্জন্ম -ইন্দ্রানী চক্রবর্তী অন্য প্রেমের গল্প -জুঁই কর্মকার বনদেবী জাটুলার অভিশাপ -Raj Kundu রক্তের অভিশাপ -Swagata Pathak The Mind Game -Suman khatoon Ek Villain -সাথী কয়াল প্রণয়ের দহন -পিলু সাফল্য -অনুপমা মহন্ত মন চল নিজ নিকেতনে -শুভাশীষ রায় গুপ্ত ঘাতক রহস্য -মন আর আমি Monami সমাপ্তি নাকি সূচনা! -Sweta Poddar বিচারের বাণী -অমিয় কুমার রীত মনের মানুষ -স্বরূপা রায় জন্ম জন্মান্তরের -Crazy Girl Shreya পারাপার -সুমন বাঙ্গালী সময়চক্র -স্মিতা এমনটাও কি সম্ভব? -শর্মিষ্ঠা দাস ওয়েব সিরিজে যেমনটি হয় -জয়দীপ চক্রবর্তী চিরহরিৎ -DIPANWITA DEY প্রথম প্রেম ও একটি চুক্তি -Sabyasachi Sen স্বপ্ন উড়ান -বন্য মাধব না রক্ত না ভালোবাসা -সঞ্চিতা মণ্ডল শুধু তোমারই জন্য -নবনীতা সাহা কালনাগিনী 2 -Mithu Das বসন্ত নয় অবহেলা -Mysterious Girl ছাই ঢাকা আগুন -অঞ্জন ময়ূর আমি সিঁদুর তুমি -Rupkatha প্রদীপ -Sankar Chatterjee রঙচটা আদর -মৌসুমী বৈদ্য দাস শয়তানের সাম্রাজ্য -সোমালী সরকার Aashiqui -পর্না মায়াবী কন্যা রাজনন্দিনী(দ্বিতীয় অধ্যায়) - রাজকুমার দে আমাদের চোখে আপনারা প্রত্যেকেই সেরা কলমকার! এইভাবেই লেখা চালিয়ে যান। আমরা গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি শীঘ্রই নিজের এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবেন ! আশা করি আপনারা সকলেই সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডস - 5 প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন এবং পাঠকদের আরও নতুন নতুন জনপ্রিয় ও বেস্টসেলার গল্প পড়ার সুযোগ করে দেবেন। আপনাকে শুধু আগামী 4 আগস্টের মধ্যে 60 পর্বের একটি গল্প লিখে প্রতিলিপিতে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া এবারেও আগের বারের মত 100 পর্বের মাইলস্টোন ছুঁতে পারলে থাকছে নিশ্চিত উপহার প্রতিলিপির তরফে। অংশগ্রহণের পদ্ধতি এবং এক্সক্লুসিভ পুরস্কার তালিকার বিষয়ে বিশদে জানতে ক্লিক করুন - https://bengali.pratilipi.com/event/f3d5qvgmk6 আপনার পরবর্তী বেস্টসেলার গল্পের অপেক্ষায়, প্রতিলিপি প্রতিযোগিতা বিভাগআরও দেখুন
- ফলাফল - আবার 10 পর্বের গল্প10 মে 2023প্রতিযোগিতা সম্পর্কেবিচারকের কথা '10 পর্বের গল্প' - শুনতে ছোট মনে হলেও প্রতিলিপি আয়োজিত এই গল্প লেখার প্রতিযোগিতার থিম ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। 10 পর্বের ছোট পরিসরের মধ্যে চরিত্রদের ফুটিয়ে তুলতে, প্লট গঠন করতে বা গল্পকে সুন্দরভাবে শেষ করতে বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন। আমাদের লেখকরা সেই কাজটি নিপুণভাবে করেছেন। যেহেতু কোনও বাঁধাধরা বিষয় ছিল না, তাই পাঠক হিসেবে আমরা এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্বাদের গল্প পড়ার সুযোগ পেয়েছি। বহু নতুন লেখক লেখিকা, যারা এখনও গোল্ডেন ব্যাজ পাননি, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং তাদের অসাধারণ প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। আপনারা এভাবেই ধারাবাহিক গল্প লিখতে থাকুন। প্রতিলিপি অ্যাপে একক গল্পের তুলনায় ধারাবাহিক গল্প পাঠকদের ডিভাইসে অনেক বেশি পরিমাণে দেখানো হয়। এতে আপনার গল্প নতুন অনেক পাঠকদের কাছে পৌঁছনোর সম্ভাবনা বাড়বে ও আপনি নতুন ফলোয়ার্স পেতে সক্ষম হবেন। আমরা আশা রাখি খুব শীঘ্রই আপনারা গোল্ডেন ব্যাজ পেয়ে যাবেন ও প্রতিলিপি আয়োজিত ভারতের সবথেকে বড় সাহিত্য প্রতিযোগিতা 'সেরা কলমকার অ্যাওয়ার্ডসে' অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যেকোনও প্রয়োজনে ইমেল পাঠান, প্রতিলিপি টিম আপনাদের পাশে আছে। যারা অংশ নিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই প্রতিভাবান। তবুও নিয়ম অনুযায়ী আমাদের প্রতিযোগিতার সেরা গল্পগুলি বেছে নিতেই হয়। আমাদের বিচারকমণ্ডলী যে গল্পগুলি এবারের মত বেছে নিয়েছেন ও পুরস্কৃত করেছেন সেগুলির তালিকা নিচে দেওয়া হল। বিজয়ী লেখকদের জানাই প্রতিলিপির তরফে বিশেষ ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। প্রতিলিপির প্ল্যাটফর্মে আপনাদের পেয়ে আমরা গর্বিত। আগামী দিনে আপনারা আরও অনেক সাফল্য লাভ করবেন আমরা নিশ্চিত। পাঠকদের এভাবেই আপনারা বিভিন্ন স্বাদের দারুণ দারুণ গল্প উপহার দিতে থাকুন। ভালো থাকবেন সবাই। কলম চলতে থাকুক। প্রথমপুরস্কার: 1.ঝিমলির স্বপ্নপূরণ-দেবাদীপ মিত্র (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) দ্বিতীয় পুরস্কার: 2.রুদালী-সুষমা মণ্ডল (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) তৃতীয় পুরস্কার: 3.নীলগ্রহের অভিযাত্রী-ক্লাউড নাইন (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) চতুর্থ পুরস্কার: 4.রহস্য উদঘাটনে পঞ্চরত্ন-ক্যানভাসে রঙের ছটা (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) পঞ্চম পুরস্কার: 5.পিতৃতর্পন- রিতা লালা (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) এবং সখী-প্রচেতা ঠাকুর (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) ষষ্ঠপুরস্কার: 6.শত সিদ্ধি- শাশ্বতী ব্যানার্জী (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) সপ্তমপুরস্কার: 7.পরকীয়া-সোমালী সরকার (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) এবং অর্ধবৃত্ত-অনামিকা বসু (ভারতীয় মুদ্রায় 1,000টাকা আর্থিক পুরস্কার +প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) বিঃদ্রঃ- সকল বিজয়ী লেখকদের অনুরোধ করা হচ্ছে পুরস্কার সংগ্রহ করার জন্য অবিলম্বে আপনাদের নাম, র্যাঙ্ক, পিন কোডসহ সম্পূর্ণ ঠিকানা (ইংরেজিতে), ফোন নম্বর, সম্পূর্ণ ব্যাংক ডিটেলস, PAN কার্ড নম্বর এবং নিজেদের প্রতিলিপি প্রোফাইলের লিংক আগামী 10 দিনের মধ্যেevents@pratilipi.comএই ঠিকানায় ইমেলের মাধ্যমে পাঠান। 8.অব্যক্ত ভালোবাসা-তপন কুমার চ্যাটার্জী(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 9.ঝুমঝুমি-মুসকান ডালিয়া(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 10.ফেরারী মন- ধূসরপাণ্ডুলিপি(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 11.সত্যান্বেষী-আশিস চক্রবর্তী(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 12.জিজীবিষা- দেবাশিষ চ্যাটার্জী(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 13.কুহকিনীর মায়া- জিত কয়াল আদিদেব(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 14.বিষাক্ত বীজ-বিন্দু লেখা(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 15.বুনো হাঁস ও ছোট্ট বন্ধুরা- আলপনা গাঙ্গুলী(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 16.পাচার কন্যা-হেমন্ত জানা(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 17.অতৃপ্ত আস্বাদন-মানস মণ্ডল(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 18.রূপকথা নয়-বনবীথি পাত্র(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 19.একটি খুনের ঘটনা-দীপঙ্কর বোস(প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) 20.মারণরোগ- শুভ্রমিতা ব্যানার্জি (প্রতিলিপির পক্ষ থেকে বিশেষ বাঁধাই করা সার্টিফিকেট) বিঃদ্রঃ- সকল সেরা লেখকদের অনুরোধ করা হচ্ছে অবিলম্বে আপনাদের নাম, র্যাঙ্ক, পিন কোডসহ সম্পূর্ণ ঠিকানা (ইংরেজিতে), ফোন নম্বর এবং নিজেদের প্রতিলিপি প্রোফাইলের লিংক আগামী 10 দিনের মধ্যেevents@pratilipi.comএই ঠিকানায় ইমেলের মাধ্যমে পাঠান। আরও কিছু দারুণ গল্প আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই - পাশ ফেরে ইতিহাস-শম্পা চক্রবর্তী আপন আলয়- রেণু পালিত তারপর- প্রদীপ মণ্ডল জল সই-কবিতিকা ক্রান্তি-অমিত ঘোষ ফিরে পাওয়া বাসা-প্রিয়াঙ্কা পাল হটাৎ দখিনা বাতাস- স্বাগতা বড়ুয়া রংধনুর সংসারে-আশালতা তারানাথ তান্ত্রিক ও প্রথম মহাযুদ্ধ- অরিত্র দাস পীতাম্বর বাবুর সংসার- কাবেরী ভট্টাচার্য দুই পৃথিবী-অন্বেষা গুহ পাল জীবন সঙ্গী-মৌমিতা পাল গহীন অরণ্যে-অমিতাভ সাহা চারুলতা- ইন্দ্রাণী বৈতালিক অঙ্গদ দান প্রথা- বেস্ট হিল গল্পকথারা সোনা ব্যাঙ-চিরঞ্জিত প্রামাণিক সেদিন বসন্তে-অনিন্দিতা বাগচী বিশ্বাস অভয়া-লিপিকা দত্ত শেষ অবলম্বন-স্বরূপা রায় কালের গ্রাস-তনয়া ভট্টাচার্য অনন্যা- জয়তী জোয়ারদার আমার পরান যাহা চায়-মৃণাল সরকার ফিরে পাওয়া- পত্রালী মজুমদার ভাইরাস-গৌতম কুন্ডু ধূসর ডায়েরির জগৎ-বাধন ঘোষ দিশার কাহিনী- মন্দিরা সরকার খাদ-রাখী মজুমদার তিওয়ারী ইস্পাত কন্যা- তুহিনা চ্যাটার্জী মাদাগাস্কারের অজানা বিপদ-তাপস বাবু কাঁটায় কাঁটায় যুদ্ধ-শান্তা সিকদার অন্যতম সেরা লেখকেরা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নিজেদের ইমেল ঠিকানায় পেয়ে যাবেনপ্রতিলিপির পক্ষ থেকে একটি আকর্ষণীয় ডিজিটাল সার্টিফিকেট। শুভেচ্ছা অফুরান, প্রতিলিপি প্রতিযোগিতা বিভাগআরও দেখুন